গর্ভাবস্থায় ওজন কমে গেলে করণীয় কি? | সাধারণ কারণ, উদ্বেগ এবং বিশেষ সতর্কতা

Spread the love

গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া।কিন্তু কখনো কখনো এমন হতে পারে গর্ভবতী মায়ের ওজন বাড়ার পরিবর্তে কমে যায়। বিশেষ করে প্রথম তিন মাস মর্নিং সিকনেস, এতদিনকার পরিচিত খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা, গর্ভে থাকা বাচ্চার চাহিদা এই সমস্ত কারণ সমূহকে গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাসের জন্য দায়ী মনে করা হয়।

অনেক সময়, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটিতে ভোগা মহিলাদের সামান্য ওজন কমানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই যদি এই সময়  দ্রুত কয়েক পাউন্ড ওজন কমে যায় তবে এতে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

বিজ্ঞাপণ

গর্ভাবস্থায় আপনি আপনার নিজের ও অনাগত শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরি ও পুষ্টি গ্রহণ করছেন কিনা তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই সময় কখনো কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, নিয়ন্ত্রিত ডায়েট বা কোন ফুড গ্রুপের খাবার (ফুড গ্রুপ হলো খাবারের সমষ্টি যেখানে খাবারকে একই রকমের পুষ্টির ভিত্তিতে ভাগ করা হয়) পরিহার করা উচিত নয়।

অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণে ওজন হ্রাস শুরু হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী  ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে এবং যদি মনে হয় এমন কোন শারীরিক পরিবর্তন বা সসমস্যা দেখা দিচ্ছে যা স্বাভাবিক নয় তবে দেরি না করে তৎক্ষনাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

কেন গর্ভাবস্থায় ওজন কমে যায়?

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস ওজন কমে যাওয়া অনেক মহিলার কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, যে সকল মহিলারা “মর্নিং সিকনেসে ” (যা ৭০-৮০ ভাগ গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়) ভোগেন তাদের জন্য এটি সাধারণ একটি বিষয়।

গর্ভাবস্থার যদি প্রথম তিনমাস মাঝে মাঝে মর্নিং সিকনেস দেখা দেয় তবে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এসব উপসর্গ সাধারণত ঠিক হয়ে যায়, তবে কখনো কখনো মর্নিং সিকনেস ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে হাইপারমেসিস গ্রাভিডেরাম (এইচজি) এর মতো  মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

ফেটাল মেডিসিন অ্যান্ড উইমেনস আল্ট্রাসাউন্ড কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ ক্রিস হান বলেন, “যদি একজন গর্ভবতী মহিলার  ক্রমাগত বমি বমি হওয়ার  পাশাপাশি গর্ভাবস্থার পূর্বের ওজনের ৫ শতাংশ কমে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে যদি কেটোন (আমাদের কোষ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ না পেয়ে থাকে তবে শরীর পরবর্তীতে শক্তির জন্য ফ্যাট ব্যবহার করে। যা থেকে পরবর্তীতে কেটোন নামের একটি পদার্থ তৈরি। এটি রক্ত ​​এবং প্রস্রাবে প্রদর্শিত হতে পারে) নির্গত হয় তবে তিনি হয়তো হাইপারমেসিস গ্রাভিডেরামে ভুগছেন”। উদাহরণস্বরূপ, একজন মহিলা যদি ১৪০ পাউন্ড ওজন নিয়ে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড শুরু করে তবে সে ৭ পাউন্ড ওজন হারাতে পারে।

হাইপারমেসিস গ্রাভিডেরাম

আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, “সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের রিপোর্টানুসারে ৬০০০০ কেসে মর্নিং সিকনেসকে হাইপ্রেমেসিস গ্র্যাভিডারাম (এইচজি) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে কারণ অনেক মহিলারা তাদের চিকিৎসকের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে।

হাইপ্রেমেসিস গ্রাভিডারামকে  মারাত্মক বমিভাব এবং বমি দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যার ফলে মারাত্মক ডিহাইড্রেশন এবং খাবার পেটে রাখতে না পারার মতো সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতি ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

এইচজি সাধারণত গর্ভাবস্থার থেকে ৬ সপ্তাহে দেখা দেয় এবং থেকে ১৩ সপ্তাহে এর প্রভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। বেশিরভাগ মহিলা ১৪ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে এর প্রভাব থেকে মুক্তি পান তবে কিছু মহিলার পুরো গর্ভাবস্থায় বিশেষ  যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়।

হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও বাড়ি থেকে হাইপারমেসিসের চিকিৎসা গ্রহণ সম্ভব কিন্তু গুরুতর ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

এই ধরনের পরিস্থিতিকে রোধ করার কোন উপায় না থাকলেও চিকিৎসার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। হয়তো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করতে হতে পারে। তাছাড়া, দেহ থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পুনরায় ফিরে আনতে ইনফিউশন ইনজেকশনের মাধ্যমে তরল গ্রহণ করতে হতে পারে।

