গর্ভপাত কি? ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার পর পরবর্তী পাঁচ মাসের (২০ সপ্তাহ) মধ্যে যে কোন সময়ে প্রসবের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়াকেই মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত বলে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে স্পন্টেনিয়াস অ্যাবোরশনও বলা হয়। গর্ভধারণ করেছেন জানতে পারা মায়দের মধ্যে ১০-১৫ ভাগ মায়েদের গর্ভপাত হতে পারে। আর বেশীরভাগ গর্ভপাত হয় প্রথম ট্রাইমেস্টারে অর্থাৎ গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যে। তাই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা ১২ সপ্তাহ অবধি সময়টিকে খুব সাবধানে থাকতে বলেন। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শতকরা ১-৫ ভাগ মায়েদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা দেখা যায় যে প্রথম তিন মাসে যে বাচ্চাগুলো নষ্ট হয় বা গর্ভপাত…
বিস্তারিত পড়ুনArticles
১৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার ১৫তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণ অনেক ছোট থাকে, কিন্তু তার শারীরিক বিকাশ হতে থাকে খুব দ্রুত। এই সপ্তাহ প্রেগন্যান্সির দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের দ্বিতীয় সপ্তাহ এবং এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাসে। গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এরই মধ্যে ভ্রূণের হাত তার শরীরের প্রায় সমানুপাতিক। তবে এতদিন তার পা তুলনামূলকভাবে শরীরের তুলনায় অনেকটা ছোট থাকলেও এ সপ্তাহ থেকে পাগুলো ভ্রূণের হাতের তুলনায় দ্রুত বাড়তে থাকে। গর্ভের শিশুটির আকার এই সপ্তাহে একটি আপেলের সাথে তুলনা করা যায়।এ সময় ভ্রূণের উচ্চতা থাকে প্রায় ৩.৯৮ ইঞ্চি বা ১০.১ সেমি এবং এর ওজন হয় আনুমানিক…
বিস্তারিত পড়ুন১৪ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার ১৪ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের প্রথম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এটাই বেশীর ভাগ মায়ের জন্য বাকি দুই ট্রাইমেস্টারের চাইতে অপেক্ষাকৃত সহজ সময়। সাধারণত এ সময়টিতে বেশিরভাগ মায়ের গর্ভকালীন বিভিন্ন অস্বস্তিকর উপসর্গগুলো অনেকটা কমে আসে। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেকটুকু কমে যায়। তাই এসময় চাইলে আপনি সুসংবাদটা সবাইকে জানাতে পারেন। ১৪ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাসে। গর্ভধারণের ১৪ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ভ্রূণের শরীর এসময় তার মাথার তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার গলা আগের তুলনায় লম্বা হয়ে যায় যার কারণে ভ্রূণের ঝুঁকে থাকা মাথাটি অনেকটা সোজা হয়ে আসে।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় শরীরচর্চা
মাতৃত্ব একজন নারীর পরিপূর্ণতার সময়। তাই এসময় আপনাকে থাকতে হবে আরো বেশি বেশি সচেতন। সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম আর মানসিক স্বস্তিতো থাকতে হবেই। এসময় নিয়ম মেনে অল্প খানিকটা ব্যায়ামও বেশ উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে নিজের জন্যতো বটেই অনাগত সন্তানের কথা ভেবে হলেও আপনার ব্যায়াম করা দরকার। তবে এসময় ব্যায়াম কিন্তু অন্যান্য সময়ের মতো হবে না। এসময় ব্যায়ামও করতে হবে বুঝে শুনে। প্রেগনেন্সির প্রথম কয়েক মাস আপনি সব ধরনের ব্যায়ামই করতে পারেন। তবে এসময় হাঁটাটাই সব থেকে ভালো ব্যায়াম। আর যেটাই করুন না কেন অবশ্যই কোনো ভালো ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ মেনে চলা উচিত…
বিস্তারিত পড়ুন১৩ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার ১৩ তম সপ্তাহে আপনি প্রথম ট্রাইমেস্টারের শেষ সপ্তাহে চলে এসেছেন। অনেকেই ভাবতে পারেন গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ট্রাইমেস্টারের হিসেব সবাই একইভাবে করে। তবে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ ১৩ তম সপ্তাহকেই প্রথম ট্রাইমেস্টারের শুরু হিসেবে ধরেন আবার অনেকে ১৫ সপ্তাহ থেকেই প্রথম ট্রাইমেস্টার হিসেব করেন। তবে আমরা আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রেসিয়ান এন্ড গাইনোকোলজিস্ট এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ট্রাইমেস্টার হিসেব করছি এবং সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার শুরু হবে পরের সপ্তাহ থেকে। ১৩ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে। আগামী সপ্তাহ থেকে গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস শুরু হবে। গর্ভধারণের ১৩ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি গর্ভাবস্থার…
