গর্ভাবস্থার ২৭ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ দুর্বল থাকে, এসময় তার ফুসফুস অপরিপক্ব থাকলেও, কাজ করতে সক্ষম। । যদি এই সপ্তাহে কোন শিশু জন্মগ্রহণ করে তবে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্টের সাহায্যে তার বেঁচে থেকে সম্ভাবনা প্রায় ৯০ ভাগ। তাকে হয়তোবা বেশ কিছু সময় ইনকিউবেটরে কাটাতে হতে পারে।
গর্ভাবস্থার ২৭ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের ১৪তম এবং শেষ সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাসে। পরবর্তী সপ্তাহ থেকেই গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টার অর্থাৎ শেষ তিন মাস শুরু হবে।
গর্ভধারণের ২৭ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি
গর্ভাবস্থার ২৭ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর ঘুম ও জাগরণের পর্যায় ঘন ঘন হতে থাকবে। ঠিক আমাদের মতই যে সময়টাতে তার ঘুম হালকা থাকে সে সময় তার র্যাপিড আই মুভমেন্ট (Rapid Eye Movement) হতে থাকে। ঘুমের এই পর্যায়ে সাধারণত আমরা স্বপ্ন দেখে থাকি । তাই ধারণা করা হয় গর্ভে থাকা অবস্থাতেই ভ্রূণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। র্যাপিড আই মুভমেন্টের এই সময়ে বন্ধ চোখের পাতার নিচে চোখ ডানে বামে নড়তে থাকে।
ভ্রূণ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সাধারণত সে খুব বেশি একটা নড়াচড়া করেনা। তাই তার নড়াচড়ার ধরণ দেখেই আপনি ধারণা করতে পারবেন কখন সে ঘুমিয়ে আছে আর কখন জেগে আছে।
কখনো কখনো একটি নির্দিষ্ট ছন্দে নড়াচড়া টের পেতে পারেন। এটা সাধারণত ভ্রূণের হেঁচকি তোলার অনুভূতি। খুব বেশি সময় ধরে সাধারণত চলে না। হেঁচকি তুললে গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি হয়না। তার ফুসফুসের বিকাশ চলছে বলেই সে এখন হেঁচকি তুলতে শুরু করবে।
বেশিরভাগ শিশুই এই সময় গর্ভে শরীর বাঁকিয়ে থাকে। এই কারণে এই ধরণের ভঙ্গিকে “ফেটাল পজিশন” বলা হয়।
গর্ভের ভ্রূণের আকার ২৭ তম সপ্তাহে একটি বড় সাইজের ফুলকপির সাথে তুলনা করা যায়। এসময় ভ্রূণের উচ্চতা থাকে প্রায় ১৪.৪১ ইঞ্চি বা ৩৬.৬ সেমি এবং এর ওজন হয় আনুমানিক ১.৯৩ পাউন্ড বা ৮৭৫ গ্রামের মত।
২৭ তম সপ্তাহের দিকে এসে ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সেগুলো নিম্নরূপঃ
চোখ
গর্ভাবস্থার এই সময়ে এসে ভ্রূণ প্রথমবারের মত তার চোখ খুলতে পারে। তবে শুরুর দিকে তার চোখ খুব সামান্যই মেলতে পারে। মায়ের পেটে তার চোখের অবস্থান বরাবর উজ্জ্বল আলো পড়লে সে চোখ মিটমিট করতে পারে।
মস্তিষ্ক
ভ্রূণের মস্তিষ্ক এখন বেশ সক্রিয় যদিও তার মস্তিষ্কের টিস্যুগুলোর বিকাশ এখনো চলমান। তার ব্রেইন স্টেম এখন পুরোপুরি বিকশিত। মস্তিষ্কের এই অংশটি তার হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে।
ভ্রূণের মস্তিষ্কের নিউরন এবং বিভিন্ন সংযোগ গঠিত হয়ে যাওয়ার কারণে সে এখন মায়ের কণ্ঠস্বর আলাদাভাবে চিনতে পারে।
হৃদপিণ্ড
ভ্রূণের হৃদস্পন্দন আগের তুলনায় এখন একটু ধীরগতির থাকে। যদিও এখনো তা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এসময় তার হৃদস্পন্দন থাকতে পারে মিনিটে প্রায় ১৪০ বার।
স্বাদগ্রন্থি
ভ্রূণের মুখের স্বাদগ্রন্থিগুলো (Taste bud) এখন অনেকটাই বিকশিত। এমনকি বেশ কিছু স্বাদগ্রন্থি এখন থেকেই বিভিন্ন ধরণের স্বাদের সিগন্যাল তার মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে শুরু করতে পারে। এ সময়ে ভ্রূণটি মায়ের খাওয়া বিভিন্ন খাবারের কণা যা রক্তের মাধ্যমে অ্যাম্নিওটিক ফ্লুয়িডে জমা হয়, সেগুলো গ্রহন করতে শুরু করতে পারে।
গবেষকরা যদিও নিশ্চিত নন যে গর্ভের ভ্রূণ এসব খাবারের স্বাদ বুঝতে পারে কিনা তবে, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাস পরবর্তীতে শিশুর খাদ্যাভ্যাসেও বেশ প্রভাব ফেলে।
চামড়ার উপর প্রতিরক্ষা আবরণ
শিশুটির ত্বকের চারপাশে ভারনিক্স ক্যাসিওসা (vernix caseosa) নামের এক ধরনের চর্বিযুক্ত আবরন তৈরি হয়। এই আবরণটি ভ্রূণের কোমল ত্বককে চারপাশের অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড থেকে রক্ষা করে।
জন্মের সময় এই আবরণের বেশিরভাগই ঝরে যায়, তবে কিছু কিছু শিশুর জন্মের পরও এগুলো শরীরের ভাঁজে থাকতে পারে। এটি খুবই স্বাভাবিক। প্রি-ম্যাচিওর বাচ্চাদের শরীরে জন্মের সময় এটি বেশি দেখা যায়।
