খুব ছোট থেকে বাচ্চাদের সাথে রিডিং টাইমটা বেশ প্রয়োজন। বাচ্চার সাথে সুন্দর সময় কাটে বাবা মায়ের, সেই সাথে নানা জিনিসের আকার, রঙ ইত্যাদী সম্পর্কে ধারণা জন্মাতে থাকে আস্তে আস্তে সাথে ভোক্যাব্যুলারী ডেভেলপ করতে থাকে। আর বিভিন্ন ওয়ার্ড আর এল্ফাবেটগুলো উচ্চারন/ধ্বনি (phonics) দিয়ে শুরু হয় পড়ালেখার প্রথম ধাপ ‘রীডিং’। আর বর্ণ বা লেটার এবং নাম্বার লেখার প্র্যাকটিস শুরু হয় পরবর্তীতে, সাধারনত ৩ বছর এর আগে না। ২ থেকে চার বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের স্বাধীনভাবে আকিবুকি বা স্ক্রিবলিং করতে উৎসাহ দেয়া উচিত। তার জন্য উপকরন হিসেবে মোটা ক্রেয়ন, চক, ওয়াশ্যাবল মার্কার, ফিংগার পেইন্ট…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: টডলারের বিকাশ
শিশুর লার্নিং ডিসএবিলিটি | শেখার অক্ষমতা
বলা হয়ে থাকে, শিশুরা কোমলমতি ও ফুলের মতো নিষ্পাপ হয়। তাদের প্রাণ মাতানো, ভুবন ভুলানো হাসি ও দুরন্ত চলাফেরা আমাদের মাঝে আনন্দের খোড়াক যোগায়। কিন্তু খুবই দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে কিছু সংখ্যক শিশুকে বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা বা ব্যাধির সম্মুখীন হতে হয়। লার্নিং ডিসএবিলিটি বা শেখার অক্ষমতা তেমনই একটি ব্যাধি। পৃথিবীর অসংখ্য-অগনিত শিশু এই লার্নিং ডিসএবিলিটিতে ভুগছে। এই সমস্ত শিশুর পিতা-মাতারা কেন তাদের সন্তানের এমন হচ্ছে, এখন তাদের করণীয় কী – এগুলো নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন। তাদের জন্য আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি কিছুটা হলেও উপকারী হবে। লার্নিং ডিসএবিলিটি…
বিস্তারিত পড়ুনসিবলিং রাইভালরি বা সহোদরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কিভাবে সামলাবেন?
মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় পার করে নিজের বাড়িতে তার আপনজনদের সাথে। পারস্পরিক ভালো বোঝাপড়া সেখানে বিদ্যমান থাকলেও মাঝে মাঝে কিছু না কিছু মনোমালিন্য ঘটেই যায়। যেখানে যথেষ্ট পরিপক্ক হওয়া সত্ত্বেও বড়রা এই ধরণের সমস্যাগুলো এড়াতে পারছেন না,সেখানে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকবে এমনটা আশা করাটা কঠিনই বটে৷ সহোদরদের এই ঝগড়া, বিবাদ, দ্বন্দ্বের ইংরেজি টার্ম হলো “সিবলিং রাইভালরি” (Sibling Rivalry)। সিবলিং-এর সংজ্ঞা যারা একই মাতা-পিতার সন্তান তাদেরকে ইংরেজিতে সিবিলিং বলা হয়। একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া ভাই-ভাই, বোন-বোন বা ভাই-বোন; সবাই সিবলিং এর আওতায় পড়ে। শুধু তা-ই নয়, সৎ…
বিস্তারিত পড়ুনডিসলেক্সিয়া (Dyslexia) কি ? কারণ, লক্ষণ ও করনীয়
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাইমারী ক্লাসের এক শিক্ষার্থী, যার নাম ছিলো বেনি (Benny)। ছোট্ট বেনির কিছুতেই স্কুলে যেতে ভালো লাগতো না, কারন সে ক্লাসের অন্য বাচ্চাদের সাথে পড়াশোনায় ঠিক তাল মেলাতে পারতো না। ক্লাস ফাইভে ওঠার পরও দেখা গেলো, পাঠ্যসূচির মূল দুটি বিষয়েই সে অনেক বেশি পিছিয়েঃ একটি হলো লেখা শেখা এবং অন্যটি রিডিং বা পঠন। স্কুলের শিক্ষকরা অনেক চেষ্টার পরও তার তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হলেন না। ক্রমাগত তাকে নিয়ে শিক্ষকদের হতাশা এবং সহপাঠীদের কৌতুকের তোড়ে বেচারা বেনি স্কুলের উপর দিন দিন আরো বেশী বিতৃষ্ণ হতে শুরু করে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ে…
বিস্তারিত পড়ুনসন্তানের প্রতি বাবা মায়ের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রভাব | প্যারেন্টাল ফেভারিটিসম
কোন সন্তানটি আপনার বেশি প্রিয়? কোন বাবা মাকে যদি এই প্রশ্ন করা হয় তবে এর তাৎক্ষনিক উত্তর হবে “কেউ না, সবাই সমান প্রিয়”। এমন বাবা মা হয় নাকি যারা তার কোন এক সন্তানকে অন্যদের চাইতে বেশি পছন্দ করবেন? বাবামায়ের কাছে তো সব সন্তানই সমান। ভালোবাসা, আদর, মমতা সবই সমান। তবে সত্যিটা হলো- এমন বাবা মা অনেকেই আছেন। আমাদের সমাজে অবধারিতভাবে এমনটা মনে করা হয় যে প্রত্যেকটা সন্তানকেই বাবা মা একই রকমভাবে পছন্দ করেন। তবে এখনকার করা অনেক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। একাধিক সন্তানের অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি ভালোলাগা, আচরণের ভিন্নতা…
