শিশুকে নিজের হাতে খাওয়া শেখানো | বেবি লেড উইনিং (baby-led weaning)

Spread the love

আপনার শিশুর শক্ত খাবার খাওয়ার প্রথম ধাপে তার কাছে নতুন নতুন স্বাদ ও টেক্সচারের দ্বার উন্মুক্ত হয়। কিন্তু আপনি কিভাবে নির্ধারণ করবেন যে তাকে আপনি তার সলিড খাবারের সাথে কিভাবে পরিচিত করবেন?

আপনি কি তাকে একটি ছোট চামচ দিয়ে দিবেন নাকি আপনার আঙ্গুলের সাহায্যে খাওয়াবেন, নাকি সে নিজেই তার ছোট হাতে নিয়ে একা একাই মুখে দিবে? 

বিজ্ঞাপণ

স্বস্তির বিষয় হল, আমরা বোতলের দুধে সুজি বা চালের গুড়ো মিলিয়ে খাওয়ানো থেকে সরে আসছি, কিন্তু  শিশুদের সলিড শুরু করার জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী উপায়সমূহ এবং শিশুকে নিজের হাতে খেতে দেয়ার ব্যাপারে এখনো শিশুদের মা-বাবা এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের মাঝে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।  

বেবি লেড উইনিং বলতে কি বুঝায়? 

বেবি লেড উইনিং (baby-led weaning বা BLW) টার্মটি স্বাস্থ্য পরিদর্শক গিল রাপলে ২০০৩ সালের দিকে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে বাচ্চার সামনে তার উপযোগী খাবার রাখা হবে যাতে সে বড়দের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও weaning শব্দের বাংলা করলে মায়ের দুধ ছাড়ানো বোঝায় কিন্তু এ শব্দটি বাচ্চাকে সলিড খাবারের সাথে পরিচয় করানোর ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়।  

এই পন্থায় বাচ্চার খাবারটি হবে নরম যা চামচের পরিবর্তে শিশু নিজ হাতে মুখে দেয়ার চেষ্টা করবে। শিশু নিজেই ধরতে পারবে এমন বিভিন্ন ধরণের ঘরোয়া খাবার শিশুর প্লেটে বা ট্রেতে রেখে দিতে হয়, যেন শিশু নিজের সুবিধামত যেভাবে এবং যেটা সে চায় সেটা নিজেই খাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।   

অনেক বাবা মা-ই কোনধরণের পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই এই পদ্ধতি অনুসরণ শুরু করেন। এটা বিশেষত দ্বিতীয় বা শেষ সন্তানের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। শিশুরা তাদের বড় ভাইবোনদের অনুকরণ করতে পছন্দ করে। তারা প্রায়ই অন্য শিশুদের প্লেট থেকে খাবার তুলে নেয়ার চেষ্টা করে, তাদের বড় ভাই বা বোন যেমন নিজে নিজে খায় ঠিক সেভাবে সেও খেতে চায়। 

আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার শিশু বেবি লেড উইনিং বা নিজ হাতে খেতে প্রস্তুত?

কিছু লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনার শিশু নিজের হাতে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত এটা বুঝতে সাহায্য করবেঃ 

  • সে কোনো ধরনের সাহায্য ছাড়াই বসতে পারে।
  • সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিহবা দিয়ে খাবার মুখ থেকে বের করে ফেলা (tongue-thrust reflex) বন্ধ করে দেয়।
  • তার হাত ও চোখের সামঞ্জস্য গঠিত হয়েছে (hand-to-eye coordination) এবং খাবার তুলে নিজের মুখে নিতে পারে
  • সে চাবাতে পারে, এমনকি যদি তার কয়েকটি দাঁত থাকে বা একটিও না থাকে 
  • যদি তার মধ্যে এমন আচরণ দেখা যায় যে সে পরিবারের সবার সাথে খাবারের সময় জয়েন করতে চাচ্ছে

ছয় মাসের আগে, শিশুরা হাত এবং চোখের সামঞ্জস্য করতে পারেনা যা নিজ হাতে খাওয়ার জন্য প্রয়োজন। তাই বাচ্চা যদি ৬ মাসের আগেই সলিড খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় তবে সে সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবেনা। এই সময় বাচ্চাকে পিউরি এবং ভালোভাবে ম্যাশ কারা খাবার আপনাকেই খাইয়ে দিতে হবে।

আমি কিভাবে বাচ্চাকে নিজ হাতে খেতে দেয়া শুরু করতে পারি? 

