গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা কখন স্বাভাবিক, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যাথা সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সময় ছোটখাট ব্যথা, যে কোনও সমস্যাতেই উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকেন হবু মায়েরা। এই সময়ে বেশ কিছু কারণের জন্য পেটে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কারণ এসময়ে নারীদের দেহের অনেক অঙ্গের মাঝে পরিবর্তন ঘটে, জরায়ু আকারে বড় হয়ে যায়, লিগামেন্ট টান টান হয়ে যায়। বাচ্চার ওজন বহন করার কারনে এ সময় মায়েদের শরীরের পেশী, জয়েন্ট এবং শিরার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যার কারণে পাকস্থলীর আশপাশের জায়গাগুলোতে অস্বস্তি বোধ হয়। তবে তাই বলে সব ব্যাথাকেই স্বাভাবিক ভাবা উচিত নয়। যখন পেটে ব্যথা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তখন অবশ্যই চিন্তার…

বিস্তারিত পড়ুন

নিউকাল কর্ড। আম্বিলিকাল কর্ড শিশুর গলায় পেঁচিয়ে যাওয়া

নিউকাল কর্ড

গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হন। এগুলোর অনেকগুলো শুনতে খুব আতঙ্কজনক। তেমন একটি হোল নিউকাল কর্ড। গর্ভের শিশুর আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু যখন গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় শিশুর গলায় পেঁচিয়ে যায় তখন এই কন্ডিশনকে বলা হয় নিউকাল কর্ড। স্বাভাবিকভাবেই এটি শুনতে খুব ভয়ের ব্যাপার মনে হয়। আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মাদ্ধমে গর্ভের শিশুর শরীরে অক্সিজেন, রক্ত এবং অন্যান্য পুষ্টি পরিবাহিত হয়। তাই এই কর্ড সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে তা অবশ্যয় উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তবে সুসংবাদ হোল বেশীরভাগ নিউকাল কর্ডই একেবারেই ভয়ের কারণ নয়। আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু…

বিস্তারিত পড়ুন

ফলস লেবার পেইন | ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন বা ফলস লেবার পেইন

ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন বা ফলস লেবার পেইন কি? ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন হোল জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন যা গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী সময়ে (দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার) দেখা দিতে পারে। তবে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে এটি বেশী বোঝা যায় (কারো কারো ক্ষেত্রে নাও হতে পারে)। এই সংকোচনকে ফলস লেবার পেইনও বলে। ডঃ. জন  ব্র্যাক্সটন হিক্সের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে যিনি ১৮৭২ সালে প্রথম এটি ব্যাখ্যা করেন। গর্ভাবস্থা যত আগাতে থাকে ব্র্যাক্সটন হিক্স কন্ট্রাকশন বা ফলস লেবার পেইন তত ঘন ঘন হতে থাকে তবে গর্ভাবস্থার শেষের কয়েক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত এ ধরনের সংকোচন অনিয়মিত হয় এবং এতে কোন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় সহবাস | কখন নিরাপদ, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় সহবাস

গর্ভাবস্থায় শারীরিক মিলন কি নিরাপদ? এই প্রশ্ন নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক রকম কনফিউশনের মধ্যে থাকি। কোনও কোনও দম্পতি মনে করেন এসময় শারীরিক মিলন স্বাভাবিক। আবার কেউ কেউ এই সময়টাতে সহবাস করাকে নিরাপদ বলে মনে করেন না। আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন স্ত্রীর গর্ভকালীন সময়ে সহবাস করা সম্পর্কে। সেটা নিয়েই আজকের আলোচনা। গর্ভাবস্থায় সহবাস কি নিরাপদ? অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে অন্তঃসত্বা স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না। বিশেষ করে নারীদের মনেই বেশি সন্দেহ জাগে যে গর্ভবতী অবস্থায় মিলিত হওয়া যায় কিনা।এ প্রশ্নের উত্তর প্রায় সবসময়/বেশিরভাগ নারীর…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি সম্পর্কে খুঁটিনাটি

