গর্ভধারণের চেষ্টার পূর্বেই কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি?

গর্ভধারণ পূর্ববর্তী চেকআপ

নবজাতক শিশু খুব সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে এই পৃথিবীতে আগমন করুক এটা সব বাবা মায়েরই ইচ্ছে। আর এই ইচ্ছেটাই পূরণ করার জন্য গর্ভধারণের পূর্বেই নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আপনার উচিৎ ডাক্তারের কাছ থেকে একটা চেকআপ করিয়ে নেয়া।  গর্ভধারণের পূর্বে নিজের শরীরের প্রতি সঠিক যত্ন নেয়াটাকে, গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় ভোগার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য এক ধরনের প্রতিরোধমূলক ওষুধ হিসেবে গণ্য করুন। আর তাই যখনই আপনি গর্ভধারণ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন, ঠিক তখন থেকেই নিজের প্রতি একটু বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করুন। গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে কয়েক মাস বা বছর…

সন্তান জন্মদানের পর শারিরীক কি কি পরিবর্তন আসতে পারে ?

প্রসবের পর শারিরীক কি কি পরিবর্তন আসতে পারে

প্রসবের পর আমার জরায়ুর কেমন পরিবর্তন হবে? শিশু জন্ম নেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই জরায়ু সংকুচিত হওয়া শুরু করে, প্রসব বেদনার সময়ের মতো এর ক্রিসক্রসড ফাইবারগুলোও আঁটসাঁট হতে থাকে। এই সংকোচনের ফলে গর্ভ থেকে প্লাসেন্টাকে আলাদা করাও সহজ হয়ে পড়ে। প্লাসেন্টা বেড়িয়ে যাওয়ার পর, যে ধমনীগুলোতে প্লাসেন্টাটি সংযুক্ত ছিল, জরায়ুর সংকোচনের ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর এটা হওয়ার সময়, আপনি ক্র‍্যাম্প (আফটার-পেইন) অনুভব করতে পারেন। শিশু জন্মদানের প্রথম কয়েক দিনে আপনি জরায়ুর উপরিভাগকে আপনার নাভী বরাবর অনুভব করতে পারবেন।  এক সপ্তাহের মধ্যে, শিশু জন্ম দেওয়ার পরপর আপনার জরায়ুর ওজন যত…

সি সেকশন বা সিজারের পর সেরে ওঠা কেমন হতে পারে?

সি সেকশন বা সিজারের পর সেরে ওঠা কেমন হতে পারে?

সি সেকশন বা সিজারের পর আমি কেমন অনুভব করবো? যে কোন নতুন মায়ের মতোই, আপনি একইসাথে উত্তেজিত এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবেন যার কারণ আপনার পাশে শুইয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু সিজারিয়ান হলে প্রসবোত্তর বিভিন্ন স্বাভাবিক জটিলতা যেমন স্তন জমাট বেধে যাওয়া, যোনীস্রাব, মুডের তারতম্য এগুলোর পাশাপাশি আপনার পেটে যে মেজর একটা অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে এবং মানিয়ে চলতে হবে। অস্ত্রোপচারের পর পর আপনার বেশ দুর্বল লাগতে পারে, বমি বমি হওয়াটাও স্বাভাবিক। বমি বমি ভাবটা অস্ত্রোপচারের ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে তবে নার্সকে জানালে তিনি…

শিশুর কৃমি হলে করনীয়

শিশুর কৃমি হলে করনীয়

কৃমি হওয়া বলতে কি বোঝায়? এর মানে হলো আপনার শিশুর অন্ত্রে কৃমির সংক্রমণ হয়েছে। আপনার শিশু অন্য কারো মাধ্যমে, সংক্রমিত স্থানে খালি পায়ে হাটা, দূষিত পানিতে খেলাধুলা করা কিংবা অপরিষ্কার খাবার খাওয়া সহ বিভিন্ন কারণেই কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পর সেগুলো যদি শিশুর পেটের ভেতরে ডিম পাড়ে, তাহলে সেখান থেকে আরো কৃমির জন্ম হয়, সেগুলোও আরো ডিম পাড়ে এবং এই বিস্তারটি খুবই দ্রুত হয়। শিশুর কৃমির সংক্রমণ হওয়াটা কতটা স্বাভাবিক? কৃমির সংক্রমণ খুব অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয় এবং এটি ছড়ায়ও খুব দ্রুত। তবে বড় কথা…

ভালো ডাক্তারের ৭ টি বৈশিষ্ট্য

ভালো ডাক্তারের ৭ টি বৈশিষ্ট্য

কোন গুণগুলো থাকলে একজন ডাক্তারকে ‘ভালো’ বলা যায়? আপনি যদি এই ব্যাপারটি নিয়ে আগে খুব বেশী একটা চিন্তা না করে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন, আপনি একা নন, আপনার মতো অনেক মানুষই রয়েছে। How to Choose a Good Doctor বইয়ের লেখক সার্জন জর্জ লেমাইটর বলেন, অধিকাংশ মানুষ নিজের গাড়ি পছন্দ করতে যে সময় নেন, নিজের ডাক্তার পছন্দ করতে এর চেয়েও কম সময় নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি যখন গর্ভবতী কিংবা গর্ভবতী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন অথবা শিশুর সঠিক পরিচর্যা নিয়ে ভাবছেন, এমন সংবেদনশীল মুহুর্তে সঠিক ডাক্তার নির্বাচন করা আপনার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি…

