একটি মেয়ের জীবনে সবচেয়ে সুন্দরতম সময় হল গর্ভধারণের সময়টুকু। ক্ষুদ্র একটি ভ্রুণকে গর্ভে ধারণ করে পরিপূর্ণ মানবশিশু জন্ম দেয়া পর্যন্ত তাকে অনেক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে এই সময়ে অস্বস্তিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করে কারপাল টানেল সিনড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome)।
প্রায় ৬০ ভাগ অন্ত:সত্ত্বা মহিলা গর্ভধারণের কোন একটি পর্যায়ে আক্রান্ত হন এই সিন্ড্রমে! বিশেষ করে কর্মজীবি মহিলাদের প্রেগনেন্সির সময়ে কাজের মুহুর্তকে খিটখিটে করে তুলে এই অসুখ। রাতের বেলা ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না অনেকেই।
যদিও এটি ততটা উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু নয়। বাচ্চা প্রসবের পরেই বেশিরভাগ মায়েরা আপনা আপনিই সুস্থ হয়ে যান। যদি আপনিও এই সমস্যার ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে সুস্থ রাখতে পারেন হাত দুটোকে। আসুন জেনে নিই কারপাল টানেল সিন্ড্রমের খুঁটিনাটি ও সমাধানের উপায় সম্পর্কে।
কারপাল টানেল সিনড্রোম কি?
কখনো যদি হাতের এক্স-রে দেখে থাকেন বা কোনো কংকালের হাত, সেখানে কিছু ছোট ছোট হাড় নিশ্চয় চোখে পড়েছে আপনার। এগুলোকে কারপাল হাঁড় বলা হয়। কব্জির কাছাকাছি ছোট চারটি কারপাল হাঁড় ও একটি লিগামেন্ট মিলে গোল সরু টানেলের মত আকৃতি তৈরী করে। একেই বলা হয় কারপাল টানেল।
কারপাল টানেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল মিডিয়ান নার্ভ। আমাদের সারাদেহে স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহনে অংশ নেয় অসংখ্য স্নায়ু (নার্ভ)। তেমনই হাতের আংগুলে স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহনের কাজটি করে মিডিয়ান নার্ভ। বৃদ্ধাংগুল, তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকায় সাড়া আদান প্রদানের কাজটি এই স্নায়ুর মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
এই মিডিয়ান নার্ভ হাত থেকে আংগুল পর্যন্ত যাওয়ার সময় কারপাল টানেলের মধ্যে দিয়েই যায়। বুঝতেই পারছেন, কারপাল টানেলে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে অবশ্যই তার প্রভাব পড়বে মিডিয়ান নার্ভের উপর।
যদি এই টানেলের উপর চাপ পড়ে, তখন মিডিয়ান নার্ভ স্বাভাবিকভাবে স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহন করতে পারেনা। হাতে ব্যাথা, অসাড় অনুভূতি, ঝিন ঝিন করা সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। হাত থেকে বাহুতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সমস্যা। মাঝে মধ্যে দুইটি হাতই একইসাথে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এই সমস্যাটিই কারপাল টানেল সিনড্রোম নামে পরিচিত।
অন্ত:সত্ত্বা মহিলা যারা কারপাল টানেল সিন্ড্রমের ঝুঁকিতে রয়েছেন
যাদের ক্রমাগত হাতের কাজে ব্যাস্ত থাকতে হয়, যেমন টাইপিং এর কাজ, সেলাই, লেখালেখি ইত্যাদি, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। স্থুলকায় মহিলাদের সাধারণত এ সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে, তবে এর কারণ এখনো অজানা।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে ভুগতে থাকা মায়েদের ক্ষেত্রেও বেড়ে যায় কারপাল টানেল সিন্ড্রমের ঝুঁকি। যেসব মহিলা আগে বেশ কয়েকবার বাচ্চা প্রসব করেছেন, তাদের শরীরের হরমোনাল পরিবর্তনটুকু এইধরণের সমস্যা তৈরী করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোন সময় থেকে কারপাল টানেল সিনড্রোম দেখা দিতে পারে
পরিসংখ্যান বলছে , গর্ভাবস্থায় তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মায়েরা বেশি আক্রান্ত হন কারপাল টানেল সিন্ড্রমে।তবে সুনির্দিষ্ট ভাবে এই সময়েই হবে এমনটি নয়। অনেক অন্তঃ সত্ত্বা মায়েদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের আগেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। যে সময়টাতে শরীরে পানি আসা, হরমোনাল পরিবর্তন ইত্যাদি ঘটতে শুরু করে, তখনই কারপাল টানেল সিন্ড্রমের উপসর্গ দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় কেন হয় কারপাল টানেল সিনড্রোম?