যদি পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে তবে পুষ্টি সহায়তা ও সার্জিক্যাল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হতে পারে। তাছাড়া, কিছু বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিও প্রস্তাবিত হতে পারে যেমন- বেড রেস্ট, হারবাল ট্রিটমেন্ট ও আকুপ্রেশার।

অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা যা ওজন হ্রাস করতে পারে

অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস বিশেষত আকস্মিক ওজন হ্রাস সত্যি উদ্বেগজনক এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ডাঃ হ্যান বলেন, “গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাসের কয়েকটি কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: অনিয়ন্ত্রিত ওভারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড, অচিহ্নিত ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সম্পর্কিত  রোগ, ক্যান্সার, মানসিক রোগ, এন্ডক্রাইনের ভারসাম্যহীনতা, নিউরোলজিক অস্বাভাবিকতা, ইনফেকশন, ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শ, অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার, এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ।  “

হ্যান আরো বলেন, “যে মহিলার গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাস পায় তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  হলো অপর্যাপ্ত ওজন বৃদ্ধির অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করা এবং তার চিকিৎসা করা।”

গর্ভাবস্থায় কি পরিমাণ ওজন হ্রাস অতিরিক্ত ওজন হ্রাস হিসেবে বিবেচিত হবে?

চিকিৎসক ওজন নিয়ে কোন সমস্যার উল্লেখ না করলে সাধারণভাবে, গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাস করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থার আগে যাদের BMI ৩০ এর বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে  সুপারিশকৃত সীমারেখার চেয়ে কম ওজন বৃদ্ধি কিছু সুবিধা প্রদান করতে পারে , তবে যাদের সাধারণ বা কম বিএমআই থাকে, তেমন মহিলাদের মধ্যে কম ওজনের বাচ্চা জন্মদানের ঝুঁকি বাড়তে পারে। “

বিজ্ঞাপণ

ন্যাশনাল একাডেমি অফ মেডিসিনের বর্তমান নির্দেশনা হলো প্রাক-গর্ভাবস্থার বডি মাস ইনডেক্সের ভিত্তিতে মোট ওজন বৃদ্ধির  সামঞ্জস্য স্থাপন:

যদি গর্ভে একটি সন্তান থাকে

  • যদি আপনার BMI গর্ভধারণের আগে স্বাভাবিক এর চেয়ে কম (“আন্ডার ওয়েট”) অর্থাৎ ১৮.৫ এর কম হয়, তাহলে আপনার ওজন ১২-১৮ কেজি বাড়ানো উচিত।
  • যদি আপনার BMI গর্ভধারণের আগে স্বাভাবিক অর্থাৎ ১৮.৫ ত্থেকে ২৪. ৯ হয়, তাহলে আপনার ওজন ১১-১৬ কেজি বাড়ানো উচিত। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ০.৫-২.৫ কেজি এবং এরপর প্রতি সপ্তাহে আধা কেজি করে ওজন বাড়া উচিৎ।
  • যদি আপনার BMI গর্ভধারণের আগে স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশী (“ওভার ওয়েট”) অর্থাৎ ২৫ এর বেশী হয়, তাহলে আপনার ওজন ৭-১১ কেজি বাড়ানো উচিত।
  • যদি আপনি গর্ভধারণের আগেই “ওবিস” বা স্থুল হন অর্থাৎ BMI ৩০ এর বেশী হয়, তাহলে আপনার ওজন ৫-৯ কেজি বাড়ানো উচিত।

যদি গর্ভে যমজ সন্তান থাকে

  • আপনার ওজন ১৬.৫-২৪.৫ কেজি বাড়ানো উচিৎ যদি আপনার ওজন গর্ভধারণের আগে স্বাভাবিক হয়।
  • গর্ভধারণের আগে আপনার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী বা “ওভার ওয়েট” হলে এক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়ানো উচিৎ ১৮.৫-২২.৫ কেজি
  • গর্ভধারণের আগে “ওবিস” বা স্থুল হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়ানো উচিৎ ১১-১৯ কেজি।

গর্ভাবস্থায় ওজন কমে যাওয়া কি ক্ষতিকর?

গর্ভাবস্থার শুরুতে খুব অল্প পরিমাণে ওজন হ্রাস  স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে পুরো গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাস পাওয়া কম ওজনের বাচ্চা এবং অকাল প্রসবের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত। অকাল বা নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রসব তখনই হয় যখন গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পূর্বেই কোন শিশুর জন্ম হয়।

যেসব শিশু কম ওজন নিয়ে ও নির্ধারিত সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ করে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা অস্বাভাবিক বা সংবেদনশীল হতে পারে কারণ তারা মায়ের গর্ভে পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়না। তাই যতটা সম্ভব চিকিৎসক থেকে ওজন সঠিকমাত্রায় রাখা সম্পর্কে পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত যাতে জটিলতাগুলো প্রতিরোধ করা যায় এবং প্রতিকারগুলো নির্ধারণ করা যায়।

গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাস রোধের উপায় কি?

