গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়া বা অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড কমে যাওয়া | কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

এমনিওটিক ফ্লুইড কমে যাওয়া

অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড কি? আমরা সবাই জানি মানব শিশুর ভ্রূণ মাতৃগর্ভে পানির মত একধরনের তরলে ভেসে থাকে।এই তরলকেই বলা হয় অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড। গর্ভের এই তরল বা  ফ্লুইড গর্ভের ভ্রূণের প্রতিরক্ষা বা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের একটি অংশ। গর্ভধারণের সাধারণত ১২ দিনের মধ্যেই অ্যাম্নিওটিক স্যাক অর্থাৎ ভ্রূণের ধারক থলিটি গঠিত হওয়ার সাথে সাথেই অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড উৎপন্ন হওয়া শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে এই ফ্লুয়িড মায়ের শরীর থেকে সরবরাহকৃত পানি দ্বারা তৈরি হয়।আমরা জানি, গর্ভের ভ্রূণটি মায়ের পেটে যে থলিতে থাকে তা অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইড দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। এই ফ্লুইড ভ্রূণের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অ্যাম্নিওটিক  ফ্লুইড কিভাবে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্লাসেন্টা প্রিভিয়া কি? এর ফলে কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?

প্লাসেন্টা প্রিভিয়া

প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল জরায়ুর দেয়াল সংলগ্ন একটি চ্যাপ্টা ও কিছুটা গোলাকৃতির অঙ্গ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জরায়ূর ভেতরে লেগে থাকে এবং সন্তানের সাথে মায়ের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। গর্ভের শিশুর শরীর শরীরবৃত্তীয় যে সমস্ত কাজের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে না, প্লাসেন্টা সে কাজগুলি তার হয়ে করে থাকে। এটি  শিশুর নাড়ীর (আম্বিলিক্যাল কর্ড) মাধ্যমে ভ্রুনের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্য কথায় বলা যায় প্লাসেন্টা (গর্ভফুল) হলো মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা বা সাপোর্ট সিস্টেম। প্লাসেন্টা কোনো কারনে ঠিকভাবে কাজ না করলে শিশুর  স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  এটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা গর্ভের সন্তানকে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসবজনিত ফিস্টুলা। লুকোনো নয়, নির্মূল করা জরুরী

প্রসবজনিত ফিস্টুলা

একজন নারী পূর্ণতা লাভ করেন মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে শিশুর জন্মদান পর্যন্ত একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা ঐ নারীর জীবনে হয়ে উঠতে পারে, অভিশাপ স্বরূপ। তেমনি একটি অভিশাপের নাম ফিস্টুলা বা প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা। বাংলাদেশে আনুমানিক ৭২ হাজার নারী প্রসবজনিত ফিস্টুলায় ভুগছেন। প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা কি? যৌনাঙ্গ, মূত্রাশয় ও মলদ্বারের মাঝখানে কোনো অস্বাভাবিক পথ তৈরি হলে একে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বলে। এর ফলে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রস্রাব-পায়খানা বের হয়ে যায়। প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ভ্যাজাইনার মুখে আটকে যায় এবং তা দীর্ঘসময় আটকে থাকে…

বিস্তারিত পড়ুন

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি । সতর্কতা জরুরী

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি কি? এক্লাম্পশিয়া মূলত প্রি-এক্লাম্পশিয়ার গুরুতর অবস্থা৷ সাধারণত গর্ভধারণের ৬ মাস পর অথবা প্রসবের সময় অথবা প্রসবের কিছু সময় পর এটি হয়ে থাকে৷ তবে সহজভাবে বলা যায় যে প্রি-এক্লাম্পশিয়া রোগীদের যখন খিঁচুনি দেখা যায় তখন তাকে এক্লাম্পশিয়া বলে৷। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রসবের কাছাকাছি সময়ে এ রোগ দেখা দেয়। যেসব মায়ের আগে একবার একলাম্পশিয়া হয়েছে তাদের পরবর্তী প্রসবের সময় আবারো একলাম্পশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর যদি কোনো নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলে। পরে সমস্যাটি…

বিস্তারিত পড়ুন

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম । গর্ভধারণের আগেই সাবধানতা জরুরী

