৩০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

Spread the love

গর্ভাবস্থার ৩০ তম সপ্তাহ নাগাদ গর্ভের শিশুর প্রয়োজনীয় প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণতা লাভ করতে থাকে। এই সময়  থেকে ভ্রূণ বেশ দ্রুত ওজন লাভ করতে থাকে এবং বাইরের পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।

গর্ভাবস্থার ৩০ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের তৃতীয় সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে।

বিজ্ঞাপণ
৩০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা

গর্ভধারণের ৩০ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি  

পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোতে অনেকেই হয়তো ভ্রূণের হেঁচকি তোলার সাথে পরিচিত হয়েছেন। তবে এই ট্রাইমেস্টারে ভ্রূণের হেঁচকি তোলা নিয়মিত টের পেতে পারেন। এই ছন্দময় নড়াচড়া যাকে আমরা হেঁচকি বলে থাকি, প্রধানত ভ্রূণের শ্বাস যন্ত্রের পেশীর সঙ্কোচনের কারণে হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে এই হেঁচকি তোলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা উঠে এসেছে।

৩০ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশু প্রি-টার্ম অবস্থাতে থাকলেও, পরবর্তী প্রতিটি সপ্তাহ অতিক্রম করার সাথে সাথে গর্ভের বাইরে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এবং প্রি-ম্যাচিওর বার্থের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনাও কমে আসতে থাকে। এই সপ্তাহে শিশুটি জন্ম নিলে পর্যাপ্ত পরিচর্যার মাধ্যমে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় ৯৮ ভাগ।

গর্ভাবস্থার এই সময়ে এসে ভ্রূণের উচ্চতা বৃদ্ধির হার কমে আসে তবে তার ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। আগামী বেশ কিছু সপ্তাহ তার ওজন প্রতি সপ্তাহে প্রায় আধ পাউন্ড করে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ভ্রূণের আকার ৩০ তম সপ্তাহে একটি কুমড়োর সাথে তুলনা করা যায়। এসময় ভ্রূণের উচ্চতা থাকে প্রায় ১৫.৭১ ইঞ্চি বা ৩৯.৯ সেমি এবং এর ওজন হয় আনুমানিক ২.৯১ পাউন্ড  বা ১৩১৯ গ্রামের মত।

৩০ তম সপ্তাহের দিকে এসে ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সেগুলো নিম্নরূপঃ

মস্তিষ্ক

৩০ তম সপ্তাহ নাগাদ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ খুব দ্রুত হতে থাকে এবং এর আয়তনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভ্রূণের মস্তিষ্কে অনেক নতুন নতুন খাঁজ ও ভাজের সৃষ্টি হতে থাকে যাতে আরো  অধিক সংখ্যক ব্রেইন টিস্যু গঠিত হতে পারে।

ত্বক

ভ্রূণের ত্বকের কোষগুলো থেকে এই সময় মেলানিন তৈরি হতে শুরু করে। এই মেলানিন মানব শরীরের  ত্বকের রং কেমন হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে শিশুর ত্বকের বেশিরভাগ মেলানিন তৈরি হয় তার জন্মের পর।

হাঁড়

৩০ সপ্তাহ নাগাদ ভ্রূণের শরীরের সকল লোহিত রক্ত কণিকা বোন-ম্যারো উৎপন্ন করতে শুরু করে। এর আগে ভ্রূণের স্প্লীন এই কাজটি করতো। তাই বিষয়টি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে বেশ  গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক।

ত্বকের উপরের আবরণ

শিশুর ত্বকের উপরে থাকা হালকা ধূসর লোমের স্তর যাকে লানুগো বলে এসময় ধীরে ধীরে ঝরে যেতে থাকে কারণ এসময় ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং দেহে জমতে থাকা চর্বির স্তর ভ্রূণের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

তবে ভ্রূণের শরীরে এখনো তৈলাক্ত ভারনিক্সের স্তর থাকে যা তাকে চারপাশের অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িড  থেকে রক্ষা করে। ভারনিক্সের স্তর ভ্রূণকে বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

এখন থেকেই ভ্রূণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম (immune system) গঠিত হতে শুরু করবে। যদিও রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডিগুলো ভ্রূণ নিজে উৎপন্ন করেনা। এগুলো মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুর শরীরে আসে যা তাকে জন্মের পর কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।  

এই ধরণের ইমিউনিটিকে প্যাসিভ ইমিউনিটি ( passive immunity) বলা হয়। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়না। তাই জন্মের কিছুদিন পর থেকে শিশুকে টিকা দিতে বলা হয় যাতে গর্ভে লাভ করা এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পরও শিশু বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে।

