পোস্টেরিয়র পজিশন বলতে কি বোঝায়? যখন গর্ভে শিশুর মাথা নীচের দিকে থাকে কিন্ত মুখ মায়ের পেটের দিকে ঘোরানো থাকে তখন বাচ্চার এই পজিশনকে বলা হয় occiput posterior (OP) position বা সংক্ষেপে পোস্টেরিয়র পজিশন। এ ধরনের নামকরণের কারণ হোল এ পজিশনে বাচ্চার মাথার খুলির পেছনের অংশ (the occipital bone) পেলভিসের পেছনের দিকে থাকে। এ ধরনের পজিশনকে অনেক সময় “ফেস আপ” বা “সানি সাইড আপ’ বলা হয়। বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন মায়ের পেলভিসে অবস্থানের সবচাইতে ভালো পজিশন হোল বাচ্চার পিঠ মায়ের পেটের দিকে থাকা। বাচ্চা যখন…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন জটিলতা
গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টাজনিত কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?
প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল কি? প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল জরায়ুর দেয়াল সংলগ্ন একটি চ্যাপ্টা ও কিছুটা গোলাকৃতির অঙ্গ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জরায়ূর ভেতরে লেগে থাকে এবং সন্তানের সাথে মায়ের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। গর্ভের শিশুর শরীর শরীরবৃত্তীয় যে সমস্ত কাজের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে না, প্লাসেন্টা সে কাজগুলি তার হয়ে করে থাকে। এটি শিশুর নাড়ীর (আম্বিলিক্যাল কর্ড) মাধ্যমে ভ্রুনের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্য কথায় বলা যায় প্লাসেন্টা (গর্ভফুল) হলো মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা বা সাপোর্ট সিস্টেম। প্লাসেন্টা কোনো কারনে ঠিকভাবে কাজ না করলে শিশুর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের…
বিস্তারিত পড়ুনঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে করণীয়
বাংলাদেশ ম্যাটার্নাল মর্টালিটি সার্ভে ২০১০ অনুযায়ী, মাতৃত্বজনিত কারণে মৃত্যুর মধ্যে ৭ শতাংশ মারা যায় দীর্ঘ প্রসব জটিলতায়, ২০ শতাংশ মারা যায় একলাম্পশিয়ায়, রক্তক্ষরণে মারা যায় ৩১ শতাংশ, গর্ভপাতে মারা যায় ১ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয় গর্ভজনিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানান জটিল কারণে। এক শতাংশ মৃত্যু কেন হয় তা নির্ণয় করা যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা আগে থেকে নির্ণয় করা সম্ভব হলে মাতৃমৃত্যূ রোধ করা সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চেকআপ বা ডাক্তারি পরীক্ষা করা। বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা চেকআপের মাধ্যমে শনাক্ত করা গেলে সময় মত ব্যবস্থা নেয়া যায়।…
বিস্তারিত পড়ুনট্রান্সভার্স লাই | গর্ভের শিশুর অবস্থান
ট্রান্সভার্স লাই বলতে কি বোঝায়? বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন মায়ের পেলভিসে অবস্থানের সবচাইতে ভালো পজিশন হোল বাচ্চার পিঠ মায়ের পেটের দিকে থাকা। বাচ্চা যখন এ পজিশনে থাকে তখন প্রসবের সময় তার থুতনি নীচের দিকে নামানো থাকে এবং তার মাথার সবচাইতে ছোট অংশ (মাথার উপরের ভাগ) আগে বেড়িয়ে আসে। গর্ভধারণের প্রথম দিকে মায়ের জারয়ুর ভেতর বাচ্চার নড়াচড়ার যথেষ্ট জায়গা থাকে। সে সময় বাচ্চা নিয়মিত পজিশন পরিবর্তন করে। কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষ দিকে শিশুর আকার বাড়ার সাথে সাথে জরায়ু তে তার নড়াচড়ার করার জায়গা কমতে থাকে। তাই…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থা কখন ঝুঁকিপূর্ণ ?
