গর্ভধারণের অষ্টম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৮

গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহ চললেও গর্ভের শিশু এখন তার বিকাশের প্রায় ষষ্ঠ সপ্তাহে। অর্থাৎ কন্সেপশনের (গর্ভসঞ্চার) পর  ছয় সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে (সাধারণত পিরিয়ড শুরুর দুই সপ্তাহ পর গর্ভসঞ্চার হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়) ।  এই সপ্তাহ ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অষ্টম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ১ মাস তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এসময় শিশুর আকার একটি কিডনি বীনের সমান হয় (১.৬ সে.মি. বা এক ইঞ্চির চারভাগের তিন ভাগ) এবং ভ্রূণের আকার প্রতিদিন প্রায় এক মি.মি. হারে এর আকার বাড়ছে।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের সপ্তম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৭

গর্ভাবস্থার সপ্তম সপ্তাহে গর্ভস্থ শিশু এখনো ভ্রুণ অবস্থায় আছে। আকারে তা একটি কালজামের সমান। তবে এখন এর আকার আগের সপ্তাহের দ্বিগুণ। এর মাথার কাছে নতুন একটি স্ফীতি দেখতে পাবেন যেখানে মিনিটে শত শত কোষ বেড়ে চলেছে যা মস্তিষ্কে পরিণত হবে। সপ্তম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বললে ১ মাস দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার সপ্তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এই সময় ভ্রূণের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত বিকশিত হয় তাই ভ্রূণের মাথার আকার শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বড় হয়। এই সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০টি নূতন ব্রেইন সেল তৈরি হয়।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের ষষ্ঠ সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৬

গর্ভধারণের এই সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এই সময়ে আপনার গর্ভের সন্তানের অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। গর্ভস্থ ভ্রূণ এই সময়ে ৫-৬ মিলিমিটার বা .২৫ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। বাচ্চার নাক, মুখ, কান ধীরে ধীরে আকার নিতে শুরু করে। ষষ্ঠ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে বা নির্দিষ্ট করে বললে এক মাস এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহে ভ্রূণের মাথার আকার অপেক্ষাকৃত বড় থাকে এবং তাতে কালো স্পট দেখা যায়, যেখানে বাচ্চার চোখ ও নাকের গঠন শুরু হয়। মাথার দুপাশে একটু চাপা থাকে যেখানে বাচ্চার…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের পঞ্চম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৫

গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহে ভ্রূণ খুব দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। আপেল বীচির আকৃতির গর্ভস্থ শিশুটিকে এখন অনেকটা ব্যাঙ্গাচির মতো মনে হয়। পঞ্চম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে বা নির্দিষ্ট করে বললে ১ মাস শেষ হয়েছে। গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এই পর্যায়ে ভ্রূণটির তিনটি স্তর থাকে – এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম। বাইরের স্তরটিকে বলা হয় এক্টোডার্ম। এটি ভাঁজ হয়ে একটি ফাঁপা টিউবের মত গঠন করে যাকে নিউরাল টিউব বলে। এই নিউরাল টিউব থেকে বাচ্চার মস্তিষ্ক, স্পাইনাল কর্ড এবং স্নায়ু গঠিত হয়। এই স্তর থেকেই বাচ্চার ত্বক, চুল, নখ, দাঁতের এনামেল,…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের চতুর্থ সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৪

অভিনন্দন!! আপনি যদি চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ জানতে পারেন যে আপনি গর্ভবতী তাহলে আপনি অনেকের চাইতে ভাগ্যবতী।কারণ অনেকেই মাত্র ৪ সপ্তাহে গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটি আঁচ করতে পারেনা। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি চতুর্থ সপ্তাহে ভ্রুনের সাইজ একটি পপি বীজের সমান থাকে। এ সময় গর্ভের ভ্রূণের দুটো স্তর থাকে। এগুলোকে হাইপোব্লাস্ট (hypoblast) এবং এপিব্লাস্ট (epiblast) বলা হয়। এই দুটো স্তর থেকে তার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকশিত হতে শুরু করে। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ ভ্রূণটি জরায়ুর দেয়ালে লেগে থেকে বাড়তে থাকে। ভ্রূণের বাহ্যিক কোষগুলো মায়ের রক্তপ্রবাহের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে যাতে মায়ের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের তৃতীয় সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ – ৩

গর্ভাবস্থার তৃতীয় সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি অভিনন্দন! এই সপ্তাহে আপনাকে officially গর্ভবতী বলা যায়। মায়ের ডিম্বাণু শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার সাথে সাথে নিষিক্ত ডিম্বাণুটি (যাকে এসময় যাইগোট বলা হয়) ঘিরে একটি আবরণ তৈরি হয়। শুরুতে যাইগোটটি একটি কোষ থাকে, কিন্তু গর্ভধারণ শুরুর তিন দিনের মধ্যে এটি খুব দ্রুত বিভাজিত হয়ে বহুকোষে পরিণত হয় এবং ফ্যালোপিয়ান নালি (Fallopian tube) দিয়ে জরায়ুতে  গিয়ে পৌঁছে এবং জরায়ুগাত্রে সংযুক্ত হয়। এই সময়ে গর্ভস্থ শিশুটির আকার গোলাকার বিন্দুর মত থাকে। এসময় একে ব্লাস্টোসিস্ট (Blastocyst) বলে। ব্লাস্টোসিস্ট এর মধ্যবর্তী কোষগুলো ভ্রূণে পরিণত হবে এবং বাহ্যিক কোষগুলো…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের দ্বিতীয় সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ - ২

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য বিষয়: এই সময়ে ডিম্বস্ফুটন (Ovulation) হতে পারে। তাই শারীরিক সম্পর্কের উপযুক্ত সময়। ওভুলেশন টেস্টের মাধ্যমে ফারটাইল উইন্ডো (Fertile Window) তথা মিলনের উপযুক্ত সময় বের করা সম্ভব। গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড খাওয়া জরুরি। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি বাচ্চার বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের শরীরের প্রস্তুতি গত কিছু দিনে, শরীরে এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরোনের বৃদ্ধির কারণে জরায়ুর আবরণী নিষিক্ত ডিম্বাণুগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট পুরু হয়ে ওঠেছে। একই সময়ে, আপনার ডিম্বাশয়ে তরলভর্তি থলিতে, যেগুলো ফলিকল (follicles) নামে পরিচিত, তাতে ডিম্বাণুগুলো পরিণত হয়ে উঠছিল। ডিম্বস্ফুটন বা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা । সপ্তাহ - ১

গর্ভধারণের সময় গণনা সাধারণত শুরু হয় মাসিকের প্রথম দিন হতেই। এই সময়ের এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই সাধারণত গর্ভসঞ্চার হয়ে থাকে। যেহেতু কন্সেপশন বা গর্ভসঞ্চারের নির্দিষ্ট সময় নির্ণয় করা সম্ভব নয়, তাই বিশেষজ্ঞরা শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী ৪০ সপ্তাহকে গর্ভধারণের সময় হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এই হিসেবেই প্রসবের দিন (Due Date) গণনা করা হয়। গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহে মায়ের শারীরিক পরিবর্তন প্রথম সপ্তাহের এ সময়টিতে কেউ  কন্সিভ করেছেন এটি ঠিক বলা যায় না – কারন গর্ভসঞ্চারের ব্যাপারটি সাধারণত পিরিয়ড শুরুর দুই সপ্তাহ পর ঘটে থাকে। গর্ভসঞ্চার না হলেও একজন নারীর…

বিস্তারিত পড়ুন