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম কি? রুবেলা একটি সংক্রামক রোগ। এটি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাস থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে। যদি আপনার রুবেলা হয় তবে আপনার শরীর খারাপ লাগতেপারে , যার সাথে গলার গ্রন্থি ফুলতে পারে এবং অল্প জ্বর বা গলা ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি ( র‍্যাশ) হতে পারে । কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে রুবেলার কোন লক্ষণই দেখা যায় না। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুটি জন্মগত জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নামে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর জন্মগত ত্রুটি | জানুন, সচেতন হোন, প্রতিরোধ করুন

শিশুর জন্মগত ত্রুটি

শিশুর জন্মগত ত্রুটি কি মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। গর্ভকালীন (Pregnancy) অবস্থার প্রথম ৩ মাসে অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটির সৃষ্টি হয়।জন্মগত ত্রুটি মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ অথবা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। জন্মের পূর্বে, জন্মের সময়, অথবা জন্মের পর যেকোন সময়ে এই ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি জন্মের প্রথম বছরের মধ্যেই দেখা যায়। কিছু ত্রুটি সহজেই চোখে ধরা পড়ে, আবার কিছু ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে। শিশুর জন্মগত ত্রুটি অল্প থেকে মারাত্মক হতে পারে। জন্মগত ত্রুটির ফলে অনেক শিশু মারাও যায়। বহু শিশু ত্রুটিযুক্ত শরীর নিয়ে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ

প্রি-একলাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গর্ভাবস্থায় উচ্চরক্ত চাপ থেকে পরবর্তীতে হার্ট ও কিডনি সমস্যার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ মহিলা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন। এ সময় গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমি: অব মারকারির চেয়ে বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় প্রি-একলাম্পশিয়া। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রি-একলাম্পশিয়া বা একলাম্পশিয়া পৃথিবীতে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রি-একলাম্পশিয়া লক্ষণ হচ্ছে ইউরিনে প্রোটিন নির্গত হওয়া উচ্চতর রক্তচাপ। গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন গর্ভাবস্থায় যাদের উচ্চ রক্তচাপ ছিল তাদের শতকরা ১২ দশমিক ৪ ভাগের কিডনির সমস্যা…

বিস্তারিত পড়ুন

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি | কারণ, লক্ষন ও করনীয়

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বা জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ কাকে বলে? গর্ভধারণের সঠিক স্থান হচ্ছে জরায়ু। স্বাভাবিক গর্ভধারণে নিষিক্ত ডিম্বকোষ গর্ভ বা জরায়ুতে স্থান নেয়। সেখানে ডিম্বকোষ বিভক্ত হওয়ার, শিশুতে পরিণত হওয়ার, শিশু বেড়ে ওঠার মতো পর্যাপ্ত জায়গা আছে।এর বাইরে যে কোন স্থানে গর্ভধারণ হলে তাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলা হয়।   ৯৭ শতাংশ একটোপিক প্রেগনেন্সি দেখা যায় ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে। এক শতাংশের কম একটোপিক প্রেগনেন্সি দেখা যায় ওভারিতে। আসলে ভ্রুণের তৈরি হয় ফেলোপিয়ান টিউবেই৷ তবে টিউবের সঙ্গে জরায়ুর যে সংযোগ রয়েছে সেই পথে কোনও কারণে সুগম না হলে ভ্রুণ জরায়ুতে যেতে পারে না৷…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভপাতের কারণ ও প্রতিকার

গর্ভপাতের কারণ ও প্রতিকার

গর্ভপাত কি? ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার পর পরবর্তী পাঁচ মাসের (২০ সপ্তাহ) মধ্যে যে কোন সময়ে প্রসবের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়াকেই মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত বলে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে স্পন্টেনিয়াস অ্যাবোরশনও বলা হয়। গর্ভধারণ করেছেন জানতে পারা মায়দের মধ্যে ১০-১৫ ভাগ মায়েদের গর্ভপাত হতে পারে। আর বেশীরভাগ গর্ভপাত হয় প্রথম ট্রাইমেস্টারে অর্থাৎ গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যে। তাই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা ১২ সপ্তাহ অবধি সময়টিকে খুব সাবধানে থাকতে বলেন। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শতকরা ১-৫ ভাগ মায়েদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা দেখা যায় যে প্রথম তিন মাসে যে বাচ্চাগুলো নষ্ট হয় বা গর্ভপাত…

বিস্তারিত পড়ুন