গর্ভাবস্থায় হাত পা ফুলে যাওয়ার সমস্যার সাথে মায়েরা খুবিই পরিচিত। শরীরে পানি জমে গেলে এ উপসর্গ তৈরী হয়। দেহের অংগ প্রত্যংগ ফুলে গিয়ে ভিতরের কাঠামোগুলোতে অধিক চাপ তৈরী করে।
যখনই হাত ফুলে যায়, সেটি কারপাল টানেলকেও সংকুচিত করে ফেলে। ফলে টানেলের মধ্যে থাকা মিডিয়ান নার্ভেও চাপ পড়ে, সমস্যা তৈরী হয় স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহনে।
তখন অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অভিযোগ করেন যে, হাত দিয়ে আগের মত কাজ করা যাচ্ছে না। কাপড়ের বোতাম লাগানো, কোন কিছু আকড়ে ধরার ক্ষেত্রে হাত সাবলীলভাবে কাজ করছে না। রাতে ঘুমানোর সময় বা সকালে উঠে হাতে ব্যাথা করে, মাঝে মাঝে অসাড় অনুভূতি হয় হাতের।
তবে এমনটা হলেই যে কারপাল টানেল সিনড্রোম হয়েছে বলা যাবে তা কিন্তু নয়। কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখে তবেই আপনি এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন।
যেসব উপসর্গ অনুভব করেন কারপাল টানেল সিন্ড্রমে আক্রান্ত রোগীরা
- হাত ও আংগুলে অসাড় অনুভূতি
- সূঁচ ফোটানোর মত ব্যাথা
- হাত ঝিন ঝিন করা
- আংগুল ফুলে যাওয়া
- কোন বস্তু আঁকড়ে ধরতে গেলে হাতে দূর্বল অনুভূতি
- রাতের বেলা সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া, অনেক রোগী অনিদ্রায় ভুগতে থাকেন
- সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে হাত ব্যাথা করা
- কাজ করতে করতে হঠাৎই হাতে অবশ অনুভূতি
প্রথমদিকে লক্ষণগুলো হঠাৎ করে দেখা দিলেও ধীরে ধীরে তা বাহু ছড়িয়ে কাঁধেও অনুভূত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। তখন মায়েদের উচিত স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
কারপাল টানেল সিনড্রোম থেকে স্বস্তি পেতে কি করা যেতে পারে?