৩০ তম সপ্তাহে মায়ের শারীরিক পরিবর্তন

এই সময় মায়ের ওজন সাধারণত ২০ থেকে ২৫ পাউন্ডের (৯-১১.৩ কেজি) মত বেড়ে যেতে পারে। তবে এটি একটি গড়পড়তা হিসেব এবং এর চাইতে কিছু কম বেশি হলে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। এছাড়াও প্রতিটি সাক্ষাতকারেই ডাক্তার আপনার ওজন মেপে দেখবেন এবং অস্বাভাবিক কিছু থাকলে আপনাকে জানাবেন। তাই ওজন নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

ডাক্তাররা ভ্রূণের বৃদ্ধি ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য মায়ের পেটের আকার পরিমাপ করে থাকেন। এর জন্য মায়ের পিউবিক বোন থেকে জরায়ুর উপরের অংশ পর্যন্ত উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। একে ফান্ডাল হাইট (Fundal Height) বলা হয়।  স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় এসময় মায়ের ফান্ডাল হাইট হতে পারে ২৮-৩৫ সে.মি.

গর্ভাবস্থার এ সময় যেসব উপসর্গ বেশি দেখা দিতে পারে তা হলো-

হাত অবশ লাগা বা সুই ফোটার অনুভূতি

গর্ভাবস্থায় কারপাল টানেল সিনড্রোমের কারণে হাত অবশ লাগা, সুই ফোটার মতো বা ঝিনঝিন অনুভূতি হতে পারে। সাধারণত হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকার অর্ধেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে, খাবার খেতে, হাত মুষ্টিবদ্ধ করতে বা কোনো জিনিস ধরতে সমস্যা হয়। লক্ষণগুলো রাতে বেশি দেখা যায়।

বিজ্ঞাপণ

গর্ভাবস্থায় শরীরের অতিরিক্ত তরল আমাদের হাতের কব্জির কাছে থাকা মিডিয়ান নার্ভে চাপ দেয় বলে এমনটা হয়। প্রসবের পর শরীরের অতিরিক্ত তরল কমে গেলে এ সমস্যাও কমে যায় তবে কিছু কিছু মায়েদের সন্তান জন্মদানের পরও প্রায় বছরখানেক এ সমস্যা থাকতে পারে।

মুড সুইং বা মেজাজের ওঠানামা

অবসাদ, মানসিক চাপ এবং শরীরের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের  মুড সুইং করাটা খুবই স্বাভাবিক। আবেগের সাথে সাথে গর্ভকালীন সময়টা নারীদের জন্য বেশ মানসিক চাপ আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারও  হয়ে থাকে। আপনি কি ভালো মা হতে পারবেন কি না, আপনার শিশু কি সুস্থ এবং স্বাভাবিক হবে কিনা অথবা নতুন শিশু আগমনের কারণে যে বাড়তি খরচ হবে সেটা কি পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে মানাবে কি না এই ধরনের যাবতীয় চিন্তায় মা- বাবা  হয়তো  কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠতে পারেন।

নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিন যে এই গর্ভকালীন সময়ে এই ধরনের অনুভূতি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। নিজের সঠিক পরিচর্যা এবং সচেতনতা এই সময়ে আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনার অনুভূতিগুলো আপনার সঙ্গীর সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করুন।

তবে যদি মুড সুইং খুব বেশি পরিমাণে হতে থাকে, খুব ঘন ঘন হতে থাকে এবং তা আপনার প্রাত্যহিক জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন। এগুলো অন্য আরো জটিলতর মানসিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ২৪

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন হলো জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন যা গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী সময়ে (দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার) দেখা দিতে পারে। এই সংকোচনকে ফলস লেবার পেইনও বলে।

তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে,  প্রেগন্যান্ট মায়েরা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে অথবা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এটি অনুভব করেন। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এই কন্ট্রাকশান নাও হতে পারে।  

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশনকে ‘প্র্যাকটিস কন্ট্রাকশনও’ বলা হয় কারন এ ধরনের কন্ট্রাকশন আসল প্রসবের লক্ষণ না হলেও মায়ের শরীরকে আসল প্রসবের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন গর্ভাবস্থার ১৬ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে। তবে শুরুর দিকে এটি এতই মৃদু থাকে যে অনেক মা তা অনুভব করতে পারেনা। জরায়ুর আকার যত বৃদ্ধি পেতে থাকে ততই এ কন্ট্রাকশন বেশী অনুভূত হয়।