গর্ভবতী মায়ের ওজন

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী। গর্ভাবস্থায় সঠিক পরিমানে ওজন বৃদ্ধি মায়ের এবং গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ সময় আপানার ওজন কতটুকু বাড়বে সেটা নির্ভর করে, গর্ভধারণের আগে আপনার ওজন কেমন ছিল তার উপর। ব্যক্তি বিশেষে এই ওজন বৃদ্ধির পরিমান কম বেশি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ১০ থেকে ১২.৫ কেজির মধ্যে থাকে। গর্ভবতী মায়ের ওজন যতটুকু বাড়ে, তার সিংহ ভাগই বাড়ে ২০ সপ্তাহ পর থেকে। এর কারন হলো, এ সময়টায় গর্ভস্থ শিশুর ওজন বাড়তে থাকে, পাশাপাশি আপনার শরীরেও…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে সে বিষয়ে প্রচলিত ধারণা এবং বাস্তবতা

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এই নিয়ে হবু বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দিনরাত চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয়ের বেশ কিছু ধারনা এখনো আমাদের সমাজে প্রচলিত এবং খুব আশ্চর্যের বিষয় বিজ্ঞানের এ সময়ে এসেও অনেকেই তা বিশ্বাস করে চলেছেন। অনেকেই হয়তো বলবেন প্রচলিত এ ধারনাগুলো অমুকের ক্ষেত্রে মিলে গিয়েছিল। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন আপনার গর্ভের সন্তান হয় ছেলে হবে নাহয় মেয়ে। অর্থাৎ আপনি যেটাই ভবিষ্যৎবানী করেন না কেন তা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ। এর মানে হোল প্রচলিত  এসব ধারনা থেকে আপনার…

বিস্তারিত পড়ুন

সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি বা সারভিকাল ইনসাফিশিয়েন্সি | অসময়ে জরায়ু মুখ খুলে যাওয়া

সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি বা সারভিকাল ইনসাফিশিয়েন্সি

সারভিক্স (Cervix) কি ? সারভিক্স (Cervix) হোল জরায়ুর নীচের দিকের সরু, নলের মত অংশ যা ভ্যাজাইনা বা যোনীর সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি জরায়ুমুখ নামেও পরিচিত। যখন মেয়েরা গর্ভবতী থাকেনা তখন সারভিক্স সামান্য খোলা থাকে যাতে শুক্রাণু ভেতরে ঢুকতে পারে এবং পিরিয়ডের সময় রক্ত বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারে। যখন কেউ গর্ভধারণ করে তখন নিঃসরিত পদার্থ জমা হয় জরায়ু মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং এক ধরনের প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করে যাকে মিউকাস প্লাগ বলে। স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় তৃতীয় ট্রাইমেস্টার পর্যন্ত জরায়ু মুখ শক্ত, লম্বা এবং বন্ধ অবস্থায় থাকে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মায়ের শরীর যখন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় রক্তের গ্রুপ বা রেসাস (Rh) ফ্যাক্টর কি প্রভাব ফেলতে পারে?

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর এর প্রভাব জানার আগে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক। মানুষের রক্তের ধরন সাধারনত দুটো পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়। এর একটি হোল ABO পদ্ধতি যাতে রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এগুলো হোল- A, B, AB এবং O। লোহিত রক্তকণিকায় দু ধরনের স্বতন্ত্র অ্যান্টিজেন থাকে (এক ধরনের প্রোটিন)। একটি অ্যান্টিজেনকে “A” এবং আরেকটি অ্যান্টিজেনকে “B” নামকরন করা হয়েছে। যদি রক্তের লোহিত কণিকায় A অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি থাকে তবে তাক Type-A রক্ত বলা হয়। যদি B অ্যান্টিজেন থাকে তবে Type- B, যদি দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে তবে…

বিস্তারিত পড়ুন

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Posterior placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূণের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমে হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা গর্ভের সন্তানকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পাশে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই স্থানে হয়না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। আল্ট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান সাধারণত…

বিস্তারিত পড়ুন

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Anterior Placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূনের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমেই হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা ভ্রুনকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পেছনে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই   স্থানে হয় না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। প্লাসেন্টার গঠন…

বিস্তারিত পড়ুন