গর্ভাবস্থায় একজন নারী মা হবার আনন্দে যেমন বিভোর থাকেন, ঠিক তেমনি আবার নানা বিপদের কথা ভেবে থাকেন শঙ্কিত। গর্ভধারণ মানেই কমবেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা।তাই নিরাপদে মা হবার জন্য গর্ভে সন্তানের আগমন নিশ্চিত হওয়া মাত্র গর্ভকালীন পরিচর্যা শুরু করতে হবে। গর্ভকালীন পুরো সময় থেকে প্রসবের পর কিছুদিন পর্যন্ত নিয়মিত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রথম প্রি-ন্যাটাল ভিজিট কখন করতে হবে? যখনি আপনি জানতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী তখনি যত দ্রুত সম্ভব কোন গাইনী ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। যদি আপনি এখনো ঠিক করে না থাকেন যে পুরো গর্ভকালীন সময় আপনি কোন ডাক্তারের সাথে থাকবেন…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন পরিচর্যা
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কেন জরুরী?
ফলিক এসিড কি? ফলিক এসিড হোল ভিটামিন- বি৯ এর কৃত্রিম রূপ যা ফলেট (Folate) নামেও পরিচিত। শরীরের প্রত্যেকটি কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনের জন্য এ ভিটামিন প্রয়োজন। এটি আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত কণিকা তৈরি এবং একধরনের রক্তশল্পতা রোধে (anemia) নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহন করা উচিত। ফলিক এসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি ডিএনএ এর গঠন,কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড অত্যন্ত জরুরি।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন । কেন জরুরী?
গর্ভকালীন সময়ে নারীদের দাঁতের যত্ন বিষয়টি মা ও অনাগত শিশুর সুস্থতার জন্য জরুরি৷ এই সময়টাতে নারীরা দাঁত ও মাড়ি নিয়ে অনেক ভোগেন৷ এ নিয়ে আছে অনেক ভুল ধারণাও৷ গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি নিতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থার দুই মাস পর থেকে মুখ এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় মায়ের দাঁতের সমস্যা সরাসরি গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করেনা। কিন্তু দাঁতে সমস্যা থাকলে তার ফলে মায়ের সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকেনা যেটা গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলে। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা গর্ভকালীন সময়ে মা ও গর্ভের শিশু – দুজনেরই সুস্থতা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় শরীরচর্চা
মাতৃত্ব একজন নারীর পরিপূর্ণতার সময়। তাই এসময় আপনাকে থাকতে হবে আরো বেশি বেশি সচেতন। সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম আর মানসিক স্বস্তিতো থাকতে হবেই। এসময় নিয়ম মেনে অল্প খানিকটা ব্যায়ামও বেশ উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে নিজের জন্যতো বটেই অনাগত সন্তানের কথা ভেবে হলেও আপনার ব্যায়াম করা দরকার। তবে এসময় ব্যায়াম কিন্তু অন্যান্য সময়ের মতো হবে না। এসময় ব্যায়ামও করতে হবে বুঝে শুনে। প্রেগনেন্সির প্রথম কয়েক মাস আপনি সব ধরনের ব্যায়ামই করতে পারেন। তবে এসময় হাঁটাটাই সব থেকে ভালো ব্যায়াম। আর যেটাই করুন না কেন অবশ্যই কোনো ভালো ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ মেনে চলা উচিত…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে সেই খাবার নির্ধারণেও আপনাকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুটির সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এমন অনেক খাবার আপনাকে ত্যাগ করতে হবে যা আপনি আগে গ্রহণ করলে সমস্যা হতো না। গর্ভাবস্থায় খাবার গ্রহণে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলে আপনি নিজেই সুস্থ শিশু ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে পারেন। গর্ভকালীন কিছু কিছু খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এইসব খাদ্য যেমন মায়ের শরীরের ক্ষতি করে তেমনি গর্ভের শিশুটিরও ক্ষতি হয়। আসুন,জেনে নেয়া যাক কি ধরনের খাদ্য গ্রহন করা থেকে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় খাবার ও পুষ্টি কেমন হওয়া উচিত ?
গর্ভের সন্তান পুষ্টি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অনাগত সন্তান আর মায়ের ভবিষ্যৎ সুস্থতাও অনেকাংশে গর্ভবতী মায়ের খাবার কেমন তার ওপর নির্ভর করে। অনেক মা দ্বিধায় ভোগেন কী খাওয়া উচিত, কী উচিত নয়। অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন বাড়তি ওজন নিয়েও। বহু মানুষের ধারণা, মা যদি বেশি খাবার খায় তাহলে গর্ভের সন্তান আকারে বড় হবে। তখন স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্ভব হবে না। তাই গর্ভবতী মাকে কম খেতে দেওয়া হয়। যা মা ও শিশুর জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার অনেকের মতে, একজন গর্ভাবস্থায় মাকে দুজনের খাবার খাওয়া উচিত। এটাও ঠিক নয়। কারণ…
বিস্তারিত পড়ুন