প্রি-ম্যাচিওর শিশু । বাচ্চা যখন সময়ের আগেই জন্ম নেয়

প্রি-ম্যাচিওর শিশু । বাচ্চা যখন সময়ের আগেই জন্ম নেয়

বাচ্চা প্রি-ম্যাচিওর বলতে কি বোঝায়?  যদিও অধিকাংশ গর্ভাবস্থা ৩৭ থেকে ৪২ সপ্তাহ পর্যন্ত চলে, কোন কোন শিশুর তাড়াতাড়ি জন্ম নেয়া অস্বাভাবিক কিছু না। ৩৭ সপ্তাহের পূর্বে শিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে অকাল বা অপরিপক্ক বাচ্চা (Premature Baby) বলে ধরা হয়।অকালে শিশুর আগমন ঘটতে পারে কারণ: গর্ভফুল বা যোনীমুখে সমস্যার কারণে গর্ভে একের অধিক সন্তান থাকলে পানি ভেঙ্গে গেলে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের কারণে মায়ের কোন একটি সংক্রমন থাকলে, বিশেষ করে মুত্রথলিতে। অল্প বয়সে মাতৃত্ব কম সময়ের ব্যবধানে গর্ভধারণ মায়ের পুষ্টিহীনতা গর্ভাবস্থায় মায়ের ইনফেকশন যে সকল মহিলারা প্রসবপূর্ব সেবা নেননি তাদের…

বিস্তারিত পড়ুন

পিতৃত্ব- মাতৃত্বকালীন সময়ের শুরুতে আপনার অনুভূতি: যা সব বাবা মায়ের জানা জরুরী

পিতৃত্ব- মাতৃত্বকালীন সময়ের শুরুতে আপনার অনুভূতি

আমার মধ্যে কি হচ্ছে? বাসায় নবজাতক শিশুর সাথে থাকার সময়টা চমৎকার, কিন্তু একই সাথে শোরগলপূর্ণ এবং ক্লান্তিকর। নতুন বাচ্চার সাথে জীবনটা চাহিদাপূর্ণ ও অনিশ্চিত। নিজের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো এমনকি গোসল ও খাবার তৈরী করার সময়টুকু নিজের জন্য বের করে নেয়াও এই সময়ে কঠিন হয়ে যায়। আপনি ক্লান্ত ও মাঝে মাঝে আবিষ্ট হয়ে যাবেন। এটা মনে হতে পারে যে, আপনার নিজের উপরই নিজের নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি স্বাভাবিক। এটা সবসময় থাকবে না। ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই আপনি অনেক বেশী গোছানো হয়ে যাবেন। তিন থেকে চার মাসে সবকিছু আরো বেশী সহজ হয়ে যাবে।…

বিস্তারিত পড়ুন

০-৩ মাস বয়সী শিশুর বিকাশে যেভাবে সাহায্য করবেন

০-৩ মাস বয়সী শিশুর বিকাশ

০-৩ মাস বয়সী শিশুর বিকাশ নতুন বাবা-মা হওয়া খুবই রোমাঞ্চকর এবং কষ্টকরও। প্রথম তিন মাস আপনার শিশুর সাথে সাথে আপনিও বাড়তে ও শিখতে থাকবেন। আপনার সাথে সময় কাটানোর চাইতে অন্য কিছু আর গুরুত্বপূর্ণ নয় আপনার শিশুর কাছে। আপনি যখন আপনার শিশুকে খাওয়ান, জড়িয়ে ধরেন, তার সাথে কথা বলেন ও খেলা করেন সে-সবের মাধ্যমে আপনি তার মনে মধ্যে আত্মবিশ্বাস, কৌতূহল ও কথা বলার বোধশক্তি সৃষ্টি করেন। আপনি তাকে অনুভব করতে দেন যে সে ভালবাসার পাত্র, তার যোগ্যতা আছে, এবং তার চারিদিকে বিরাট এই পৃথিবীর মাঝে সে নিরাপদ। শিশুরা যদি কথা বলতে…

বিস্তারিত পড়ুন

স্বাভাবিক প্রসবের পর মায়ের শরীরের পরিবর্তন ও যত্ন

স্বাভাবিক প্রসবের পর মায়ের শরীরের পরিবর্তন ও যত্ন

প্রসব পরবর্তী ৬-৮ সপ্তাহ সময় একজন মায়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ের সঠিক পরিচর্যা একদিকে মাকে যেমন গর্ভ ও প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে, তেমনি মাকে এ সময়ের বিভিন্ন জটিলতা থেকে রক্ষা করে, সঠিক ভাবে বাচ্চার যত্ন নিতে ও বুকের দুধ খাওয়াতে সাহায্য করে। কিন্তু অজ্ঞতা অথবা অনিহার কারণে আমাদের দেশে মায়েদের প্রসব পরবর্তী সেবার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নেবার হার অনেক কম। প্রসব পরবর্তী যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, মায়ের স্বাস্থ্য। তিনি যেন যথাযথভাবে নবজাতকের যত্ন নিতে সক্ষম হন তা নিশ্চিত করা,…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার

