সি- সেকশন বা সিজারিয়ান সেকশন কি? সি-সেকশন বা সিজারিয়ান অপারেশন হল এমন এক ধরনের অপারেশন যার মাধ্যমে মায়ের তলপেট এবং জরায়ু কেটে সন্তান প্রসব করানো হয় । কোন কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম নেয়ার সময় ঘনিয়ে আসার আগেই গর্ভের শিশুকে এভাবে প্রসব করানো হয়। এছাড়া অন্যান্য সময় যখন গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য জনিত জটিলতা খুঁজে বের করে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠে না তখনও এভাবেই যথা সময়ের আগেই সিজার করা হয়। অর্থাৎ, যখন আপনার গর্ভের শিশুর অবস্থা জটিল থেকে জটিল আকার ধারণ করা শুরু করে তখন আপনাকে জরুরী অবস্থায় অপারেশনের…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: প্রসব
নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয় ?
মায়েদের সবচাইতে কমন প্রশ্ন হচ্ছে স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয় ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, সাধারণত ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুর নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব হয়। এই ৫ সপ্তাহের যেকোন সময়ে শিশু জন্ম নিলে তাকে স্বাভাবিক বলা যাবে। সাধারণত শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহন করে, তাহলে সে শিশুকে প্রিম্যাচিওর শিশু বলা হয় যার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থা যদি ৪২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে তাকে দীর্ঘায়িত গর্ভাবস্থা বলা হয়। দীর্ঘায়িত গর্ভাবস্থা হলে বিভিন্ন প্রকার জটিলতার আশংকা বেড়ে যেতে…
বিস্তারিত পড়ুনস্বাভাবিক প্রসবে যৌনাঙ্গ ও আশপাশ ছিঁড়ে যাওয়া | পেরিনিয়াল টিয়ার (Perineal tears)
স্বাভাবিক প্রসব বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছিঁড়ে কেটে যাওয়াটা কতটা কমন ব্যাপার? আপনার শিশুর পৃথিবীতে আগমন যদি ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির মাধ্যমে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু কাটা-ছেঁড়া হতেই পারে। আর সাধারণত এই ছেঁড়াটা পেরিনিয়াম নামক একটা অংশেই হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে আপনার যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী অংশটিকেই পেরিনিয়াম বলা হয়ে থাকে। প্রথমবার স্বাভাবিক প্রসব হওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটে থাকে। ছোটখাট কাটা ছেঁড়া থেকে শুরু করে অনেক গভীরভাবেও কেটে যেতে পারে যা কিছু কিছু পেলভিক ফ্লোর মাসলের ক্ষতি করতে পারে। এপিসিওটোমি করালে কাটাছেঁড়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং এপিসিওটোমির ফলে…
বিস্তারিত পড়ুনকৃত্রিম উপায়ে প্রসব শুরু করা | লেবার ইন্ডাকশন (labor induction)
লেবার ইন্ডাকশন বা কৃত্রিম উপায়ে প্রসব শুরু করা বলতে কি বোঝায়? প্রত্যেকটি নারীই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে সেই চমৎকার মুহূর্তটির জন্য। ঠিক সেই মুহূর্ত যখন তার অনাগত সন্তান পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হবে। আর এই অপেক্ষারত প্রসবের জন্য নির্ধারিত একটা সময় দিয়ে দেন ডাক্তার। তবে সেই সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও যদি প্রসব বেদনা শুরু না হয় তখন সেটা বেশ উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠে এবং ডাক্তার তখন ইন্ডাকশন পদ্ধতি গ্রহণ করেন অর্থাৎ কৃত্রিম উপায়ে প্রসবের শুরু হওয়ার জন্য ওষুধ এবং কিছু পন্থা অবলম্বন করতে উপদেশ দেন। প্রসবের প্রক্রিয়া যদি কোন…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসবের সময় এপিডিউরাল পদ্ধতিতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ বা ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব
এপিডিউরাল পদ্ধতিতে আপনাকে সম্পূর্ণ সচেতন রেখে প্রসবের সময় আপনার শরীরের নিচের দিকের অংশকে ব্যথামুক্ত করে ফেলা সম্ভব। যদিও এই পদ্ধতিতে ব্যথা মুক্ত রাখা সম্ভব তবে এর মাধ্যমে আপনাকে একেবারে অবশ করে ফেলা হবে না, বরং আপনি পুরোপুরি সজাগ থাকবেন।
বিস্তারিত পড়ুনস্বাভাবিক প্রসবে কাটা ছেড়া | এপিসিওটমি
