গর্ভাবস্থায় যেমন জটিলতা দেখা দিতে পারে তেমনি প্রসব কালীন সময়েও বিভিন্ন জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। নারীরা তাদের গর্ভকালীন সময়ে যেমন নানা প্রকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকেন তেমনি প্রসবকালীন সময়ের সমস্যাবলী সম্পর্কেও তাদের সচেতন থাকাটা অতি জরুরী। কারণ সামান্য একটি ভুলের কারণে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা। যদিও আপনি স্বাস্থ্যবতী এবং আপনার প্রসব এবং প্রজননের জন্য ভালো প্রস্তুতি আছে, তারপরও অপ্রত্যাশিত জটিলতার সুযোগ থাকে। প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা নিয়েই আজকের আলোচনা। প্রসবের ধীরগতি আপনার প্রসব কিভাবে অগ্রগতি হচ্ছে তা আপনার পেটে আপনার বাচ্চাকে অনুভব করে, আপনার জরায়ুর মুখ কতটুকু খুলেছে তা…
Read MoreMonth: January 2018
গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার
গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে কিভাবে আপনার বাচ্চা বড় হয় ২৮তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা এখন ৩৬ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম। এর চোখের পাতা খোলা থাকে এবং এর ফুসফুস পর্যাপ্ত বৃদ্ধি পায় যাতে আপনার বাচ্চা জরায়ুর বাইরে শ্বাস নিতে পারে – যদিও এই সময় জন্ম নেয়া বাচ্চার শ্বাস নেয়ার জন্য সম্ভবত সাহায্য লাগতে পারে। ২৮তম সপ্তাহে জন্ম নেয়া একটি বাচ্চার বেচে থাকার ভালো সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু তারপরও প্রতিবন্ধী হওয়ার একটি ঝুঁকি থেকে যায়। ৩২তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা ৪১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১৮০০ গ্রাম। এই…
Read Moreসপ্তাহ ৪০ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ
গর্ভাবস্থার ৪০ সপ্তাহে আপনার বাচ্চা আপনি প্রসবের দ্বারপ্রান্তে বলে কিন্তু আপনার বাচ্চার বৃদ্ধি থেমে নেই। বাচ্চা জন্ম নেয়ার আগ পর্যন্ত তার বৃদ্ধি চলতেই থাকে। তার চুল এবং নখও কিন্তু সমান তালে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সপ্তাহ নাগাদ শিশুটির আকার মোটামুটি একটা বড় কাঁঠালের সমান হয়ে যাবে। বের হয়ে আসার এখন সে একেবারেই প্রস্তুত থাকবে। তার চুল আরো বড় হয়ে যাবে এবং আঙ্গুলের প্রান্তে নখও গজাতে শুরু করবে। হাসপাতালের ব্যাগে বাচ্চার জন্য এক জোড়া হাত মোজা নিতে পারেন। বাচ্চা বেশ বড় নখ নিয়ে জন্ম নিতে পারে। জন্মের পরই বাচ্চার ছোট্ট হাতের…
Read Moreগর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে কিভাবে আপনার বাচ্চা বেড়ে উঠে ১৪তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ৪৫ গ্রাম হয়। ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়সহ এর অঙ্গ গঠিত হয়। যদিও আপনি তা অনুভব করতে পারছেন না কিন্ত আপনার বাচ্চা জরায়ুর চারপাশে ঘুরে। ১৮তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১৮ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম হয়। পরবর্তী চার সপ্তাহে আপনি বাচ্চার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন (পাখির ঝাপটানোর মত অনুভূতি)। এটিকে কখনও “প্রানবন্ত” হওয়া বলে। আপনি যদি আপনার বাচ্চা এখন দেখতে পারতেন তাহলে আপনি তার লিঙ্গ বলতে পারতেন।…
Read Moreপোস্টেরিয়র পজিশন | গর্ভে ভ্রূণের অবস্থান
পোস্টেরিয়র পজিশন বলতে কি বোঝায়? যখন গর্ভে শিশুর মাথা নীচের দিকে থাকে কিন্ত মুখ মায়ের পেটের দিকে ঘোরানো থাকে তখন বাচ্চার এই পজিশনকে বলা হয় occiput posterior (OP) position বা সংক্ষেপে পোস্টেরিয়র পজিশন। এ ধরনের নামকরণের কারণ হোল এ পজিশনে বাচ্চার মাথার খুলির পেছনের অংশ (the occipital bone) পেলভিসের পেছনের দিকে থাকে। এ ধরনের পজিশনকে অনেক সময় “ফেস আপ” বা “সানি সাইড আপ’ বলা হয়। বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন মায়ের পেলভিসে অবস্থানের সবচাইতে ভালো পজিশন হোল বাচ্চার পিঠ মায়ের পেটের দিকে থাকা। বাচ্চা যখন…
Read Moreগর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টার
