ডেলিভারীর পর পোস্ট-পার্টাম বেল্ট বা পেটের বেল্ট পরে কি পেটের আকার কিংবা মেদ কমানো সম্ভব?

পোস্ট পার্টাম বেল্ট

সন্তান জন্মদান, বিশেষ করে সিজারিয়ান ডেলিভারীর পর পেট ও কোমরের জন্য এক ধরণের বেল্ট ব্যবহার করা ভালো – এমন একটি মতবাদ আমরা প্রায় শুনতে পাই। এই ধরণের বন্ধনী বেশ চওড়া ও মজবুত হয় এবং বেশ টাইট করে পরা হয় যেন কোমর, পেট ও পিঠের নিচের অংশে সাপোর্ট দেয়। এদের কাজও ভিন্ন হতে পারে, যার উপর ভিত্তি করে এগুলোর দাম, আকার ও ম্যাটিরিয়ালও আলাদা হয়। এই ধরণের বেল্টকে পোস্ট-পার্টাম বেল্ট বা বেলী র‍্যাপ কিংবা সহজ বাংলায় পেটের বেল্ট বলা হয়। অনেক নতুন মায়ের একটি কমন প্রশ্ন থাকে, ডেলিভারী বা সিযারের পর…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব পরবর্তী পেরিনিয়ামে ব্যথা

প্রসব পরবর্তী পেরিনিয়ামে ব্যথা

পেরিনিয়ামে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে, এর কারণ কি? ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে, পেরিনিয়ামের  (যোনি এবং পায়ুপথের মধ্যকার চামড়া এবং মাংসপেশি) উপর প্রচুর চাপ পড়ে। মূলত নরমাল ডেলিভারিতে শিশুর মাথা বের করার সময় পর্যাপ্ত যায়গা করে দিতেই পেরিনিয়ামের  উপর এই চাপটা পড়ে। পেরিনিয়ামে তেমন কোন প্রকার কাটাছেঁড়া ছাড়াই যদি ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি হয়ে যায় তবুও বেশ কয়েকদিন পেরিনিয়ামে প্রচুর ব্যাথা করবে এবং পুরো যায়গাটা বেশ নরম ও স্পর্শকাতর হয়ে যাবে। তবে ডেলিভারির এক সপ্তাহের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনেকের ক্ষেত্রে তো দুই তিন দিনেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ডেলিভারি করার সময়…

বিস্তারিত পড়ুন

সন্তান জন্মদানের পর শারিরীক কি কি পরিবর্তন আসতে পারে ?

প্রসবের পর শারিরীক কি কি পরিবর্তন আসতে পারে

প্রসবের পর আমার জরায়ুর কেমন পরিবর্তন হবে? শিশু জন্ম নেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই জরায়ু সংকুচিত হওয়া শুরু করে, প্রসব বেদনার সময়ের মতো এর ক্রিসক্রসড ফাইবারগুলোও আঁটসাঁট হতে থাকে। এই সংকোচনের ফলে গর্ভ থেকে প্লাসেন্টাকে আলাদা করাও সহজ হয়ে পড়ে। প্লাসেন্টা বেড়িয়ে যাওয়ার পর, যে ধমনীগুলোতে প্লাসেন্টাটি সংযুক্ত ছিল, জরায়ুর সংকোচনের ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর এটা হওয়ার সময়, আপনি ক্র‍্যাম্প (আফটার-পেইন) অনুভব করতে পারেন। শিশু জন্মদানের প্রথম কয়েক দিনে আপনি জরায়ুর উপরিভাগকে আপনার নাভী বরাবর অনুভব করতে পারবেন।  এক সপ্তাহের মধ্যে, শিশু জন্ম দেওয়ার পরপর আপনার জরায়ুর ওজন যত…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়