বিশ্রাম নিন
যেসব কাজে এই উপসর্গ বৃদ্ধি পায় সেসব কাজ কমিয়ে দিন। টাইপিং বা লেখালেখির মত কাজগুলো কম করুন। সেলাই কাজ, দীর্ঘসময় অনলাইন চ্যাটিং এর মত কাজ পরিহার করুন। কাজের মাঝে বিরতি দিন, বেশিক্ষণ একটানা কাজ করবেন না। ১৫-২০ মিনিট পর পর হালকা বিরতি দিয়ে অন্য কাজ করুন।
হাতের কাজের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন
কাজ করার সময় কব্জি যথাসম্ভব সোজা রাখার চেষ্টা করুন। টেবিল বা ডেস্কের ভারসাম্যপূর্ণ উচ্চতা বজায় রাখুন যাতে টাইপ করার সময় কব্জি নীচের দিকে বাঁকিয়ে না থাকে। এখন বাজারে এরগোনমিক (ergonomic) কিবোর্ড ও মাউস পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সে ধরণের কিবোর্ড ও মাউস ব্যবহার করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাত ও বাহুর কিছুটা স্ট্রেচিং ব্যায়াম করে নিন।
ঠাণ্ডা ও গরম শেক
কব্জিতে মিনিট দশেক আইস প্যাক ধরে রাখলে আরাম বোধ হতে পারে অথবা ঠাণ্ডা পানিতে কব্জি চুবিয়ে রাখতে পারেন। ঠাণ্ডা ও গরম একসাথে ব্যবহার করেও দেখতে পারেন। একটি বোতলে ঠাণ্ডা পানি নিন এবং একটি বোতলে গরম পানি নিন। এবার একমিনিট ঠাণ্ডা পানির বোতল এবং এক মিনিট গরম পানির বোতল আক্রান্ত স্থানে ধরে রাখুন। গরম পানির বোতলটি একটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে নেবেন (দুটি পাত্রে ঠাণ্ডা এবং গরম পানি নিয়ে তাতে হাত চুবিয়ে রেখেও এটা করা যায়)। এভাবে পাঁচ ছয় মিনিট করতে থাকুন এবং দিনে তিন থেকে চার বার করুন।
হাত উপরের দিকে রাখুন
যখন বিশ্রাম নেবেন তখন হাত বালিশের উপর উঁচু করে রাখুন। এতে হাতের ফোলা ভাব কমবে এবং সাথে ব্যাথাও কিছুটা লাঘব হবে। যদি রাতে সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে –
- হাতের উপর ভর দিয়ে ঘুমাবেন না।
- ঘুম থেকে উঠে হাতের হাল্কা ব্যায়াম রাখুন নিয়মিত রুটিনে।
ব্যায়াম
বিশ্রাম নিলে এই উপসর্গ কিছুটা লাঘব হয় তবে সেই সাথে হাতের কিছু ব্যায়াম করাটাও জরুরী। নীচে দেখানো উপায়ে প্রতিদিন হাতের হালকা ব্যায়াম করে নিন।
১। হাতের অঙ্গুলগুলো খোলা রেখে হাতের কব্জি সামনে পেছনে বাঁকান। এভাবে ১০ বার করুন।
২। হাত মুষ্টিবদ্ধ করুন এবং আঙ্গুলগুলো একটি একটি খুলে পুরোপুরি মেলে ধরুন। এভাবেও ১০ বার করুন।
৩। বৃদ্ধাঙ্গুলের সাহায্যে প্রতিটি আঙ্গুল একবার করে স্পর্শ করুন।
মাসাজ
বিশেষ কিছু মাসাজ করা যেতে পারে যাতে হাতে জমে থাকা তরল সরে যায়। ইন্টারনেট সার্চ করে মালিশের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন।নীচের লিঙ্কে দেয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
How to Release Carpal Tunnel Syndrome With Massage Therapy
সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী ও অসহনীয় হলে সেক্ষেত্রে স্প্লিন্ট ব্যাবহার করতে পারেন বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময়। এটি আপনার কব্জি সোজা রাখতে সাহায্য করবে। এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
এই সমস্যার শেষ কোথায়?