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, পরিমাণে কম কম করে ঘন ঘন খাওয়া বমি বমি ভাব হ্রাস করতে এবং ওজন হ্রাস রোধ করতে সহায়তা করে। অসুস্থতা বোধ করলে আপনার পক্ষে খাবার তৈরি ও খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা কষ্টকর হতে পারে। অতএব, যদি আপনার শারীরিক  সমস্যা হয়, যদি আপনি পর্যাপ্ত ওজন অর্জন করতে অক্ষম হন বা ওজন হ্রাস প্রক্রিয়া যদি  চলমান থাকে তবে ডাঃ হ্যান এর মতে ” সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য ডায়েটিশিয়ানের শরণাপন্ন হওয়া উচিত “। একজন ডায়েটিশিয়ান পুষ্টি ও ক্যালরির  প্রয়োজনানুসারে বিশেষ খাদ্যতালিকা সরবরাহ করতে পারেন।

হ্যান আরো বলেন, অন্তর্গত সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন: বমিভাব রোধ,অ্যান্টি-ডিপ্রেশন বা থাইরয়েডের সমস্যা দূরীকরণের জন্য ঔষুধ সেবন প্রয়োজনীয় হতে পারে৷ তিনি আরো বলেছেন, “প্রসবপূর্বে নিয়মিত ওজন বাড়ছে কিনা সে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ যদিও আমি ঘরে রোজ ওজন মাপার পরামর্শ প্রদান করিনা কারণ এটি ওঠানামা করতে পারে।”

গর্ভাবস্থায় যাদের ওজন কমে যায় তাদের কি কোনো  বিশেষ পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে?

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ওজন বৃদ্ধি এবং পুষ্টির জন্য বেশিরভাগ মহিলার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে প্রতিদিন ৩৪০-৪৫০ ক্যালোরির চাহিদা বাড়ানোর প্রয়োজন হয়।

ডাঃ হ্যান এর মতে, পুষ্টিকর উপাদান গুলোর ব্রেকডাউন হওয়া উচিত- শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দিনে ১.১ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৭৫ গ্রাম গ্রাম কার্বোহাইড্রেট (স্বাস্থ্যকর ফল, শাকসবজি, শস্যের আকারে)। এছাড়াও দিনে ২.৫ থেকে ৩ লিটার তরল গ্রহন করা উচিত। যেসব মহিলারা বমিভাব অনুভব করে তাদের ক্ষেত্রে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট প্রতিস্থাপন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপণ

উদাহরণস্বরূপ, ১৫০ পাউন্ড বা (৬৮.১ কেজি) ওজনের মহিলার জন্য প্রতিদিন মোট সর্বনিম্ন ৭৫ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটা এভাবে হিসাব করতে পারেন: এক আউন্স মাংস বা মাছের মধ্যে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। অতএব তিন আউন্স পরিমাণ ( হাতের মুঠির পরিমাণ) মাছ বা মুরগিতে প্রায় ২১ গ্রাম প্রোটিন থাকে।প্রোটিনের অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে বাদাম, বীজ, ফলমূল, ডিম, দুধ, পনির এবং শস্য।

পুষ্টি ও এর পরিমাণের সমীকরণ অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। বেশিরভাগ মহিলা, বিশেষত যাদের অন্যান্য ডাক্তারি সহায়তার প্রয়োজন হয় তাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় এই বিষয়ে সহায়তা পাওয়ার জন্য ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ গ্রহণ। এক একজন মানুষের পুষ্টির চাহিদা এক এক ধরণের হয় এবং এর পরিমাণ  কাজ কর্মের ধরণ, বয়স, ওজন এবং স্বাস্থ্য অবস্থার বিবেচনায় গ্রহণ করা  উচিত। ডায়েটিশিয়ানরাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন।  

আমাদের পক্ষ হতে কিছু পরামর্শ:

গর্ভাবস্থার শুরুতে ওজন হ্রাস স্বাভাবিক হতে পারে কিন্তু কম ওজনের মহিলাদের জন্য এটি কখনোই সাধারণ নয়। অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস এবং ওজন বাড়ানোর অক্ষমতার জন্য অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ প্রয়োজন।

যদি ওজন হ্রাস আপনার শরীরের অন্তর্নিহিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তবে ভবিষ্যতের ওজন হ্রাস রোধ করতে,  নিজের এবং আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য চিকিৎসক পরামর্শ প্রদান করতে পারেন। তাছাড়া, একজন ডায়েটিশিয়ান আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে পারেন।

সবার জন্য শুভকামনা।


Spread the love

Related posts

Leave a Comment