গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে সে বিষয়ে প্রচলিত ধারণা এবং বাস্তবতা

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এই নিয়ে হবু বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দিনরাত চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয়ের বেশ কিছু ধারনা এখনো আমাদের সমাজে প্রচলিত এবং খুব আশ্চর্যের বিষয় বিজ্ঞানের এ সময়ে এসেও অনেকেই তা বিশ্বাস করে চলেছেন। অনেকেই হয়তো বলবেন প্রচলিত এ ধারনাগুলো অমুকের ক্ষেত্রে মিলে গিয়েছিল। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন আপনার গর্ভের সন্তান হয় ছেলে হবে নাহয় মেয়ে। অর্থাৎ আপনি যেটাই ভবিষ্যৎবানী করেন না কেন তা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ। এর মানে হোল প্রচলিত  এসব ধারনা থেকে আপনার…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় চোখের কি কি সমস্যা হতে পারে?

গর্ভাবস্থায় চোখের সমস্যা

গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে আসে অনেক পরিবর্তন। গর্ভবস্থায় নারীদের সাধারনত ওজন বৃদ্ধি, বমি ভাব, খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন, ব্যাক পেইন, পায়ে পানি আসা সহ অনেক রকম সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু সবাই হয় তো জানে না গর্ভাবস্থায় চোখের সমস্যা ও হতে পারে। শতকরা ১৫ ভাগ গর্ভবতী মহিলায় এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে হরমোন, বিপাক, তরল ধারন এবং রক্ত প্রবাহে যেসব পরিবর্তন আসে তার সবকিছুই মায়ের চোখ এবং চোখের দৃষ্টির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- এ সময় শরীর তরল ধরে রাখে বলে মায়ের চোখের কর্নিয়ার ঘনত্ব কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। এটা যদিও…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ কি? আমাদের শরীরের দুটি কিডনি ( যেখানে মুত্র উৎপন্ন হয়) , দুটি ইউরেটার (যার মাধ্যমে মুত্র কিডনি থেকে ব্লাডারে আসে), একটি ইউরিনারি ব্লাডার বা মূত্রথলি( যেখানে মুত্র জমা হয়) এবং ইউরেথ্রা বা মূত্রনালি (যার মাধ্যমে মুত্র শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। মূত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশে জীবাণু সংক্রমণ হলে তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ বলে। কিডনি, মূত্রনালি বা মূত্রথলি অথবা একাধিক অংশে একসঙ্গে ইনফেকশন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি এ সংক্রমণ হয়, আর এর যদি চিকিৎসা না হয়, একদিকে মায়ের যেমন ক্ষতি হতে…

বিস্তারিত পড়ুন

সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি বা সারভিকাল ইনসাফিশিয়েন্সি | অসময়ে জরায়ু মুখ খুলে যাওয়া

সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি বা সারভিকাল ইনসাফিশিয়েন্সি

সারভিক্স (Cervix) কি ? সারভিক্স (Cervix) হোল জরায়ুর নীচের দিকের সরু, নলের মত অংশ যা ভ্যাজাইনা বা যোনীর সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি জরায়ুমুখ নামেও পরিচিত। যখন মেয়েরা গর্ভবতী থাকেনা তখন সারভিক্স সামান্য খোলা থাকে যাতে শুক্রাণু ভেতরে ঢুকতে পারে এবং পিরিয়ডের সময় রক্ত বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারে। যখন কেউ গর্ভধারণ করে তখন নিঃসরিত পদার্থ জমা হয় জরায়ু মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং এক ধরনের প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করে যাকে মিউকাস প্লাগ বলে। স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় তৃতীয় ট্রাইমেস্টার পর্যন্ত জরায়ু মুখ শক্ত, লম্বা এবং বন্ধ অবস্থায় থাকে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মায়ের শরীর যখন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস

মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব

মর্নিং সিকনেস কি? একে মর্নিং সিকনেস বলা হয় কেন? গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে। তবে এই নামকরণে ভুল রয়েছে বলা যেতে পারে কারণ গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব শুধু সকালবেলাতে নয়, বরং সারাদিনই থাকতে পারে কিংবা দিনের কোনো কোনো সময় অনুভূত হতে পারে । কিছু মায়েদের সকালে বমি বমিভাব খুব বেশি থাকতে পারে এবং দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা কমে আসে।আর অধিকাংশ মায়েদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা দিনভর চলতেই থাকে। লক্ষণগুলোর তীব্রতা একজন মা থেকে অন্যজনের ভিন্ন হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের প্রায় তিন চতুর্থাংশই তাদের গর্ভধারণের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন বা স্ফীত শিরা

গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন

ভেরিকোস ভেইন কি? ভেরিকোস ভেইন হোল অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যাওয়া শিরা যা চামড়ার উপর দিয়ে দেখা যায়। নীল বা বেগুনি রঙের আঁকাবাঁকা শিরাগুল সাধারণত পায়ে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায়  ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা ভ্যাজিনাল এরিয়াতেও দেখা যেতে পারে। অর্শরোগ বা Hemorrhoids একধরনের ভেরিকোস ভেইন যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হয়ে থাকে। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত ভেরিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের ফলে কোন ব্যাথা অনুভূত নাও হতে পারে আবার হাল্কা বা বেশী ব্যথাও হতে পারে আবার পা ভারী লাগতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের আশেপাশে চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে বা স্পন্দিত…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন : কারণ ও করনীয়

গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইন বা পিঠ ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইনের সমস্যায় কম বেশী সব মহিলায় ভোগেন। গর্ভাবস্থার যে কোন সময় এ উপসর্গ দেখা দিতে পারে তবে শেষের দিকে যখন গর্ভের শিশু বড় হতে থাকে তখন এ ব্যাথা বেশী দেখা যায়। গবেষনার তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৫০-৭০ ভাগ মহিলাই গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইনে ভোগেন। গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন কেন হয়? গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। কিছু কিছু মায়েরা গর্ভধারণের শুরু থেকেই এতে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যেসব মায়েদের ওজন বেশী থাকে বা গর্ভধারণের আগে থেকেই যাদের ব্যাক পেইনের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় রক্তের গ্রুপ বা রেসাস (Rh) ফ্যাক্টর কি প্রভাব ফেলতে পারে?

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর এর প্রভাব জানার আগে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক। মানুষের রক্তের ধরন সাধারনত দুটো পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়। এর একটি হোল ABO পদ্ধতি যাতে রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এগুলো হোল- A, B, AB এবং O। লোহিত রক্তকণিকায় দু ধরনের স্বতন্ত্র অ্যান্টিজেন থাকে (এক ধরনের প্রোটিন)। একটি অ্যান্টিজেনকে “A” এবং আরেকটি অ্যান্টিজেনকে “B” নামকরন করা হয়েছে। যদি রক্তের লোহিত কণিকায় A অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি থাকে তবে তাক Type-A রক্ত বলা হয়। যদি B অ্যান্টিজেন থাকে তবে Type- B, যদি দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে তবে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ- কখন স্বাভাবিক, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ বা যোনীপথে স্পটিং হওয়া স্বাভাবিক বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে। প্রতি ৪ জন মায়ের ১ জনের প্রথম ট্রাইমেস্টারের শুরুর দিকে হালকা রক্তপাত হয়। এটি কোন সমস্যার কারণ নাও হতে পারেই। কিন্তু যেহেতু রক্তপাত হওয়া অন্য আরও জটিলতার লক্ষন হতে পারে তাই এটি দেখা গেলেই দেরী না করে ডাক্তারকে জানানো উচিত যাতে তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ কোন গুরুতর সমস্যার কারণ নাও হতে পারে আবার তা কোন মারাত্মক জটিলতারও লক্ষন হতে পারে, যেমন- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, গর্ভপাত বা প্লাসেন্টা জনিত কোন সমস্যা ইত্যাদি।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব | লিউকোরিয়া

গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব

প্রত্যেকটি নারীরই বয়ঃশন্ধির এক বা দু বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা স্রাব নির্গত হতে পারে যা মেনোপজ এর পর বন্ধ হয়ে যায়। সাদা স্রাব নির্গত হওয়ার পরিমান বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হতে পারে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সাধারনত পিরিয়ডের আগে এর পরিমান বেড়ে যায়। এ স্রাব সাধারণত গন্ধবিহীন বা হাল্কা গন্ধযুক্ত, দুধের মত সাদা বা পরিষ্কার হয়ে থাকে যা লিউকোরিয়া নামেও পরিচিত। গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব নির্গত হওয়া কি স্বাভাবিক? গর্ভবতী হলে সাদা স্রাব নির্গত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অন্য সময়ের তুলনায় গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণও বেশী থাকে…

বিস্তারিত পড়ুন