আপনি যদি বেবি লেড উইনিং শুরু করে চান, তাহলে আপনার শিশুকে তার বয়সের উপযুক্ত কিছু পুষ্টিকর ফিঙ্গার ফুডস (finger foods) দিন। এটা করার সবচেয়ে ভাল সময় হল যখন আপনি এবং পরিবারের সবাই খেতে বসবেন।  খাবারের সময় তাকে সাথে নেয়া একটি ভাল উপায় হিসেবে কাজ করে।  

ছোট শিশুদের জন্য  সবচেয়ে সহজসাধ্য ফিঙ্গার ফুডস (finger foods) গুলো হওয়া উচিত চিপস আকৃতির, বা এগুলো যেন সে সহজে তার মুঠোতে ধরতে পারে – যেমন বান্না করা ব্রকলির টুকরো। কারণ আপনার শিশু যখন প্রথম শক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবে তখন তার পিন্সার গ্রিপ (pincer grip) ততটা উন্নত হয় নি। অর্থাৎ সে বৃদ্ধাআঙ্গুল ও তর্জনী ব্যবহার করে খাবার তোলা শিখেনি। এটা সে পরবর্তী  কয়েক মাসের মধ্যে শিখে ফেলবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত সে হাতের মুষ্টিতে ধরা যায় এমন খাদ্য শুধু ধরতে পারবে। 

প্রথম প্রথম আপনার শিশু হয়তো খাবার নিয়ে শুধু খেলবে। সে খাবারের টুকরা হাতের মুষ্টিতে নিয়ে চোষা শুরু করতে পারে। এসময়গুলোতে সলিড খাবার খাওয়ানোর সময় আপনার শিশুকে বুকের দুধ অথবা ফর্মুলা মিল্ক দেয়া চালিয়ে যান। যখনই আপনার শিশু ধীরে ধীরে বেশি করে সলিড খাবার খাওয়া শুরু করবে, বুকের দুধ বা ফর্মুলা খাওয়ার পরিমাণ এমনিতেই কমে আসবে। 

বাচ্চা নিজে নিজে খেতে শুরু করলে ওর জন্য একটি হাই ফিডিং চেয়ার কিনুন। এছাড়াও প্রয়োজন হবে বেশ কিছু প্লাস্টিকের গ্লাস, প্লেট যা সহজেই ধোঁয়া যায়। বাচ্চাকে চেয়ারে বসিয়ে চারদিকে আটকে দিন যেন পরে না যায়। সামনে ট্রেতে খাবার দিলে ও নিজের মতো করে খাওয়ার চেষ্টা করবে।

বাচ্চা প্রথম খাওয়া শুরু করলে তা কোনভাবেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ব্যাপার হবে না। না হোক, আপনার একটু কষ্ট হলেও ওকে স্বাধীনভাবে খেতে দিন। এতে খাওয়ার প্রতি ওর আগ্রহ বাড়বে ও তাড়াতাড়ি খেতেও শিখবে।

শিশুর নিজ হাতে খাওয়ার সুবিধাসমূহ কি কি? 

যে সকল মা বাবারা বেবি লেড উইনিং পদ্ধতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তারা সাধারণত এটার সুবিধা সম্পর্কে  বেশ আবেগপ্রবন । তারা বলেন তাদের বাচ্চারা সব কিছুই খাবে। এরকম ইতিবাচক ধারণা নিয়ে চেষ্টা করলে সলিড খাবার খাওয়া শুরুর ভয়টা কাটিয়ে উঠা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু বেবি লেড উইনিং -এর ব্যাপারে অনেক ইতিবাচক কথা শোনা গেলেও, এর পক্ষে তেমন কোন গবেষণা এখন পর্যন্ত করা হয়নি।

তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুদের প্রথম থেকেই নিজ হাতে খেতে দেয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা হয় তারা-

  • খাবারের সময় পরিবারের সাথে যোগদান করে
  • শুরু থেকেই পরিবারে অন্যরা যা খায় সে সব খাবার খেতে কোন আপত্তি করেনা।

আরেকটি গবেষণায় জানা গেছে যে বেবি লেড উইনিং শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে উৎসাহিত করে, যা কম বয়সে মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। 

