যমজ সন্তান হলো একই গর্ভধারনে সৃস্ট দুটি সন্তান।যমজ মনোজাইগোটিক (“অভিন্ন”) হতে পারে, অর্থাৎ তারা একটিমাত্র জাইগোট থেকে বড় হতে পারে পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি এমব্রায়োস গঠন করে, অথবা ডিজাইগোটিক (“ভ্রাতৃসম”), অর্থাৎ তারা আলাদা ডিম্বক থেকে বড় হয়, প্রত্যেকটি নিষিক্ত হয় আলাদা শুক্রানু দ্বারা। যমজ সন্তান কেন হয়? এ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণে এটি হতে পারে। এটি প্রকৃতি প্রদত্ত বা গড গিফটেড বলা যেতে পারে। দুই রকমের যমজ সন্তান হতে পারে। অভিন্ন যমজ শিশু (আইডেন্টিক্যাল টুইন) একটি…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন জিজ্ঞাসা
কতবার সিজার করা নিরাপদ? একের অধিক সিজারিয়ান ডেলিভারির ঝুঁকি
যেসব মায়ের ক্ষেত্রে অনাগত শিশু স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিতে পারে না, সেসব মায়ের ক্ষেত্রে শিশুকে সুস্থ অবস্থায় প্রসব করতে বিকল্প পথ বা সিজারিয়ানের আশ্রয় নিতে হয়৷ তাদের জন্য এই ‘সিজারিয়ান চিকিৎসা পদ্ধতি’ নিঃসন্দেহে আশীর্বাদ স্বরূপ৷ সিজারিয়ান করানো খুব সাধারণ ব্যাপার হলেও এটা একটা বড় অপারেশন তাই এর নিজস্ব কিছু ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় কোনো জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে ভ্যাজাইনাল বার্থ বা নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো। সিজারিয়ান কেন করা হয়ে থাকে? স্বাভাবিক পদ্ধতি বলতে বোঝায় জরায়ু থেকে যোনিপথ…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভকালীন সময়ে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা
নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় হল গর্ভাবস্থা। শুধু নারী নয়, তার শিশুর জীবন কীভাবে গড়ে উঠবে তা অনেকটাই নির্ভর করে এ সময়ের ওপরে।দুঃখজনক হলেও সত্যি, যে সময়টাতে নিবিড় পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মাঝে গর্ভবতী মায়ের থাকা উচিত সে সময়টাতেই কিছু ভুল ধারণার কারণে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। প্রাচীন এবং অকেজো কিছু ধারণা এখনও কিছু মানুষ আঁকড়ে ধরে আছেন। এগুলো হতে পারে ধর্মীয়, হতে পারে পারিবারিক কোনো প্রথা। পরিবারের প্রবীণ মানুষের কাছে এসব প্রথার মূল্য বেশি।তাদের মাথার ভেতরে এসব প্রথা এমনভাবে গেঁড়ে বসে আছে যে, গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশুর ক্ষতি হতে…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রসবের সম্ভাব্য তারিখ এবং গর্ভাবস্থার সপ্তাহ বা মাস কিভাবে হিসাব করবেন ?
প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ (Due Date) কিভাবে হিসাব করা হয়? গর্ভধারণের সময় গণনা সাধারণত শুরু হয় মাসিক এর প্রথম দিন হতেই। এই সময়ের সপ্তাহ দুই এক এর মধ্যেই সাধারণত গর্ভসঞ্চার হয়ে থাকে। যেহেতু গর্ভসঞ্চার এর নির্দিষ্ট সময় নির্ণয় করা অসম্ভব তাই বিশেষজ্ঞরা শেষ মাসিক এর প্রথম দিন হতে পরবর্তী ৪০ সপ্তাহকে গর্ভধারণ এর সময় হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এই হিসেবেই প্রসবের দিন (Due Date) বা নরমাল ডেলিভারির দিন গণনা করা হয়। যদি আপনার নিয়মিত মাসিক হয়, অর্থাৎ ২৮ দিন পর পর মাসিক হয় তবে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আপনার প্রসবের দিন গণনা…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর জন্ম পূর্ববতী স্ক্রীনিং এবং রোগ নির্ণয় সম্পর্কিত পরীক্ষা
সকল মা-বাবাই একটি সুস্থ বাচ্চা চায়। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু অভিভাবক রয়েছে যাদের বাচ্চার মারাত্মক শারীরিক এবং/অথবা মানসিক সমস্যা হতে পারে। কিছু আলাদা পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে যা দ্বারা তাদের শিশুর জন্মের পূর্বেই স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। প্রতিটি পরীক্ষার কিছু সুবিধা,অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত একান্ত ব্যক্তিগত। এছাড়াও এটি ভালো যদি সকল তথ্য একত্র করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসব পূর্ববর্তী (জন্মপূর্ব) পরীক্ষাগুলো কি কি? জন্মপূর্ব পরীক্ষা হলো সেইগুলো যেগুলো গর্ভবতী অবস্থায় করা হয়, বাচ্চার স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য। প্রধান দুই ধরনের জন্মপূর্ব পরীক্ষা আছে: স্ক্রীনিং…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় টিকা : কোনগুলো নিরাপদ, কোনগুলো নয়
গর্ভাবস্থায় টিকা কেন জরুরী? টিকা ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়েই ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনার সন্তানটি জন্মের কয়েকমাস পরেও তার টিকা শুরু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার গর্ভের সন্তানকে গুরুতর অসুখ থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সব ধরনের টিকাই নিরাপদ নয়। টিকা সাধারণত তিন ধরণের হয় যেমন- জীবন্ত ভাইরাস, মৃত ভাইরাস এবং টক্সয়েড(ব্যাকটেরিয়া থেকে টানা রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত প্রোটিন, যা অক্ষতিকর)। গর্ভবতী মহিলাদের জীবন্ত ভাইরাসের টিকা যেমন- হাম, মামস ও রুবেলার (MMR) টিকা ইত্যাদি…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় খাবার কিভাবে নিরাপদ রাখবেন?
