৩২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

Spread the love

গর্ভাবস্থার ৩২তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণের বাহ্যিক আকৃতি পুরোপুরি সুগঠিত থাকে তবে তার শরীরে আরো  চর্বির স্তর জমতে থাকে। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।

ভ্রূণ বড় হওয়ার সাথে সাথে মায়ের জরায়ুতে তার জায়গা কমতে থাকে। তবে একটি ভুল ধারণা বেশ প্রচলিত যে জায়গা কমে যাওয়ার কারণে এসময় ভ্রূণের নড়াচড়া কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এমনটা হওয়া কখনোই স্বাভাবিক নয়। ভ্রূণের নড়াচড়ার পরিমাণ আগের মতই থাকবে। তবে নড়াচড়ার ধরণে হয়তোবা কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। যদি নড়াচড়া কম মনে হয় বা নড়ছেনা বলে মনে হয় তবে অতিসত্বর তা ডাক্তারকে জানাতে হবে।

বিজ্ঞাপণ

গর্ভধারনের ৩২ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পঞ্চম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে।

গর্ভধারণের ৩২ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি

প্রেগনেন্সির ৩২ তম সপ্তাহ থেকে গর্ভের ভ্রূণের জরায়ুর বাইরে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটুকু বেড়ে  যায়। তবে এসময় শিশুটি জন্ম নিলে তার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হবে কারণ তার ফুসফুস এখনো পুরোপুরি সুগঠিত নয়। জন্মের কিছুদিন আগ পর্যন্ত ভ্রূণের ফুসফুসের গঠন চলতে থাকে।

এসময় ভ্রূণটিকে মডারেট প্রিটার্ম ক্যাটাগরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসময় জন্ম নিলে পর্যাপ্ত পরিচর্যার সাহায্যে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শতকরা ৯৯ ভাগ।

মায়ের জরায়ুতে এসময় ভ্রূণটি বাইরের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার যাবতীয় দক্ষতা, যেমন- শ্বাস নেয়া, চোষা, গেলা, হাত পা ছোড়া ইত্যাদি ঝালিয়ে নিতে থাকে। এখন ভ্রূণটি মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে পুষ্টি গ্রহণ করলেও নিজের মুখে খাওয়ার জন্য তার পরিপাকতন্ত্র ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গেছে।  

৩২ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৮৫ ভাগ ভ্রূণ স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উপযোগী অবস্থানে চলে আসে। অর্থাৎ তার মাথা নীচের দিকে এবং নিম্নাঙ্গ উপরের দিকে হয়ে যায়। এই ভঙ্গীকে সেফালিক প্রেজেন্টেশান বলে। যদি এর মধ্যে শিশুর মাথা নীচের দিকে না নামে তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। প্রায় ৯৭ ভাগ শিশুর মাথা নীচের দিকে অবস্থান নিতে প্রায় ৩৭ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আবার কিছু কিছু ভ্রূণ জন্মের ঠিক আগ মুহূর্তেও অবস্থান পরিবর্তন করে।

ভ্রূণের আকার ৩২ তম সপ্তাহে একটি বড় বাঁধাকপির সাথে তুলনা করা যায়। এসময় ভ্রূণের উচ্চতা থাকে প্রায় ১৬.৬৯ ইঞ্চি বা ৪২.৪ সেমি এবং এর ওজন হয় আনুমানিক ৩.৭৫ পাউন্ড বা ১৭০২ গ্রামের মত।

৩২ তম সপ্তাহের দিকে এসে ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে সেগুলো নিম্নরূপঃ

নখ

ভ্রূণের হাতের নখের গঠন এর মধ্যে সম্পূর্ণ হয় এবং সেগুলো এখন হাতের অঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। তার পায়ের নখগুলো হাতের নখের চাইতে অপেক্ষাকৃত ধীরে বাড়তে থাকে। তবে সেগুলোও এসময় দৃশ্যমান হয়।

চোখ

ভ্রূণের চোখ এই সময়ে কাছে থাকা বড়সড় কোন জিনিষের উপর ফোকাস করতে পারে। জন্ম পর্যন্ত তার চোখের দৃষ্টিশক্তি এরকমই থাকে।

ওজন

গর্ভাবস্থার এসময় মায়ের ওজন প্রতি সপ্তাহে প্রায় আধ পাউন্ড করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই ওজনের অর্ধেকই বৃদ্ধি পায় ভ্রূণের ওজন বৃদ্ধির কারণে। পরবর্তী ৬-৭ সপ্তাহে ভ্রূণ তার জন্ম ওজনের প্রায় অর্ধেক ওজন লাভ করবে।

শরীরের তাপমাত্রা

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভ্রূণের শরীরে ব্রাউন ফ্যাট জমতে থাকে যা জন্মের পর তার শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। ৩২ সপ্তাহের দিকে এসে তার শরীর একধরনের প্রোটিন ও অ্যানযাইম  তৈরি করতে শুরু করে যা তাপ উৎপন্ন করতে জরুরী। তাই এসময় থেকে ভ্রূণটি আরো  ভালোভাবে তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

