আইভিএফ (IVF) বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (In vitro fertilization) এক ধরণের বিকল্প গর্ভধারণ পদ্ধতি যেখানে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মধ্যকার নিষেক কাজটি ল্যাবরেটরিতে করা হয়। নিষেকের ফলে জন্ম নেওয়া ভ্রুণগুলোর মান যাচাই করা হয় এবং এক বা একাধিক ভ্রুণকে সারভিক্সের মাধ্যমে আবার জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। আইভিএফ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকল্প গর্ভধারণ পদ্ধতি। সহযোগী গর্ভধারণ পদ্ধতি বা এসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজিগুলোর (ART) মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৯৯% এরও বেশি) ব্যবহৃত হয় এই পদ্ধতি। আমেরিকায় জন্ম হওয়া শিশুদের মধ্যে ১.৫ শতাংশ শিশুই বিকল্প গর্ভধারণ পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণ করে। যে কেউই কি ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভধারণের প্রস্তুতি
জেনেটিক ক্যারিয়ার স্ক্রিনিং বা জিনগত রোগের বাহক কিনা তার পরীক্ষা
জেনেটিক ক্যারিয়ার স্ক্রিনিং বা জিনগত রোগের বাহক পরীক্ষা কি? জেনেটিক ক্যারিয়ার স্ক্রিনিং (genetic carrier screening) হলো এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে দেখা হয় আপনার এবং আপনার সঙ্গী- কারো শরীরে এমন কোন জেনেটিক মিউটেশন বা জিনগত বিভাজন রয়েছে কিনা যার মাধ্যমে শিশু ভয়াবহ কোন জন্মগত রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমন ভয়াবহ জন্মগত রোগের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া, সিস্টিক ফিব্রোসিস, সিকল সেল ডিজিজ, টে-স্যাকস ডিজিজ অন্যতম। তবে এমন আরো শতাধিক জন্মগত রোগ রয়েছে যেগুলোর জন্যে টেস্ট করানো যায়। একটি বেশ বড় গবেষণায় দেখা গেছে, পরীক্ষা করানো রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৪ জনের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণের চেষ্টার পূর্বেই কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি?
নবজাতক শিশু খুব সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে এই পৃথিবীতে আগমন করুক এটা সব বাবা মায়েরই ইচ্ছে। আর এই ইচ্ছেটাই পূরণ করার জন্য গর্ভধারণের পূর্বেই নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আপনার উচিৎ ডাক্তারের কাছ থেকে একটা চেকআপ করিয়ে নেয়া। গর্ভধারণের পূর্বে নিজের শরীরের প্রতি সঠিক যত্ন নেয়াটাকে, গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় ভোগার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য এক ধরনের প্রতিরোধমূলক ওষুধ হিসেবে গণ্য করুন। আর তাই যখনই আপনি গর্ভধারণ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন, ঠিক তখন থেকেই নিজের প্রতি একটু বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করুন। গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে কয়েক মাস বা বছর…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভধারণে ইচ্ছুক? জেনে নিন কেমন হওয়া উচিৎ আপনার খাদ্যাভ্যাস
আপনি যদি গর্ভধারণে ইচ্ছুক হন তাহলে গর্ভকালীন সময়ে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই আপনার খাদ্যাভ্যাসে স্বাস্থ্যকর কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এ সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক শহরের একজন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সিনথিয়া বলেন, “আপনি কি খাচ্ছেন তার প্রভাব আপনার রক্ত কণিকা, কোষ ও হরমোন সহ সবকিছুর উপর বিদ্যমান”। তবে আপনার খাদ্যাভ্যাস যতই ভালো হোক না কেন, অনাগত শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্টের সমস্যা এড়ানোর জন্য প্রি-ন্যাটাল ভিটামিনগুলো খাওয়া বেশ জরুরী। বেশীরভাগ বিশেষজ্ঞরাই মনে করেন, নারীদের গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করার অন্তত এক মাস আগ থেকেই ফলিক এসিড খাওয়া শুরু করা উচিৎ। গর্ভধারণ করতে ইচ্ছুক হলে…
বিস্তারিত পড়ুনঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করবেন ?
