সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর উপায়ে এবং পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠার জন্য খুবই জরুরি। সিদ্ধান্ত নিতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কারণ আপনার শিশু যা সিদ্ধান্ত নিবে সেগুলোই তার ভবিষ্যতের পাথেয় নির্দেশ করবে। সন্তানকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়া শিখানোর বেশ কিছু উপকারী দিক আছে। যখন তারা একটি ভালো সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা অনেক বেশি পরিতৃপ্তি ও পূর্ণতা অর্জন করে, কারণ এটি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত। যখন তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিবে, তারা হয়তো সেটার জন্য কষ্ট পাবে, কিন্তু তারা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষালাভ করবে এবং ভবিষ্যতে আরো…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: প্যারেন্টিং
সন্তানকে সফল হতে সাহায্য করার ৭ টি বৈজ্ঞানিক উপায়
আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান সফল হোক। তবে একেক জনের কাছে সফলতার সংজ্ঞা একেক রকম। “সফল হওয়ার সুখানুভূতি এবং ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া”- মোটের ওপর সফলতা বলতে সবাই এটাই বোঝে। তবে একজন ব্যক্তির সফলতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তির ছেলেবেলা তার সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। সফল ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা করে তাদের ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো পর্যালোচনা করে অনেক সাদৃশ্যও পাওয়া গেছে। নিচে বিজ্ঞান-সম্মত পদ্ধতিতে সফল সন্তান বড় করার ৭টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো : ১। সন্তানের প্রতি ভালবাসাময়, প্রতিক্রিয়াশীল এবং সহজ হোন যে…
বিস্তারিত পড়ুনকো-প্যারেন্টিং | ডিভোর্সের পর সন্তান লালন পালন
বিবাহ বিচ্ছেদ কিংবা ডিভোর্স যে কারো জীবনের জন্য অন্যতম কঠিন একটা পরিস্থিতি। তার ওপর যদি সন্তান লালন-পালন করার দায়িত্ব থাকে তাহলে সেই পরিস্থিতি আরো কয়েকগুণ কঠিন হয়ে যায়। দাম্পত্য সঙ্গীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরেও যৌথ প্যারেন্টিঙের মাধ্যমে সন্তানকে আদর, ভালবাসা দিয়ে বড় করা নিঃসন্দেহে খুবই কঠিন একটা কাজ, তবে অসম্ভব নয়। সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের ভাল, স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকলে এবং বাবা, মা সন্তানের প্রতি সাপোর্টিভ হলে সেই সন্তান চমৎকারভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তবে সেজন্য বাবা, মাকে যে একসাথে এক ছাদের নিচেই থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তানের…
বিস্তারিত পড়ুনপ্যারালাল প্যারেন্টিং | হাই-কনফ্লিক্ট ডিভোর্সের পর সন্তান লালন পালন
ডিভোর্স কিংবা সেপারেশনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিদ্যমান তিক্ত সম্পর্কের ইতি টানা গেলেও তাদের সন্তানের জন্য সেটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু বাবা-মায়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে সন্তান হয়তো তখন ভিন্ন ভিন্ন দুই বা ততোধিক বাসায় আসা-যাওয়ার ভেতরে থাকতে বাধ্য হয়। সন্তান হয়তো কখনো বাবার সাথে আবার কখনো মায়ের সাথে গিয়ে থাকে, বাবা-মায়ের সাথে আলাদা আলাদাভাবে তারা সময় কাটায় কিন্তু সন্তানকে নিয়ে চলার পথে বাবা মা তথা সাবেক স্বামী-স্ত্রী যখন একে অন্যের মুখোমুখি হয় বা তাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন অনাকাঙ্খিতভাবে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেন জরুরী | ইমোশনাল সেইফটি
মানুষ হিসেবে আমরা সবাই কম-বেশি আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের ফিজিক্যাল সেইফটি বা শারীরিক সুরক্ষার ব্যাপারে জানি। কিন্তু ইমোশনাল সেইফটির (Emotional Safety) ব্যাপারে আমাদের কতটুকু ধারণা আছে? আমরা কি আদৌ বিষয়টা সম্পর্কে জানি বা বুঝি? চমৎকার সম্পর্কের জন্য ইমোশনাল সেইফটি বা মানসিক নিরাপত্তা থাকা খুবই জরুরি। শুধু সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য ইমোশনাল সেইফটি থাকা প্রয়োজন। নিশ্চিন্তে নিজের দুর্বলতা, ভাবনা, অনুভূতি, কষ্ট, ভয়, রাগ ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য মা, বাবা, স্ত্রী, স্বামী, সিবিলিং ইত্যাদি সম্পর্কের মানুষদের সহযোগিতা খুবই জরুরি। ইমোশনাল সেইফটি বা সাইকোলজিক্যাল সেইফটি (Psychological safety) কি অনেক সময় আমাদের মাথায়…
