গর্ভের মোট সময় কাল বা গর্ভাবস্থার স্থায়িত্ব ধরা হয় সাধারণত ৪০ সপ্তাহ বা ২৮০ দিন বা ঌ মাস ৭ দিন৷ শেষ মাসিকের প্রথম দিনটিকে গর্ভধারনের প্রথম দিন ধরে এর পরবর্তী ৪০ সপ্তাহকে গর্ভধারণের সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে৷ তবে কিছু কিছু গর্ভাবস্থা এর চাইতে বিলম্বিত হতে পারে। প্রায় প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে এক জন ৪১ সপ্তাহ অথবা এর বেশি সময় ধরে গর্ভে থাকে।ধারণা করা হয়, ৫% থেকে ১০% নারীদের গর্ভকাল ৪২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হতে পারে। গর্ভাবস্থার স্থায়িত্ব কম বেশি হয় কেন? ডাক্তার হয়তো আপনাকে ডেলিভারির তারিখ বলে…
বিস্তারিত পড়ুনYear: 2019
সাইটোমেগালোভাইরাস (Cytomegalovirus) । গর্ভাবস্থায় কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ
সাইটোমেগালোভাইরাস (Cytomegalovirus) কি? সাইটোমেগালোভাইরাস হার্পিস ভাইরাস প্রজাতির এক ধরণের ভাইরাস। গর্ভাবস্থায় এ জাতীয় ভাইরাস শিশুকে আক্রমণ করা ঘটনা খুব বেশি ঘটে। আমেরিকান একাডেমি অফ পিডিয়াট্রিক্স এর মতে, শতকরা ১% শিশু এই ভাইরাসের ইনফেকশন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে। এ অবস্থাকে জন্মগত সিএমভি (Congenital CMV) বলা হয়। জন্মগত সিএমভি থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুর খুব বেশি একটা সমস্যা হয় না তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্মের পরপর শিশু বেশ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে দীর্ঘ মেয়াদি বিবিধ সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্যদের ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে শিশুকে সুস্থ মনে হলেও পরবর্তীতে শিশুর কানে কম কিংবা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গরম ও ঘামের কারণ ও করণীয়
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে একটি মন্তব্য হয়ত আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন, আর সেটা হল তাদের চেহারা যেন চকচক করছে! তবে চেহারার এই চকচকে ভাবের একটা মূল কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ঘাম। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ঘামানো খুবই স্বাভাবিক। ঠিক তাই, গর্ভকালীন সময়ে ঘরের অন্য সবাই যখন একদম স্বাভাবিক অবস্থায় আছে তখন আপনি যদি একটু বেশি গরম অনুভব করেন এবং একটু বেশিই ঘামানো শুরু করেন তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই, কেননা মাতৃত্ব কালীন অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কেন এই ঘাম আর কতদিন পর্যন্ত এমন হয়ে থাকে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ছাড়াও…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভকালীন সময়ে অযাচিত উপদেশ কীভাবে এড়িয়ে যাবেন?
