গর্ভবতী মায়ের জ্বর আসলে প্রথমেই মনে যে প্রশ্নটা আসে তা হলো গর্ভের বাচ্চা ঠিক আছে কিনা। কিন্তু প্রথমেই যেটা দরকার তা হলো ডাক্তারের সাথে কথা বলে জ্বর নামানোর ব্যাবস্থা করা। এরপরের কাজ হোল কি কারণে জ্বর হলো তা খুঁজে বের করা। কারণ গর্ভাবস্থায় জ্বর বেশিরভাগ সময়ই অন্য কোন উপসর্গের লক্ষণ যা গর্ভের বাচ্চার ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জ্বর কিভাবে গর্ভের বাচ্চাকে প্রভাবিত করতে পারে? যখনই একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রী থেকে বেড়ে জ্বরের কাছাকাছি চলে যায় তখনি বুঝতে হবে যে মায়ের শরীর কোন ইনফেকশনের সাথে লড়াই করছে।…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন অসুখ ও সমস্যা
গর্ভাবস্থায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার
প্রথমেই বলা প্রয়োজন গর্ভাবস্থা কিন্তু কোনো রোগ নয়। এটি একটি বিশেষ সময়ের শারীরিক অবস্থা। গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়ার একটি বিরাট পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাবে ত্বকেও অনেক ধরনের পরিবর্তন এবং নানা ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবারের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি থাকে, তাই সেই অনুপাতে খাওয়া-দাওয়া না করলে মায়ের ত্বকে হতে পারে বিশেষ কোনো খাদ্য উপাদানের ঘাটতিজনিত রোগ অর্থাৎ অপুষ্টিজনিত কারণেও এ সময় বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ও এ সময় পরিবর্তন হয়। ফলে বিভিন্ন জীবাণু (যেমন-ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি) সংক্রমণের দ্বারাও ত্বকে অনেক চর্মরোগ…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া। কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত কেন পড়ে? গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমাদের দেহের নাকের ভিতরের রক্ত প্রবাহের নালীটি খুবই ক্ষুদ্র এবং নাক দেহের সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল অঙ্গ। যখনই নাকের এই রক্ত প্রবাহের নালীতে কোন সমস্যা দেখা দেয় তখনই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, মাঝে মাঝে নাকের দুটো ছিদ্র দিয়েই রক্ত বের হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় নাকের ভেতরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়ে যায় এবং বর্ধিত রক্তপ্রবাহ নাকের সংবেদনশীল রক্তনালীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে যার ফলে নালীগুলো সহজে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো অনুভূতি হওয়া
গর্ভাবস্থায় মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানোর অনুভূতি কেন হয়? গর্ভবতী অনেক নারী মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারানোর মতো অনুভব করেন। গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এমন বোধ হয়। আপনার মস্তিষ্ক যদি যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত (যার মধ্যে অক্সিজেন থাকে) না পায়, তাহলেই অজ্ঞান হবার মতো অবস্থা তৈরি হয়। যদি আপনার শরীরে সার্বিকভাবে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় তাহলেও আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন বা অচেতন অনুভব করতে পারেন। যদি মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন এর প্রবাহ কমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে প্রয়োজনীয় রক্ত মস্তিষ্কে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।যখন মস্তিষ্ক অক্সিজেনের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় যে সব সংক্রমণ বাচ্চাকে প্রভাবিত করতে পারে
যদিও অনেক সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দিজ্বর গর্ভাবস্থায় কোন সমস্যা করে না, কিন্তু কিছু কিছু সংক্রমণ বাচ্চার শরীরে যেতে পারে এবং সেগুলো ক্ষতিকারক। কিছু সংক্রমনের আবার কোন উপসর্গ দেখা যায়না। গর্ভাবস্থায় যেসব সংক্রমণ বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলতে পারে সেসব নিয়েই আজকের আলোচনা। পারটোসিস (হুপিং কফ) এটি কিভাবে ছড়ায় সংক্রমিত লোকের সাথে সংস্পর্শ – কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে বিন্দু কণা (ড্রপলেট) ছড়িয়ে পড়ে। এই বিন্দু কণাগুলো (ড্রপলেট) বাতাস, ব্যবহৃত রুমালে অথবা রোগীর সংস্পর্শকৃত জায়গায় থাকতে পারে। উপর্সগ মধ্যম মানের জ্বর, নাক বন্ধ অথবা নাক দিয়ে পানি পরা, বিষণ্ণতা এবং কাশি। প্রধান বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট | কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়া কি স্বাভাবিক? হ্যা,গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়াটা অত্যন্ত সাধারণ একটি বিষয়। মনে করা হয় যে, তিন চতুর্থাংশ গর্ভবতী নারী যাদের আগে কখনই শ্বাস কষ্ট ছিলো না তাদের এই সময়ে দম ফুরিয়ে আসে বলে মনে হয়। শ্বাসকষ্ট প্রথম বা দ্বিতীয় তিনমাস-কাল থেকে শুরু হতে পারে। এটি আপনার শরীরের প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে যেহেতু এই সময় আপনার শরীরের শিশুকে ধারণ করার জন্য অতিরিক্ত অক্সিজের দরকার হয়। গর্ভাবস্থার হরমোন প্রোজেস্টরেন ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তের মধ্যে অক্সিজেনকে শোষণ করার পদ্ধতির সাথে আপনার শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তৈরী করে তোলে।যার ফলে, আপনার শরীর আপনার সিস্টেমে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভকালীন সময়ে মায়েদের যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে
গর্ভের বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য আপনার শরীরের সকল পরিবর্তন কিছু অস্বস্তি তৈরী করতে পারে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কিছু সাধারণ উপসর্গ ও উদ্বেগ নিয়ে এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আপনার অনুভূতি নিয়ে কোন সময় চিন্তিত হোন, তাহলে আপনার ধাত্রী বা ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। পেট ব্যাথা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে পেট ব্যাথা হওয়া স্বাভাবিক। এটাকে রাউন্ড লিগামেন্ট ব্যাথা বলা হয়। জরায়ুর প্রতি পাশের অবলম্বন হলো রাউন্ড লিগামেন্ট। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জরায়ু লিগামেন্টে টান দেয়ার কারণেই ব্যাথা অনুভূত হয়। এটি ক্ষতিকারক নয়, কিন্তু আঘাত করতে পারে। অবস্থানের পরিবর্তন লিগামেন্টের উপর চাপ কমাতে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মাথা ব্যাথা । কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ সময়েই নারীদের কাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাথার কথা শোনা যায়। এসকল ব্যাথা মাতৃত্বকালীন সময়কে আরও কঠিন করে তোলে।এধরনের একটি উপসর্গ হলো মাথা ব্যাথা। গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে মাথা ব্যাথা বাড়তে পারে, কিন্তু শেষ ৬ মাসে মাথা ব্যাথা উপশম হতে পারে বা একেবারে নাও হতে পারে । এতে বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না।যদি গর্ভাবস্থায় মা মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত হয় তবে কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা এই সময় অনেক ওষুধ চাইলেও সেবন করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় কেন মাথা ব্যাথা হয়? হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়া…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক পরিবর্তন কেমন হতে পারে?
প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটার জন্য শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে সবসময়ই খুব হাসি-খুশি থাকতে হবে। আপনি সন্তানসম্ভবা জানার পর আপনার আশেপাশের মানুষও চাইবে আপনি ভালো মেজাজে থাকুন, আপনার শিশুকে নিয়ে ভালো চিন্তা করুন। তাদের কথা শুনতে শুনতে আপনারও হয়তো মনে হবে যে সবসময়ই ভালো থাকতে হবে। কিন্তু, এটাও সত্য যে এই নয়টা মাসেও অন্য…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি বা হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম
হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম কি? এতবড় নামটাকে ভেঙে ভেঙে বললে এসে দাঁড়ায়, হাইপার (তীব্র), এমেসিস (বমি),গ্রাভিডেরাম (গর্ভধারণ)। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কোনও মহিলা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করেন, সেই অসুখকে বলে হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম। সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সকালের দিকে। ক্লান্তি যেন যেতেই চায় না। শুরু হয় বমি। সব পানি বেরিয়ে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। পুষ্টির অভাব তৈরি হয়। প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে। বংশগত কারণে হতে পারে। আবার হরমোনের হেরফেরের কারণেও হতে পারে বমির কষ্ট। অনেকসময় ওজন বেশি থাকলেও হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতীর শরীরে। গর্ভাবস্থায় বমি হয় অনেকেরই। প্রতি ১০০ জন…
বিস্তারিত পড়ুন