বিস্তারিত পড়ুনকখনো কখনো শিশুকে “না” বলা কেন জরুরী
গতানুগতিক “শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন” কথাটির বিপরীতে “না” বলুন শুনে হয়ত একটু অবাক হচ্ছেন, আবার অনেকেই উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে, তাহলে সঠিক কোনটি? আদতে শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলা অর্থাৎ ইতিবাচক থাকা ঠিক যতটা জরুরী, সঠিক সময়ে “না” বলাও ঠিক ততটাই জরুরী। কিন্তু কোন কোন বাবা মা শিশুর রাগ ও জেদের সামনে তাকে কোন বিষয়ে বারণ করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। শিশুর লালন পালনের ক্ষেত্রে এই “হ্যাঁ” এবং “না”এর দ্বৈরথ কাটিয়ে উঠে একটি ভারসাম্য যুক্ত শৈশব উপহার দেয়া প্রত্যেক বাবা মায়ের জন্য কিছুটা কঠিনই বটে। তবুও সুন্দর আগামীর জন্য এই কঠিন…
বিস্তারিত পড়ুনসন্তানের যখন একজন ফেভারিট প্যারেন্ট থাকে
একটি শিশুকে বড় করতে, লালন-পালন করতে মা-বাবাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। মা-বাবারা চান তাদের সন্তানদেরকে সমানভাবে ভালোবাসা ভাগ করে দিতে, আদর-যত্ন করতে। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় সন্তানদের কেউ কেউ হয়তো মায়ের দিকে বেশি ঝুঁকে, আবার কেউ হয়তো বাবার দিকে। যদিও প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়, কিন্তু এটি অপর প্যারেন্টের জন্য বেশ কষ্টদায়ক। আসলে এই ধরনের আচরণের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এর কারণগুলো, এরকম হলে আমাদের করণীয় কী – এই সবকিছু নিয়েই আমরা আলোচনা করবো। সন্তানের ফেভারিটিজম বা পক্ষপাতিত্বের কারণ বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের খুলশীতে…
বিস্তারিত পড়ুনবাবা মায়ের প্যারেন্টিং এর ধরণ ভিন্ন হলে কি করবেন
বাবা-মা ভিন্ন দুজন মানুষ, ভিন্ন দুটো সত্ত্বা। সন্তানকে পরামর্শ দেওয়া, ভালবাসা কিংবা শাসন করার ব্যাপারে তাদের রয়েছে নিজস্ব ভঙ্গি, নিজস্ব ভাষা। কখনো কখনো দেখা যায় বাবা-মায়ের স্বভাব সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী! একজন উত্তর মেরু তো আরেকজন দক্ষিণ মেরু! তো এরকম বিপরীতমুখী বাবা-মায়ের ভিন্ন ভিন্ন প্যারেন্টিং স্টাইল তাদের সন্তানের জন্য মঙ্গল নাকি বিপদজনক? এই প্রশ্নের জবাব অল্পকথায় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই নিচে ভিন্ন ভিন্ন প্যারেন্টিং স্টাইল ও সন্তানের ওপর সেসবের প্রভাব এবং বাবা-মায়ের করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। প্যারেন্টিং স্টাইলের প্রকারভেদ ১. অথোরিটেরিয়ান বা স্বৈরাচারী (Authoritarian Parenting) এই স্বভাবের বাবা বা মায়েরা…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর লার্নিং ডিসএবিলিটি | শেখার অক্ষমতা
বলা হয়ে থাকে, শিশুরা কোমলমতি ও ফুলের মতো নিষ্পাপ হয়। তাদের প্রাণ মাতানো, ভুবন ভুলানো হাসি ও দুরন্ত চলাফেরা আমাদের মাঝে আনন্দের খোড়াক যোগায়। কিন্তু খুবই দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে কিছু সংখ্যক শিশুকে বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা বা ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়। লার্নিং ডিসএবিলিটি বা শেখার অক্ষমতা তেমনই একটি ব্যাধি। পৃথিবীর অসংখ্য-অগনিত শিশু এই লার্নিং ডিসএবিলিটিতে ভুগছে। এই সমস্ত শিশুর পিতা-মাতারা কেন তাদের সন্তানের এমন হচ্ছে, এখন তাদের করণীয় কী – এগুলো নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন। তাদের জন্য আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি কিছুটা হলেও উপকারী হবে। লার্নিং ডিসএবিলিটি…
বিস্তারিত পড়ুনকিভাবে আপনার লাজুক সন্তানটিকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলবেন
এক মানুষ থেকে আরেক মানুষে কত পার্থক্য! চারিদিকে কত বৈচিত্রময় মানুষের আনাগোণা। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো শিশু সন্তানদের মাঝেও রয়েছে নানা রকম বৈচিত্রতা। কেউ চাপা-স্বভাবের, কেউ এক্সট্রোভার্ট, কেউ মিশুক, কেউ লাজুক ইত্যাদি। তবে যারা অতিরিক্ত লাজুক, তাদের প্রধান সমস্যা হতে পারে কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাসের অভাব। যখন কোনো শিশু লাজুক হয়, তখন সে বেশ একাকীত্বে পড়ে যায়। বাবা-মা হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব শিশু সন্তানকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। শিশুকে তার কথা শেষ করতে দিন অনেক বাবা-মা তাদের শিশুকে সাহায্য করার উদ্দেশে শিশুর কথার মাঝে নিজ থেকে কিছু বলে দেন। শিশুকে তার…
বিস্তারিত পড়ুন