৩৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৫ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

প্রসব বা ডেলিভারির ডেট যত ঘনিয়ে আসে, মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটির বড় হওয়ার গতিও তত বেড়ে যায়। পরবর্তী ৩ সপ্তাহে বাচ্চার ওজন খুব দ্রুত বাড়তে থাকবে। এই পর্যায়ে বাচ্চার ওজনের যে বৃদ্ধি ঘটে, তার অধিকাংশই হলো ফ্যাট কিংবা চর্বি। বিশেষ করে বাচ্চার কাঁধে এসময় কিছু অংশে চর্বি জমে যেগুলো ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় বাচ্চাকে গর্ভ থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩৫ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের অষ্টম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে। গর্ভধারণের ৩৫ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এপর্যায়ে মায়ের জরায়ুতে…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৪ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৪ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৪ তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণের শরীরের আকার আস্তে আস্তে পরিপূর্ণতা লাভ করতে থাকে। এসময় তার শরীরে বিশেষ একধরনের চর্বি জমা হতে থাকে যাকে ব্রাউন ফ্যাট বলে। এই ফ্যাট জন্মের পরও শিশুকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে কারণ সে সময় শিশু তার শরীরের তাপমাত্রা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। শিশুর জন্মের পর এই ব্রাউন ফ্যাট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তাই সে সময়টাতে তার যেন খুব বেশি গরম বা ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে আপনারই খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থার ৩৪ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের সপ্তম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৩ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৩ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৩ তম সপ্তাহে গর্ভে থাকা ভ্রূণেটির কুঁচকে থাকা ত্বক আস্তে আস্তে আরো মসৃণ হতে থাকে এবং সে ধীরে ধীরে একজন পূর্নাঙ্গ নবজাতকের চেহারা ধারণ করতে থাকে। এই সময় ভ্রূণের ত্বক আগের চাইতে আরো খানিকটা পুরু হয়ে ওঠে এবং চামড়ার লালচে ও স্বচ্ছ ভাবও আগের চেয়ে কমে আসে। মোট কথা ভ্রূণটি এখন থেকে জন্মগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩৩ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের ষষ্ঠ সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে। গর্ভধারণের ৩৩  তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ৩৩ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুটি তার…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গর্ভাবস্থায় উচ্চরক্ত চাপ থেকে পরবর্তীতে হার্ট ও কিডনি সমস্যার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ মহিলা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন। এ সময় গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমি: অব মারকারির চেয়ে বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় প্রি-একলাম্পশিয়া। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রি-একলাম্পশিয়া বা একলাম্পশিয়া পৃথিবীতে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রি-একলাম্পশিয়া লক্ষণ হচ্ছে ইউরিনে প্রোটিন নির্গত হওয়া উচ্চতর রক্তচাপ। গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন গর্ভাবস্থায় যাদের উচ্চ রক্তচাপ ছিল তাদের শতকরা ১২ দশমিক ৪ ভাগের কিডনির সমস্যা…

বিস্তারিত পড়ুন

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি | কারণ, লক্ষন ও করনীয়

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বা জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ কাকে বলে? গর্ভধারণের সঠিক স্থান হচ্ছে জরায়ু। স্বাভাবিক গর্ভধারণে নিষিক্ত ডিম্বকোষ গর্ভ বা জরায়ুতে স্থান নেয়। সেখানে ডিম্বকোষ বিভক্ত হওয়ার, শিশুতে পরিণত হওয়ার, শিশু বেড়ে ওঠার মতো পর্যাপ্ত জায়গা আছে।এর বাইরে যে কোন স্থানে গর্ভধারণ হলে তাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলা হয়।   ৯৭ শতাংশ একটোপিক প্রেগনেন্সি দেখা যায় ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে। এক শতাংশের কম একটোপিক প্রেগনেন্সি দেখা যায় ওভারিতে। আসলে ভ্রুণের তৈরি হয় ফেলোপিয়ান টিউবেই৷ তবে টিউবের সঙ্গে জরায়ুর যে সংযোগ রয়েছে সেই পথে কোনও কারণে সুগম না হলে ভ্রুণ জরায়ুতে যেতে পারে না৷…

