শিশুর ডায়রিয়া । কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার

নবজাতকের ডায়রিয়া

শিশুদের মলত্যাগ নিয়ে প্রায়ই অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়। কখনো শিশু দিনে বেশ কয়েকবার মলত্যাগ করছে, কখনো কয়েক দিন দিন ধরে করছেই না। আবার কখনো মলের ধরন ও রং পরিবর্তন হচ্ছে ঘন ঘন। কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা অস্বাভাবিক—বুঝতে গিয়ে মা-বাবা গলদঘর্ম হন। নবজাতক, বয়স ১০ দিন। বারবার পাতলা পায়খানা করছে। সে শুধু মায়ের দুধ খাচ্ছে। মা-বাবা উদ্বিগ্ন, মায়ের দুধ খাওয়া সত্ত্বেও শিশুর কেন ডায়রিয়া? যে শিশু শুধু মায়ের দুধ খায় তাদের অনেকেরই এ রকম সমস্যা দেখা দেয়। মায়ের দুধই শিশুর সেরা খাবার, এটা আমরা সবাই জানি। মায়ের দুধ শিশুকে অনেকভাবে ভালো রাখে।…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর নাক ও গলার কফ কিভাবে পরিষ্কার করবেন ?

শিশুর নাক ও গলার কফ

কফ কি এবং কেন হয়? কফ হলো গলার অস্বস্তিকর পিচ্ছিল পদার্থ। এটা শ্বাস নালীতে তৈরি এবং সেখান থেকে নিঃসৃত রস যা কাশির মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে আসে তাকেই কফ বলা হয়। বাইরের জিনিস শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে শরীরের Protective mechanism এর ফলে শ্বাসনালী তা কফের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়- এই প্রক্রিয়াকে কাশি বলা হয়। গলার গ্ল্যান্ডগুলো দিনে প্রায় এক থেকে দুই লিটার কফ তৈরি করে। কফ হলো আমাদের শ্বাসনালীর রস। শ্বাসনালীকে ভিজিয়ে রাখা কফের কাজ। শ্বাসনালী কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফ তৈরী করলে আমরা গলায় অস্বস্তিকর কফের অনুভুতি…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর নিউমোনিয়া এবং তার চিকিৎসা

শিশুর নিউমোনিয়া

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শিশুরা ভোগে নানান সমস্যায়। সামান্য শীতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে। মনে রাখা দরকার, প্রতিবছর একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে মারা যায়। বাংলাদেশে তো বটেই, বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া চাই। যদি সন্দেহ হয় যে বাচ্চা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। কিছু কিছু নিউমোনিয়া মৃদু হতে পারে তবে তা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। নিউমনিয়া কি? ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের  প্রদাহজনিত রোগ নিউমোনিয়া। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়।সব সর্দি-কাশিই…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ফ্লু । সাধারন সর্দি কাশি ভেবে ভুল করছেন না তো?

শিশুর ফ্লু

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কি? ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা এক ধরনের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এই ইনফেকশন এর মাধ্যমে আমাদের শ্বাসযন্ত্র (নাক, গলা ও ফুসফুস) সংক্রমিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাইরাল ফিবার বা ভাইরাসজনিত জ্বর হচ্ছে। অনেকে আবার আক্রান্ত হচ্ছে ফ্লুতে। ফ্লু সাধারণত: বেশি হয় শিশুদের। আর শিশুদের ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া বা শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেক ধরন আছে। এক এক বছর এক এক ধরনের ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের বিশেষ করে যাদের বয়স ২ বছরের কম তারা ফ্লুতে আক্রান্ত হলে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ । কারণ ও প্রতিকার

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

ডায়াপার র‍্যাশ কি? শিশুদের প্রায়ই ডায়াপার-জনিত র‌্যাশ বা অ্যালার্জি, এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র‌্যাশ হয়েছে। আমরা জানি বেশিরভাগ পিতামাতাই সন্তানের প্রতি যত্নশীল। ডায়াপার সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করেন। কিন্ত এতকিছুর পরও শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে কখনো কখনো ডায়াপার র‍্যাশের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ডায়াপার র‍্যাশ হতে পারে। ডায়পার র‌্যাশ দেখতে কেমন হয়? ডায়াপার র‍্যাশের ফলে শিশুর কোমল…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগলে করনীয়