এই পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হোল এভাবে বাচ্চা তার ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাবে। বাবা মায়েরা বাচ্চাদের খাওয়ালে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় বাচ্চা আর খেতে না চাইলেও তারা দু এক চামচ জোড় করে বাচ্চার মুখে ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে নিয়মিত চলতে থাকলে সেটা বাচ্চার অভ্যাস হয়ে যায় এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়াটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। যেটা আজকাল ওবেসিটির প্রধান কারণ।

বেবি লেড উইনিং বাচ্চার মোটর স্কিল, হ্যান্ড টু আই কোঅরডিনেশন, খাবার চাবানোর দক্ষতা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি গড়ে তুলতেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।

আমরা ভাল করেই জানি যে, যতদিন না আপনার শিশু শক্ত খাবার খাওয়ার পুরোপুরি উপযোগী হয়, তাকে খাবারের নরম মণ্ড বানিয়ে দেয়া জরুরী। যেসব শিশুদের অনেকদিন ধরে  এমন নরম খাবার দেয়া হয়, প্রায় ১০ মাস বয়স পার হবার পর, তারা সাধারণত ঐ সময়ে আর সেগুলো খেতে চায় না। এমনকি তারা বেড়ে উঠার সময়কালে নতুন টেক্সচার ও স্বাদের ব্যাপারেও কম আগ্রহী হয়।  

বিজ্ঞাপণ

বেবি লেড উইনিং আপনার সময়ও বাঁচিয়ে দিবে। কারণ আপনাকে তখন আর শিশুর জন্য আলাদা করে খাবার তৈরিতে সময় ব্যয় করতে হবে না। 

বেবি লেড উইনিং -এর কোন নেতিবাচক  দিক আছে কি? 

যারা বিএলডব্লিউ এর বিশাল ফ্যান তারাও এ বিষয়ে একমত যে এই পদ্ধতি অনেক অগোছালো, এবং এর দ্বারা অনেক বেশি খাবার অপচয় হয়। যদি আপনার শিশুর বেশিরভাগ খাবারই মাটিতে পড়ে যায়, হয়তো সে তার খাবার থেকে খুব সীমিত পরিমাণই পুষ্টি পাবে।  

শিশুদের জন্য কিছু কিছু ফিঙ্গার ফুডস চাবানো কষ্টকর হতে পারে, যেমন ভাল ভাবে রান্না করা মাংস, এটি আয়রনের একটি ভাল উৎস। ছয় মাস থেকে, আপনার শিশুর খাবারে আয়রনের পরিমাণ বাড়ানো দরকার, যেহেতু শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ থেকে পাওয়া আয়রন তখন তার জন্য পর্যাপ্ত হয় না। 

শিশুদেরকে নিজের হাতে খেতে দিলে তারা খুব ধীর গতিতে খেতে থাকে, এতে বাবা-মায়ের ধৈর্য ধরে খাওয়ানো শিখাতে হবে।

আপনি যদি শিশুকে চামচ দিয়ে খাওয়ান তাহলে সে কতটুকু খাচ্ছে তা আপনি সহজেই দেখতে পাবেন। ছয় মাসের মধ্যে, শিশুরা চুষে খাওয়ার পরিবর্তে, তাদের উপরের ঠোঁট ব্যবহার করে চামচ থেকে খাবার নিতে পারে। আট মাস বয়সে, শিশুরা খাবারের পিণ্ড চাবাতে ও গিলতে পারে।  

তাই এই পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হল শিশুদের প্রথম দিকে ভালোভাবে ম্যাশ করা খাবার আপনার নিজ হাতে খাওয়ান এবং সাথে সাথে ফিঙ্গার ফুডস তাকে নিজে খেতে দেয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাই এটা সুপারিশ করে। 

খাদ্যবিদরাও আপনার শিশুর জন্য পিচ্ছিল খাবার এবং ফিঙ্গার ফুডসসহ, বিভিন্ন টেক্সচারের খাদ্য দেয়া দরকারী মনে করে। 

নিজের হাতে খাওয়ার ফলে আমার শিশুর কি শ্বাসরোধ হবার সম্ভাবনা থাকে? 

