আলট্রাসাউন্ড রিপোর্টে “lie” শব্দটি দিয়ে গর্ভের ভ্রূণের স্পাইনাল কলাম বা মেরুদণ্ড মায়ের স্পাইনাল কলামের সাথে কোন অবস্থানে আছে তা বোঝানো হয়। মায়ের গর্ভে শিশু যখন নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন করে তখন একে Unstable lie বলে। গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত Unstable lie থাকা খুবই স্বাভাবিক, কারণ এই সময় ভ্রুনের আকারের তুলনায় মায়ের জরায়ু অনেক বড় থাকে। ফলে ভ্রূণটি নিয়মিত এবং খুব সহজেই অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। তবে ৩৭ সপ্তাহের পরে করা আলট্রাসাউন্ডে Unstable lie পাওয়া গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। সাধারণত প্লাসেন্টা প্রিভিয়ার কারণে Unstable lie হতে পারে কারণ এই কন্ডিশনে ভ্রূণ…
বিস্তারিত পড়ুনAuthor: fairylandbd
ডেলিভারীর পর পোস্ট-পার্টাম বেল্ট বা পেটের বেল্ট পরে কি পেটের আকার কিংবা মেদ কমানো সম্ভব?
সন্তান জন্মদান, বিশেষ করে সিজারিয়ান ডেলিভারীর পর পেট ও কোমরের জন্য এক ধরণের বেল্ট ব্যবহার করা ভালো – এমন একটি মতবাদ আমরা প্রায় শুনতে পাই। এই ধরণের বন্ধনী বেশ চওড়া ও মজবুত হয় এবং বেশ টাইট করে পরা হয় যেন কোমর, পেট ও পিঠের নিচের অংশে সাপোর্ট দেয়। এদের কাজও ভিন্ন হতে পারে, যার উপর ভিত্তি করে এগুলোর দাম, আকার ও ম্যাটিরিয়ালও আলাদা হয়। এই ধরণের বেল্টকে পোস্ট-পার্টাম বেল্ট বা বেলী র্যাপ কিংবা সহজ বাংলায় পেটের বেল্ট বলা হয়। অনেক নতুন মায়ের একটি কমন প্রশ্ন থাকে, ডেলিভারী বা সিযারের পর…
বিস্তারিত পড়ুনব্রেস্টপাম্প নিয়ে খুঁটিনাটি | Breast Pump
মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই, কিন্তু শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হতে পারে অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। বিশেষ করে, ওয়ার্কিং-মাদারদের জন্য বেশ কঠিন একটি সিদ্ধান্ত হয়ে পড়ে যখন বাইরে থাকার সময়ে শিশুর জন্য বুকের দুধ কিভাবে সংরক্ষন করা যাবে এ ব্যাপারটি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। শুধু কর্মজীবি মায়েরাই নন, মায়ের বুক থেকে শিশুর সরাসরি দুধ না খেতে পারার জন্য থাকতে পারে অনেক ধরণের কারণ। কিছু কারণ মায়ের ব্যস্ততা ও কাজের সময়ের সাথে সম্পৃক্ত, আবার কিছু ব্যাপার স্বাস্থ্যগত। অর্থাৎ মায়ের বা শিশুর দুর্বলতা বা অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে। আবার সন্তানের চাহিদার…
বিস্তারিত পড়ুনআমার সি-সেকশনের অভিজ্ঞতা | রাবেয়া সুলতানা
একটা সরু সুঁচ আমার শিরদাঁড়া ভেদ করে শীতল ওষুধ ছড়িয়ে কোমরের নিচ অংশকে বোধহীন করে রেখেছে বেশ আগে থেকেই। দুই হাত দুই পাশে বেল্ট দিয়ে আটকানো। মাথার কাছে জামি কে একটা চেয়ার দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। আবার একজন অ্যানেস্থেশিয়লজিস্ট ও একজন নার্স আমার মাথার অন্যপাশে দাঁড়ানো। একজন ভাইটাল চেক করছে সর্বক্ষন, আর একজন আমার ভালো লাগা/মন্দ লাগার খোঁজ নিচ্ছে, আবার মাঝে মাঝে এলোমেলো চুল গুলোকে গুঁছিয়ে ঠিক করে দিচ্ছে। আমার মুখটা আয়নায় দেখার সুযোগ নেই কিন্তু জামিকে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, কি ফ্যাকাসে একটা মুখ! দেখেই বুঝা যায়, সুযোগ পেলেই কষে এক…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভের শিশুর হার্ট রেট দেখে কি সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝা যায়
একটি বেশ প্রচলিত ধারণা আছে, ভ্রূণের হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে ভ্রূণটি একটি মেয়ে শিশুর। আর যদি হার্টবিট রেইট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গর্ভের ভ্রূণের হার্টরেট দেখে অনাগত সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা সত্যিই বোঝা যায় কিনা। গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহেই ভ্রূণের হৃদপিণ্ডের গঠন শুরু হয়ে যায়।কনসিভ করার সাধারণত ২২-২৪ দিনের মধ্যেই অর্থাৎ গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহ নাগাদ বাচ্চার হার্টবিটও শুরু হয়। তবে এ সময় ভ্রূণের হৃদপিণ্ড এতটাই ছোট থাকে যে তা সাধারণ আল্ট্রাসাউন্ড বা ডপলার মেশিনে…
বিস্তারিত পড়ুনবাচ্চাকে লেখা শেখানো | কিছু টিপস
খুব ছোট থেকে বাচ্চাদের সাথে রিডিং টাইমটা বেশ প্রয়োজন। বাচ্চার সাথে সুন্দর সময় কাটে বাবা মায়ের, সেই সাথে নানা জিনিসের আকার, রঙ ইত্যাদী সম্পর্কে ধারণা জন্মাতে থাকে আস্তে আস্তে সাথে ভোক্যাব্যুলারী ডেভেলপ করতে থাকে। আর বিভিন্ন ওয়ার্ড আর এল্ফাবেটগুলো উচ্চারন/ধ্বনি (phonics) দিয়ে শুরু হয় পড়ালেখার প্রথম ধাপ ‘রীডিং’। আর বর্ণ বা লেটার এবং নাম্বার লেখার প্র্যাকটিস শুরু হয় পরবর্তীতে, সাধারনত ৩ বছর এর আগে না। ২ থেকে চার বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের স্বাধীনভাবে আকিবুকি বা স্ক্রিবলিং করতে উৎসাহ দেয়া উচিত। তার জন্য উপকরন হিসেবে মোটা ক্রেয়ন, চক, ওয়াশ্যাবল মার্কার, ফিংগার পেইন্ট…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভস্থ শিশুর গায়ের রং ফর্সা করা কি সম্ভব?
