গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে গর্ভের বাচ্চার বিকাশ ২৮তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা এখন ৩৬ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম। এর চোখের পাতা খোলা থাকে এবং এর ফুসফুস পর্যাপ্ত বৃদ্ধি পায় যাতে আপনার বাচ্চা জরায়ুর বাইরে শ্বাস নিতে পারে – যদিও এই সময় জন্ম নেয়া বাচ্চার শ্বাস নেয়ার জন্য সম্ভবত সাহায্য লাগতে পারে। ২৮তম সপ্তাহে জন্ম নেয়া একটি বাচ্চার বেচে থাকার ভালো সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু তারপরও প্রতিবন্ধী হওয়ার একটি ঝুঁকি থেকে যায়। ৩২তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা ৪১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১৮০০ গ্রাম। এই সময়ে জন্ম…

বিস্তারিত পড়ুন

৪০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

গর্ভাবস্থার ৪০ তম সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৪০ তম সপ্তাহেই হতে পারে আপনার সাথে আপনার নবজাতকের প্রথম সাক্ষাত। তবে মনে রাখতে হবে অনেক মায়েদের ক্ষেত্রে প্রসব হতে ৪০ সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে। গবেষণা বলছে প্রতি ১০০ জন মায়ের মধ্যে ৬০ জনের প্রসব ডিউ ডেইটের মধ্যেই হয়ে যায় কিন্তু বাকি ৪০ ভাগ মায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখের পরও সপ্তাহ দুয়েক বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। সে যাই হোক না কেন, আপনার বহুল প্রতিক্ষিত সেই মহেন্দ্রক্ষণ খুব বেশি দূরে নয়। এই ৪০ সপ্তাহ খুব দীর্ঘ এবং উত্তেজনাময় মনে হলেও আপনার আসল অ্যাডভেঞ্চার শুরু হবে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে কিভাবে আপনার বাচ্চা বেড়ে উঠে ১৪তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ৪৫ গ্রাম হয়। ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়সহ এর অঙ্গ গঠিত হয়। যদিও আপনি তা অনুভব করতে পারছেন না কিন্ত  আপনার বাচ্চা জরায়ুর চারপাশে ঘুরে। ১৮তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১৮ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম হয়। পরবর্তী চার সপ্তাহে আপনি বাচ্চার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন (পাখির ঝাপটানোর মত অনুভূতি)। এটিকে কখনও “প্রানবন্ত” হওয়া বলে। আপনি যদি আপনার বাচ্চা এখন দেখতে পারতেন তাহলে আপনি তার লিঙ্গ বলতে পারতেন।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি আপনার গর্ভাবস্থা শুরু হয় যখন আপনার ডিম্বানু(ডিম্বক) পুরুষের শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়। এই ডিম্বানু দুইটি কোষে বিভক্ত হয়।একটি ক্ষুদ্র কোষপিন্ডে পরিণত হওয়া পর্যন্ত এই বিভক্তি চলতে থাকে। তারপর এই কোষপিন্ড জরায়ুর নালী দিয়ে জরায়ুতে (জরায়ু) গিয়ে অবস্থান করে।তারপর এটি বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত হয়। শিশু- এই ধাপে একে ভ্রুণ বলে গর্ভফুল/প্লাসেন্টা- এটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুকে আপনার রক্ত থেকে পুষ্টি ও অক্সিজেন দ্বারা খাবার দেয় আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু – এটি বাচ্চাকে প্লাসেন্টার সাথে সংযুক্ত করে (এটি একটি মহাসড়কের মতো যা বাচ্চার জন্য খাদ্য এবং অক্সিজেন…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসবজনিত ফিস্টুলা। লুকোনো নয়, নির্মূল করা জরুরী

প্রসবজনিত ফিস্টুলা

একজন নারী পূর্ণতা লাভ করেন মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে শিশুর জন্মদান পর্যন্ত একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা ঐ নারীর জীবনে হয়ে উঠতে পারে, অভিশাপ স্বরূপ। তেমনি একটি অভিশাপের নাম ফিস্টুলা বা প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা। বাংলাদেশে আনুমানিক ৭২ হাজার নারী প্রসবজনিত ফিস্টুলায় ভুগছেন। প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা কি? যৌনাঙ্গ, মূত্রাশয় ও মলদ্বারের মাঝখানে কোনো অস্বাভাবিক পথ তৈরি হলে একে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বলে। এর ফলে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রস্রাব-পায়খানা বের হয়ে যায়। প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ভ্যাজাইনার মুখে আটকে যায় এবং তা দীর্ঘসময় আটকে থাকে…

