লিখেছেন – Sharmin Shamon হেলদি প্যরেন্টিং এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বাচ্চাকে না মেরে কৌশলে সুন্দর এবং কার্যকরী পদ্ধতিতে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো। মানুষ যখন নিজের উপর নিজে নিয়ন্ত্রন তৈরি করতে পারে তখন সে যেকোন খারাপ কিছু থেকেই নিজেকে দূরে রাখতে পারে। ভয়-ভীতি, মারধোর আর চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা মানুষকে সাময়িক ঠিক রাখলেও বেশিরভাগ সময়েই এর দীর্ঘমেয়াদি কোন সুফল থাকেনা। একটি অতি পরিচিত দৃশ্য কল্পনা করুন। আপনি আপনার বাচ্চাকে কিছু একটা করতে বলছেন সে করছে না, আবার কিছু একটা করতে না করছেন কিন্তু সে শুনছে না, আপনি উঠে এসে জোরে দিলেন এক থাপ্পড়!…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: টডলারের আচরণ
সফল মানুষের যে ছয়টি গুণাবলি আপনার শিশুর মধ্যে গড়ে তোলা উচিত।
শাসন মানেই যে শুধু খারাপ ব্যবহারের কারণে শাস্তি দেওয়া, তা কিন্তু নয়৷ আপনি ভালো আচরণের কারণে পুরষ্কৃত করুন কিংবা খারাপ ব্যাবহারের প্রতিক্রিয়া খারাপভাবে করুন বা যেভাবেই করুন না কেন, খেয়াল রাখতে হবে এর মাধ্যমে শিশুর জীবনে চলার পথে যে গুণগুলো প্রয়োজন, সেগুলো বিকাশে সহায়তা করছে কিনা।
বিস্তারিত পড়ুনটাইম আউট (Time Out) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানোর উপায়
শিশুর আচার আচরণ যখন হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মা-বাবার ধৈর্য্য পরীক্ষা করতে শুরু করে, তখন বেশীরভাগ মা-বাবা নিজেরাই ‘টাইম আউট’ (Time Out) প্রক্রিয়া আবিষ্কার করে ফেলেন। ধরা যাক, একজন মা তার শিশুকে মানা করলেন যাতে সে তার ভাইকে না মারে। কিন্তু শিশু তো কথা শুনবেই না। সে বারবারই মারছে, সুযোগ পেলেই মারছে, মেরেই যাচ্ছে। দু-একবার চোখ রাঙানিতেও কাজ হচ্ছে না। এমনকি কোন কারণ ছাড়াই হাসতে হাসতে মারছে। এমতাবস্থায়, এই ব্যবহারটা যে গ্রহণযোগ্য না, এটা শিশুকে বোঝানোর জন্যে অনেক মা বাবাই শিশুকে ঘরের নির্দিষ্ট একটি যায়গায় কিছুক্ষণের জন্যে…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর জন্যে নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠায় অটল ও ধারাবাহিক থাকবেন কিভাবে?
নিয়মিতভাবে শিশুর আচরণের একটা মাত্রা নির্ধারণ করা, শিশুকে দিয়ে সেগুলো পালন করানো, প্রয়োজনে বয়স উপযোগী শাস্তি প্রদান এই কাজগুলো প্রতিদিন ঠিকঠাকভাবে করা আপনার জন্যে যত কঠিনই হোক না কেন, করা উচিত। এবং নিয়মকানুনে ধারাবাহিকতা রক্ষায় যে বিষয়গুলো বার বার বাধা হয়ে আসছে সেগুলো খুঁজে বের করে কিভাবে ধারাবাহিকতা আরো বৃদ্ধি করা যায়, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিস্তারিত পড়ুনআপনার অতি দুষ্টু শিশুটিকে কিভাবে সামলাবেন?