সাধারনতঃ বাসায় গর্ভধারন পরীক্ষা সবসময় সঠিক ফলাফল দেয়। মাসিক হওয়ার আসল তারিখ থেকে ২/১ দিন পরে পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে কাজ করে? বাসায় গর্ভধারন পরীক্ষা দেখে, আপনার প্রস্রাবে গর্ভধারন হরমোনের উপস্থিতি আছে কি না। ডিম্বানু নিষিক্ত হবার ৬ দিন পর গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিশেষ একধরনের হরমোনের নিঃসরণ ঘটে, এর নাম এইচ.সি.জি (human chorionic gonadotropin)। মূত্রে এই হরমোনের উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে মা গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা হয়। কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে, গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে তখন…
বিস্তারিত পড়ুনকিভাবে দ্রুত এবং সহজে গর্ভবতী হওয়া যায়
অসংখ্য মানুষের অসংখ্য রকমের সমস্যা। কেউ না চাইলেও কোনো নিয়ম না মানলেও গর্ভধারণ করতে পারেন আবার অনেক দম্পতি সন্তান গ্রহণ করতে চান কিন্তু অজানা কারণে তা হয় না। কনডম ব্যবহার না করা বা পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই একজন নারী গর্ভবতী হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়।বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ, নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে। আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা আপনার গর্ভবতী হওয়াকে আরও দ্রুত ও সহজ করতে সাহায্য করবে। দ্রুত এবং সহজে গর্ভধারণ করার উপায়…
বিস্তারিত পড়ুনআপনি কি সন্তান নেয়ার জন্য সত্যিই প্রস্তুত !
আপনি নিশ্চয় যেকোন কাজ করার আগে দশবার ভেবে দেখেন। কোনটা ভালো? কেমন? কাজটা ঠিক হবে কিনা। এমন হওয়া আর করাটাই স্বাভাবিক এবং সঠিক। কিন্তু যখন কথা আসে আপনার জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার তখন কেন প্রস্তুতি নেই? হতাশাজনকভাবে কিছু অপ্রত্যাশিত বিষয় এ প্রস্তুতিরকালে কালো ছাপ ফেলতে পারে। এমনকি আপনি নিজেকে যথেষ্ট সুস্থ ও সন্তান ধারণক্ষম মনে করলেও কিছু ঝামেলা থেকে যেতেই পারে। মা-বাবা হিসেবে সন্তান জন্ম দেয়ার আগেই আমাদের ভাবতে হবে আমরা সন্তান জন্ম দেয়ার ও যত্ন নেয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা। আমাদের দেশে বেশিরভাগ দম্পতিরাই কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বাবা-মা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভবতী না হয়েও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হওয়ার কারণ কি?
মাথা ঘোরা আর বমি বমি লাগা মানেই আমাদের দেশে প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী না হয়েও টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে।প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ভুল ফল আসার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। তবে তা নিয়ে বিস্তারিত বলার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই পরীক্ষায় ঠিক করা হয়। প্রেগন্যান্সি বা গর্ভবতী কিনা তা কিভাবে নির্ণয় করা হয় বাসায় গর্ভধারন পরীক্ষায় আপনার প্রস্রাবে গর্ভধারন হরমোনের উপস্থিতি আছে কি না। ডিম্বানু নিষিক্ত হবার ৬ দিন পর গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিশেষ একধরনের হরমোনের নিঃসরণ ঘটে, এর নাম এইচ.সি.জি (human chorionic…
বিস্তারিত পড়ুনথ্যালাসেমিয়া ও গর্ভধারণ । কিছু জরুরী বিষয়
থ্যালাসেমিয়া একধরণের রক্তের রোগ যা আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে কম লোহিত রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন করে। থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরে লোহিতকণিকার পরিমান কম থাকলে এবং এর আকার ছোট হলে এনেমিয়া হতে পারে। অনেক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ জীবন যাপন করেন যদিও এর কারণে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যার চিকিৎসা দরকার হয়। মারাত্মক আকারের থ্যালাসেমিয়ার কারণে মৃত্যুও হতে পারে। দেশে প্রতিবছর প্রায় আট হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি এবং দেশে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এ রোগের জীবাণু বহন করছে।থ্যালাসেমিয়া বিশ্বের…
বিস্তারিত পড়ুনপলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম | গর্ভধারণে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কি? পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম একধরনের হরমোনাল ইম্ব্যালান্স যা মহিলাদের হয়। প্রতি একশ জন নারীর মধ্যে আট থেকে দশ জনের এ সমস্যা থাকতে পারে। এই রোগে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো সিস্ট হয় বলেই এর এমন নামকরন। তরুণীদের মধ্যে সাধারণত এই রোগটি বেশী হয়ে থাকে। মহিলাদের ডিম্বাণু তৈরি হয় একধরনের তরলপূর্ণ থলীর ভেতর যাকে ফলিকল বা সিস্ট বলে। যখন ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় তখন এই থলী ফেটে যায় এবং ডিম্বাণু বেরিয়ে আসে। এই অবস্থা কে ওভুলেশন বলে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এই প্রক্রিয়াই বাঁধা সৃষ্টি করে। যাদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আছে সেসব নারীদের…
বিস্তারিত পড়ুন