বিস্তারিত পড়ুনবয়স অনুযায়ী শিশুকে ঘরের যেসব কাজে অভ্যস্ত করতে পারেন
পূর্ববর্তী আর্টিকেল থেকে আমরা মোটামুটি বুঝতে পেরেছি যে ঘরের সামান্য কিছু কাজ করার মাধ্যমে শিশু অনেক কিছু শিখতে পারবে এবং সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য এই টুকটাক কাজ খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে। এখন প্রশ্ন আসে শিশুকে কোন বয়স থেকে কাজ করতে দেয়া উচিৎ বা কাজের ধরণ কেমন হওয়া উচিত? [ আরও পড়ুনঃ ঘরের কাজে শিশুকে কেন অভ্যস্ত করবেন | কিভাবে করবেন ] কোন বয়স থেকে শিশুকে ঘরের কাজ করতে দেয়া উচিৎ? সাধারণত বেশীরভাগ বাব মা শিশুর বয়স ৮ থেকে ১০ বছর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, কেননা তারা মনে করেন যে শিশু…
বিস্তারিত পড়ুনঘরের কাজে শিশুকে কেন অভ্যস্ত করবেন | কিভাবে করবেন
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার ছোট্ট শিশুটির এখনো ঘরের কাজ করার বয়স হয়নি, এই বয়সটা শুধুমাত্র খেলার বয়স! তবে আপনি কি জানেন, এই খেলার ছলেই ঘরের টুকিটাকি কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে পারলে শিশু অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে? বড়দের করা কাজ আর শিশুদের করা কাজের মধ্যে পার্থক্য হলো একটি শিশু কখনই একদম পারফেক্ট ভাবে কোন কাজ করতে পারবে না। আর আপনার করনীয় হল, এক্ষেত্রে শিশুকে চাপ না দেয়া। শিশুকে কাজ করতে দেয়ার মানে কিন্তু এই নয় যে, আপনার ঘরের কাজে সাহায্য করা! এর মূল লক্ষ্য হলো তাকে আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাবলম্বী…
বিস্তারিত পড়ুনবাবা মায়ের ঝগড়ার কারণে সন্তানের মানসিক ক্ষতি
গবেষণায় উঠে এসেছে, সন্তানের বয়স যখন মাত্র ৬ মাস, তখন থেকেই তার ওপরে বাবা-মায়ের ঝগড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, যে সন্তানের বয়স ১৯ বছর, তার ওপরেও বাবা-মায়ের ঝগড়া উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। অনেকেরই ধারণা সন্তানের গায়ে হাত না তোলাটাই যথেষ্ট। কিন্তু এটা ভুল। কখনো কখনো মা বাবার মধ্যকার ঝগড়াও সন্তানের উপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব বাচ্চারা নিয়মিত এসব ঘটনার সম্মুখীন হয় তারা একদিকে যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তেমনি এধরনের পরিস্থিতি বাবা মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে। স্বভাবতই বাবা মা যখন রেগে থাকবে তারা হয়তো…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর মানবিক উন্নয়নের কৌশলঃ শাস্তি প্রদান না অন্য কিছু
লিখেছেন – Sharmin Shamon হেলদি প্যরেন্টিং এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বাচ্চাকে না মেরে কৌশলে সুন্দর এবং কার্যকরী পদ্ধতিতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো। মানুষ যখন নিজের উপর নিজে নিয়ন্ত্রন তৈরি করতে পারে তখন সে যেকোন খারাপ কিছু থেকেই নিজেকে দূরে রাখতে পারে। ভয়-ভীতি, মারধোর আর চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা মানুষকে সাময়িক ঠিক রাখলেও বেশিরভাগ সময়েই এর দীর্ঘমেয়াদি কোন সুফল থাকেনা। একটি অতি পরিচিত দৃশ্য কল্পনা করুন। আপনি আপনার বাচ্চাকে কিছু একটা করতে বলছেন সে করছে না, আবার কিছু একটা করতে না করছেন কিন্তু সে শুনছে না, আপনি উঠে এসে জোরে দিলেন এক থাপ্পড়!…
বিস্তারিত পড়ুনসফল মানুষের যে ছয়টি গুণাবলি আপনার শিশুর মধ্যে গড়ে তোলা উচিত।
শাসন মানেই যে শুধু খারাপ ব্যবহারের কারণে শাস্তি দেওয়া, তা কিন্তু নয়৷ আপনি ভালো আচরণের কারণে পুরষ্কৃত করুন কিংবা খারাপ ব্যাবহারের প্রতিক্রিয়া খারাপভাবে করুন বা যেভাবেই করুন না কেন, খেয়াল রাখতে হবে এর মাধ্যমে শিশুর জীবনে চলার পথে যে গুণগুলো প্রয়োজন, সেগুলো বিকাশে সহায়তা করছে কিনা।
বিস্তারিত পড়ুন