গর্ভাবস্থায় এডিমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া

ইডেমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া

শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত তরল জমা  হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়াকে এডিমা বা শরীরে পানি আসা বলে। এডিমার কারণে শরীরের যেকোনো অংশ ফুলে যেতে পারে তবে হাত ও পায়ে এর প্রভাব বেশী দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ফোলা খুবই স্বাভাবিক বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতায়,  কারণ এ সময় শরীরের টিস্যুগুলো অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে। শরীরে পানি কেন আসে বা শরীর ফুলে যায় কেন? গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির কারনে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে গর্ভবতি অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে প্রায় ৫০ ভাগ বেশী রক্ত ও তরল উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত রক্ত…

বিস্তারিত পড়ুন

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Posterior placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূণের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমে হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা গর্ভের সন্তানকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পাশে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই স্থানে হয়না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। আল্ট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান সাধারণত…

বিস্তারিত পড়ুন

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Anterior Placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূনের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমেই হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা ভ্রুনকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পেছনে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই   স্থানে হয় না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। প্লাসেন্টার গঠন…

বিস্তারিত পড়ুন

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশনের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন ?

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন সে সময়টাকে বলে যখন ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ফেলপিয়ান টিউবে অবস্থান করে এবং নিষিক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।পরবতীতে তা ক্রমশঃ গর্ভাশয়ের এর দিকে অগ্রসর হয়। তার এই যাত্রাপথে যদি কোন শুক্রানু দ্বারা ডিম্বানুটি নিষিক্ত হয় তবে তা গর্ভাশয়ে গিয়ে বসে যাবে। যাকে আমরা নারীর গর্ভধারন বলি। আর যদি ডিম্বানুটি কোন পুরুষের শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হয়, তবে তা বিচূর্ন হয়ে কিছু রক্তকনিকা সহ মাসিক ঋতুচক্রের সময় নির্গত হয়ে যাবে। এসময় জরায়ুর দেয়ালও নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হওয়ার সুবিধার জন্য পুরু হয়ে ওঠে।…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৯ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৯ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৯ তম সপ্তাহে ভ্রূণটিকে “ফুল টার্ম” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৩৯ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ৪০ সপ্তাহ ৬ দিন পর্যন্ত ভ্রূণকে ফুল টার্ম ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে জন্ম নেয়া নবজাতকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচাইতে কম থাকে। ৩৯ তম সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের বারো তম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয় এবং এর অবস্থান গর্ভাবস্থার নবম মাসে। গর্ভধারণের ৩৯ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ভ্রূণের ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ৩৯ সপ্তাহেও চলমান যা তার জন্মের পরও বেশ কিছুদিন ধরে চলবে। তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এসব…

বিস্তারিত পড়ুন

সন্তান নিতে চাইলে যে ১০ টি করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত

গর্ভধারণের প্রস্তুতি

গর্ভধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। একটি সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসবের জন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মুহূর্তে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তবে শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, বাচ্চা নিতে চাইলে তার প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিৎ গর্ভধারণের আগে থেকেই। বাচ্চা নিতে চাইলে অন্তত মাস দুয়েক আগে থেকেই কিছু কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা উচিৎ। এতে করে সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভধারণ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বাচ্চা প্রসবের সম্ভাবনা অনেক গুনে বেড়ে যায়। নিচে এমনি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা কনসিভ করার আগে থেকেই করা উচিৎ। ১। বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করুন গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে সাথেই একজন বিশেষজ্ঞের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গন্ধপ্রবন হয়ে ওঠা

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গন্ধপ্রবন হয়ে ওঠা

তিন ভাগের দুই ভাগ মহিলায় বলেন তারা গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত গন্ধ প্রবন হয়ে ওঠেন বিশেষ করে প্রথম ট্রাইমেস্টারে। প্রকৃতপক্ষে এই গন্ধ প্রবন হয়ে ওঠাকেই গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আগে যেসব গন্ধ ভালো লাগতোনা তা হয়তো এ সময় আরও প্রকট হয়ে ওঠে কিন্তু যেসব গন্ধ আগে পছন্দ করতেন তাতেও হয়তো আপনার নাক কুঁচকে যাবে। সব চাইতে অবাক করা বিষয় হলো আপনি হয়তো আপনার সঙ্গীর গায়ের গন্ধও হয়তো সহ্য করতে পারবেন না। এই নতুন উপসর্গে যদি বিরক্ত হয়ে থাকেন তাহলে মনে রাখুন এটা টেম্পোরারি। গর্ভকালীন অবস্থায় শেষের দিকে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রি-টার্ম লেবার ও প্রি-টার্ম বার্থ । সময়ের আগেই প্রসব

প্রি-টার্ম লেবার

প্রি-টার্ম লেবার কি? স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা সাধারণত ৪০ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এর সময় শুরু হয় শেষ মাসিকের প্রথম দিন হতে। লেবার বা প্রসব যন্ত্রণা গর্ভাবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যাতে জরায়ুর সঙ্কোচনের ফলে Cervix বা জারায়ু মুখ পাতলা হয়ে যায় এবং খুলে যায় যার ফলে বাচ্চা বেড়িয়ে আসতে পারে। এ প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক অবস্থায় গর্ভাবস্থার ৩৭-৪২ সপ্তাহের মধ্যে হয়।যদি কোন কারণে ৩৭ সপ্তাহের আগেই গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত জরায়ু সংকোচন হতে থাকে এবং তার ফলে জরায়ু মুখ খুলে যায় তবে তাকে প্রি-টার্ম লেবার বলে। এটি প্রি-ম্যাচিউর লেবার নামেও পরিচিত। প্রি-টার্ম লেবার এর ফলে প্রি-টার্ম…

বিস্তারিত পড়ুন

সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি কি সম্ভব ?

সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি

যদি মায়ের একবার সিজারিয়ান হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা থাকে যদিও তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।এধরনের ডেলিভারিকে বলা হয় Vaginal Birth after  cesarean (VBAC)। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন মায়েদের যারা VBAC করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সফলভাবে সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়েছে। যদিও আমাদের দেশে এমন উদাহরণ খুবই কম। সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা কতটুকু তা কিভাবে বোঝা যাবে? সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি করা যাবে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলার কোন উপায় নেই। আগের গর্ভধারণে যে জটিলতার কারণে সিজারিয়ান করা হয়েছিল তা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় চেকআপ । তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থায় ডাক্তারি পরীক্ষা

সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভধারণের জন্য গর্ভাবস্থায় পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে শেষ তিন মাসে। গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে গর্ভের শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে, হাত ও পায়ের নখ গজায়, চোখের পাতা খোলা বন্ধ করা শুরু হয়। এ সময় আপনার অনেক ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। এ সময় আপনি শিশুর নড়াচড়াও অনেক বেশী টের পাবেন। আপনার গর্ভাবস্থা যদি সুস্থ স্বাভাবিক হয় তবে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ২৮-৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি দু সপ্তাহে একবার এবং ৩৬ থেকে প্রসবের আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়। আপনার যদি আগে থেকেই ধারনা থাকে ডাক্তারের সাথে…

বিস্তারিত পড়ুন