মায়েদের সবচাইতে কমন প্রশ্ন হচ্ছে স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয় ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, সাধারণত ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুর নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব হয়। এই ৫ সপ্তাহের যেকোন সময়ে শিশু জন্ম নিলে তাকে স্বাভাবিক বলা যাবে। সাধারণত শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহন করে, তাহলে সে শিশুকে প্রিম্যাচিওর শিশু বলা হয় যার নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থা যদি ৪২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে তাকে দীর্ঘায়িত গর্ভাবস্থা বলা হয়। দীর্ঘায়িত গর্ভাবস্থা হলে বিভিন্ন প্রকার জটিলতার আশংকা বেড়ে যেতে…
বিস্তারিত পড়ুনYear: 2019
গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া : কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া আপনি যখন গর্ভবতী, তখন আপনার রক্তস্বল্পতা হতে পারে৷ গর্ভবতী অবস্থায়, আপনার শিশুর জন্যে এবং টিস্যুতে অধিক অক্সিজেন বহনের জন্যে যখন আপনার রক্তে যথেষ্ট সুস্থ লোহিত রক্ত কণিকা থাকে না- তখন একে রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া বলা হয়। গর্ভকালীন সময়ে আপনার শিশুর দ্রত বৃদ্ধিকে সহায়তা করতে আপনার শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী রক্ত তৈরি হতে থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনি যদি বেশী বেশী আয়রণজাতীয় খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ না করেন, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তের জন্যে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় যথেষ্ট লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে পারে না। গর্ভবতী…
বিস্তারিত পড়ুনস্বাভাবিক প্রসবে যৌনাঙ্গ ও আশপাশ ছিঁড়ে যাওয়া | পেরিনিয়াল টিয়ার (Perineal tears)
স্বাভাবিক প্রসব বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছিঁড়ে কেটে যাওয়াটা কতটা কমন ব্যাপার? আপনার শিশুর পৃথিবীতে আগমন যদি ভ্যাজাইনাল ডেলিভারির মাধ্যমে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু কাটা-ছেঁড়া হতেই পারে। আর সাধারণত এই ছেঁড়াটা পেরিনিয়াম নামক একটা অংশেই হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে আপনার যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী অংশটিকেই পেরিনিয়াম বলা হয়ে থাকে। প্রথমবার স্বাভাবিক প্রসব হওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটে থাকে। ছোটখাট কাটা ছেঁড়া থেকে শুরু করে অনেক গভীরভাবেও কেটে যেতে পারে যা কিছু কিছু পেলভিক ফ্লোর মাসলের ক্ষতি করতে পারে। এপিসিওটোমি করালে কাটাছেঁড়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং এপিসিওটোমির ফলে…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসবের পর প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা ইনকন্টিনেন্স
শিশু জন্ম দেওয়ার পরে, মায়েদের পোশাকে প্রস্রাব করা নিয়ে অনেক জোকস হয়তো আপনি শুনে থাকতে পারেন, কিন্তু প্রসবোত্তর এই প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণ বা ইনকন্টিনেন্স (Postpartum Incontinence) কি আসলেই ঠাট্টা করার মতো কোন কিছু! বেশিরভাগ মানুষই এটা ভেবে ভুল করেন যে, প্রসবোত্তর এই অনিয়ন্ত্রণটা বুঝি স্বাভাবিক কিছুই। যদিও অধিকাংশ মায়েদের ক্ষেত্রেই এটা ঘটে থাকে, কিন্তু এর মানে এই না যে, এটা স্বাভাবিক কিছু। কোন মায়ের যদি প্রসবোত্তর প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণ বা ইনকন্টিনেন্স ঘটেই থাকে, তাহলে এর চিকিৎসা সম্বন্ধেও তার সচেতন থাকা উচিত। প্রস্রাবের অনিয়ন্ত্রণটা নারীদের বেশ সিরিয়াস একটা কন্ডিশন যা সন্তান প্রসবের পরবর্তী…
বিস্তারিত পড়ুনসি সেকশন বা সিজারের পর সেরে ওঠা কেমন হতে পারে?
