ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার কি? ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার হলো নারীদেহের সাধারণ একধরনের টিউমার। গর্ভাবস্থায় শতকরা ১০ ভাগ নারীর দেহে ফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ বছরের নারীদের মধ্যে ফাইব্রয়েড আক্রান্তের হার বেশি। কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলো, এটি টিউমার হলেও কিন্তু ক্যানসার নয়। এটি শরীরে ক্যানসারের মতো কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলে না। এই টিউমার থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা এক শতাংশের কম। এটি ইউটেরিন মায়োমা (Uterine Myoma) ফাইব্রো মায়োমা, লাইওমায়োমা নামেও পরিচিত। জরায়ু টিউমার বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। ছোট টিউমার দেখতে মটরশুটির দানার সমান এবং বড় আকারের টিউমার কখনো কখনো বড়…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভধারণের প্রস্তুতি
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
বেশিরভাগ মহিলা বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নিয়ে বেশ কনফিউজড থাকেন। সাধারণত পিরিয়ড বা মাসিক মিস হলে তার ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভধারণের কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার অনেক মায়েরা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ১ মাস সাধারণত বুঝতেই পারেন না যে তারা গর্ভধারণ করেছেন। প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণগুলো কখন থেকে দেখা যেতে পারে? সাধারণত ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করতে পারে। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ফেলোপিয়ান টিউব (Fallopian Tube) হয়ে জরায়ুতে পৌঁছাতে হতে প্রায় ৬ দিন সময় লাগে। গর্ভধারণের প্রথম…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় রক্তের গ্রুপ বা রেসাস (Rh) ফ্যাক্টর কি প্রভাব ফেলতে পারে?
গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর এর প্রভাব জানার আগে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক। মানুষের রক্তের ধরন সাধারনত দুটো পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়। এর একটি হোল ABO পদ্ধতি যাতে রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এগুলো হোল- A, B, AB এবং O। লোহিত রক্তকণিকায় দু ধরনের স্বতন্ত্র অ্যান্টিজেন থাকে (এক ধরনের প্রোটিন)। একটি অ্যান্টিজেনকে “A” এবং আরেকটি অ্যান্টিজেনকে “B” নামকরন করা হয়েছে। যদি রক্তের লোহিত কণিকায় A অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি থাকে তবে তাক Type-A রক্ত বলা হয়। যদি B অ্যান্টিজেন থাকে তবে Type- B, যদি দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে তবে…
বিস্তারিত পড়ুনওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশনের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন ?
ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন সে সময়টাকে বলে যখন ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ফেলপিয়ান টিউবে অবস্থান করে এবং নিষিক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।পরবতীতে তা ক্রমশঃ গর্ভাশয়ের এর দিকে অগ্রসর হয়। তার এই যাত্রাপথে যদি কোন শুক্রানু দ্বারা ডিম্বানুটি নিষিক্ত হয় তবে তা গর্ভাশয়ে গিয়ে বসে যাবে। যাকে আমরা নারীর গর্ভধারন বলি। আর যদি ডিম্বানুটি কোন পুরুষের শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হয়, তবে তা বিচূর্ন হয়ে কিছু রক্তকনিকা সহ মাসিক ঋতুচক্রের সময় নির্গত হয়ে যাবে। এসময় জরায়ুর দেয়ালও নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হওয়ার সুবিধার জন্য পুরু হয়ে ওঠে।…
বিস্তারিত পড়ুনসন্তান নিতে চাইলে যে ১০ টি করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত
গর্ভধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। একটি সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসবের জন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মুহূর্তে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তবে শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, বাচ্চা নিতে চাইলে তার প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিৎ গর্ভধারণের আগে থেকেই। বাচ্চা নিতে চাইলে অন্তত মাস দুয়েক আগে থেকেই কিছু কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা উচিৎ। এতে করে সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভধারণ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বাচ্চা প্রসবের সম্ভাবনা অনেক গুনে বেড়ে যায়। নিচে এমনি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা কনসিভ করার আগে থেকেই করা উচিৎ। ১। বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করুন গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সাথে সাথেই একজন বিশেষজ্ঞের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন জরুরী?
ফলিক এসিড কি? ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (Folate) নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের রক্তশল্পতা রোধে (anemia) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহন করা উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি ডিএনএ এর গঠন,কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।…
বিস্তারিত পড়ুন