বিস্তারিত পড়ুন

৩২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩২ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩২তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণের বাহ্যিক আকৃতি পুরোপুরি সুগঠিত থাকে তবে তার শরীরে আরো  চর্বির স্তর জমতে থাকে। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। ভ্রূণ বড় হওয়ার সাথে সাথে মায়ের জরায়ুতে তার জায়গা কমতে থাকে। তবে একটি ভুল ধারণা বেশ প্রচলিত যে জায়গা কমে যাওয়ার কারণে এসময় ভ্রূণের নড়াচড়া কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এমনটা হওয়া কখনোই স্বাভাবিক নয়। ভ্রূণের নড়াচড়ার পরিমাণ আগের মতই থাকবে। তবে নড়াচড়ার ধরণে হয়তোবা কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। যদি নড়াচড়া কম মনে হয় বা নড়ছেনা বলে মনে হয় তবে অতিসত্বর তা ডাক্তারকে…

বিস্তারিত পড়ুন

৩১ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩১ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩১তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণ বেশ অ্যাক্টিভ থাকে। এখন তার  নড়াচাড়া হয়তো আগের চেয়ে বেশি হবে এবং কিছু সময় পরপরই আপনি তার মাথা, পা  কিংবা হাতের গুঁতো  অনুভব করবেন। হ্যাঁ, গর্ভের শিশুটি যে সুস্থ আছে এটা তারই লক্ষণ । গর্ভাবস্থার ৩১ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের চতুর্থ সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে। গর্ভধারণের ৩১ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ৩১ তম সপ্তাহে ভ্রূণের চামড়ার নীচে চর্বির স্তর জমতে থাকার কারণে তার ত্বক অনেক মসৃণ হয়ে যায় । তার হাত – পা বেশ গোলগাল আর পুষ্ট…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভের শিশুর নড়াচড়া সংক্রান্ত কিছু জরুরী বিষয়

গর্ভের শিশুর নড়াচড়া

আপনার গর্ভের শিশুটির স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা জানার একটা সবচেয়ে সহজ উপায় হল বাচ্চা কতটা নড়াচড়া করছে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা। প্রত্যেকটি শিশুই আলাদা এবং প্রত্যেক মায়ের উচিৎ তিনি যেন সময় নিয়ে গর্ভের শিশুর নড়াচড়া করার নিজস্ব ধরণগুলির ব্যাপারে পরিচিত হন। গর্ভের শিশুর নড়াচড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন ? আপনার গর্ভের শিশুর নড়াচড়া হ্রাস পেলে বা পরিবর্তন হলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করছে বা নড়াচড়ার ধরণটি বদলে গেছে, আপনার শিশুটি যে সুস্থ না বা গর্ভে ঠিকভাবে বেড়ে উঠছে না তা বোঝার এটি প্রথম…

বিস্তারিত পড়ুন

৩০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩০ । গর্ভাবস্থার প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩০ তম সপ্তাহ নাগাদ গর্ভের শিশুর প্রয়োজনীয় প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণতা লাভ করতে থাকে। এই সময়  থেকে ভ্রূণ বেশ দ্রুত ওজন লাভ করতে থাকে এবং বাইরের পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩০ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের তৃতীয় সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে। গর্ভধারণের ৩০ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি   পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোতে অনেকেই হয়তো ভ্রূণের হেঁচকি তোলার সাথে পরিচিত হয়েছেন। তবে এই ট্রাইমেস্টারে ভ্রূণের হেঁচকি তোলা নিয়মিত টের পেতে পারেন। এই ছন্দময় নড়াচড়া যাকে আমরা হেঁচকি বলে থাকি, প্রধানত ভ্রূণের শ্বাস…

বিস্তারিত পড়ুন

২৯ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ২৯ । গর্ভাবস্থার প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ২৯ সপ্তাহে গর্ভস্থ ভ্রূণ বেশ অনেকটা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এখনো যেহেতু সে অনেক ছোট তাই মায়ের জরায়ুতে নড়াচড়ার বেশ জায়গা রয়েছে। এসময় মা ভ্রূণের নড়াচড়া আগের চাইতে বেশি ঘন ঘন এবং জোরালোভাবে বুঝতে শুরু করবেন। এছাড়াও এসময় ভ্রূণ আলো, শব্দ, মায়ের নড়াচড়া, খাওয়া ইত্যাদি প্রায় সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। গর্ভাবস্থার ২৯ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের দ্বিতীয় সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে। গর্ভধারণের ২৯ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি   গর্ভাবস্থার ২৯ তম সপ্তাহে এসে ভ্রূণের ত্বকের নিচে আরো বেশি চর্বির স্তর জমা হয়ে…

বিস্তারিত পড়ুন