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে আপনার বাচ্চা কিভাবে বৃদ্ধি পায় আপনার গর্ভাবস্থা শুরু হয় যখন আপনার ডিম্বানু(ডিম্বক) পুরুষের শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়। এই ডিম্বানু দুইটি কোষে বিভক্ত হয়।একটি ক্ষুদ্র কোষপিন্ডে পরিণত হওয়া পর্যন্ত এই বিভক্তি চলতে থাকে। তারপর এই কোষপিন্ড জরায়ুর নালী দিয়ে জরায়ুতে (জরায়ু) গিয়ে অবস্থান করে।তারপর এটি বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত হয়। শিশু- এই ধাপে একে ভ্রুণ বলে গর্ভফুল/প্লাসেন্টা- এটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুকে আপনার রক্ত থেকে পুষ্টি ও অক্সিজেন দ্বারা খাবার দেয় আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু – এটি বাচ্চাকে প্লাসেন্টার সাথে সংযুক্ত করে (এটি একটি মহাসড়কের মতো যা বাচ্চার জন্য খাদ্য…
Read Moreগর্ভবতী হওয়ার উপায় | শারীরিক মিলন
অসংখ্য মানুষের অসংখ্য রকমের সমস্যা। কেউ না চাইলেও কোনো নিয়ম না মানলেও গর্ভধারণ করতে পারেন আবার অনেক দম্পতি সন্তান গ্রহণ করতে চান কিন্তু অজানা কারণে তা হয় না। কনডম ব্যবহার না করা বা পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই একজন নারী গর্ভবতী হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে। তবে গর্ভবতী হওয়ার উপায়গুলোর মধ্যে আরও একটি ব্যাপার আছে। শারীরিক মিলন। শারীরিক মিলনের কিছু নিয়ম গর্ভবতী হওয়াটা সহজ করে দিতে পারে। তাই গর্ভবতী না হয়ে থাকলে ভয় না পেয়ে স্বামীর…
Read Moreনির্ধারিত সময়ের পরেও প্রসব বেদনা শুরু না হওয়া বা পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি
বেশীরভাগ বাচ্চাই গর্ভাবস্থার ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম নেয়। ডিউ ডেইট হোল বাচ্চা জন্ম নেয়ার সম্ভাব্য তারিখ। শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে ৪০ সপ্তাহ হিসেব করে এই ডেইট গননা করা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ডেটিং স্ক্যানের উপর ভিত্তি করে এই ডিউ ডেইটের তারতম্য ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে ডিউ ডেইট মানে বাচ্চা কখন জন্মাবে সেটা না বরং এটা হোল বাচ্চা কখন ৪০ সপ্তাহের হবে তার হিসেব। এই সময়ের আগে বা পরে বাচ্চা জন্মে নেয়াটা স্বাভাবিক। প্রসবের বা ডিউ ডেইটের জন্য নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরও যদি বাচ্চা প্রসব না হয়…
Read Moreপ্রসব বেদনা উপশমের উপায়
আপনার প্রসব প্রক্রিয়া কতো দ্রুত অগ্রসর হবে তা কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে আছে শিশুর নীচে নামা বা শ্রোণী দিয়ে নীচের দিকে নামা, এবং প্রতিনিয়ত শক্ত খিঁচুনীসহ জরায়ুর মুখ বা গর্ভাশয়ের গলা খুলে যাওয়া (প্রসারিত হওয়া)। বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার প্রসবকে সাহায্য করতে পারেন।যে সকল জিনিস সাহায্য করতে পারে সেগুলো হচ্ছে: যতোটা সম্ভব শিথিল অনুভব করা মিউজিক/সঙ্গীত অ্যারোমাথেরাপি/সুগন্ধি তৈলমর্দন চিকিৎসা শিথিলকরণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি। কিভাবে আপনার সঙ্গী বা সাহায্যকারী ব্যক্তিরা সহযোগীতা করতে পারে আপনার সঙ্গী বা সহযোগী ব্যক্তি আপনার প্রসব আরামদায়ক করার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু…
Read Moreপ্রসবের শুরু থেকে বাচ্চা জন্ম দেয়া পর্যন্ত বিস্তারিত (স্বাভাবিক প্রসব)
প্রতিটি প্রসববেদনা এবং জন্ম একটি অপরটি থেকে আলাদা এবং কখন শুরু হয় এবং কতক্ষণ সময় লাগে তার উপর ভিত্তি করে এর তারতম্য ঘটে।প্রসবের তিনটি প্রধান পর্যায় আছে। প্রতিটি পর্যায়ের জন্য কতো সময় লাগবে তা প্রতিটি মহিলার জন্য ভিন্ন হয়। অধিকাংশ মহিলা প্রসবের শুরুতে এসব উপসর্গগুলোরমধ্যে এক বা একাধিক অনুভব করেন: সংকোচন রক্ত মিশ্রিত বা গোলাপী রঙ্গের শ্লেষ্মা বা “শো” পানি ভাঙ্গা। আরও পড়ুনঃ প্রসব শুরুর লক্ষন। প্রসবের প্রথম পর্যায় প্রসবের প্রথম পর্যায়ের শুরুর দিকে আপনার জরায়ু, যোনীমুখকে পাতলা এবং সংকোচিত করার জন্য কাজ করে। প্রথম প্রসবের ক্ষেত্রে যোনীমুখের এই সংকোচন…
Read More