প্রি-টার্ম লেবার কি? স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা সাধারণত ৪০ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এর সময় শুরু হয় শেষ মাসিকের প্রথম দিন হতে। লেবার বা প্রসব যন্ত্রণা গর্ভাবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যাতে জরায়ুর সঙ্কোচনের ফলে Cervix বা জারায়ু মুখ পাতলা হয়ে যায় এবং খুলে যায় যার ফলে বাচ্চা বেড়িয়ে আসতে পারে। এ প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক অবস্থায় গর্ভাবস্থার ৩৭-৪২ সপ্তাহের মধ্যে হয়।যদি কোন কারণে ৩৭ সপ্তাহের আগেই গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত জরায়ু সংকোচন হতে থাকে এবং তার ফলে জরায়ু মুখ খুলে যায় তবে তাকে প্রি-টার্ম লেবার বলে। এটি প্রি-ম্যাচিউর লেবার নামেও পরিচিত। প্রি-টার্ম লেবার এর ফলে প্রি-টার্ম…
বিস্তারিত পড়ুনArticles
সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি কি সম্ভব ?
যদি মায়ের একবার সিজারিয়ান হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা থাকে যদিও তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।এধরনের ডেলিভারিকে বলা হয় Vaginal Birth after cesarean (VBAC)। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন মায়েদের যারা VBAC করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সফলভাবে সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়েছে। যদিও আমাদের দেশে এমন উদাহরণ খুবই কম। সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা কতটুকু তা কিভাবে বোঝা যাবে? সিজারিয়ানের পর নরমাল ডেলিভারি করা যাবে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলার কোন উপায় নেই। আগের গর্ভধারণে যে জটিলতার কারণে সিজারিয়ান করা হয়েছিল তা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় চেকআপ । তৃতীয় ট্রাইমেস্টার
সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভধারণের জন্য গর্ভাবস্থায় পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে শেষ তিন মাসে। গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে গর্ভের শিশুর ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে, হাত ও পায়ের নখ গজায়, চোখের পাতা খোলা বন্ধ করা শুরু হয়। এ সময় আপনার অনেক ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। এ সময় আপনি শিশুর নড়াচড়াও অনেক বেশী টের পাবেন। আপনার গর্ভাবস্থা যদি সুস্থ স্বাভাবিক হয় তবে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ২৮-৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি দু সপ্তাহে একবার এবং ৩৬ থেকে প্রসবের আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়। আপনার যদি আগে থেকেই ধারনা থাকে ডাক্তারের সাথে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় চেকআপ । দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার
গর্ভাবস্থায় মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য গর্ভধারণের শুরু থেকেই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে প্রতি মাসে একবার ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার বেশীরভাগ মায়েদের জন্যই মোটামুটি আরামের সময়। এ সময় গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমে যায় এবং অনেক ধরনের গর্ভকালীন সমস্যা কম থাকে যেমন- বমি বমি ভাব, মর্নিং সিকনেস ইত্যাদি। তাই অনেকের কাছেই এ ট্রাইমেস্টার গর্ভকালীন সময়ে সবচাইতে প্রিয় সময়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের এবং গর্ভের শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ট্রাইমেস্টারে মাসে অন্তত একবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় চেকআপ । প্রথম ট্রাইমেস্টার
গর্ভাবস্থায় একজন নারী মা হবার আনন্দে যেমন বিভোর থাকেন, ঠিক তেমনি আবার নানা বিপদের কথা ভেবে থাকেন শঙ্কিত। গর্ভধারণ মানেই কমবেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা।তাই নিরাপদে মা হবার জন্য গর্ভে সন্তানের আগমন নিশ্চিত হওয়া মাত্র গর্ভকালীন পরিচর্যা শুরু করতে হবে। গর্ভকালীন পুরো সময় থেকে প্রসবের পর কিছুদিন পর্যন্ত নিয়মিত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রথম প্রি-ন্যাটাল ভিজিট কখন করতে হবে? যখনি আপনি জানতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী তখনি যত দ্রুত সম্ভব কোন গাইনী ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। যদি আপনি এখনো ঠিক করে না থাকেন যে পুরো গর্ভকালীন সময় আপনি কোন ডাক্তারের সাথে থাকবেন…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
ইনফ্লূয়েঞ্জা নামটি আমরা সকলে কমবেশি জানি৷ সাধারণভাবে তা ফ্লু নামে পরিচিত৷ সাধারণত অর্থোমাইক্সোভিরিডাএ ভাইরাসগুলো থেকেই এই ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হয়ে থাকে৷ শীতকালে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এটি ভাইরাসজনিত একটি রোগ; তবে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে আলাদা।অনেকেই ফ্লুকে সাধারণ সর্দি কাশি ভেবে ভুল করেন। যদিও দুটোর লক্ষন দেখতে অনেকটা একই রকম কিন্তু ফ্লু অনেক বেশী ভয়ের কারণ হতে পারে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়। গর্ভাবস্থায় ফ্লু কেন বিপদজনক? গর্ভাবস্থায় স্বভাবতই গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এ সময় এমনিতেই রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এ সময় মায়েরা সহজেই সর্দি কাশি, ফ্লু…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন জরুরী?