প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য

সন্তান জন্ম নেয়ার পরেও কেন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভোগেন? এমনটা হতে পারে যে গর্ভকালীন সময়ে আপনাকে এই ধরনের কোন সমস্যাতেই পড়তে হয়নি, কিন্তু এখন সন্তান জন্ম নেয়ার পরে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় আপনার শরীরের পরিপাকতন্ত্র আবার তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিন। দীর্ঘ সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়াই যদি আপনার প্রসবকালীন সময় পার হয় অথবা প্রসবকালীন সময়েই যদি আপনার মলত্যাগ হয় বা আপনি যদি রক্ত শুন্যতায় ভোগেন তাহলে আপনার পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দুই একদিন সময় লেগে যেতে পারে। এর কারণ সম্পর্কে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলা যেতে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব পরবর্তী পিঠ ব্যথা বা ব্যাক পেইন : কিভাবে স্বস্তি পাবেন

প্রসব পরবর্তী ব্যাক পেইন বা পিঠ ব্যথা

প্রসব পরবর্তী ব্যাক পেইন বা পিঠ ব্যথার কারণ কি? গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন শারিরীক পরিবর্তনের ফলে হওয়া ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যাথার কারণে প্রসব পরবর্তী সময়েও কিছু ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। উদাহরণস্বরূপ, গর্ভকালীন সময়ে আপনার ক্রমবর্ধমান জরায়ু পেটের পেশীকে টানতে থাকে, কিছুটা দুর্বল করে ফেলে এবং পিঠে ক্রমাগত টান লাগার ফলে পিঠের গঠনই বদলে যায়। গর্ভকালীন সময়ের বর্ধিত ওজন শুধু যে আপনার মাংসপেশিতেই প্রভাব ফেলে তা না, হাড়ের জোড়ায় জোড়ায়ও বেশ চাপ ফেলে। এছাড়াও, গর্ভকালীন হরমোনের পরিবর্তন হাড়ের জোড়া এবং লিগামেন্ট কিছুটা শিথিল করে ফেলে। এবং আপনার জন্য দুঃসংবাদ হলো, শিশু জন্ম দেওয়ার…

বিস্তারিত পড়ুন

স্বাভাবিক প্রসবে যৌনাঙ্গ ও আশপাশ ছিঁড়ে যাওয়া | পেরিনিয়াল টিয়ার (Perineal tears)

স্বাভাবিক প্রসবে যৌনাঙ্গ ও আশপাশ ছিঁড়ে যাওয়া বা পেরিনিয়াল টিয়ার

স্বাভাবিক প্রসব বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছিঁড়ে কেটে যাওয়াটা কতটা কমন ব্যাপার? আপনার শিশুর পৃথিবীতে আগমন যদি ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির মাধ্যমে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু কাটা-ছেঁড়া হতেই পারে। আর সাধারণত এই ছেঁড়াটা পেরিনিয়াম নামক একটা অংশেই হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে আপনার যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী অংশটিকেই পেরিনিয়াম বলা হয়ে থাকে। প্রথমবার স্বাভাবিক প্রসব হওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটে থাকে। ছোটখাট কাটা ছেঁড়া থেকে শুরু করে অনেক গভীরভাবেও কেটে যেতে পারে যা কিছু কিছু পেলভিক ফ্লোর মাসলের ক্ষতি করতে পারে। এপিসিওটোমি করালে কাটাছেঁড়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং এপিসিওটোমির ফলে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসবের পর প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা ইনকন্টিনেন্স

প্রসব পরবর্তী প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণ বা ইনকন্টিনেন্স

শিশু জন্ম দেওয়ার পরে, মায়েদের পোশাকে প্রস্রাব করা নিয়ে অনেক জোকস হয়তো আপনি শুনে থাকতে পারেন, কিন্তু প্রসবোত্তর এই প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণ বা ইনকন্টিনেন্স (Postpartum Incontinence) কি আসলেই ঠাট্টা করার মতো কোন কিছু! বেশিরভাগ মানুষই এটা ভেবে ভুল করেন যে, প্রসবোত্তর এই অনিয়ন্ত্রণটা বুঝি স্বাভাবিক কিছুই। যদিও অধিকাংশ মায়েদের ক্ষেত্রেই এটা ঘটে থাকে, কিন্তু এর মানে এই না যে, এটা স্বাভাবিক কিছু। কোন মায়ের যদি প্রসবোত্তর প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণ বা ইনকন্টিনেন্স ঘটেই থাকে, তাহলে এর চিকিৎসা সম্বন্ধেও তার সচেতন থাকা উচিত। প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণটা নারীদের বেশ সিরিয়াস একটা কন্ডিশন যা সন্তান প্রসবের পরবর্তী…

বিস্তারিত পড়ুন

সি সেকশন বা সিজারের পর সেরে ওঠা কেমন হতে পারে?

