সারাবিশ্বে পাইলস বা হেমোরয়েডস একটি সাধারণ রোগ। আমাদের দেশে এটি অর্শ্বরোগ নামেও পরিচিত। সাধারণ মানুষের তো বটেই, প্রেগ্নেন্সির সময়েও পাইলস দেখা দিতে পারে। এর পরিমাণও কম নয়। শতকরা ৫০% এর বেশি মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় পাইলস দেখা দেয়।
যেহেতু তাৎক্ষণিক কোন সমাধান নেই এই রোগের, তাই মায়েরা যথেষ্ট বিপাকে পড়ে যান। তবে ভয়ের কিছু নেই, এই রোগে গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি হয়না। ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়েও আপনি এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় পাইলসের আদ্যেপান্ত!
পাইলস কি?
পাইলস হল মলাশয় সংলগ্ন স্থানে স্ফীত বা বর্ধিত আকারের শিরার উপস্থিতি। এটি দেখতে মার্বেল বা আংগুরের থোকার মত হওয়ায় এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। পাইলসে চাপ বাড়লে রক্তপাত ঘটে। এটি সাধারণত মলাশয়ের ভিতরেই হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটি বেরিয়ে আসতে পারে।
পাইলস যদি বেশি ফুলে যায় এবং মলদ্বারের বাইরে বেরিয়ে আসে তবে তাতে প্রচণ্ড ব্যাথা হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় এমনটা খুব বেশি একটা দেখা যায়না।
গর্ভাবস্থায় পাইলসের ঝুঁকি কখন বেড়ে যায়?
পাইলস সাধারণত দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে। তবে এই রোগের ঝুকিপূর্ণ সময়টুকু হল তৃতীয় ট্রাইমেস্টার।কখনোবা বাচ্চা প্রসবের সময়ে উদ্ভুত জটিলতায় প্রসবের পরও পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেকেই গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত পাইলসের সমস্যায় আক্রান্ত হন। তবে যদি গর্ভাবস্থার আগে কারো এই সমস্যা থেকে থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর আবার পাইলস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
গর্ভাবস্থায় পাইলস কেন হয়?
গর্ভকালীন সময় মায়ের বর্ধিত জরায়ু, প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, এসব কিছুকেই পাইলস হওয়ার জন্য দায়ী করা যায়।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর সাথে প্রজেস্টেরন হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ মায়ের রক্তনালীর দেয়ালগুলোকে শিথিল করে দেয় যাতে শিরাগুলো এই অতিরিক্ত রক্ত বহন করতে পারে।
অন্যদিকে মায়ের জরায়ুর আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে জরায়ুর নিচে থাকা পেলভিক শিরাগুলোর উপর এবং শরীরের ডান দিকে থাকে ইনফেরিয়র ভেনা কাভার ( যে শিরাটি শরীরের নিম্নাংশ থেকে রক্ত হৃদপিণ্ডের দিকে পরিবহন করে) উপর চাপ বাড়তে থাকে। জরায়ুর চাপে এই শিরাগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে শিরাগুলোতে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং ফুলে যায়। ফলস্বরূপ দেখা দেয় পাইলস।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও পাইলস হতে পারে বা পাইলসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এসময় প্রজেস্টেরন হরমোনের কারণে মায়ের হজম ধীরগতির হয়ে যায় বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় গর্ভাবস্থায় নেয়া আয়রন সাপ্লিমেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পাইলসের লক্ষণ
পাইলস সাধারণত দুধরনের হয়। আভ্যন্তরীণ পাইলস ( Internal Piles) যা শরীরের ভেতরে থাকে, এবং বাহ্যিক পাইলস (External Piles) শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে।
পাইলসের ধরনের উপর নির্ভর করে এর লক্ষণগুলো ভিন্ন হতে পারে।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণ গুলো হলো-
- পায়ুপথে চুলকানি
- পায়ুপথের আশেপাশে ফুলে যাওয়া
- মলত্যাগের সময় মলদ্বারে অস্বস্তি ও ব্যাথা অনুভব হওয়া, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া। এক্ষেত্রে রক্ত উজ্জ্বল লাল রংয়ের হয়।
- ব্যাথাহীন রক্তপাতও হতে পারে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে মলত্যাগের সময় শরীরের ভেতরে থাকা পাইলস বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
- মলত্যাগের পর মিউকাস নির্গত হয়।
- পায়ুপথের আশেপাশে পিন্ডের উপস্থিতি বোধ করা।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো সাধারণত বাহ্যিক পাইলসের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। আভ্যন্তরীণ পাইলস হলে মা কোন লক্ষণ অনুভব নাও করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কখনো কখনো হালকা অস্বস্তি এবং রক্তপাত হতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া মানেই পাইলস। ধারণাটি ভুল। অ্যানাল ফিশার সহ আরো বিভিন্ন কারণে রক্ত যেতে পারে পায়ুপথে। অতএব, উপসর্গ কেমন সেটা খেয়াল রাখা জরুরী।