গর্ভাবস্থায় ক্রমাগত এই উপসর্গ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু মনে রাখবেন বাচ্চা জন্ম দেয়ার পরপরই এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। যেহেতু সে সময় গর্ভাবস্থার শারীরিক পরিবর্তনগুলো আর থাকেনা, তাই শরীরে পানি আসা বা ফোলা ভাবটা কমে যায়। সেই সাথে কারপাল টানেলের সংকোচনও দূর হয়ে যায়।
কিছু মায়েরা অভিযোগ করেন যে, বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে লক্ষণগুলো বাড়ছে। সন্তান জন্মদানের ১০ মাস পরেও হাতের ব্যাথা, দুর্বলতা দূর হচ্ছেনা। তাদের উচিত দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত
বেশিরভাগ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এ ধরণের অস্বস্তিগুলোকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এটি নিয়মিত আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটালে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন। নিজে থেকে ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার মত বোকামী করবেন না কখনোই।
মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থায় ওষুধ খাওয়াটা বিপদজনক। প্রতিবছর সারা বিশ্বে অনেক বিকলাংগ শিশু জন্মায় মায়ের ভুল ওষুধ সেবনের কারণে।
যদি প্রতিরাতেই ঘুমে সমস্যা হয়, ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তখন ডাক্তাররা স্প্লিন্ট বা ব্রেস পরিধানের পরামর্শ দেন ।
বাচ্চা প্রসবের পরেও সমস্যা দূর না হলে ডাক্তারকে জানান। তখন তিনি হয়ত আপনাকে ব্যাথার ওষুধ বা ছোটখাট সার্জারির পরামর্শ দিতে পারেন। সার্জারীর কথা শুনে আঁতকে উঠার দরকার নেই। ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই ছোট এই প্রক্রিয়া আপনার কব্জিতে বাড়তি প্রেশারটুকু দূর করে আপনাকে দেবে স্বস্তি।
কিভাবে এই সমস্যা নির্ণয় করা যায়?
কারপাল টানেল সিন্ড্রমে সাধারণত উপসর্গ যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তবে কেউ কেউ শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত বলে মনে করেন। পরীক্ষা গুলোর মধ্যে রয়েছে :
ইলেকট্রোডায়গনোস্টিক টেস্ট (electrodiagnostic tests): এই পরীক্ষায় সূঁচ বা ইলেকট্রোডের সাহায্যে স্নায়ুউদ্দীপনা যাচাই করা হয়। স্নায়ু সঠিকভাবে কাজ না করলে এই উদ্দীপনা কমে যায়।
টিনেল সাইন (Tinel’s sign): এই ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুর উপর হাল্কা টোকা বা চাপ দিয়ে অনুভূতি যাচাই করা হয়। রোগীর হাতে খানিকটা ঝিনঝিনে অনুভূতি হলে চিকিৎসক সমস্যাটি নির্ণয় করতে পারেন।
ফালেন টেস্ট (Phalen’s Test) : কনুই ভাজ করা অবস্থায় বাহু উপরে তুলে ধরা হয় এবং কবজি ছেড়ে দেয়া হয় অথবা দুই হাতের কব্জি বাঁকিয়ে দুহাতের উল্টোপিঠ একটি সাথে আরেকটি চেপে ধরতে বলা হয়। রোগী কারপাল টানেল সিন্ড্রমে আক্রান্ত হয়ে থাকলে আংগুলে অসাড় বা জ্বলার মত অনুভূতি পাবেন।
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য পরামর্শ
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেক মায়েরাই অভিযোগ করেন যে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এই সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে। তারা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। ব্রেস্টফীডিং এর বিভিন্ন পজিশন সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় হাতের উপর থেকে চাপ কমাতে ব্রেস্টফীডিং বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল এসব বালিশ কিনতে পাওয়া যায়। আপনার হাতের উপর চাপ কম পড়লে ব্যাথাও কমে যাবে।
গর্ভকালীন সময়ে একজন মা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন। কিছু সহজ তথ্য জানা থাকলেই এর সমাধান হয় খুব দ্রুত। কিন্তু আমাদের তথ্যবিমুখিতা সমস্যাগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল করে তোলে। কর্মজীবি মায়েরাতো বটেই, গৃহিনীদের জন্যও উটকো ঝামেলা হয়ে ওঠে কারপাল টানেল সিন্ড্রোম। নিজের অসুস্থতার ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি আপনাকে দ্রুত নিস্তার দেবে। কর্মব্যাস্ত জীবনকে রাখবে স্বস্তিদায়ক ও ঝামেলামুক্ত।
সবার জন্য শুভকামনা।