Articles

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভের বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির চার্ট

গর্ভকালীন শিশুর দৈর্ঘ্য ও ওজন বৃদ্ধির চার্ট

গর্ভের শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মায়ের পেটের আকার ও বাড়তে থাকে। গড়পড়তা হিসেবে জন্মের সময় একটি শিশু ৩.৫ কেজি এবং উচ্চতায়  ৫১.২ সেমি হয়ে থাকে। গর্ভধারণের প্রত্যেক সপ্তাহে শিশুর ওজন ও উচ্চতা অল্প অল্প বাড়তে থাকবে। আমাদের নিচের চার্ট এ গর্ভধারণের অষ্টম সপ্তাহ থেকে শেষ পর্যন্ত গর্ভের বাচ্চার ওজন ও উচ্চতার একটি গড়পড়তা ধারনা দেয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন প্রত্যেকটি শিশুই আলাদা এবং প্রত্যেকটি শিশুই ভিন্ন হারে বেড়ে ওঠে। গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন- বাবা মায়ের…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসবজনিত ফিস্টুলা। লুকোনো নয়, নির্মূল করা জরুরী

প্রসবজনিত ফিস্টুলা

একজন নারী পূর্ণতা লাভ করেন মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে শিশুর জন্মদান পর্যন্ত একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা ঐ নারীর জীবনে হয়ে উঠতে পারে, অভিশাপ স্বরূপ। তেমনি একটি অভিশাপের নাম ফিস্টুলা বা প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা। বাংলাদেশে আনুমানিক ৭২ হাজার নারী প্রসবজনিত ফিস্টুলায় ভুগছেন। প্রসবজনিত (অবস্টেট্রিক) ফিস্টুলা কি? যৌনাঙ্গ, মূত্রাশয় ও মলদ্বারের মাঝখানে কোনো অস্বাভাবিক পথ তৈরি হলে একে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বলে। এর ফলে কোনোরকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রস্রাব-পায়খানা বের হয়ে যায়। প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ভ্যাজাইনার মুখে আটকে যায় এবং তা দীর্ঘসময় আটকে থাকে…

বিস্তারিত পড়ুন

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি । সতর্কতা জরুরী

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি

এক্লাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি কি? এক্লাম্পশিয়া মূলত প্রি-এক্লাম্পশিয়ার গুরুতর অবস্থা৷ সাধারণত গর্ভধারণের ৬ মাস পর অথবা প্রসবের সময় অথবা প্রসবের কিছু সময় পর এটি হয়ে থাকে৷ তবে সহজভাবে বলা যায় যে প্রি-এক্লাম্পশিয়া রোগীদের যখন খিঁচুনি দেখা যায় তখন তাকে এক্লাম্পশিয়া বলে৷। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রসবের কাছাকাছি সময়ে এ রোগ দেখা দেয়। যেসব মায়ের আগে একবার একলাম্পশিয়া হয়েছে তাদের পরবর্তী প্রসবের সময় আবারো একলাম্পশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর যদি কোনো নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলে। পরে সমস্যাটি…

বিস্তারিত পড়ুন

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম । গর্ভধারণের আগেই সাবধানতা জরুরী

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম

রুবেলা ভাইরাস বা জার্মান হাম কি? রুবেলা একটি সংক্রামক রোগ। এটি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাস থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে। যদি আপনার রুবেলা হয় তবে আপনার শরীর খারাপ লাগতেপারে , যার সাথে গলার গ্রন্থি ফুলতে পারে এবং অল্প জ্বর বা গলা ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি ( র‍্যাশ) হতে পারে । কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে রুবেলার কোন লক্ষণই দেখা যায় না। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুটি জন্মগত জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নামে…

বিস্তারিত পড়ুন

স্বাভাবিক প্রসব আরম্ভের লক্ষণ সমূহ

প্রসব আরম্ভের লক্ষন সমূহ

ডেলিভারির তারিখ খুব কাছে চলে এসেছে? তাহলে এখনই স্বাভাবিক প্রসব আরম্ভের সঠিক লক্ষণ সমূহ জেনে নিন যাতে কোন লক্ষণ দেখলে সাথে সাথে বুঝতে পারেন যে এটা প্রসবের লক্ষণ নাকি ফলস পেইন। সেই সাথে যখন সত্যিকারের প্রসব শুরু  হবে, তখনকার লক্ষণগুলিও জেনে নিন। স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ   গর্ভের মোট সময় কাল ধরা হয় সাধারণত ৪০ সপ্তাহ বা ২৮০ দিন বা ঌ মাস ৭ দিন৷ শেষ মাসিকের প্রথম দিনটিকে গর্ভধারনের প্রথম দিন ধরে প্রসবের তারিখ নির্ধারন করা হয়ে থাকে৷ যেমন – গর্ভধারণের পূর্বে শেষ মাসিকের প্রথম দিন যদি ২০…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৭ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