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা

বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে তারা সহজেই অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বাচ্চাদের বেশী সর্দি হয় বা ঠাণ্ডা লাগে । প্রায় ২০০ ধরনের ভাইরাস শিশুর কমন কোল্ড বা বাংলায় আমরা যাকে বলি ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দির কারণ। বাচ্চাদের শরীর আস্তে আস্তে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। আমদের সারাজীবনে কতবার ঠাণ্ডা লেগেছে বা সর্দি হয়েছে তা একবার ভাবুন। আপনার বাচ্চারও এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর ফলে তার শরীরে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠবে। বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে বাড়তে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর থ্যালাসেমিয়া । লক্ষন, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

শিশুর থ্যালাসেমিয়া

থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) একটি বংশগত রক্তের রোগ। হিমোগ্লোবিন রক্তের খুবই গুরত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা নিশ্বাসের সঙ্গে যে অক্সিজেন বহন করি, হিমোগ্লোবিনের কাজ হলো তা শরীরের সমস্ত অংশে বহন করে নিয়ে যাওয়া। এ রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী এই হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। হিমোগ্লোবিন তৈরী হয় দুটি আলফা প্রোটিন ও দুটি বিটা প্রোটিন দিয়ে। যদি এই প্রোটিন গুলোর উৎপাদন শরীরে কমে যায়, তবে শরীরের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায় এবং থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয়। আলফা ও বিটা প্রোটিন তৈরী হয় জীন হতে। দুই গ্রুপের হিমোগ্লোবিন চেইনের সংশ্লেষণ মূলত জেনেটিক্যালি নিয়ন্ত্রিত হয়। কেউ যখন কোন ত্রুটিপূর্ণ…

বিস্তারিত পড়ুন

জন্মগত হৃদরোগ । ধরন ও চিকিৎসা

জন্মগত হৃদরোগ । ধরন ও চিকিৎসা

শিশুর জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসা নির্ভর করে হৃদরোগের অবস্থার ওপর। কখন সার্জারি করা হবে সেটি নির্ভর করে কিছু বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে একটি হলো এর আকার। ছিদ্রটা কতটুকু বড় তার ওপর নির্ভর করে এবং এই ছিদ্র থাকার কারণে শরীরে অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না, সেটি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধান যে সমস্যাগুলো হয়, একটি হলো ওজন কম, দুই হলো হার্ট ফেইলিউর। হার্ট ফেইলিউর যদি বৃদ্ধি পায়, বৃদ্ধি যদি কমতে থাকে, অথবা পালমোনারি যদি হয়, উল্টো দিকে রক্ত যাওয়ার কারণে ফুসফুসের ভেতর যে নালিগুলো আছে পালমোনারি আর্টারি, সেটির চাপ বেড়ে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ । কারণ, লক্ষন ও করনীয়

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ এমনই একটি রোগ যার শুরু মায়ের গর্ভে। আমাদের দেশে অসচেতনার কারণে এর হার একেবারে কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০০ জন জীবিত শিশুর মধ্যে আটজন শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই ১০০০ জনের আটজনের মধ্যে আবার ২-৩ জনের রোগের লক্ষণ জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই নানাবিধ উপসর্গসহ প্রকাশ পায়। বাকিদের পরবর্তীতে জীবনের যে কোনো সময় তা প্রকাশ পেতে পারে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মগত হৃদরোগ কি? একটি হার্টে চারটি চেম্বার বা প্রকোষ্ঠ থাকে। রক্ত ওপর থেকে নিচে…

বিস্তারিত পড়ুন

ডাউন সিনড্রোম । কারণ, ঝুঁকি ও করনীয়

ডাউন সিনড্রোম

ডাউন সিনড্রোম (Down syndrome) বা ডাউন শিশু প্রকৃতির খেয়ালে তৈরি এক বিশেষ ধরনের শিশু। ব্রিটিশ চিকিৎসক জন ল্যাঙ্গডন ডাউন ১৮৬৬ সালে এ শিশুদের চিহ্নিত করেন বলে তার নামানুসারে ডাউন সিনড্রোম কথাটি প্রচলিত হয়। প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ শিশুর মধ্যে একটি শিশু ডাউন সিনড্রোম বা ডাউন শিশু হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রতি বছর ৫০০০ বা প্রতিদিন প্রায় ১৫টি ডাউন শিশুর জন্ম হয়। ডাউন সিনড্রোম কি? আমাদের কোষের মধ্যকার ক্রোমোজোমের ভেতরের ডিএনএকে বলা হয় বংশগতির ধারক ও বাহক। আমাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আচার, আচরণ, বুদ্ধিমত্তা,…

বিস্তারিত পড়ুন