এপিসিওটমি কি? অনেক সময় প্রসব চলাকালীন সময়ে ডাক্তার মায়ের যৌনাঙ্গের কিছু জায়গা (পেরিনিয়ামের বা যোনির শুরু থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত টিস্যু) কেটে দিতে পারেন যেন যোনিপথ বড় হয়ে আসে। এতে বাচ্চা সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে। একে এপিসিওটমি (Episiotomy) বলে। আমাদের দেশে একে অনেক সময় “সাইড কাটা” নামেও অভিহিত করা হয়। অনেক সময় কেটে না দিলে এই জায়গাটা চাপে এমনিতেই ছিড়ে যায়, যার জন্য সেলাই দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। প্রসবের কোনও পর্যায়ে এপিসিওটমি প্রয়োজন হলে ডাক্তার আপনার সম্মতি নিয়ে তবেই এপিসিওটমি দিবেন। এপিসিওটমি কেন লাগতে পারে? একসময় অনেক ডাক্তাররাই প্রসবের সময় পেরিনিয়াম কাট…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা
গর্ভাবস্থায় যেমন জটিলতা দেখা দিতে পারে তেমনি প্রসব কালীন সময়েও বিভিন্ন জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। নারীরা তাদের গর্ভকালীন সময়ে যেমন নানা প্রকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকেন তেমনি প্রসবকালীন সময়ের সমস্যাবলী সম্পর্কেও তাদের সচেতন থাকাটা অতি জরুরী। কারণ সামান্য একটি ভুলের কারণে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা। যদিও আপনি স্বাস্থ্যবতী এবং আপনার প্রসব এবং প্রজননের জন্য ভালো প্রস্তুতি আছে, তারপরও অপ্রত্যাশিত জটিলতার সুযোগ থাকে। প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা নিয়েই আজকের আলোচনা। প্রসবের ধীরগতি আপনার প্রসব কিভাবে অগ্রগতি হচ্ছে তা আপনার পেটে আপনার বাচ্চাকে অনুভব করে, আপনার জরায়ুর মুখ কতটুকু খুলেছে তা…
বিস্তারিত পড়ুননির্ধারিত সময়ের পরেও প্রসব বেদনা শুরু না হওয়া বা পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি
বেশীরভাগ বাচ্চাই গর্ভাবস্থার ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম নেয়। ডিউ ডেইট হোল বাচ্চা জন্ম নেয়ার সম্ভাব্য তারিখ। শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে ৪০ সপ্তাহ হিসেব করে এই ডেইট গননা করা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ডেটিং স্ক্যানের উপর ভিত্তি করে এই ডিউ ডেইটের তারতম্য ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে ডিউ ডেইট মানে বাচ্চা কখন জন্মাবে সেটা না বরং এটা হোল বাচ্চা কখন ৪০ সপ্তাহের হবে তার হিসেব। এই সময়ের আগে বা পরে বাচ্চা জন্মে নেয়াটা স্বাভাবিক। প্রসবের বা ডিউ ডেইটের জন্য নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরও যদি বাচ্চা প্রসব না হয়…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসব বেদনা সহনীয় করার উপায়
আপনার প্রসব প্রক্রিয়া কতো দ্রুত অগ্রসর হবে তা কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে আছে শিশুর নীচে নামা বা শ্রোণী দিয়ে নীচের দিকে নামা, এবং প্রতিনিয়ত শক্ত খিঁচুনীসহ জরায়ুর মুখ বা গর্ভাশয়ের গলা খুলে যাওয়া (প্রসারিত হওয়া)। বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার প্রসবকে সাহায্য করতে পারেন।যে সকল জিনিস সাহায্য করতে পারে সেগুলো হচ্ছে: যতোটা সম্ভব শিথিল অনুভব করা অ্যারোমাথেরাপি/সুগন্ধি তৈলমর্দন চিকিৎসা শিথিলকরণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি। কিভাবে আপনার সঙ্গী বা সাহায্যকারী ব্যক্তিরা সহযোগীতা করতে পারে আপনার সঙ্গী বা সহযোগী ব্যক্তি আপনার প্রসব আরামদায়ক করার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু তাদেরও…
বিস্তারিত পড়ুননরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে বিস্তারিত
মানুষ সৃষ্টির একেবারে আদিম সময় থেকে এই বিজ্ঞানের যুগেও কিছু বিষয় একদমই পাল্টায়নি। এরকমই একটি প্রক্রিয়া হল নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব (Normal Vaginal Delivery)৷ শিশু জন্মানোর এই আদিম প্রক্রিয়া এখনো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও স্বাভাবিক হিসেবে স্বীকৃত। এর কোন বিকল্প এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আবিষ্কারের স্বাভাবিক পথ ধরে নরমাল ডেলিভারির বিস্তারিত সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এসেছে অসংখ্যা আর্টিকেল, গবেষণা পত্র,বই পুস্তক। সেখান থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হল আজকের আর্টিকেলে। নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব কি? নরমাল ডেলিভারি বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি হলো সন্তান প্রসবের সবচেয়ে সহজ এবং…
বিস্তারিত পড়ুন