কখনো কখনো বাহ্যিক পাইলসে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এই ধরণের উপসর্গকে থ্রম্বোজড হেমোরয়েড (thrombosed hemorrhoid) বলে। এগুলো অনেক শক্ত হয় এবং অনেক ব্যথা থাকে।
গর্ভাবস্থায় পাইলস হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় যদি পাইলস হয়ে যায় তবে নিম্নলিখিত কিছু উপায়ে তা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন –
খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনুন
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন
- গমের রুটি
- শাকসব্জি
- ফলমূল
- প্রচুর পরিমাণ পানি
এইধরণের খাদ্যাভাসের মূল উদ্দেশ্য হল আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ। বাড়তি ফলমূল ও শাকসব্জি আঁশের চাহিদা পূরণ করে। এর ফলে পায়খানা নরম হয়। মলত্যাগের ক্ষেত্রে চাপ কমে যায়।
দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন করুন
অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার মত কোন কাজ করবেন না। এটি মলদ্বারে চাপ তৈরী করে পাইলসের সমস্যা বাড়িতে দেয়। প্রতি ঘন্টায় কিছুক্ষণের বিরতি নিয়ে হাটাহাটি করুন, যেটি আপনার পাইলসের স্থানে রক্ত সংবহন বাড়াতে সাহায্য করবে।
বসতে খুব বেশি সমস্যা হলে বালিশ ব্যাবহার করুন। পাইলসের রোগীদের জন্য বিশেষ ধরণের বালিশ কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
শোয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। বাম পাশ ফিরে ঘুমান। এতে ইনফেরিয়র ভেনা কাভাতে চাপ কমবে। এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
মলত্যাগের বেগ আসলে চেপে রাখবেন না। আবার টয়লেটে দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। মলত্যাগের সময় মলাশয়ে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। তাতে পাইলসের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন নিজেকে। মলত্যাগের পর অতিরিক্ত জোরে মুছবেন না। হাল্কাভাবে পরিষ্কার করে নিন। পাইলসে সংক্রমণজনিত জটিলতা থেকে মুক্ত রাখতে পরিষ্কার থাকা জরুরী।টিস্যু পেপার ব্যাবহার করতে হলে সুগন্ধিমুক্ত হালকা ভেজা টিস্যু ব্যাবহার করুন।
পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা
বরফ পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পাইলসের স্থানে লাগাতে পারেন। ব্যাথা কমানোর ক্ষেত্রে এটি আরামদায়ক পদ্ধতি।আইস প্যাক ব্যাবহার করতে পারেন। এটি পাইলসের ফোলা কমাবে। দিনে তিন থেকে চারবার করতে পারেন ১০ মিনিট করে।
টাবভর্তি কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ভালো ফল পেতে পারেন। এটি আপনার আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখবে। যদি বাথটাব না থাকে তাহলে সিটজ বাথ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি বেসিন আকৃতির পাত্র যা সহজেই আপনার টয়লেটে স্থাপন করতে পারেন। এটি পাইলসের স্থান হাল্কা ডুবিয়ে রাখার জন্য বেশ উপযোগী। এক্ষেত্রে পানির সাথে সাবান যুক্ত করবেন না।
এভাবে প্রথমে ঠাণ্ডা এবং এরপর গরম পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করে অনুসরণ করতে পারেন।
মলত্যাগের সময় কখনো কখনো ভেতরে থাকা পাইলস বেরিয়ে আসতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পরিষ্কার আঙ্গুলের সাহায্যে তা আবার ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে দিতে পারেন।
ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ, ব্যাথানাশক ঔষধ, রেক্টাল সাপোজিটরি, বিভিন্ন অয়েন্টমেন্ট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবহার করতে পারেন। মল নরম করার ওষুধ ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারকে জানাতে হবে যে আপনি গর্ভবতী। কারণ সব ধরণের ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থায় ইসবগুল খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়েও আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।
অনেক মহিলা উইচ হ্যাজেল প্যাড ব্যাবহার করে পাইলসের ক্ষেত্রে উপকার পেয়েছেন। এটি চুলকানী ও জ্বলুনী প্রতিরোধ করে।
গর্ভাবস্থায় পাইলস প্রতিরোধে কি করা যেতে পারে
এক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হল কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকা।আঁশজাতীয় খাবার বেশি করে খান। ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খেলে এই চাহিদা পূরণ হবে। আঁশজাতীয় খাবার( পায়খানাকে) নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। দৈনিক ২৫ -৩০ গ্রাম আঁশের চাহিদা পূরণ করা জরুরী।