বিস্তারিত পড়ুন১২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোর মতই গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহও ভ্রূণের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভের ভ্রূণের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে বাচ্চার সব অঙ্গ মোটামুটি গঠিত হয়ে যায় আর এখন থেকে এসব অঙ্গের পরিপূর্ণতা সাধিত হতে থাকে। সপ্তাহ ১২ বলতে বোঝায় গর্ভধারণের তিন মাস চলছে বা নির্দিষ্ট করে বললে দুই মাস তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার শুরু হবে। গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ নাগাদ বাচ্চার সবগুলো তন্ত্রের বাহ্যিক গঠন মোটামুটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনো এসব অঙ্গ…
বিস্তারিত পড়ুন১১ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভধারণের এগারোতম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণের দ্রুত বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য বিকাশও খুব দ্রুত হতে থাকে। এই সময়ে সে ছোট্ট এক্রোবেটের মত নড়াচড়াও শুরু করে। মায়ের জরায়ুতে সে কখনো হয়তো তার শরীরকে টান টান করছে বা কখনো উল্টেপাল্টে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই সময়ে ভ্রূণটি একটি ছোট লেবুর আকার ধারণ করে! গর্ভের শিশুটি এই সপ্তাহে এসে প্রায় ১.৬ ইঞ্চির (৪.১ সেমি) মত লম্বা হয়ে যায় এবং তার ওজন হয় .২৫ (৭ গ্রাম) আউন্সের মত। কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও এই সময়ে শিশুর মাথা এবং শরীরের বাকি অংশের আয়তন প্রায় সমান থাকে। তবে পরবর্তী সময় থেকে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের দশম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোর মতই, গর্ভাবস্থার দশম সপ্তাহেও শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ খুব দ্রুতই হতে থাকে। গর্ভাবস্থার প্রথম ট্রাইমেস্টার ১৩ সপ্তাহ পর্যন্ত, এবং এই সময়ে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশের ধরণ খুবই জটিল থাকে। দশম সপ্তাহে ভ্রূণের আকার হবে একটা খেজুরের সমান। উপর থেকে নিম্নভাগ পর্যন্ত (crown to the rump) এর দৈর্ঘ্য থাকে ১.২২ ইঞ্চি বা ৩.১ সেমি এবং এর ওজন থাকে প্রায় .১৪ আউন্স বা ৪ গ্রামের মত। দশম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে বা নির্দিষ্ট করে বললে দুইমাস এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। তবে মনে রাখবেন, ডাক্তাররা সবসময় গর্ভধারণের যাবতীয় হিসেব সপ্তাহ…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের নবম সপ্তাহ : ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
নবম সপ্তাহ থেকে আপনার শরীরের ভ্রুনটি ধীরে ধীরে মানবশিশুর রুপ নিতে থাকে কারণ এই সময় তার চেহারা ধীরে ধীরে গঠিত হতে থাকে। ভ্রুন এর লেজটি এসময় মিলিয়ে যায়। নবম সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে কিংবা নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ২ মাস শেষ হয়েছে। গর্ভাবস্থার নবম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এখন ভ্রূণের আকার একটি ছোট জলপাইয়ের সমান এবং মাথা থেকে তলা পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৩ সে.মি এবং ওজন প্রায় ২ গ্রাম (.০৭ আউন্স) । এসময় মুখমণ্ডল তৈরি হতে শুরু করে এবং খুব ছোট আকারে জিহ্বাটি আকৃতি লাভ করতে থাকে।ভ্রূণের জিহ্বাতে এই…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে সেই খাবার নির্ধারণেও আপনাকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুটির সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এমন অনেক খাবার আপনাকে ত্যাগ করতে হবে যা আপনি আগে গ্রহণ করলে সমস্যা হতো না। গর্ভাবস্থায় খাবার গ্রহণে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলে আপনি নিজেই সুস্থ শিশু ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে পারেন। গর্ভকালীন কিছু কিছু খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এইসব খাদ্য যেমন মায়ের শরীরের ক্ষতি করে তেমনি গর্ভের শিশুটিরও ক্ষতি হয়। আসুন,জেনে নেয়া যাক কি ধরনের খাদ্য গ্রহন করা থেকে…
বিস্তারিত পড়ুন