আমাদের এই উপমহাদেশে অনেকটা প্রকাশ্যেই মানুষ ত্বকের রং নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। আমাদের কাছে আসা বিভিন্ন প্রশ্ন থেকে আমরা কিছুটা অবাক হয়েই লক্ষ্য করেছি বেশিরভাগ হবু মা-বাবা চান তাদের অনাগত সন্তানের গায়ের রঙ যেন উজ্জ্বল হয়। কেউ কেউ সরাসরি বলতে দ্বিধা করেন বলে নানা উপায়ে জানতে চান ঠিক কি করলে বা গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে? কিংবা অনেকেই নিজের নাম উহ্য রেখে পরিবারের কেউ জানতে চান বা পরিবার থেকে চাপ প্রয়োগের কথাও বলেন। রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলোর চাহিদা শত সমালোচনা স্বত্বেও তুঙ্গে থাকে। আর ইউটিউবে গর্ভধারণ সম্পর্কিত সবচাইতে বেশি…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভের শিশুর নড়াচড়া কেন গুরুত্বপূর্ণ | মায়ের অভিজ্ঞতা
Tanjum Tanji আল্লাহর অশেষ রহমতে গত ১৩ জুন মেয়ের মা হয়েছি। আমার ডেট ছিলো ১২ জুলাই। ১মাস আগেই আমার সোনামনি আমার কোলে এসেছে আল্লাহর রহমতে।তবে একটা বিষয়ে শেয়ার করার জন্যই মুলত আজকে লিখছি। ১২তারিখ রাত থেকে আমি বাবুর মুভমেন্ট কম পাচ্ছিলাম।রাতে অনেকবার টয়লেটে গিয়েছি ইউরিন পাস করার জন্য। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হলো বাবু বেশি মুভ করছেনা সেই সংগে পেট নরম লাগছে। হাজবেন্ড কে বলার সংগে সংগে বললো এখনি আলট্রা করো। একবার ভাবলাম বিকেলে যাই হাজবেন্ড অফিস থেকে ফিরলে। পরক্ষনে মনে হলো নাহ যেয়ে করে আসি। আল্লাহর চাওয়া ছিলো…
বিস্তারিত পড়ুনকর্মজীবী মায়েদের কাজে ফেরার অভিজ্ঞতা | সোমা সরকার
সকালের সব কাজ শেষ করে বাচ্চাকে বাসায় রেখে সারাদিনের জন্য বাইরে থাকাটা যে কতটা কষ্টের আর কঠিন কাজ তা কেবল একজন কর্মজীবী মা ই জানেন। হ্যা, আমি একজন কর্মজীবী মায়েদের একজন যারা কি না বাচ্চার শৈশবের মধুময় অনেকটা সময়ের অংশ হতে পারি না। তাতে কি!! যত টাই তাকে পাই না কেন উজার করে দিতে চেষ্টা করি। আমার মেয়েটা পেটে আসার পর থেকে মাথায় একটা চিন্তা ঘুরতো। যে কোন ভাবে বাবু যেন সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে আমার কোলে আসে।ডাক্তার মাফিক জানতে পারি প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস আর শেষ তিন মাস সাবধানে থাকতে…
বিস্তারিত পড়ুনমা হওয়ার গল্প | ফাহমিদা আশরাফ তানি
আমার মেয়ের জন্মের তিনদিন পর তাকে কাছে পেয়েছিলাম, সেটাও কয়েক মিনিটের জন্য। জন্মের পর শুধু মেয়ের মুখটা দেখার জন্য এনআইসিইউতে দেখতে যেতাম বারবার।সাড়ে সাত মাসে পানি ভেঙ্গে যাবার কারণে প্রিম্যাচিউর মেয়ে আমার ১কেজি ৮০০গ্রাম ওজন নিয়ে দুনিয়াতে আসে। আমার মেয়ের এখন বয়স ৫মাস ১৫ দিন।আলহামদুলিল্লাহ ! কিন্তু আমার মেয়ের এই হাসি ভরা মুখটা দেখতে আমার অনেক কঠিন পরিস্থিতি দেখতে হয়েছে। মেয়েটাকে যে ঠিকভাবে দুনিয়াতে আনতে পারবো সেটা নিয়েও অনেক খানি চিন্তায় ছিলাম। অপারেশান থিয়েটারে যাওয়ার আগ মুহুর্তে আমার হাসিমুখ মা, বর কে দেখিয়ে গিয়েছিলাম ঠিক ই কিন্তু আমার কলিজার ভিতর…
বিস্তারিত পড়ুন