চা, কফি, কোলা পান করা কমিয়ে দিন। ফ্রাই করা খাবার, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন।প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দিনে অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানি পানের চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থার উপযোগী হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন।গর্ভাবস্থায় কেগেল ব্যায়াম খুব উপকারী। এই ব্যায়াম মলদ্বারের আশপাশের পেশীগুলোকে মজবুত করে এবং এসব স্থানে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে যা পাইলস প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
মলত্যাগের চাপ আসলে চেপে রাখবেন না আবার প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময় টয়লেটে বসে থাকবেন না। কারণ এতে মলদ্বারে অতিরিক চাপ পড়তে পারে।
খুব বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না। যদি বসে কাজ করতে হয় তবে কিছু সময় পর পর একটু হেঁটে নিন। টিভি দেখার সময়, বই পড়ার সময় বা ঘুমানোর সময় পাশ ফিরে শোন। এতে শরীরের নিম্নাংশের শিরাগুলোতে চাপ কম পড়বে এবং রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে।
যদি আয়রন সাপ্লিমেন্টের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তবে ডাক্তারের সাথে কথা বলে সাপ্লিমেন্টের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আয়রন গ্রহণ বন্ধ করবেন না।
কখন ডাক্তারকে জানাতে হবে
প্রথমত পায়খানার সাথে রক্ত গেলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। রক্তপাত কি কারণে হচ্ছে তা জানা জরুরী। পাইলসের সমস্যা নির্ণয়ের পর যদি ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হয়, সেক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
উপসর্গ জটিল আকার ধারণ করলে, রক্তপাতের কারণে রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে শীঘ্রই যোগাযোগ করুন। প্রসবের পরে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলেও ডাক্তারকে জানাতে হবে।
পাইলসের চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় পাইলস যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সাধারণ চিকিৎসায় এর উপসম না হয় তবে সার্জারি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। ডাক্তাররা সাধারণত গর্ভাবস্থায় এসব সার্জারির পরামর্শ দেন না। তাই প্রসবের পর হয়তোবা এর চিকিৎসা করা হতে পারে।
Rubber band ligation : একটি ছোট্ট রাবারের ব্যান্ড পড়ানো হয় পাইলসের স্থানে। এর ফলে সেখানে রক্ত যাওয়া বন্ধ হয়, পাইলস ও দূর হয়ে যায়। ১০-১২ দিন লাগে এই চিকিৎসায়।
Sclerotherapy: এক্ষেত্রে কিছু রাসায়নিক দ্রবণ পাইলসে ঢুকানো হয়। আক্রান্ত স্থান সংকুচিত হয়ে মিলিয়ে যায়। তবে পুনরায় পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় ।
Hemorrhoidectomy : এটি একধরণের সার্জারী যেখানে পাইলস কেটে ফেলা হয়। যদিও এটি একটি ঝুকিপূর্ণ অপারেশন। শুধুমাত্র পাইলস জটিলতার দিকে গেলেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন ডাক্তাররা।
Stapledhemorrhoidopexy : সার্জিকাল স্টেপলের মাধ্যমে আক্রান্ত টিস্যু পুনস্থাপিত করা হয় পায়ুপথে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ডাক্তাররা আক্রান্ত স্থানে শোষণক্ষমতা সম্পন্ন ব্যান্ডেজ বেধে দেন। যা অতিরিক্ত রক্তপাত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
পাইলস থেকে সৃষ্ট জটিলতা
পাইলসের সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে তৈরী হতে পারে কিছু জটিলতা, যেমন:
- রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া
- ঘা তৈরী হওয়া
- পচন ধরা ( গ্যাংগ্রিন)
- সংক্রমন
- অতিরিক্ত রক্তপাত
প্রসবের পর কি পাইলস ঠিক হয়ে যায়?
যদি গর্ভাবস্থার কারণেই পাইলস হয়ে থাকে, তাহলে প্রসবের পর আপনাতেই তা দূর হয়ে যায়। কারণ তখন শরীরের বাড়তি হরমোনাল পরিবর্তনটুকু স্বাভাবিক হয়ে আসে। জরায়ুতে ভ্রুণ ধারণ করায় যে স্ফীতাবস্থা ছিল, তা পূর্বের আকৃতিতে ফিরে যায়। মলাশয়ের উপর বাড়তি চাপ আর থাকেনা। বেশিরভাগ মায়েরাই সুস্থ হয়ে যান।
যদি বাচ্চা জন্মের পরেও পাইলস দূর না হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারকে জানাতে হবে।
পরিশিষ্ট
মাতৃত্ব যেকোন নারীর জীবনের আকাঙ্ক্ষিত মূহুর্ত। সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমে এই মূহুর্তকে উপভোগ্য করে তোলা যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই সাবধানতা অবলম্বন করলে জটিলতা এড়ানো যায়। ছোটখাট উপসর্গগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে রোগমুক্ত থাকুন। প্রতিটি মাতৃত্ব হোক নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়!
সবার জন্য শুভকামনা।