গর্ভকালীন সময়টাতে একজন নারীকে হাজারো পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। আর এই পরিবর্তন শুধুমাত্র তার শরীরেরই হয় না বরং মানসিকভাবেও গর্ভবতী নারীকে অনেক চাপ ও পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। কেননা এই সময়টাতে একজন নারী উপলব্ধি করতে পারেন যে, তার জীবনটা পুরোপুরি পালটে যাচ্ছে এবং সবকিছু আর কখনই আগের মত থাকবে না। আর যেহেতু একজন নারী এখন মা হতে চলছেন, তাই তিনি আসলেই কি সন্তানের লালন পালন করার জন্য দক্ষ কি না অথবা তিনি আদৌ সন্তানকে স্বাভাবিক ভাবে বড় করতে পারবেন কি না, এমন হাজারো প্রশ্ন তার মনে ভিড় করতে থাকে। এই…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর ঘুমের ঘোরে হাঁটা | স্লীপ ওয়াকিং
স্লীপ ওয়াকিং বা ঘুমের ঘোরে হাঁটা কি? কম বয়সের বাচ্চাদের জন্য স্লীপ ওয়াকিং বা ঘুমের ঘোরে হাঁটা খুব সাধারণ একটি বিষয় । কৈশোর বয়সে (১৩ বছর বয়স থেকে শুরু) পদার্পণের পর থেকে স্লীপ ওয়াকিং এর সমস্যা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। সাধারণত, দেখা যায় বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ার এক-দু’ঘন্টার মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য (কয়েক সেকেন্ড থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাফেরা করছে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটছে তেমন কাউকে জাগানো সত্যি ভীষণ কষ্টসাধ্য। জেগে ওঠার পর পর সে কিছুক্ষণ ঘোরের মধ্যে থাকে। স্লীপ ওয়াকিং…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ওজন কমে গেলে করণীয় কি? | সাধারণ কারণ, উদ্বেগ এবং বিশেষ সতর্কতা
কি কি কারণে গর্ভাবস্থায় ওজন কমতে পারে, কতটুকু কমা স্বাভাবিক, ওজন কমে যাওয়ার ক্ষতিকর দিক এবং এ সমস্যা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
বিস্তারিত পড়ুনগ্রুপ বি স্ট্রেপটোকক্কাস (Group B streptococcus) | গর্ভকালীন ঝুঁকি
গর্ভাবস্থায় গ্রুপ বি স্ট্রেপ (Group B strep) এর ফলে মা এবং গর্ভের শিশুর উপর কি প্রভাব পরতে পারে এবং এর লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বিস্তারিত পড়ুননবজাতকের ওজন | স্বাভাবিক বৃদ্ধি – হ্রাস এবং শিশুর গড় ওজন
জন্মের সময় গড়ে নবজাতকের ওজন প্রায় ৭.৫ পাউন্ড (৩.৪ কেজি) হয় যদিও ৫.৮ – ১০ পাউন্ডকে (২.৬ – ৪.৫ কেজি ) শিশুর ওজনের স্বাভাবিক পরিসীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সব বাবা মায়েরাই চায় তাদের সন্তান সাধারণের মাঝে অসাধারণ হয়ে তাদের গর্বিত করুক। কিন্তু শুধুমাত্র একটা বিষয়ে তারা চায় তাদের সন্তান অন্যদের মতো সাধারণ বা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকুক। সেটা হচ্ছে “ওজন “। বাচ্চার ওজন কম হলে সে অসুস্থ নাকি আকারে ছোট সেটা নিয়ে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আবার ওজন বেশি হলে তার ওবেসিটি নিয়ে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে, আমাদের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাব জনিত রক্তস্বল্পতার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত
গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার চিকিৎসার জন্য কোন ঔষুধ ব্যবহার করা হয়? আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতার মানে শরীর আয়রনের মাত্রা কম থাকা যা শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু মহিলা গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগে থাকেন । ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ হতে পারে গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়ার সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। ঠিক কোন ডোজের ওষুধ আপনার লাগবে তা নির্ধারণ করতে হয়তোবা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, ঔষুধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত ও অপ্রীতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলার জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কোন কর্মী বা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা হতে পারে…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুকে নিজের হাতে খাওয়া শেখানো | বেবি লেড উইনিং (baby-led weaning)
আপনার শিশুর শক্ত খাবার খাওয়ার প্রথম ধাপে তার কাছে নতুন নতুন স্বাদ ও টেক্সচারের দ্বার উন্মুক্ত হয়। কিন্তু আপনি কিভাবে নির্ধারণ করবেন যে তাকে আপনি তার সলিড খাবারের সাথে কিভাবে পরিচিত করবেন? আপনি কি তাকে একটি ছোট চামচ দিয়ে দিবেন নাকি আপনার আঙ্গুলের সাহায্যে খাওয়াবেন, নাকি সে নিজেই তার ছোট হাতে নিয়ে একা একাই মুখে দিবে? স্বস্তির বিষয় হল, আমরা বোতলের দুধে সুজি বা চালের গুড়ো মিলিয়ে খাওয়ানো থেকে সরে আসছি, কিন্তু শিশুদের সলিড শুরু করার জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী উপায়সমূহ এবং শিশুকে নিজের হাতে খেতে দেয়ার ব্যাপারে এখনো শিশুদের মা-বাবা…
বিস্তারিত পড়ুন