Tanjum Tanji
আল্লাহর অশেষ রহমতে গত ১৩ জুন মেয়ের মা হয়েছি। আমার ডেট ছিলো ১২ জুলাই। ১মাস আগেই আমার সোনামনি আমার কোলে এসেছে আল্লাহর রহমতে।তবে একটা বিষয়ে শেয়ার করার জন্যই মুলত আজকে লিখছি।
১২তারিখ রাত থেকে আমি বাবুর মুভমেন্ট কম পাচ্ছিলাম।রাতে অনেকবার টয়লেটে গিয়েছি ইউরিন পাস করার জন্য। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হলো বাবু বেশি মুভ করছেনা সেই সংগে পেট নরম লাগছে।
হাজবেন্ড কে বলার সংগে সংগে বললো এখনি আলট্রা করো। একবার ভাবলাম বিকেলে যাই হাজবেন্ড অফিস থেকে ফিরলে। পরক্ষনে মনে হলো নাহ যেয়ে করে আসি। আল্লাহর চাওয়া ছিলো বলেই হয়তো তখনি আমি গিয়েছিলাম।
আলট্রার ড.আমাকে বিছানায় পেটে হাত দিয়েই বললো কি ব্যপার তোমার কি ফ্লুয়িড পাস হয়েছে? আমি বললাম নাতো একটু ও না কিন্তুু উনি বললো একদমি ফ্লুয়িড নেই মাত্র ১.৫ গ্রামের মতো আর বেবি একদম শুষ্ক অবস্থায় আছে কিন্তুু আল্লাহর অশেষ রহমতে বাবুর হার্টবিট এখনো ভালো আছে।ডক্টর বললো হয়তো রাতে ইউরিন এর সাথে সব ফ্লুয়িড পাস হয়ে গেছে তুমি বুঝোনি। তুমি তোমার ড.কে এখনি জানাও।
আমার কান্না দেখে উনি নিজেই আমার ডক্টরকে কল দিয়ে সব বললো। আমার ডক্টর আমার হাজবেন্ডকে কল করতে বলে বললো আমি এখনি সব ম্যানেজ করছি ১ ঘণ্টার মধ্যে ইমারজেন্সি সিজার করবো।
আমার হাজবেন্ড ততক্ষণে অফিস থেকে রওনা দিয়েছে আমি আমার সংগে থাকা আব্বাকে বাসায় পাঠিয়েছি টাকা নেয়ার জন্য আর আমি হসপিটালে এক চাচিকে বলছি আসতে। ইতিমধ্যে আমার ডক্টর ফোনেই ওটি রেডি করেছে। আমার হাজবেন্ড আসার সংগে সংগেই আমাকে ওটিতে নিয়ে গেছে কোন সময় নষ্ট না করেই।
আমার সাথে আর কারো দেখা করার সুযোগ হয়নি হাসবেন্ড এর সাথেও কথা বলতে পারিনি। সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছিলাম আমার বড় ছেলে ৮ বছর বয়স ওর সাথেও দেখা করার সময় পাইনি। যাই হোক আল্লাহর অশেষ রহমতে আর ডক্টর এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমি দুপুর ১২টায় মেয়ের মা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে সুস্থ সন্তান দিয়েছেন এবং আমিও সুস্থ আছি।বাবুর ওজন হয়েছে ২কেজি ৪০০ গ্রাম। আমরা মা মেয়ে ভালো আছি সবার দোয়ায়।
এত কথা লিখলাম কারন যে আপুরা মা হবেন অবশ্যই বেবির মুভমেন্ট নিয়ে কোন অবহেলা করবেন না। সামান্য সন্দেহ হওয়া মাত্রই ডক্টরকে জানাবেন বা আলট্রাসাউন্ড করবেন।সবাই ভালো থাকবেন।