নবম সপ্তাহ থেকে আপনার শরীরের ভ্রুনটি ধীরে ধীরে মানবশিশুর রুপ নিতে থাকে কারণ এই সময় তার চেহারা ধীরে ধীরে গঠিত হতে থাকে। ভ্রুন এর লেজটি এসময় মিলিয়ে যায়। নবম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ২ মাস শেষ হয়েছে। গর্ভাবস্থার নবম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এখন ভ্রূণের আকার একটি ছোট জলপাইয়ের সমান এবং মাথা থেকে তলা পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৩ সে.মি এবং ওজন প্রায় ২ গ্রাম (.০৭ আউন্স) । এসময় মুখমণ্ডল তৈরি হতে শুরু করে এবং খুব ছোট আকারে জিহ্বাটি আকৃতি লাভ করতে থাকে।ভ্রূণের জিহ্বাতে এই…
বিস্তারিত পড়ুনYear: 2017
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে সেই খাবার নির্ধারণেও আপনাকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুটির সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এমন অনেক খাবার আপনাকে ত্যাগ করতে হবে যা আপনি আগে গ্রহণ করলে সমস্যা হতো না। গর্ভাবস্থায় খাবার গ্রহণে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলে আপনি নিজেই সুস্থ শিশু ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে পারেন। গর্ভকালীন কিছু কিছু খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এইসব খাদ্য যেমন মায়ের শরীরের ক্ষতি করে তেমনি গর্ভের শিশুটিরও ক্ষতি হয়। আসুন,জেনে নেয়া যাক কি ধরনের খাদ্য গ্রহন করা থেকে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় খাবার ও পুষ্টি কেমন হওয়া উচিত ?
গর্ভের সন্তান পুষ্টি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অনাগত সন্তান আর মায়ের ভবিষ্যৎ সুস্থতাও অনেকাংশে গর্ভবতী মায়ের খাবার কেমন তার ওপর নির্ভর করে। অনেক মা দ্বিধায় ভোগেন কী খাওয়া উচিত, কী উচিত নয়। অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন বাড়তি ওজন নিয়েও। বহু মানুষের ধারণা, মা যদি বেশি খাবার খায় তাহলে গর্ভের সন্তান আকারে বড় হবে। তখন স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্ভব হবে না। তাই গর্ভবতী মাকে কম খেতে দেওয়া হয়। যা মা ও শিশুর জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার অনেকের মতে, একজন গর্ভাবস্থায় মাকে দুজনের খাবার খাওয়া উচিত। এটাও ঠিক নয়। কারণ…
বিস্তারিত পড়ুনসৌন্দর্য নিয়ে হীনমন্যতাঃ একটি সামাজিক ব্যাধি
আজকাল আমাদের মধ্যে যে ব্যাধিটি ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা হোল নিজের প্রতি আস্থা এবং আত্মমর্যাদাবোধের অভাব। সমস্যাটি মানসিক হলেও শারীরিক গঠন এর সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। সবচেয়ে আতঙ্কের কথা হোল আমাদের সন্তানেরা তাদের কৈশোরের সারল্য আর বাধাহীন আনন্দের বদলে টিকে থাকার মন্ত্র হিসেবে শারীরিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এমনকি সুস্থতাও এখন সৌন্দর্যের তথাকথিত সংজ্ঞার কাছে পর্যুদস্ত। . হতাশার সাথে আজকাল লক্ষ্য করলাম যেকোনো গেট টুগেদারে (বিশেষভাবে নারী মহলে) আজকাল বিষয় থাকে-‘কে মোটা হয়ে গেছে?’ ‘কে অনেক স্লিম হয়ে গেছে?’ ‘কে এই বয়সেও অনেক কম বয়সী দেখায় ?’ ইত্যাদি…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের অষ্টম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহ চললেও গর্ভের শিশু এখন তার বিকাশের প্রায় ষষ্ঠ সপ্তাহে। অর্থাৎ কন্সেপশনের (গর্ভসঞ্চার) পর ছয় সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে (সাধারণত পিরিয়ড শুরুর দুই সপ্তাহ পর গর্ভসঞ্চার হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়) । এই সপ্তাহ ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অষ্টম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ১ মাস তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এসময় শিশুর আকার একটি কিডনি বীনের সমান হয় (১.৬ সে.মি. বা এক ইঞ্চির চারভাগের তিন ভাগ) এবং ভ্রূণের আকার প্রতিদিন প্রায় এক মি.মি. হারে এর আকার বাড়ছে।