প্রথমেই বলা প্রয়োজন গর্ভাবস্থা কিন্তু কোনো রোগ নয়। এটি একটি বিশেষ সময়ের শারীরিক অবস্থা। গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়ার একটি বিরাট পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাবে ত্বকেও অনেক ধরনের পরিবর্তন এবং নানা ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবারের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি থাকে, তাই সেই অনুপাতে খাওয়া-দাওয়া না করলে মায়ের ত্বকে হতে পারে বিশেষ কোনো খাদ্য উপাদানের ঘাটতিজনিত রোগ অর্থাৎ অপুষ্টিজনিত কারণেও এ সময় বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ও এ সময় পরিবর্তন হয়। ফলে বিভিন্ন জীবাণু (যেমন-ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি) সংক্রমণের দ্বারাও ত্বকে অনেক চর্মরোগ…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া। কারণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়া

গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত কেন পড়ে?  গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমাদের দেহের নাকের ভিতরের রক্ত প্রবাহের নালীটি খুবই ক্ষুদ্র এবং নাক দেহের সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল অঙ্গ। যখনই নাকের এই রক্ত প্রবাহের নালীতে কোন সমস্যা দেখা দেয় তখনই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, মাঝে মাঝে নাকের দুটো ছিদ্র দিয়েই রক্ত বের হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় নাকের ভেতরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়ে যায় এবং বর্ধিত রক্তপ্রবাহ নাকের সংবেদনশীল রক্তনালীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে যার ফলে নালীগুলো সহজে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা সমূহ

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের হিসাব মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রসবজনিত মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৭০ জন। প্রতি বছরই প্রায় ১২ হাজার নারী প্রসবজনিত জটিলতার কারণে মারা যান। গর্ভাবস্থায় নারীদের চাই বিশেষ যত্ন। মহিলাদের গর্ভধারণের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। বেশীরভাগ গর্ভাবস্থা সহজেই পার হয়ে যায়। কিন্তু জটিলতার বিপদজ্জনক উপসর্গগুলো জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় আপনি দ্রুত উদ্যোগ নিতে পারবেন। আপনার ডাক্তার,ধাত্রী বা হাসপাতালের সাথে কথা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় টিকা : কোনগুলো নিরাপদ, কোনগুলো নয়

গর্ভাবস্থায় টিকা । কোনগুলো নিরাপদ, কোনগুলো নয়

গর্ভাবস্থায় টিকা কেন জরুরী? টিকা ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়েই ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনার সন্তানটি জন্মের কয়েকমাস পরেও তার টিকা শুরু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার গর্ভের সন্তানকে গুরুতর অসুখ থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সব ধরনের টিকাই নিরাপদ নয়। টিকা সাধারণত তিন ধরণের হয় যেমন- জীবন্ত ভাইরাস, মৃত ভাইরাস এবং টক্সয়েড(ব্যাকটেরিয়া থেকে টানা রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত প্রোটিন, যা অক্ষতিকর)। গর্ভবতী মহিলাদের জীবন্ত ভাইরাসের টিকা  যেমন- হাম, মামস ও রুবেলার (MMR) টিকা ইত্যাদি…

বিস্তারিত পড়ুন

বুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানা উচিত

বুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানা উচিত

ঘুমন্ত শিশুকে জাগানো নবজাতক শিশুদের কেউ কেউ নিদ্রালু হয়। এর অর্থ হল আপনার শিশু খাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৮ বার নিজের থেকে ঘুম থেকে উঠতে পারেনা। অথবা আপনার শিশু স্তন মুখে ঢুকাতে পারে কিন্তু খাওয়া শুরু করার অল্প কিছুক্ষন পরেই সে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। যতক্ষণ না আপনার শিশু নিয়মিতভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং স্থিরভাবে তার ওজন বাড়ে, আপনাকে মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতে হতে পারে। ঘুমন্ত শিশুকে ঘুম থেকে জাগানো এবং খাওয়ানোর পরামর্শসমূহঃ খিটখিটে শিশুকে শান্ত করা শিশুরা অনেক কারণে কান্নাকাটি করে- অস্বস্তি, নিঃসঙ্গতা,…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় খাবার কিভাবে নিরাপদ রাখবেন?

গর্ভাবস্থায় খাবার কিভাবে নিরাপদ রাখবেন?

খাবার নিরাপদ রাখা যখন আপনি গর্ভবতী হন, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য বিষক্রিয়াসহ  আপনার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু কিছু জীবাণু যা হয়তো গর্ভ পূর্ববর্তী অবস্থায় পারত না, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এখন তার চেয়ে মারাত্মক অসুস্থতা তৈরী করতে পারে এবং আপনার জন্ম না নেয়া বাচ্চারও ক্ষতি করতে পারে। বিষক্রিয়া পরিহার করার কিছু উপায় এখানে দেয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করবে। ঠান্ডা রাখুন ফ্রিজ ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার নীচে রাখুন। যে খাবার ঠান্ডায় রাখা প্রয়োজন তা ফ্রিজে তৎক্ষনাত রেখে দিন। যে খাবার ফ্রিজে ছিল যদি তা দুই…

বিস্তারিত পড়ুন