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশনের সময় জরায়ু, তলপেট বা ভ্যাজাইনার আশেপাশের অংশে সংকোচন অনুভূত হয়। ব্যাপারটি অনেকটা ওই স্থানের মাংসপেশি একবার শক্ত হয়ে যাওয়া আবার ছেড়ে দেয়ার মত অনুভূতি মনে হয়। প্রসবের সময়ও এ ধরনের অনুভূতিই হয়। তবে ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন এবং আসল প্রসব যন্ত্রণার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে।

যেমন, ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন সাধারণত অনিয়মিত এবং ব্যাথাহীন হয়। তবে তা মাঝে মাঝে তীব্র, ব্যাথাযুক্ত এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। মনে রাখবেন, প্রসব বেদনার মত এ ধরনের কন্ট্রাকশন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকেনা বা তীব্রতর হয়না এবং কন্ট্রাকশনের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যাবধান কমতে থাকেনা।

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ধরে হতে পারে তবে ঘণ্টায় একবার বা দুবারের বেশী হয়না। বেশীরভাগ সময়ই শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করলে বা বিশ্রাম নিলে এটি চলে যায়।

এসব ছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা আরও অনেক ধরণের উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। গর্ভকালীন সব ধরণের উপসর্গ নিয়ে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

গর্ভধারণের এ সপ্তাহে করনীয়

আপনার প্রসব পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়া উচিত । প্রসবের সময় আপনি কি কি চান , কীভাবে এবং কোথায় ডেলিভারি করাতে চান সেটা অবশ্যই ঠিক করে ফেলা জরুরী । যদি আপনার আরো সন্তান থাকে, তাহলে আপনি না থাকা অবস্থায় তার / তাদের দেখাশুনার জন্য কে থাকবে সেটাও ঠিক করে ফেলতে হবে।

হাসপাতালে থাকার সময় নানা ধরনের খরচ হতে পারে। আর সে জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান আগেই করুন। প্রয়োজনে নিকট আত্মীয়-স্বজনকে বলে রাখুন।

আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে যাদের সঙ্গে আপনার রক্তের গ্রুপ মিলে যায় তাদের বলে রাখুন। রক্তের প্রয়োজনে তাদের ডাকার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

হাসপাতালে পৌঁছানোর রাস্তাগুলোয় মাঝে মাঝে বিভিন্ন সময়ে টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে আসতে পারেন, যাতে করে আগে থেকেই জানা থাকে কখন কোন রাস্তায় গেলে সময় কম লাগবে, আর কোন রাস্তায় একেবারেই যাওয়া যাবে না। এ কাজটি স্বাবলম্বী মা যার তেমন কোন সাপোর্ট নেই, নিজেকেই করতে হয় তার জন্য। অন্যথায় কোন গার্জিয়ান কিংবা হাসব্যান্ড করবেন ।

আগে টিটি টিকা দেয়া আছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে গর্ভাবস্থায় ২ বা ৩ ডোজ টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। গর্ভাবস্থায় টিটি টিকা কখন ও কতবার দিতে হবে তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাই এ বিষয়ে অন্য কারো কাছ থেকে পরামর্শ না নিয়ে সরাসরি আপনার ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করুন।

নিরাপদ প্রসব সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। মা হওয়ার মানসিক প্রস্তুতিও থাকা প্রয়োজন। সন্তান জন্মের পর মায়ের করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখুন গর্ভাবস্থায়ই।

বাথরুমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যে ধরনের স্যান্ডেলগুলোতে পা স্লিপ করার সামান্যতম আশঙ্কাও থাকে, সেগুলো দ্রুত বাতিল করে ‘নিরাপদ’ স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। বাথরুম যেন স্লিপারী না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

এসময় থেকে গর্ভের শিশুর নড়াচড়া খেয়াল করাটা জরুরী। প্রতিদিন কিছু সময় আলাদা রাখুন বাচ্চার নড়াচড়া বোঝার জন্য। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ ২৮ সপ্তাহ থেকে বাচ্চার মুভমেন্ট গুনতে বা কিক কাউন্ট করতে বলে থাকেন।

ভ্রূণের নড়াচড়া কিংবা কিক কাউন্টের সময় নিরবিলি ও আরামদায়ক জায়গা বেছে নিন। প্রতিদিন একই সময়ে কিক কাউন্টের চেষ্টা করুন। ভ্রূণ সাধারণত মায়ের খাওয়াদাওয়ার পর বেশি নড়াচড়া করে। তাই খাওয়ার পরের সময়ে নড়াচড়া গোনার চেষ্টা করুন। সবার জন্য শুভকামনা।

 

<<গর্ভাবস্থা – সপ্তাহ ২৯
গর্ভাবস্থা – সপ্তাহ ৩১>> 


Spread the love

Related posts

Leave a Comment