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের সপ্তম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার সপ্তম সপ্তাহে গর্ভস্থ শিশু এখনো ভ্রুণ অবস্থায় আছে। আকারে তা একটি কালজামের সমান। তবে এখন এর আকার আগের সপ্তাহের দ্বিগুণ। এর মাথার কাছে নতুন একটি স্ফীতি দেখতে পাবেন যেখানে মিনিটে শত শত কোষ বেড়ে চলেছে যা মস্তিষ্কে পরিণত হবে। সপ্তম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বললে ১ মাস দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার সপ্তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এই সময় ভ্রূণের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত বিকশিত হয় তাই ভ্রূণের মাথার আকার শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বড় হয়। এই সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০টি নূতন ব্রেইন সেল তৈরি হয়।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের ষষ্ঠ সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভধারণের এই সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এই সময়ে আপনার গর্ভের সন্তানের অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। গর্ভস্থ ভ্রূণ এই সময়ে ৫-৬ মিলিমিটার বা .২৫ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। বাচ্চার নাক, মুখ, কান ধীরে ধীরে আকার নিতে শুরু করে। ষষ্ঠ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে বা নির্দিষ্ট করে বললে এক মাস এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ সপ্তাহে ভ্রূণের মাথার আকার অপেক্ষাকৃত বড় থাকে এবং তাতে কালো স্পট দেখা যায়, যেখানে বাচ্চার চোখ ও নাকের গঠন শুরু হয়। মাথার দুপাশে একটু চাপা থাকে যেখানে বাচ্চার…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের পঞ্চম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহে ভ্রূণ খুব দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। আপেল বীচির আকৃতির গর্ভস্থ শিশুটিকে এখন অনেকটা ব্যাঙ্গাচির মতো মনে হয়। পঞ্চম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে বা নির্দিষ্ট করে বললে ১ মাস শেষ হয়েছে। গর্ভাবস্থার পঞ্চম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এই পর্যায়ে ভ্রূণটির তিনটি স্তর থাকে – এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম। বাইরের স্তরটিকে বলা হয় এক্টোডার্ম। এটি ভাঁজ হয়ে একটি ফাঁপা টিউবের মত গঠন করে যাকে নিউরাল টিউব বলে। এই নিউরাল টিউব থেকে বাচ্চার মস্তিষ্ক, স্পাইনাল কর্ড এবং স্নায়ু গঠিত হয়। এই স্তর থেকেই বাচ্চার ত্বক, চুল, নখ, দাঁতের এনামেল,…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের চতুর্থ সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
অভিনন্দন!! আপনি যদি চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ জানতে পারেন যে আপনি গর্ভবতী তাহলে আপনি অনেকের চাইতে ভাগ্যবতী।কারণ অনেকেই মাত্র ৪ সপ্তাহে গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটি আঁচ করতে পারেনা। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি চতুর্থ সপ্তাহে ভ্রুনের সাইজ একটি পপি বীজের সমান থাকে। এ সময় গর্ভের ভ্রূণের দুটো স্তর থাকে। এগুলোকে হাইপোব্লাস্ট (hypoblast) এবং এপিব্লাস্ট (epiblast) বলা হয়। এই দুটো স্তর থেকে তার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকশিত হতে শুরু করে। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ ভ্রূণটি জরায়ুর দেয়ালে লেগে থেকে বাড়তে থাকে। ভ্রূণের বাহ্যিক কোষগুলো মায়ের রক্তপ্রবাহের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে যাতে মায়ের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের তৃতীয় সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার তৃতীয় সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি অভিনন্দন! এই সপ্তাহে আপনাকে officially গর্ভবতী বলা যায়। মায়ের ডিম্বাণু শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার সাথে সাথে নিষিক্ত ডিম্বাণুটি (যাকে এসময় যাইগোট বলা হয়) ঘিরে একটি আবরণ তৈরি হয়। শুরুতে যাইগোটটি একটি কোষ থাকে, কিন্তু গর্ভধারণ শুরুর তিন দিনের মধ্যে এটি খুব দ্রুত বিভাজিত হয়ে বহুকোষে পরিণত হয় এবং ফ্যালোপিয়ান নালি (Fallopian tube) দিয়ে জরায়ুতে গিয়ে পৌঁছে এবং জরায়ুগাত্রে সংযুক্ত হয়। এই সময়ে গর্ভস্থ শিশুটির আকার গোলাকার বিন্দুর মত থাকে। এসময় একে ব্লাস্টোসিস্ট (Blastocyst) বলে। ব্লাস্টোসিস্ট এর মধ্যবর্তী কোষগুলো ভ্রূণে পরিণত হবে এবং বাহ্যিক কোষগুলো…
বিস্তারিত পড়ুন