Articles

শিশুর বেড়ে ওঠা | তৃতীয় মাস

শিশুর বেড়ে ওঠা । তৃতীয় মাস

জন্মের পরপরই নবজাতক শরীরের ঘ্রাণ ও কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে মাকে চিনতে পারলেও তার অনুভূতি সেভাবে প্রকাশ করতে শেখেনা। তৃতীয় মাসের দিকে এসে বা দুই মাস অতিক্রম করার পর মা, বাবা কিংবা প্রিয় কোনো  মুখ দেখে সে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে শুরু করে। হয়তো সে অপরিচিত কারো সাথেও হাসবে যারা তার সাথে হাসে বা কথা বলে কিন্তু সে তার প্রিয় মানুষদের ক্ষেত্রে হাসি বা উত্তেজনার মাধ্যমে তার অনুভূতি প্রকাশ করবে। এবয়সী প্রায় অর্ধেক শিশুই এ সময় বাবা মাকে দেখলে বা তাদের গলা শুনলে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে। এ মাসে শিশুর মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভবতী নারীর যত্ন নেয়ার ১১ টি টিপস

গর্ভবতী নারীর যত্ন

গর্ভধারণ সব মেয়েদের কাছেই অতি কাঙ্খিত একটি বিষয়। একজন মহিলা প্রথম বারের জন্য যখন গর্ভধারন করে তার কাছে অনেক কিছুই থাকে অজানা, এই সামান্য অজানা তথ্যের জন্য অনেক সময় নানা ধরনের কুসংস্কার মায়ের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এসবের ভিড়ে গর্ভবতী নারীর যত্ন নেয়ার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। এক জন মহিলা যখন গর্ভধারণ করেন তখন তাঁর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজনীয়। কিছু সাধারণ গাইডলাইন অনুসরণ করলেই মায়েদের শুস্থ গর্ভধারণ ও শুস্থ শিশুর জন্মদানের সম্ভাবনা অনেকগুণে বেড়ে যায়। গর্ভবতী মায়ের যত্ন সম্পর্কে এমনই কিছু বিষয় নিয়ে নীচে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় সহবাস | কখন নিরাপদ, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় সহবাস

গর্ভাবস্থায় শারীরিক মিলন কি নিরাপদ? এই প্রশ্ন নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক রকম কনফিউশনের মধ্যে থাকি। কোনও কোনও দম্পতি মনে করেন এসময় শারীরিক মিলন স্বাভাবিক। আবার কেউ কেউ এই সময়টাতে সহবাস করাকে নিরাপদ বলে মনে করেন না। আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন স্ত্রীর গর্ভকালীন সময়ে সহবাস করা সম্পর্কে। সেটা নিয়েই আজকের আলোচনা। গর্ভাবস্থায় সহবাস কি নিরাপদ? অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে অন্তঃসত্বা স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না। বিশেষ করে নারীদের মনেই বেশি সন্দেহ জাগে যে গর্ভবতী অবস্থায় মিলিত হওয়া যায় কিনা।এ প্রশ্নের উত্তর প্রায় সবসময়/বেশিরভাগ নারীর…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

বেশিরভাগ মহিলা বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নিয়ে বেশ কনফিউজড থাকেন। সাধারণত পিরিয়ড বা মাসিক মিস হলে তার ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভধারণের কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার অনেক মায়েরা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ১ মাস সাধারণত বুঝতেই পারেন না যে তারা গর্ভধারণ করেছেন। প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণগুলো কখন থেকে দেখা যেতে পারে? সাধারণত ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করতে পারে। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ফেলোপিয়ান টিউব (Fallopian Tube) হয়ে জরায়ুতে পৌঁছাতে হতে প্রায় ৬ দিন সময় লাগে। গর্ভধারণের প্রথম…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা কিভাবে বুঝবেন ?

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা বলতে কি বোঝায়? গর্ভের শিশু মায়ের পেটে একটা তরলভর্তি থলির মধ্যে থাকে যার নাম এমনিওটিক স্যাক(Amniotic Sac)। এই থলিটা ফেটে গেলে আপনার শরীর থেকে সেই পানির মত তরলটা সারভিক্স এর মাদ্ধমে যোনি পথে বের হয়ে যেতে থাকে। এটাকেই আমরা গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা নামে জানি। এই তরলটা একবারে অনেকটা বের হতে পারে আবার অল্প অল্প করে চুইয়ে বের হতে পারে। যেটাই হোক তখন সাথে সাথে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। তরল ভর্তি থলিটি দুই স্তর মেমব্রেন দিয়ে গঠিত হয়। তাই ডাক্তারি ভাষায় এই পানি ভাঙ্গাকে অনেক সময় “রাপচার্ড…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া | কারণ ও করনীয়

গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া

গর্ভাবস্থায় অনেক মা ই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এটা স্বাভাবিক। তবে এর উল্টোটাও দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক। অনেক মায়েরাই গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে ডায়রিয়ার শিকার হন আবার অনেকে প্রসব যন্ত্রণার ঠিক আগে এতে আক্রান্ত হন। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তা প্রসব শুরুর লক্ষন হতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশিবার পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলা হয়। ডায়রিয়া সাধারণত বেশীদিন স্থায়ী হয়না এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে সাবধান না হলে এবং প্রতিকার করা না হলে গর্ভাবস্থায় তা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া যদি কয়েকদিন…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর বেড়ে ওঠা | দ্বিতীয় মাস

শিশুর বেড়ে ওঠা । দ্বিতীয় মাস

জন্মের পর থেকে নবজাতকের প্রথম কয়েক মাস সময়টি বাবা মায়েদের জন্য  একটু কঠিন। তবে যেহেতু এক মাস অতিক্রম হয়েছে, আপনি অনেকটাই নবজাতকের দেখাশোনায় একটু একটু করে পারদর্শী হয়ে উঠছেন। রাত জাগা আর গর্ভকালীন শারিরিক ধকলের কারণে আপনার শরীর ও মন কিছুটা বিক্ষিপ্ত থাকলেও , এই সময়ের সবচেয়ে আনন্দময় যে ব্যাপারটি হয়ে থাকে, তা হলো আপনার সদ্য এক মাস পেরুনো ছানাটি হাসতে শেখা শুরু করতে পারে। দ্বিতীয় মাসে শিশুর খাওয়া সাধারণত ব্রেস্টফীড করা ১ মাস বয়সী শিশুরা প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর খেতে চাইবে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই গ্যাপটি আরেকটু বেশি…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা । অবহেলা নয়, প্রতিকার জরুরী

গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা

গর্ভাবস্থাকে একটি অনেক আনন্দের ও সুন্দর সময় বলা হয়। তবে, কাঙ্খিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যেভাবেই হোক, যখন নিশ্চিত হন যে গর্ভধারণ করেছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আরও নানা পরিবর্তনের সাথে সাথে হবু বাবা ও মা, বিশেষ করে মায়ের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বেড়ে যায়। আবার অনেকে বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেন।  নারীর গর্ভকালীন সময়ের মানসিক চাপ ও উদ্বেগের পরিমান যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশী হয়, তবে তা গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা ও অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সূচনা করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৩৩ শতাংশ নারীরাই গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতায় (depression during pregnancy) ভুগে থাকেন। এর…

বিস্তারিত পড়ুন

রাউন্ড লিগামেন্ট পেইন : গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তনের কারণে মায়েদের শরীরে অনেক ধরনের ব্যাথা এবং অস্বস্তি বোধ হতে পারে। এমনই একটি হোল রাউন্ড লিগামেন্ট পেইন। এটি একধরনের তীব্র বা সুচালো ব্যাথা যা সাধারণত তলপেটে বা কুঁচকির একপাশে বা উভয় পাশে অনুভূত হতে পারে। এ ধরনের ব্যাথা গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক এবং সাধারণত দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে এর উপসর্গ শুরু হয়। রাউন্ড লিগামেন্ট পেইন কেন হয়? মেয়েদের পেলভিসে একজোড়া লিগামেন্ট থাকে যা রাউন্ড লিগামেন্ট নামে পরিচিত। এগুলোর কাজ হোল জরায়ুকে সঠিক স্থানে ধরে রাখা। গর্ভধারণের আগে এ লিগামেন্টগুলো পুরু এবং ছোট থাকে। গর্ভধারণের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি সম্পর্কে খুঁটিনাটি

গর্ভবতী মায়ের ওজন

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী। গর্ভাবস্থায় সঠিক পরিমানে ওজন বৃদ্ধি মায়ের এবং গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ সময় আপানার ওজন কতটুকু বাড়বে সেটা নির্ভর করে, গর্ভধারণের আগে আপনার ওজন কেমন ছিল তার উপর। ব্যক্তি বিশেষে এই ওজন বৃদ্ধির পরিমান কম বেশি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ১০ থেকে ১২.৫ কেজির মধ্যে থাকে। গর্ভবতী মায়ের ওজন যতটুকু বাড়ে, তার সিংহ ভাগই বাড়ে ২০ সপ্তাহ পর থেকে। এর কারন হলো, এ সময়টায় গর্ভস্থ শিশুর ওজন বাড়তে থাকে, পাশাপাশি আপনার শরীরেও…

বিস্তারিত পড়ুন