শক্ত খাবার গিলে খাওয়ার চেষ্টা করলে আপনার শিশুর শ্বাসরোধ বা কণ্ঠরোধ হতে পারে – এধরণের আশঙ্কায় থাকা বাবা মার জন্য স্বাভাবিক। তবে অনেকের মতে, শিশু যখন সোজা হয়ে বসতে পারে, তাদের কোন সমস্যা হবার কথা ন্য। 

যেহেতু এই পদ্ধতিতে বাচ্চারা তাদের খাবার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং শুধুমাত্র যখন তারা বুঝতে পারে যে তারা গিলতে পারবে তখনি মুখের ভিতরে নেয়, তাই শ্বাসরোধের ঝুঁকি কম থাকে।

তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, খাবার খাওয়ার সময় শিশুদের একা রেখে যাওয়া উচিত নয়। আপনার শিশু বড় না হওয়া পর্যন্ত তাকে নরম খাবার দিন এবং শক্ত খাবার, যেমন, কাঁচা আপেলের টুকরো দেয়া থেকে বিরত থাকুন। 

যাই হোক, আপনি যেভাবেই শিশুকে খাওয়ান না কেন, এটা জেনে রাখা ভাল যে যদি কোনকিছু আপনার শিশুর গলায় আটকে যায় তাহলে কি করতে হবে। এই বিষয়ে জানতে পড়ুন –

কখন বেবি লেড উইনিং পন্থা অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকা উচিত? 

যদি নিচের যেকোনোটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তাহলে বেবি লেড উইনিং পন্থা অবলম্বনের আগে আপনার স্বাস্থ্য পরিদর্শক বা জেনারেল প্র্যাক্টিশনার (জিপি) -এর সাথে কথা বলুনঃ

  • আপনাদের বংশগত অ্যালার্জি, হজম জনিত সমস্যা, অথবা খাদ্যে অনীহা – এসব থেকে থাকলে
  • আপনার শিশুর বিশেষ চাহিদা রয়েছে এবং ভালভাবে চাবাতে পারেনা অথবা খাবার তুলতে এবং মুখে নিয়ে নাড়াতে সমস্যা হয়
  • বাচ্চা যদি প্রি-ম্যাচিওর হয়ে থাকে।

বেবি লেড উইনিং এবং চামচ বা আপনার হাতে খাওয়ানো একসাথে করা যাবে?

অনেক শিশুরা দ্রুত এবং সহজেই নিজের হাতে খাওয়া শিখে যায় – তারা ঐ সময়টাতে  চামচ দিয়ে খেতে চায় না, সুতরাং তাদেরকে নিজ হাতে খেতে দেয়া যুক্তিসঙ্গত ।

বিজ্ঞাপণ

কিন্তু অন্য শিশুরা যাদের মোটর স্কিল ধীরে ধীরে বিকশিত হয়, তারা নিজে নিজে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য খেতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের বয়স ছয় মাসের অনেক বেশি হয়।

যাই হোক, একবার আপনার শিশু ছয় মাস বয়সী হয়ে গেলেই তার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যেমন, আয়রন, সম্পূর্ণভাবে মায়ের বুকের দুধ বা শুধু ফর্মুলা মিল্ক থেকে পাওয়া যায় না। এজন্য পুষ্টিকর খাদ্য যেমন মুরগী বা গরুর মাংস চটকিয়ে খাওয়ানো জরুরী হয়ে যায়। স্বভাবতই, কিছু কিছু শিশু খাবারের বড় টুকরোর সাথে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না এবং ফলশ্রুতিতে তাদের জন্য দুধ থেকে শক্ত খাবারের এই যাত্রা আরো ধীর গতির হওয়া উচিত। 

এক দিকে যেমন অনেক মা বাবা শুধু চামচ দিয়ে খাইয়ে সফল হয়েছে, আরেক দিকে কিছু মা বাবা শিশুকে একা খেতে দেয়ার অভ্যাস গড়ার মধ্যে সফলতা দেখেছেন। তবে দুই ধরণের মিলিত প্রচেষ্টা প্রায় অধিকাংশ পরিবারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রমাণিত হয়েছে। 

আসল কথা হল, বাচ্চার সলিড শুরু করার জন্য কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতিকে ঠিক বেঠিক বলা চলে না। অনেক শিশু নরম করে দেয়া খাবার খেতে চায়, অনেকে ফিঙ্গার ফুডস এবং অনেকে দুইভাবেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

কোন একটি বিশেষ খাবারের পদ্ধতির উপর নির্ভর না করে, খাওয়ানোর ধরণের পরিবর্তন করতে থাকা উচিত, এবং এক্ষেত্রে আপনার অনুভূতি এবং শিশুর বেড়ে উঠার নিদর্শন গুলো খেয়াল রাখা দরকার।

সবার জন্য শুভকামনা। 


Spread the love

Related posts

Leave a Comment