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ। কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপ বলতে কি বোঝায়? রক্তনালী বা ধমনীর দেয়ালের বিপরীততে রক্ত প্রবাহের ধাক্কাকেই রক্তচাপ বলে। রক্ত মানুষের হৃদপিণ্ড থেকে সারা শরীরে প্রবাহিত হওয়ার জন্য এ চাপের প্রয়োজন। তবে সেটি যখন বেশি থাকে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। উচ্চ রক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ বা সিস্টোলিক ( যখন হৃদপিণ্ড সংকুচিত হয়ে ও রক্ত পাম্প করে)  এবং সর্বনিম্ন চাপ বা ডায়াস্টলিক চাপ হয় ( যখন হৃদপিণ্ড প্রসারিত হয় এবং হৃদপিণ্ড রক্ত পরিপূর্ণ হয় ) । হৃৎপিন্ডের সংকোচন প্রবণতাই রক্তচাপের…

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন এবং তা থেকে স্বস্তির উপায়

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়ার একটি বিরাট পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাবে স্তনবৃন্ত বা নিপল আকারে বড়, সংবেদনশীল এবং গাঢ় রং ধারণ করে। আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে তার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্তন অতি সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া, ব্যথা করা ও শিরশির করা। গর্ভাবস্থার তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে আপনার এই অনুভূতিগুলো শুরু হবে। গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন কেমন হতে পারে? গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারনেই স্তনের আকৃতিগত পরিবর্তন দেখা দেয়। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। ৬-৮ সপ্তাহের দিকে স্তন এর আকার বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হতে পারে যা পুরো গর্ভকালীন সময় ধরে চলে। এসময় স্তনের…

প্রসব পরবর্তী গর্ভনিরোধ বা জন্মবিরতিকরন

প্রসব পরবর্তী গর্ভনিরোধ

বাচ্চা জন্মের পর আপনার বাচ্চা কে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থাতেই বা আপনার মাসিক আবার ফিরে আসার আগেই আপনি আবার গর্ভবতী হয়ে পরতে পারেন। তাই দ্রুত বাচ্চা নিতে না চাইলে সহবাসের সময় অবশ্যই জন্ম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আপনি হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার আগে আপনার ডাক্তার আপনাকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিবেন। আবার আপনি যখন ৬ সপ্তাহ পর চেক আপ এ যাবেন তখনও এই সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে বিস্তারিত আলাপ করে নিবেন। আপনি কার্যকর গর্ভনিরোধ ব্যবহার করে একটি অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করতে পারেন। গর্ভনিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। গর্ভনিরোধের কিছু পদ্ধতি আছে যা…

গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টাজনিত কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?

প্লাসেন্টাজনিত জটিলতা

প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল কি? প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল জরায়ুর দেয়াল সংলগ্ন একটি চ্যাপ্টা ও কিছুটা গোলাকৃতির অঙ্গ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জরায়ূর ভেতরে লেগে থাকে এবং সন্তানের সাথে মায়ের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। গর্ভের শিশুর শরীর শরীরবৃত্তীয় যে সমস্ত কাজের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে না, প্লাসেন্টা সে কাজগুলি তার হয়ে করে থাকে। এটি  শিশুর নাড়ীর (আম্বিলিক্যাল কর্ড) মাধ্যমে ভ্রুনের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্য কথায় বলা যায় প্লাসেন্টা (গর্ভফুল) হলো মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা বা সাপোর্ট সিস্টেম। প্লাসেন্টা কোনো কারনে ঠিকভাবে কাজ না করলে শিশুর  স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের…

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে করণীয়

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে করণীয়

বাংলাদেশ ম্যাটার্নাল মর্টালিটি সার্ভে ২০১০ অনুযায়ী, মাতৃত্বজনিত কারণে মৃত্যুর মধ্যে ৭ শতাংশ মারা যায় দীর্ঘ প্রসব জটিলতায়, ২০ শতাংশ মারা যায় একলাম্পশিয়ায়, রক্তক্ষরণে মারা যায় ৩১ শতাংশ, গর্ভপাতে মারা যায় ১ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয় গর্ভজনিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানান জটিল কারণে। এক শতাংশ মৃত্যু কেন হয় তা নির্ণয় করা যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা আগে থেকে নির্ণয় করা সম্ভব হলে মাতৃমৃত্যূ রোধ করা সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চেকআপ বা ডাক্তারি পরীক্ষা করা। বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা চেকআপের মাধ্যমে শনাক্ত করা গেলে সময় মত ব্যবস্থা নেয়া যায়।…