সি সেকশন বা সিজারের পর সেরে ওঠা কেমন হতে পারে?

সি সেকশন বা সিজারের পর আমি কেমন অনুভব করবো? যে কোন নতুন মায়ের মতোই, আপনি একইসাথে উত্তেজিত এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবেন যার কারণ আপনার পাশে শুইয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু সিজারিয়ান হলে প্রসবোত্তর বিভিন্ন স্বাভাবিক জটিলতা যেমন স্তন জমাট বেধে যাওয়া, যোনীস্রাব, মুডের তারতম্য এগুলোর পাশাপাশি আপনার পেটে যে মেজর একটা অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে এবং মানিয়ে চলতে হবে। অস্ত্রোপচারের পর পর আপনার বেশ দুর্বল লাগতে পারে, বমি বমি হওয়াটাও স্বাভাবিক। বমি বমি ভাবটা অস্ত্রোপচারের ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে তবে নার্সকে জানালে তিনি…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব পরবর্তী কালীন সাধারণ রক্তক্ষরণ এবং স্রাব নিঃসরণ (Lochia)

প্রসব পরবর্তী কালীন সাধারণ রক্তক্ষরণ এবং স্রাব নিঃসরণ

প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বা রক্তস্রাব হওয়া কি স্বাভাবিক? প্রায় প্রত্যেক নারীরই সন্তান প্রসবের সময় এবং পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ বা রক্তস্রাব হয় এবং প্রসবের কয়েকদিন পর এই রক্তস্রাবের পরিমাণ বেশ বেড়ে যেতে দেখা যায়। কেননা গর্ভকালীন সময়ে শরীরের রক্ত প্রায় শতকরা পঞ্চাশ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তাই প্রসব পরবর্তী সময়ে শরীর এই অতিরিক্ত রক্তস্রাবের জন্য মোটামুটি তৈরি হয়েই থাকে। নিম্নক্ত কারণে এমনটা হয়ে থাকেঃ গর্ভ-ফুল বা প্লাসেন্টা যখন জরায়ু থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন সেই সংযুক্ত জায়গাটিতে অনেক উন্মুক্ত রক্তনালী রয়ে যায় এবং সেগুলো থেকে রক্তপাত হতে থাকে যা জরায়ুতে জমা হয়। প্রসবের…

বিস্তারিত পড়ুন

বুকের দুধ শুকানোর উপায় : ল্যাকটেশন সাপ্রেশন

বুকের দুধ শুকানোর উপায়

বুকের দুধ শুকানোর ব্যাপারটা কয়েকদিনে হতে পারে আবার সেটা কয়েক সপ্তাহও লাগতে পারে। পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করে কতদিন ধরে আপনি শিশুকে দুধ পান করাচ্ছেন সেটার উপর। সাধারণত, আপনি যত বেশীদিন ধরে শিশুকে বুকের দুধ পান করাবেন, বুকের দুধ শুকানোর ক্ষেত্রে সময়ও লাগবে তত বেশী।  এমনকি কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে, শিশুকে বুকের দুধ পান করানো বন্ধ করার অনেকদিন পর পর্যন্ত বুকে অল্পপরিমাণে দুধ রয়েই যায়। গর্ভাবস্থাতেই বুকে সামান্য পরিমাণে দুধ উৎপন্ন হওয়া শুরু হয়। প্রসবের পর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এসময়টাতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বুকের দুধ তৈরি হতে থাকে। আপনি যদি…

বিস্তারিত পড়ুন