কিছুদিন আগেও গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহে জন্ম নেয়া শিশুদের “ফুল টার্ম” হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু এখন American College of Obstetricians and Gynecologists এটি পরিবর্তন করে ৩৯ সপ্তাহের পর জন্ম নেয়া শিশুদের “ফুল টার্ম” হিসবে বিবেচনা করছে। কারণ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ৩৯ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়া অনেক শিশুর বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। ৩৭তম সপ্তাহের পর আরো দুই সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থাকলে ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং শ্বাসযন্ত্র পুরোপুরিভাবে পরিপক্ব হওয়ার সুযোগ পায়। তাই যদি সিজারিয়ান করানোর পরিকল্পনা থাকে তবে ডাক্তাররা সাধারণত ৩৯ সপ্তাহের দিকে করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যদি না আপনার অন্য কোনো…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৬ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহে এসে আপনার মনে হতে পারে গর্ভে আর কোনো খালি জায়গা নেই। কিন্তু সত্যিটা হলো ভ্রূণের এখনো বড় হওয়া বাকি আছে। যখনই মনে হবে আর পারছেন না, তখনই নিজেকে মনে করিয়ে দিন- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্রূণ গর্ভে যতদিন থাকবে ততই তার জন্য মঙ্গল। গর্ভে থেকে সে নিজেকে বাইরের পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছে। গর্ভাবস্থার ৩৬ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের নবম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার নবম মাসে। গর্ভধারণের ৩৬ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ৩৬ তম সপ্তাহে ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেশ পরিপক্ব হয়ে ওঠে…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৫ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

প্রসব বা ডেলিভারির ডেট যত ঘনিয়ে আসে, মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটির বড় হওয়ার গতিও তত বেড়ে যায়। পরবর্তী ৩ সপ্তাহে বাচ্চার ওজন খুব দ্রুত বাড়তে থাকবে। এই পর্যায়ে বাচ্চার ওজনের যে বৃদ্ধি ঘটে, তার অধিকাংশই হলো ফ্যাট কিংবা চর্বি। বিশেষ করে বাচ্চার কাঁধে এসময় কিছু অংশে চর্বি জমে যেগুলো ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় বাচ্চাকে গর্ভ থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩৫ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের অষ্টম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে। গর্ভধারণের ৩৫ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি এপর্যায়ে মায়ের জরায়ুতে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর জন্মগত ত্রুটি | জানুন, সচেতন হোন, প্রতিরোধ করুন

শিশুর জন্মগত ত্রুটি

শিশুর জন্মগত ত্রুটি কি মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। গর্ভকালীন (Pregnancy) অবস্থার প্রথম ৩ মাসে অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটির সৃষ্টি হয়।জন্মগত ত্রুটি মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ অথবা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। জন্মের পূর্বে, জন্মের সময়, অথবা জন্মের পর যেকোন সময়ে এই ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি জন্মের প্রথম বছরের মধ্যেই দেখা যায়। কিছু ত্রুটি সহজেই চোখে ধরা পড়ে, আবার কিছু ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে। শিশুর জন্মগত ত্রুটি অল্প থেকে মারাত্মক হতে পারে। জন্মগত ত্রুটির ফলে অনেক শিশু মারাও যায়। বহু শিশু ত্রুটিযুক্ত শরীর নিয়ে…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৪ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৪ । গর্ভকালীন প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৪ তম সপ্তাহে গর্ভের ভ্রূণের শরীরের আকার আস্তে আস্তে পরিপূর্ণতা লাভ করতে থাকে। এসময় তার শরীরে বিশেষ একধরনের চর্বি জমা হতে থাকে যাকে ব্রাউন ফ্যাট বলে। এই ফ্যাট জন্মের পরও শিশুকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে কারণ সে সময় শিশু তার শরীরের তাপমাত্রা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। শিশুর জন্মের পর এই ব্রাউন ফ্যাট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তাই সে সময়টাতে তার যেন খুব বেশি গরম বা ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে আপনারই খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থার ৩৪ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের সপ্তম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার…

বিস্তারিত পড়ুন