একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সিজারিয়ান সেকশন

একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সিজারিয়ান সেকশন

লিখেছেনঃ রাবেয়া সুলতানা আমাকে অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হয়েছে, ইনায়া নাকি ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছে না! একটু আগে ডাক্তার এসে বলল ওর হার্ট রিদম নাকি ভালো যাচ্ছে না। একটা লম্বা লাইন যেটা উপরে নিচে ওঠা নামা করার কথা সেটা সোজা হয়ে যাচ্ছে। ১০২ ডিগ্রী জ্বর আর মুখে অক্সিজেন মাস্ক নেয়া আমি যেন আরো অনেকটা নিথর হয়ে গেলাম! জামির দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা কেমন ফ্যকাসে। নার্স আমাকে একবার ডান কাত একবার বাম কাত করে দেখছিল হার্ট রিদম ঠিক হয় কিনা। আমি জামিকে বললাম, আমার মা আর শাশুড়িকে ফোন দিয়ে বল ১১ বার সুরা…

বিস্তারিত পড়ুন

প্যারালাল প্যারেন্টিং | হাই-কনফ্লিক্ট ডিভোর্সের পর সন্তান লালন পালন

প্যারালাল প্যারেন্টিং

ডিভোর্স কিংবা সেপারেশনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিদ্যমান তিক্ত সম্পর্কের ইতি টানা গেলেও তাদের সন্তানের জন্য সেটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু বাবা-মায়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে সন্তান হয়তো তখন ভিন্ন ভিন্ন দুই বা ততোধিক বাসায় আসা-যাওয়ার ভেতরে থাকতে বাধ্য হয়। সন্তান হয়তো কখনো বাবার সাথে আবার কখনো মায়ের সাথে গিয়ে থাকে, বাবা-মায়ের সাথে আলাদা আলাদাভাবে তারা সময় কাটায় কিন্তু সন্তানকে নিয়ে চলার পথে বাবা মা তথা সাবেক স্বামী-স্ত্রী যখন একে অন্যের মুখোমুখি হয় বা তাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন অনাকাঙ্খিতভাবে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির…

বিস্তারিত পড়ুন

আমি কি একজন ভালো মা?

আমি কি একজন ভালো মা

লিখেছেনঃ রাবেয়া সুলতানা ডেলিভারি এর পর প্রায় মনে হত চুপ করে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। ইনায়ার বয়স যখন মাত্র ৪ দিন তখন আমি ওকে ফেলে দেশে চলে যেতে চেয়েছিলাম। এমন কোথাও যেখানে বাচ্চা সংগত কোনো দায়িত্ব থাকবেনা। ভয়াবহ মন খারাপ এক সময় রুপ নিল কান্নার। সন্ধার পর থেকে রাত ১০ টা অবধি আমার বাধভাঙ্গা সেই কান্নার সাক্ষী ছিল জামি। সে হয়ত খুব অসহায়বোধ করেছে ওই সময় টা, তা এখন আন্দাজ করতে পারি। কিন্তু সে ধৈর্য্য সহকারে তাৎখনিক কিছু স্টেপ নিয়েছিল যা আমার ওই সময়ের রেমেডি হিসেবে কাজ করেছে। আমার…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেন জরুরী | ইমোশনাল সেইফটি

শিশুর মানসিক নিরাপত্তা

মানুষ হিসেবে আমরা সবাই কম-বেশি আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের ফিজিক্যাল সেইফটি বা শারীরিক সুরক্ষার ব্যাপারে জানি। কিন্তু ইমোশনাল সেইফটির (Emotional Safety) ব্যাপারে আমাদের কতটুকু ধারণা আছে? আমরা কি আদৌ বিষয়টা সম্পর্কে জানি বা বুঝি? চমৎকার সম্পর্কের জন্য ইমোশনাল সেইফটি বা মানসিক নিরাপত্তা থাকা খুবই জরুরি। শুধু সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য ইমোশনাল সেইফটি থাকা প্রয়োজন। নিশ্চিন্তে নিজের দুর্বলতা, ভাবনা, অনুভূতি, কষ্ট, ভয়, রাগ ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য মা, বাবা, স্ত্রী, স্বামী, সিবিলিং ইত্যাদি সম্পর্কের মানুষদের সহযোগিতা খুবই জরুরি। ইমোশনাল সেইফটি বা সাইকোলজিক্যাল সেইফটি (Psychological safety) কি অনেক সময় আমাদের মাথায়…

বিস্তারিত পড়ুন

কখনো কখনো শিশুকে “না” বলা কেন জরুরী

শিশুকে “না” বলা

গতানুগতিক “শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন” কথাটির বিপরীতে “না” বলুন শুনে হয়ত একটু অবাক হচ্ছেন, আবার অনেকেই উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে, তাহলে সঠিক কোনটি? আদতে শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলা অর্থাৎ ইতিবাচক থাকা ঠিক যতটা জরুরী, সঠিক সময়ে “না” বলাও ঠিক ততটাই জরুরী। কিন্তু কোন কোন বাবা মা শিশুর রাগ ও জেদের সামনে তাকে কোন বিষয়ে বারণ করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। শিশুর লালন পালনের ক্ষেত্রে এই “হ্যাঁ” এবং “না”এর দ্বৈরথ কাটিয়ে উঠে একটি ভারসাম্য যুক্ত শৈশব উপহার দেয়া প্রত্যেক বাবা মায়ের জন্য কিছুটা কঠিনই বটে। তবুও সুন্দর আগামীর জন্য এই কঠিন…

বিস্তারিত পড়ুন