বিস্তারিত পড়ুন

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি । সতর্কতা জরুরী

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি কি? এক্লাম্পশিয়া মূলত প্রি-এক্লাম্পশিয়ার গুরুতর অবস্থা৷ সাধারণত গর্ভধারণের ৬ মাস পর অথবা প্রসবের সময় অথবা প্রসবের কিছু সময় পর এটি হয়ে থাকে৷ তবে সহজভাবে বলা যায় যে প্রি-এক্লাম্পশিয়া রোগীদের যখন খিঁচুনি দেখা যায় তখন তাকে এক্লাম্পশিয়া বলে৷। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রসবের কাছাকাছি সময়ে এ রোগ দেখা দেয়। যেসব মায়ের আগে একবার একলাম্পশিয়া হয়েছে তাদের পরবর্তী প্রসবের সময় আবারো একলাম্পশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর যদি কোনো নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলে। পরে সমস্যাটি…

বিস্তারিত পড়ুন

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম । গর্ভধারণের আগেই সাবধানতা জরুরী

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম কি? রুবেলা একটি সংক্রামক রোগ। এটি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাস থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে। যদি আপনার রুবেলা হয় তবে আপনার শরীর খারাপ লাগতেপারে , যার সাথে গলার গ্রন্থি ফুলতে পারে এবং অল্প জ্বর বা গলা ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি ( র‍্যাশ) হতে পারে । কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে রুবেলার কোন লক্ষণই দেখা যায় না। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুটি জন্মগত জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নামে…

বিস্তারিত পড়ুন

স্বাভাবিক প্রসব আরম্ভের লক্ষণ সমূহ

প্রসব আরম্ভের লক্ষন সমূহ

ডেলিভারির তারিখ খুব কাছে চলে এসেছে? তাহলে এখনই স্বাভাবিক প্রসব আরম্ভের সঠিক লক্ষণ সমূহ জেনে নিন যাতে কোন লক্ষণ দেখলে সাথে সাথে বুঝতে পারেন যে এটা প্রসবের লক্ষণ নাকি ফলস পেইন। সেই সাথে যখন সত্যিকারের প্রসব শুরু  হবে, তখনকার লক্ষণগুলিও জেনে নিন। স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ   গর্ভের মোট সময় কাল ধরা হয় সাধারণত ৪০ সপ্তাহ বা ২৮০ দিন বা ঌ মাস ৭ দিন৷ শেষ মাসিকের প্রথম দিনটিকে গর্ভধারনের প্রথম দিন ধরে প্রসবের তারিখ নির্ধারন করা হয়ে থাকে৷ যেমন – গর্ভধারণের পূর্বে শেষ মাসিকের প্রথম দিন যদি ২০…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৭ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

কিছুদিন আগেও গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহে জন্ম নেয়া শিশুদের “ফুল টার্ম” হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু এখন American College of Obstetricians and Gynecologists এটি পরিবর্তন করে ৩৯ সপ্তাহের পর জন্ম নেয়া শিশুদের “ফুল টার্ম” হিসবে বিবেচনা করছে। কারণ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ৩৯ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়া অনেক শিশুর বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। ৩৭তম সপ্তাহের পর আরো দুই সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থাকলে ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং শ্বাসযন্ত্র পুরোপুরিভাবে পরিপক্ব হওয়ার সুযোগ পায়। তাই যদি সিজারিয়ান করানোর পরিকল্পনা থাকে তবে ডাক্তাররা সাধারণত ৩৯ সপ্তাহের দিকে করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যদি না আপনার অন্য কোনো…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৬ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহে এসে আপনার মনে হতে পারে গর্ভে আর কোনো খালি জায়গা নেই। কিন্তু সত্যিটা হলো ভ্রূণের এখনো বড় হওয়া বাকি আছে। যখনই মনে হবে আর পারছেন না, তখনই নিজেকে মনে করিয়ে দিন- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্রূণ গর্ভে যতদিন থাকবে ততই তার জন্য মঙ্গল। গর্ভে থেকে সে নিজেকে বাইরের পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছে। গর্ভাবস্থার ৩৬ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের নবম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার নবম মাসে। গর্ভধারণের ৩৬ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ৩৬ তম সপ্তাহে ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেশ পরিপক্ব হয়ে ওঠে…

বিস্তারিত পড়ুন