২৭ তম সপ্তাহে মায়ের শারীরিক পরিবর্তন
এসময় থেকে ডাক্তাররা ভ্রূণের বৃদ্ধি ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য মায়ের পেটের আকার পরিমাপ করে থাকেন। এর জন্য মায়ের পিউবিক বোন থেকে জরায়ুর উপরের অংশ পর্যন্ত উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। একে ফান্ডাল হাইট (Fundal Height) বলা হয়। স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় এসময় মায়ের ফান্ডাল হাইট হতে পারে ২৫-২৯ সে.মি.
গর্ভাবস্থার এই পর্যায়ে এসে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ডাক্তারদের মতে গর্ভধারণের আগে যদি মায়ের বিএমআই বা বডি ম্যাস ইনডেক্স স্বাভাবিক থাকে তবে এসময় প্রতি সপ্তাহে ১ পাউন্ড করে ওজন বৃদ্ধি পেলে তা স্বাভাবিক।
তবে মনে রাখবেন এই ১ পাউন্ড করে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার হিসেবটি একটি গড়পড়তা হিসেব। মায়ের ওজন যদি কোন সপ্তাহে আধ পাউন্ড বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তী সপ্তাহে দেড় পাউন্ড বাড়ে তবে সেটাও খুব স্বাভাবিক।
গর্ভাবস্থার এ সময় যেসব উপসর্গ বেশি দেখা দিতে পারে তা হলো-
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
প্রায় ২০ ভাগ মায়েদের একধরনের অদ্ভুত অনুভূতি হয় যখন তাদের মনে হয় তাদের পায়ের ভেতর পিঁপড়া হাঁটছে বা মনে হয়, পা বেয়ে কী যেন উঠে আসছে। পা দুটো যেন খুবই অস্থির। যতই পায়ে স্থিরতা আনতে চান, ততই পা নাড়ানোর ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে। পা নাড়ালে কিছুটা আরাম বোধ হয়। মূলত বিশ্রাম নেবার সময় (সন্ধ্যায় ও রাতে) বেশি অনুভূত হলেও দিনের যেকোনো সময় উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা, উদ্বিগ্ন থাকা, বিষণ্ণতা, স্ট্রেস ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে এই সমস্যার সূত্রপাত ঘটতে পারে। যদিও এর নির্দিষ্ট কোন কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা দেখা দিলে সন্তান জন্মানোর পর তা আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়। এই সমস্যা প্রতিকারের তেমন কোন উপায় নেই। তবে নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম করা, সুষম খাবার ইত্যাদি এই উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
লেগ ক্র্যাম্প বা পায়ে খিল ধরা
লেগ ক্র্যাম্প সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শুরু হতে পারে। এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে মায়ের পেটের আকার যত বৃদ্ধি পায়, এর তীব্রতা তত বাড়তে পারে। পায়ে খিল ধরা দিনের বেলা হতে পারে তবে সাধারণত রাতের দিকে বেশি হয়।
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার বাড়ার কারণে এবং শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারনে পায়ের রক্তনালীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং পা থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চাইতে ধীরে হয়। এ কারনে পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে।
বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে শরীরের শিরার উপর চাপ পরে যার ফলে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাই বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে না থেকে কিছুক্ষন পর পর বসে পড়ুন। বসার সময় পা কিছুর উপর তুলে রাখতে পারেন বা পায়ের গোড়ালি ঘুরিয়ে নিয়ে কিছুক্ষন পায়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন।
ভেরিকোস ভেইন
ভেরিকোস ভেইন হল অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যাওয়া শিরা যা চামড়ার উপর দিয়ে দেখা যায়। নীল বা বেগুনি রঙের আঁকাবাঁকা শিরাগুলো সাধারণত পায়ে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা ভ্যাজাইনাল এরিয়াতেও দেখা যেতে পারে।
ভেরিকোস ভেইনের কারণে চুলকানি বা ব্যাথা হতে পারে কিন্তু এগুলো সাধারণত তেমন ঝুঁকির কারণ নয়। এর যদি কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তবে তার জন্য সন্তান জন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়।
তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে ভেরিকোস ভেইনের কারণে শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে (superficial venous thrombosis)। এমনটা হলে শিরা শক্ত হয়ে যায় এবং দড়ির মত দেখায় এবং এর আশপাশের জায়গা লাল ও গরম হয়ে যায় এবং ব্যাথা অনুভূত হয়।যদি এধরনের লক্ষন দেখা দেয় তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য যতটুকু সম্ভব পা উঁচিয়ে বসুন এবং যথাসম্ভব পা- কে বিশ্রাম দিন।
পাইলস বা অর্শরোগ
বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা পাইলস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। ক্রমবর্ধমান জরায়ু, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রোজেস্টেরণ হরমোনের আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে গর্ভবতী মায়েদের পাইলস বা অর্শ হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভেরিকোস ভেইনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলেও গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা অর্শ হয়ে থাকে। এই উপসর্গ খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও এতে অনেক ব্যথা থাকতে পারে এবং রক্তক্ষরণেরও সম্ভাবনা থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পেলভিক এক্সারসাইজগুলো এক্ষেত্রে ভালো কাজ দিতে পারে। এছাড়া মলত্যাগের চাপ আসলে কখনো আটকে রাখার চেষ্টা করবেন না।
ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আক্রান্ত স্থানে আইস ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যাথা যদি খুব বেশি হয় এবং রক্তপাত হয় তবে দ্রুত ডাক্তারকে জানানো জরুরী।
গর্ভধারণের এ সপ্তাহে করনীয়
হুপিং কাশি নবজাতক শিশুদের জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে। এ কারণে CDC এর পরামর্শ মতে প্রত্যেক গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থার ২৭-৩৬ সপ্তাহের মধ্যে হুপিং কাশির টিকা (Tdap) নেয়া উচিত। শিশুর বয়স ২ মাস হওয়ার আগে যেহেতু হুপিং কাশির টিকা দেয়া যায়না তাই এই সময় মায়ের টিকা দেয়া হলে সেই অ্যান্টিবডি প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুর দেহে প্রবেশ করে এবং জন্মের পর কয়েক মাস শিশুকে সুরক্ষিত রাখে।
এই টিকা গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ বলেই প্রমানিত। টিকা দেয়ার বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
গর্ভাবস্থার ২৭ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশু অনেক সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং নিয়মিত নড়াচড়া করতে শুরু করে। এই সময় গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার একটি প্যাটার্ন তৈরি হয়ে যায়। সে কোন সময়টাতে সবচাইতে বেশি আক্টিভ থাকে, কতবার নড়াচড়া করে এসব এখন থেকেই খেয়াল করতে শুরু করুন। যদি মনে হয় গর্ভের শিশু স্বাভাবিকের তুলনায় কম নড়ছে তবে অবশ্যই ডাক্তারকে জানান।
প্রেস্ক্রিপশান এবং টেস্ট রিপোর্টগুলো যত্ন করে ফাইল করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন । হাসপাতালে ভর্তির সময় কিংবা পরবর্তীতে এগুলোর দরকার হবে। প্রথম চেকআপ থেকে যেসব মেডিকেল টেস্ট করিয়েছেন এবং যেসব টিকা নিয়েছেন, তার প্রতিটি রিপোর্ট তারিখ অনুযায়ী ফাইলে গুছিয়ে রাখুন। ডাক্তারের নাম, ঠিকানা, যাবতীয় ফোন নম্বর ইত্যাদির পরিষ্কার করে লিখে ফাইলের শুরুতে যুক্ত করে রাখুন।
নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং গর্ভাবস্থায় কিভাবে শরীরকে শিথিল বা রিলাক্স করা যায় তা শিখে নিন। এর ফলে যখন আপনার প্রসব বেদনা উঠবে তখন আপনি এ পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করতে পারবেন।এগুলো আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে, জরায়ুকে আরো ভালো কাজ করতে এবং আপনাকে শক্তি সংরক্ষন করে রাখতে সাহায্য করবে।
সেইসাথে গর্ভাবস্থা ও সন্তান লালন পালনের বিভিন্ন দিক ও মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিন। এতে আপনার আত্ববিশ্বাস বাড়বে এবং কিছু সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন। বিভিন্ন কাজে প্রায়োরিটি ঠিক করতে শেখা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কাজ কিংবা কথা যেগুলো আপনার মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়, তা সাময়িক ভাবে এড়িয়ে চলুন।
সবার জন্য শুভকামনা।
<<গর্ভাবস্থা সপ্তাহ ২৬
গর্ভাবস্থা সপ্তাহ ২৮ >>