গর্ভাবস্থা একেবারেই স্বাভাবিক একটি বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই একটি মেয়ে গর্ভধারণ করে। তবে এর মধ্যে আমরা না চাইলেও কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়ে যায়। কোনো জটিল অবস্থা যদি গর্ভাবস্থায় থাকে, সে অবস্থার জন্য যে শিশুটি আসবে তার ওপর যদি কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে (যেমন—বাচ্চাটা মারা যেতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা জন্ম দিতে পারে অথবা যে শিশুটি আসবে, তার যেকোনো ধরনের অসুবিধা হতে পারে) সেটিই হলো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা। আশার কথা, সাধারণভাবে শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটে সুষ্ঠুভাবে। তবে বাকি ৫ থেকে ১০ ভাগ মায়ের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে অস্বাভাবিকতা বা…
বিস্তারিত পড়ুনথ্যালাসেমিয়া ও গর্ভধারণ । কিছু জরুরী বিষয়
থ্যালাসেমিয়া একধরণের রক্তের রোগ যা আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে কম লোহিত রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন করে। থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরে লোহিতকণিকার পরিমান কম থাকলে এবং এর আকার ছোট হলে এনেমিয়া হতে পারে। অনেক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ জীবন যাপন করেন যদিও এর কারণে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যার চিকিৎসা দরকার হয়। মারাত্মক আকারের থ্যালাসেমিয়ার কারণে মৃত্যুও হতে পারে। দেশে প্রতিবছর প্রায় আট হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি এবং দেশে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এ রোগের জীবাণু বহন করছে।থ্যালাসেমিয়া বিশ্বের…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর জন্মগত হৃদরোগ । কারণ, লক্ষন ও করনীয়
শিশুর জন্মগত হৃদরোগ এমনই একটি রোগ যার শুরু মায়ের গর্ভে। আমাদের দেশে অসচেতনার কারণে এর হার একেবারে কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০০ জন জীবিত শিশুর মধ্যে আটজন শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই ১০০০ জনের আটজনের মধ্যে আবার ২-৩ জনের রোগের লক্ষণ জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই নানাবিধ উপসর্গসহ প্রকাশ পায়। বাকিদের পরবর্তীতে জীবনের যে কোনো সময় তা প্রকাশ পেতে পারে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মগত হৃদরোগ কি? একটি হার্টে চারটি চেম্বার বা প্রকোষ্ঠ থাকে। রক্ত ওপর থেকে নিচে…
বিস্তারিত পড়ুনডাউন সিনড্রোম । কারণ, ঝুঁকি ও করনীয়
ডাউন সিনড্রোম (Down syndrome) বা ডাউন শিশু প্রকৃতির খেয়ালে তৈরি এক বিশেষ ধরনের শিশু। ব্রিটিশ চিকিৎসক জন ল্যাঙ্গডন ডাউন ১৮৬৬ সালে এ শিশুদের চিহ্নিত করেন বলে তার নামানুসারে ডাউন সিনড্রোম কথাটি প্রচলিত হয়। প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ শিশুর মধ্যে একটি শিশু ডাউন সিনড্রোম বা ডাউন শিশু হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রতি বছর ৫০০০ বা প্রতিদিন প্রায় ১৫টি ডাউন শিশুর জন্ম হয়। ডাউন সিনড্রোম কি? আমাদের কোষের মধ্যকার ক্রোমোজোমের ভেতরের ডিএনএকে বলা হয় বংশগতির ধারক ও বাহক। আমাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আচার, আচরণ, বুদ্ধিমত্তা,…
বিস্তারিত পড়ুনপলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম | গর্ভধারণে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কি? পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম একধরনের হরমোনাল ইম্ব্যালান্স যা মহিলাদের হয়। প্রতি একশ জন নারীর মধ্যে আট থেকে দশ জনের এ সমস্যা থাকতে পারে। এই রোগে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো সিস্ট হয় বলেই এর এমন নামকরন। তরুণীদের মধ্যে সাধারণত এই রোগটি বেশী হয়ে থাকে। মহিলাদের ডিম্বাণু তৈরি হয় একধরনের তরলপূর্ণ থলীর ভেতর যাকে ফলিকল বা সিস্ট বলে। যখন ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় তখন এই থলী ফেটে যায় এবং ডিম্বাণু বেরিয়ে আসে। এই অবস্থা কে ওভুলেশন বলে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এই প্রক্রিয়াই বাঁধা সৃষ্টি করে। যাদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আছে সেসব নারীদের…
বিস্তারিত পড়ুনফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমারের চিকিৎসা
রোগ নির্ণয় এমন অনেক নারী আছেন, যারা জানেনই না যে তাদের জরায়ুতে টিউমার রয়েছে। আপনার ফাইব্রয়েড হয়েছে বলে ডাক্তার যদি সন্দেহ করে থাকেন, তাহলে সুস্পষ্ট প্রমাণের জন্য তিনি আপনার শ্রোণীদেশ পরীক্ষা (Pelvic Examination) করে দেখতে পারেন। ফাইব্রয়েড নিশ্চিত করার জন্য অথবা আরো যেসব কারণে একই রকম উপসর্গ হতে পারে, সেগুলোকে বাতিল করার জন্য আরো কিছু পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে,। এই পরীক্ষাগুলোর জন্য ডাক্তার আপনাকে কোন হাসপাতাল বা প্যাথোলজি সেন্টারে পাঠাতে পারেন। যেহেতু ফাইব্রয়েড আক্রান্ত হলে সাধারণত কোনো লক্ষণ প্রকাশিত হয় না, তাই কখনো কখনো গাইনোকোলোজিক্যাল রুটিন চেক আপের সময়…
বিস্তারিত পড়ুন