রিফ্লেক্স

নবজাতক শিশুর আশেপাশে কোন উচ্চ শব্দ অথবা দ্রুত নড়াচড়া হলে শিশুকে আঁতকে উঠতে দেখা যায়। উচ্চ কোন শব্দ হলে শিশু সাধারণত তার মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে দেয় এবং হাত পা ছুঁড়ে কাঁদতে শুরু করে, আবার হাত এবং পা শরীরের দিকে ভাঁজ করে কুঁকড়ে যায়। শিশুর এই প্রতিক্রিয়াকে মোরো বা স্টার্টল রিফ্লেক্স (startle reflex) বলা হয়।

গর্ভাবস্থার ৩২তম সপ্তাহ থেকে বেশিরভাগ ভ্রূণের মধ্যেই এই রিফ্লেক্স দেখা যায়। এর মানে হলো, কোনো  উচ্চ শব্দে বা মায়ের হঠাৎ নড়াচড়ায়  ভ্রূণটি চমকে উঠে হাত পা ছুঁড়তে শুরু করতে পারে, এমনকি তার হেঁচকি তোলাও শুরু হয়ে যেতে পারে। এসময় ভ্রূণের এই নড়াচড়াগুলো মা খুব সহজেই অনুভব করতে পারবেন।

৩২ তম সপ্তাহে মায়ের শারীরিক পরিবর্তন

গর্ভাবস্থার ৩২ তম সপ্তাহে ভ্রূণ মায়ের পেটের মাঝামাঝি অবস্থান করে। এটি যদি আপনার প্রথম সন্তান হয়, তাহলে ডেলিভারির কয়েক সপ্তাহ আগে হয়তো আপনি ‘লাইটেনিং’ বা হালকা লাগার ব্যাপারটা অনুভব করতে পারবেন। লাইটেনিং অর্থ আপনার শিশু এখন পেটের নিম্নভাগে অর্থাৎ পেলভিক অঞ্চলে চলে এসেছে।তবে এটি যদি আপনার প্রথম সন্তান না হয়, তাহলে প্রসব শুরু হওয়ার ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত ‘লাইটেনিং’ অনুভূত নাও হতে পারে।

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের শেষের দিকে এসে বেশিরভাগ মায়ের নাভী কিছুটা বাইরের দিকে বেরিয়ে আসতে পারে। ক্রমবর্ধমান জরায়ু মায়ের পেটে চাপ দেয়ার কারণে পেটের চামড়া টানটান হয়ে এমনটি  হয়। মনে রাখবেন গর্ভকালীন অন্য সব স্বাভাবিক উপসর্গের মতই এটি কোনো ক্ষতির কারণ নয় এবং সন্তান জন্মদানের কয়েক মাসের মধ্যে তা আবার স্বস্থানে ফিরে যায়। তবে হ্যাঁ, সন্তান জন্মের পর মায়ের নাভী স্থায়ীভাবে কিছুটা প্রশস্ত হয়ে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় যাতে মায়ের চুল ও নখের কোষগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বেশি পুষ্টি পৌঁছায়। এর প্রভাবে এসময় মায়ের নখগুলো শক্ত এবং চুল আগের চাইতে ঘন ও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে। তবে নখগুলো লম্বা হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে উঠতে পারে।

বাচ্চার জন্মের পর যখন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে তখন থেকে এসব ব্যাপারগুলোও আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে।

গর্ভাবস্থার এ সময় যেসব উপসর্গ বেশি দেখা দিতে পারে তা হলো-

বিজ্ঞাপণ

পাইলস বা অর্শরোগ

বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা পাইলস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। ক্রমবর্ধমান জরায়ু, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রোজেস্টেরণ হরমোনের আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে গর্ভবতী মায়েদের পাইলস বা অর্শ হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভেরিকোস ভেইনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলেও গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা অর্শ হয়ে থাকে। এই উপসর্গ খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও এতে অনেক ব্যথা থাকতে পারে এবং রক্তক্ষরণেরও সম্ভাবনা থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পেলভিক এক্সারসাইজগুলো  এক্ষেত্রে ভালো কাজ দিতে পারে। এছাড়া মলত্যাগের চাপ আসলে কখনো আটকে রাখার চেষ্টা করবেন না।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আক্রান্ত স্থানে আইস ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যাথা যদি খুব বেশি হয় এবং রক্তপাত হয় তবে দ্রুত ডাক্তারকে জানানো জরুরী।

দুঃস্বপ্ন

গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় অনাগত শিশুর ভবিষ্যৎ চিন্তা ও প্রসব সংক্রান্ত ভীতি থেকেই নানারকম স্বপ্ন দেখে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন গর্ভবতী নারীর বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ফলে যে উদ্বেগ এবং ভয়ের জন্ম নেয় তার কারণেই এমনটা হতে পারে।

এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। এসময় পরিবারের সাথে একটু ঘনিষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। গর্ভবতী স্ত্রীর প্রতি স্বামীর একটু অতিরিক্ত যত্ন, ভালোবাসা, দায়িত্ব এবং মনোযোগ এসময় স্ত্রীর মানসিক চাপ কমাতে ভীষণ প্রয়োজনীয়।

 লেগ ক্র্যাম্প বা পায়ে খিল ধরা

লেগ ক্র্যাম্প সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শুরু হতে পারে। এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে মায়ের পেটের আকার যত বৃদ্ধি পায়, এর তীব্রতা তত বাড়তে পারে। পায়ে খিল ধরা দিনের বেলা হতে পারে তবে সাধারণত রাতের দিকে বেশি হয়।

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার বাড়ার কারণে এবং শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারনে পায়ের রক্তনালীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং পা থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চাইতে ধীরে হয়। এ কারনে পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে।

বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে শরীরের শিরার উপর চাপ পরে যার ফলে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাই বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে না থেকে কিছুক্ষন পর পর বসে পড়ুন। বসার সময় পা কিছুর উপর তুলে রাখতে পারেন বা পায়ের গোড়ালি ঘুরিয়ে নিয়ে কিছুক্ষন পায়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন।

এসব ছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা আরও অনেক ধরণের উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। গর্ভকালীন সব ধরণের উপসর্গ নিয়ে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

গর্ভধারণের এ সপ্তাহে করনীয়

এসময় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া খেয়াল করা বা কিক কাউন্ট করাটা জরুরী। প্রতিদিন কিছু সময় আলাদা রাখুন বাচ্চার নড়াচড়া বোঝার জন্য।

কিক কাউন্টের জন্য সাধারণত দুটি পদ্ধতি বেশ প্রচলিত-

প্রথম পদ্ধতিতে পাশ ফিরে শুয়ে ভ্রূণের প্রত্যেকটি নড়াচড়া গুনতে বলা হয়। এভাবে দুঘণ্টার মধ্যে অন্তত দশবার বাচ্চার নড়াচড়া টের পেলে একে স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি ২ ঘণ্টার আগেই ১০ বার  মুভমেন্ট বুঝতে পারেন তবে আর গোনার প্রয়োজন নেই।

বিজ্ঞাপণ

দ্বিতীয় পদ্ধতিতে পাশ ফিরে শুয়ে ১ ঘণ্টা সময়ে ভ্রূণ কতবার নড়ছে তা গুনতে বলা হয়। এভাবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার গুনতে হবে। প্রতিবার ভ্রূনের নড়াচড়া আগের বারের সমান বা বেশি হলে সেটাকে স্বাভাবিক ধরা হয়।  

কোন পদ্ধতি আপনি অনুসরণ করবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন। কিক কাউন্টের সময় নিরবিলি ও আরামদায়ক জায়গা বেছে নিন। প্রতিদিন একই সময়ে কিক কাউন্টের চেষ্টা করুন। ভ্রূণ সাধারণত মায়ের খাওয়া দাওয়ার পর বেশি নড়াচড়া করে। তাই খাওয়ার পরের সময়ে নড়াচড়া গোনার চেষ্টা করুন।

স্রাব বা ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না খেয়াল রাখুন। যদি হঠাৎ করে স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়, কিংবা স্রাবের সাথে অল্প রক্তও যায় অথবা যদি স্রাবের ধরণ শ্লেষ্মাজাতীয়  (mucoid) হয়,  বা অতিরিক্ত তরল স্রাব নির্গত হয় তাহলে এগুলো কোনো জটিলতার উপসর্গ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  

আসল প্রসব-যন্ত্রণার লক্ষণগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই যদি আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যারা  কিছুটা পুর্বধারণা রাখেন, সেটি আপনাদের আত্মবিশ্বাসী থাকতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে এটি যদি আপনাদের প্রথম সন্তান হয়, তাহলে প্রসবের উপসর্গগুলো শুরু হবার সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।  

গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহগুলো অত্যন্ত দীর্ঘ মনে হয়। তাই এ সময় এমন কিছু করুন যেন একঘেয়েমি না লাগে।ভাবতে শুরু করুন আপনার অনাগত সন্তানের জন্য আপনি কি কি করতে চান। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করুন, আপনার আরও সন্তান থাকলে তাদের সঙ্গে সময় কাটান। একই রক্তের গ্রুপসম্পন্ন বন্ধু বা আত্মীয় ঠিক রাখুন যিনি প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারবেন।

পরিবারের সদস্যদের সবসময় হবু মা কে মানসিকভাবে সাহস দিতে হবে। কোনভাবেই তাকে ভয়ের কোন কথা বলে ভড়কে উচিত না।একজন মা ও তার পরিবারের সঠিক প্রস্তুতি ও মানসিক সাহসই একটি সুস্থ, সুন্দর ও সবল শিশুর জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজনীয়।

সবার জন্য শুভকামনা।

<<গর্ভাবস্থা সপ্তাহ ৩১
গর্ভাবস্থা সপ্তাহ ৩৩>>


Spread the love

Related posts

Leave a Comment