অতি দুষ্টু বলতে এমন শিশুকে বোঝায় যার হাত ফ্রিজের উপর অব্দি পৌছে যায়। “সব শিশুরাই ‘না’ বলে, কিন্তু অতি দুষ্টু শিশুদের ‘না’টা খুব জোরালো এবং বেশ নিয়মিত। তার রাগের মুহুর্তগুলোও দীর্ঘ সময় ধরে চলে এবং খুব তীক্ষ্ণ হয়”। এমন দুষ্টু শিশুদের সামলানো বেশ খানিকটা কঠিনই বলা যায়। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে মা-শিশুর প্রতিদিনকার যুদ্ধে স্থায়ী বিরতির পাশাপাশি শিশুকে আত্ম-নিয়ন্ত্রন শেখানো সম্ভব।
বিস্তারিত পড়ুনশিশুকে কথা শোনানোর কিছু টিপস
বাচ্চারা আমাদের মতোই-তারাও সবসময় কথা শোনে না। এই বয়সে তাদেরকে আপনার শেখানো দরকার কীভাবে মনোযোগ দিতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে হয় কি, বাবা মায়েরা বাচ্চাদের একটা কথা দশবার বলেন এরপর তারা বকা দেয়া শুরু করেন। এভাবে বাচ্চারা কথা শোনা শিখে না। এতে বাচ্চা বুঝতে পারে যে সে আপনাকে প্রথম দশবার এড়িয়ে গেলেও আপনি হয়তো কিছু বলবেন না, শুধু তখনই শুনবে যখন আপনি মেজাজ হারাতে যাচ্ছেন। সন্তানকে আপনার কথা শোনানোর জন্য আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে না। নিচের কতগুলো টিপস মেনে ব্যাপারটাকে অনেকটা সহজ করতে পারেন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন যেহেতু…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর সামনে ঠিক তেমনই আচরণ করুন যা আপনি ওর কাছ থেকে দেখতে চান
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। ওদের সামনে যে যেটা করে ওরা ঠিক সেটাই অনুকরণ করে থাকে। তাই আপনি ওদের সামনে যাই করবেন খানিকক্ষণ পরে দেখবেন ওরা সেটাই করছে। খুব চাপে পরলে আপনি কি করেন, কেমন করে অন্যদের সাথে ব্যাবহার করেন, অথবা নিজের আনন্দ, রাগ কি করে প্রকাশ করেন এসব কিছুই কিন্তু আপনার ছোট্ট শিশুটি দেখছে আর শিখছে। মাটি যেমন করে পানি শুষে নেয়, আপনার শিশু ঠিক তেমন করেই আপনার যাবতীয় ব্যাবহার ওর মনের মধ্যে নিয়ে নেয়। মনোযোগ দিক বা না দিক, ও কিন্তু আপনার সব কিছুই খেয়াল করছে। শিশু দেখে, শেখে এবং…
বিস্তারিত পড়ুনদুই বছর বয়সে শিশুর অতিরিক্ত বদমেজাজ বা “টেরিবল টু” কেন হয় এবং সামলানোর টিপস
একটি শিশুর বয়স যখন ধীরে ধীরে দুই বছরের কাছাকাছি চলে আসে তখন তার অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠাটা বাবা মায়েদের জন্য প্রায় নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । তার খুব বদমেজাজ থাকতে পারে আবার খুব ছোট খাটো বিষয়ে সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারে। তবে এই বদমেজাজ শিশুর ব্যক্তিত্বে স্থায়ী আসন গেড়ে নিচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার সময় এখনো আসে নি। কেননা, ঠিক এই বয়সটাতে শিশুর একটু বদমেজাজ তার স্বাভাবিক বৃদ্ধিরই একটা অংশ।
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর শৃঙ্খলা শিক্ষার কিছু কৌশল
১-২ বছরের শিশুর কিছু আচরণগত সমস্যা এবং তা প্রতিকারের কিছু টিপস দুই বছর বয়সী শিশুদেরকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখানোর মতো কঠিন কাজ খুব কমই আছে। হয়ত এই কারণেই “দুর্ধর্ষ দুই” “terrible twos” কথাটা দেশে-বিদেশে মা-বাবাদের জন্য একটা আতংকের নাম! এই বয়সী বাচ্চারা দেখতে যতই মিষ্টি হোক না কেন এদের জেদ দেখে মাঝে মাঝে অবাকই হতে হয়। যদিও এখনো তারা তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করার উপযোগী হয়নি তারপরও তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদেরকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখানোর এটাই সেরা সময়। অন্তত শিশু মনবিদদের এমনটাই ধারণা। দুই বছর বয়সী…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর অতিরিক্ত রাগ ও বদমেজাজ (Temper Tantrum) কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
আপনি হয়ত শিশুকে নিয়ে একটা ব্যস্ত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে শপিং করতে বের হয়েছেন। আর এদিকে আপনার শিশুর নজর পড়েছে এমন একটা খেলনা দিকে যেটা এই মুহূর্তে কিনে দিতে আপনি মোটেও ইচ্ছুক নন। ঠিক এই কারণেই হুট করে আপনাকে মুখোমুখি হতে হল আপনার শিশুর বদ মেজাজের। আর এদিকে সবাই তাকিয়ে আছে একদম আপনার দিকে! এই সময়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হওয়া উচিৎ? আর কেনই বা হুট করে শিশুর মধ্যে এই মানসিক পরিবর্তন আসে? আপনি কি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? এই সমস্ত অবস্থায় পড়লে, শিশুর বদমেজাজ বা ট্যানট্রাম নিয়ন্ত্রণের জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে…
বিস্তারিত পড়ুন