খাবার নিরাপদ রাখা যখন আপনি গর্ভবতী হন, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য বিষক্রিয়াসহ আপনার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু কিছু জীবাণু যা হয়তো গর্ভ পূর্ববর্তী অবস্থায় পারত না, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এখন তার চেয়ে মারাত্মক অসুস্থতা তৈরী করতে পারে এবং আপনার জন্ম না নেয়া বাচ্চারও ক্ষতি করতে পারে। বিষক্রিয়া পরিহার করার কিছু উপায় এখানে দেয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করবে। ঠান্ডা রাখুন ফ্রিজ ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার নীচে রাখুন। যে খাবার ঠান্ডায় রাখা প্রয়োজন তা ফ্রিজে তৎক্ষনাত রেখে দিন। যে খাবার ফ্রিজে ছিল যদি তা দুই…
বিস্তারিত পড়ুননির্ধারিত সময়ের পরেও প্রসব বেদনা শুরু না হওয়া বা পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি
বেশীরভাগ বাচ্চাই গর্ভাবস্থার ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম নেয়। ডিউ ডেইট হোল বাচ্চা জন্ম নেয়ার সম্ভাব্য তারিখ। শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে ৪০ সপ্তাহ হিসেব করে এই ডেইট গননা করা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ডেটিং স্ক্যানের উপর ভিত্তি করে এই ডিউ ডেইটের তারতম্য ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে ডিউ ডেইট মানে বাচ্চা কখন জন্মাবে সেটা না বরং এটা হোল বাচ্চা কখন ৪০ সপ্তাহের হবে তার হিসেব। এই সময়ের আগে বা পরে বাচ্চা জন্মে নেয়াটা স্বাভাবিক। প্রসবের বা ডিউ ডেইটের জন্য নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরও যদি বাচ্চা প্রসব না হয়…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় চন্দ্রগ্রহন ও সূর্যগ্রহণের প্রভাব । প্রচলিত কুসংস্কার ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় হল গর্ভাবস্থা। শুধু নারী নয়, তার শিশুর জীবন কীভাবে গড়ে উঠবে তা অনেকটাই নির্ভর করে এ সময়ের ওপরে।দুঃখজনক হলেও সত্যি, যে সময়টাতে নিবিড় পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মাঝে গর্ভবতী মায়ের থাকা উচিত সে সময়টাতেই কিছু ভুল ধারণার কারণে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। বাংলাদেশের শিক্ষিত পরিবারগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কারের প্রচলন দেখা যায়। চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ, ঠিক দুপুরবেলা, সন্ধ্যাবেলা, মাঝরাত এসব সময়ে বাইরে বের হওয়া যাবে না- এমন একটা প্রথা তো আপনারা জানেন, তাই না? এর কতটুকু ভিত্তি আছে বলে আপনাদের মনে হয়? উত্তর- একটুও না। গ্রহণের সময়ে কাজ…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক পরিবর্তন কেমন হতে পারে?
প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটার জন্য শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে সবসময়ই খুব হাসি-খুশি থাকতে হবে। আপনি সন্তানসম্ভবা জানার পর আপনার আশেপাশের মানুষও চাইবে আপনি ভালো মেজাজে থাকুন, আপনার শিশুকে নিয়ে ভালো চিন্তা করুন। তাদের কথা শুনতে শুনতে আপনারও হয়তো মনে হবে যে সবসময়ই ভালো থাকতে হবে। কিন্তু, এটাও সত্য যে এই নয়টা মাসেও অন্য…
বিস্তারিত পড়ুন