সি সেকশন বা সিজারের পর আমি কেমন অনুভব করবো? যে কোন নতুন মায়ের মতোই, আপনি একইসাথে উত্তেজিত এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবেন যার কারণ আপনার পাশে শুইয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু সিজারিয়ান হলে প্রসবোত্তর বিভিন্ন স্বাভাবিক জটিলতা যেমন স্তন জমাট বেধে যাওয়া, যোনীস্রাব, মুডের তারতম্য এগুলোর পাশাপাশি আপনার পেটে যে মেজর একটা অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে এবং মানিয়ে চলতে হবে। অস্ত্রোপচারের পর পর আপনার বেশ দুর্বল লাগতে পারে, বমি বমি হওয়াটাও স্বাভাবিক। বমি বমি ভাবটা অস্ত্রোপচারের ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে তবে নার্সকে জানালে তিনি…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর এটেনশন ডেফিসিট হাইপারএক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)
চারপাশের পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে এবং কি করতে হবে, কতটুকু করতে হবে – এই বিষয়গুলো যখন কোন শিশুর পক্ষে নিজে নিজে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে – এই অবস্থাকে এটেনশন ডেফিসিট হাইপারএক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি) বলা হয়। শিশুর এডিএইচডি হলে অস্থিরতা বেড়ে যায়, কোন কাজ করার সময় একটানা মনযোগ ধরে রাখা তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে। একদম শিশু বয়স থেকেই এই ডিজঅর্ডার দেখা যেতে পারে এবং তা কৈশোর এমনকি পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, শিশুর বয়স ৪ বছর হওয়ার আগে এডিএইচডি আছে কিনা তা শনাক্ত…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসব পরবর্তী কালীন সাধারণ রক্তক্ষরণ এবং স্রাব নিঃসরণ (Lochia)
প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বা রক্তস্রাব হওয়া কি স্বাভাবিক? প্রায় প্রত্যেক নারীরই সন্তান প্রসবের সময় এবং পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ বা রক্তস্রাব হয় এবং প্রসবের কয়েকদিন পর এই রক্তস্রাবের পরিমাণ বেশ বেড়ে যেতে দেখা যায়। কেননা গর্ভকালীন সময়ে শরীরের রক্ত প্রায় শতকরা পঞ্চাশ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তাই প্রসব পরবর্তী সময়ে শরীর এই অতিরিক্ত রক্তস্রাবের জন্য মোটামুটি তৈরি হয়েই থাকে। নিম্নক্ত কারণে এমনটা হয়ে থাকেঃ গর্ভ-ফুল বা প্লাসেন্টা যখন জরায়ু থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন সেই সংযুক্ত জায়গাটিতে অনেক উন্মুক্ত রক্তনালী রয়ে যায় এবং সেগুলো থেকে রক্তপাত হতে থাকে যা জরায়ুতে জমা হয়। প্রসবের…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর কৃমি হলে করনীয়
কৃমি হওয়া বলতে কি বোঝায়? এর মানে হলো আপনার শিশুর অন্ত্রে কৃমির সংক্রমণ হয়েছে। আপনার শিশু অন্য কারো মাধ্যমে, সংক্রমিত স্থানে খালি পায়ে হাটা, দূষিত পানিতে খেলাধুলা করা কিংবা অপরিষ্কার খাবার খাওয়া সহ বিভিন্ন কারণেই কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পর সেগুলো যদি শিশুর পেটের ভেতরে ডিম পাড়ে, তাহলে সেখান থেকে আরো কৃমির জন্ম হয়, সেগুলোও আরো ডিম পাড়ে এবং এই বিস্তারটি খুবই দ্রুত হয়। শিশুর কৃমির সংক্রমণ হওয়াটা কতটা স্বাভাবিক? কৃমির সংক্রমণ খুব অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয় এবং এটি ছড়ায়ও খুব দ্রুত। তবে বড় কথা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু : ঝুঁকি ও করনীয়
বর্ষাকালে এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় অন্যান্য পোকার সাথে মশার উপদ্রবটাও কিঞ্চিৎ বেড়ে যায়। যার ফলে মশা বাহিত বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু এই ধরনের সময়গুলোতে আমাদেরকে আক্রমণ করে থাকে। মশা-বাহিত বিভিন্ন রোগের মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম একটি ভয়াবহ রোগ যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এই রোগ মা এবং গর্ভের শিশুর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু কি? ডেঙ্গু হল মশা বাহিত একটি রোগ। সময়মত সুচিকিৎসা প্রদান করা না হলে প্রাণঘাতী ইনফেকশন ডেঙ্গু জ্বর আমাদের শরীরের উপরে প্রচুর প্রভাব বিস্তার করে। ডাক্তারি ভাষায় প্রাণঘাতী এই ইনফেকশনকে Dengue haemorrhagic…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর ডেঙ্গু : কারণ, লক্ষণ ও করণীয়
ডেঙ্গু জ্বর কি? ডেঙ্গু (DEN-gee) জ্বর গ্রীষ্মকালীন এক ধরণের রোগ, ভাইরাসবাহী মশার কামড়ে এই অসুখ হয় এবং মশার মাধ্যমেই এ রোগ বিস্তার লাভ করে। এই ভাইরাসের কারণে জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি এবং সারা শরীরে প্রচুর ব্যাথা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গুজ্বর তত একটা সিরিয়াস হয় না এবং এক সপ্তাহ পরে আপনা আপনিই চলে যায়। উন্নত ও শীতপ্রধান দেশগুলোতে ডেঙ্গুজ্বর খুব একটা দেখা যায় না; বরং অনুন্নত, উন্নয়নশীল এবং গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই এই রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ লোকের সাধারণ কিংবা ভয়াবহ মাত্রার ডেঙ্গুজ্বর হওয়ার…
বিস্তারিত পড়ুন