ফলিক এসিড কি? ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (Folate) নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের রক্তশল্পতা রোধে (anemia) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহন করা উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি ডিএনএ এর গঠন,কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাস । সচেতনতা ও প্রতিকার
জিকা ভাইরাস কি? জিকা ভাইরাস একটি মশা বাহিত ভাইরাস। সাধারণত এডিস মশার মাদ্ধমে এ রোগ ছড়ায় যা ডেঙ্গুর জন্য ও দায়ী। গবেষকেরা এই ভাইরাস শনাক্ত করেন ১৯৪৭ সালে। আফ্রিকার দেশ উগাণ্ডার একটি বনের নাম জিকা। সে বনের বানর থেকে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয় বলে গবেষকেরা নাম দিয়েছেন জিকা ভাইরাস। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাস কি প্রভাব ফেলতে পারে? এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ভয়াবহ কোনো সমস্যা হয় না। ৫-৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই রোগ সেরে যায়। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এ রোগের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে, যেমন- গর্ভ নষ্ট হয়ে যাওয়া, বাচ্চা…
বিস্তারিত পড়ুনমোলার প্রেগন্যান্সি | গর্ভকালীন জটিলতা
মোলার প্রেগন্যান্সি কি? মোলার প্রেগন্যান্সি এক ধরনের অস্বাভাবিক গর্ভধারণ যেখানে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের টিস্যুগুলোর অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটে। মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে ভ্রুন গঠিত হওয়ার পরিবর্তে অস্বাভাবিক সিস্ট বা টিউমারে পরিণত হয় যা দেখতে আঙ্গুরের থোকার মত হয়। স্বাভাবিক এবং সুস্থ গর্ভাবস্থায় মায়ের জরায়ুতে প্লাসেন্টার সৃষ্টি হয় এবং তা গর্ভের শিশুর পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে কিন্তু মোলার প্রেগন্যান্সি ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে প্রথম দিকে স্বাভাবিক গর্ভধারণের লক্ষনগুলো দেখা যায় কিন্তু কিছুদিন পরেই রক্তক্ষরণ সহ আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। প্রতি ১০০০ গর্ভবতী মহিলার মধ্যে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা যৌনাঙ্গে ইনফেকশন
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস কি? ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা BV হোল ১৫-৪৪ বছরের মহিলাদের সবচাইতে কমন যোনীসংক্রান্ত সংক্রমণ। এটি যোনীতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার কারণে দেখা দেয়। শতকরা ১০-৩০ ভাগ মহিলায় গর্ভাবস্থায় এ সংক্রমণের শিকার হন। যোনীতে সাধারণত বেশীরভাগ ভালো ব্যাকটেরিয়া বা lactobacilli এবং কিছু খারাপ ব্যাকটেরিয়া বা anaerobes থাকে। lactobacilli ব্যাকটেরিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে এবং অন্য ব্যাকটেরিয়াদের নিয়ন্ত্রনে রাখে। কোন কারণে lactobacilli ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে অন্য খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। সে সময় ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা BV দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস কেন হয়? যোনীতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারন জানা যায়নি কিন্তু কিছু…
বিস্তারিত পড়ুন