Articles

শিশুর প্রথম দাঁত ওঠা

শিশুর প্রথম দাঁত ওঠা

প্রতিটি বাবা-মা ই কবে তার শিশুটির দাঁত উঠবে, কবে সেই সুন্দর দাঁতের হাসি দেখবে তা নিয়ে আকুল আগ্রহে থাকে। প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে এ নিয়ে সবার মাঝে অনেক আবেগ অনুভুতিও কাজ করে। মনে রাখতে হবে শিশুর দাঁত উঠার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকলেও তা একদম ক্যালেন্ডার ধরা সময় নয়।এর কিছুটা এদিক ওদিক হতে পারে,এনিয়ে বেশী দুঃচিন্তা না করাই ভালো। শিশুর প্রথম যে দাঁত উঠে তাকে বলা হয় দুধ দাঁত (Decidual teeth or primary teeth)। একেক স্থানের দাঁত একেক সময় উঠে, তেমনি একেক স্থানের দাঁত এক সময় পড়ে যায়। নীচের তালিকাতে এর বিস্তারিত…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক পরিবর্তন কেমন হতে পারে?

গর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক পরিবর্তন

প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটার জন্য শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে সবসময়ই খুব হাসি-খুশি থাকতে হবে। আপনি সন্তানসম্ভবা জানার পর আপনার আশেপাশের মানুষও চাইবে আপনি ভালো মেজাজে থাকুন, আপনার শিশুকে নিয়ে ভালো চিন্তা করুন। তাদের কথা শুনতে শুনতে আপনারও হয়তো মনে হবে যে সবসময়ই ভালো থাকতে হবে। কিন্তু, এটাও সত্য যে এই নয়টা মাসেও অন্য…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি বা হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি বা হাইপারমেসিস গ্রাভিডেরাম

হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম কি? এতবড় নামটাকে ভেঙে ভেঙে বললে এসে দাঁড়ায়, হাইপার (তীব্র), এমেসিস (বমি),গ্রাভিডেরাম (গর্ভধারণ)। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কোনও মহিলা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করেন, সেই অসুখকে বলে হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম। সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সকালের দিকে। ক্লান্তি যেন যেতেই চায় না। শুরু হয় বমি। সব পানি বেরিয়ে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। পুষ্টির অভাব তৈরি হয়। প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে। বংশগত কারণে হতে পারে। আবার হরমোনের হেরফেরের কারণেও হতে পারে বমির কষ্ট। অনেকসময় ওজন বেশি থাকলেও হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতীর শরীরে। গর্ভাবস্থায় বমি হয় অনেকেরই। প্রতি ১০০ জন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে কেন?

গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাব

গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও এ সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। সে জন্য গর্ভকালীন কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়, সহজে এসবের সমাধান সম্ভব। তবে অনেক সময় কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ সমস্যাও বেশ কষ্ট দেয়। গর্ভাবস্থায় যেসব সাধারন সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ। গর্ভাবস্থার একেবারে শুরু থেকেই এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হয় এবং প্রস্রাবের থলিতে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। এ কারণে প্রস্রাবের থলি পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়। সে কারণে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রি-ম্যাচিওর বা সময়ের আগেই জন্ম নেয়া বাচ্চার যত্ন

প্রি-ম্যাচিওর বা সময়ের আগেই জন্ম নেয়া বাচ্চার যত্ন

বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা, মা কিংবা শিশুর কোন ধরণের সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণেই শিশু নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পারে। কিন্তু যেহেতু তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীতে আসে তাই তাদের যত্ন-আত্তি, তাদের দেখাশোনা সবকিছুই একটু অন্যরকম হয়। সাধারনত এদের প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ আগে জন্ম নেয়া শিশুকে প্রিম্যাচিউর বাচ্চা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত গর্ভকাল ৪০ সপ্তাহ হলে জরায়ুতে ভ্রুণ যথেষ্ট বিকাশ লাভ করে। এসময় ভ্রুণ শিশুর ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ পরিপূর্ণতা লাভ করে। ফলে সন্তান প্রসবের পর মাতৃজঠর থেকে বেরিয়ে এসে শিশু যে পরিবেশ পায়…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা : কারণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় প্রায়শই শোনা যায় মা বিভিন্ন রকমের ব্যথায় ভুগছেন। এসব ব্যথা তার মাতৃত্ব কালীন সময়কে কঠিন করে তোলে।গর্ভাবস্থায় নারীদের মাজা বা কোমর ব্যথা একটি পরিচিত সমস্যা। প্রতি চার জনে তিন জন মহিলা গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা সমস্যায় ভুগে থাকেন । এ সমস্যা সাধারনত গর্ভাবস্থার শেষ দিকে বিশেষ করে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে বেশী দেখা যায় এবং মায়ের জরায়ুর যে পাশে বাচ্চা অবস্থান করে সেদিকে ব্যাথা বেশী অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থায় কোমরে এ ধরনের ব্যাথা কারও কারও জন্য তেমন সমস্যার কারণ নাও হতে পারে আবার কারও জন্য এটা খুবই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোমরে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় কিভাবে শোওয়া বা ঘুমানো নিরাপদ ?

গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম

গর্ভবতী মহিলাদের একটি অন্যতম  বড় সমস্যা হল ঘুমাতে এসে বিছানায় আরাম না পাওয়া। এর কারণ হিসেবে মায়ের শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন এবং মানসিকভাবে কিছুটা উত্তেজিত কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা বিষয়গুলোকে দায়ী করা যায়। এছাড়াও মায়ের ঘুমানোর ভঙ্গিরও এর উপর বেশ প্রভাব আছে। স্বাভাবিক অবস্থায় কিভাবে গর্ভধারণের আগে ঘুমাতেন তার উপর নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের শোওয়ার অবস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কোন ভঙ্গিতে শোওয়া নিরাপদ এবং কোন ভঙ্গি ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে- চিৎ হয়ে বা পিঠে ভর দিয়ে শোওয়া গর্ভাবস্থার ১৫ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে মায়ের জরায়ুর বেশ অনেকটুকু বৃদ্ধি…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের সর্দি কাশি । কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি

গর্ভকালীন সময়টি মা ও অনাগত সন্তান উভয়ের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মায়ের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।সাধারণত সর্দি লাগলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেই তা সেরে যায়। কিন্তু ভাইরাসজনিত সর্দি লাগলে গর্ভবতী মায়ের জ্বর হতে পারে। এমনকি ফুসফুসে প্রদাহও হতে পারে। এছাড়া মায়ের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শিশুর শারীরিক গঠনেরও ক্ষতি হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশি এক সপ্তাহের মধ্যেই কোনো ওষুধ ছাড়াই নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। বাচ্চার শরীরের উপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না। গর্ভাবস্থায় সর্দির কারণ প্রকৃতপক্ষে ২০০ এর চাইতে বেশী ধরনের ভাইরাস সাধারন সর্দি…

বিস্তারিত পড়ুন

অ্যানোমালি স্ক্যান কি? গর্ভাবস্থায় অ্যানোমালি স্ক্যান কখন এবং কেন করতে হয় ?

অ্যানোমালি স্ক্যান

সাম্প্রতিককালে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাগুলোর মধ্যে একটি হল অ্যানোমালি স্ক্যান কি, কেন এবং কখন করতে হয়। অনেকেই আবার জানতে চান সাধারণ আলট্রাসাউন্ডের সাথে অ্যানোমালি স্ক্যানের পার্থক্য আছে কিনা। এসবের খুঁটিনাটি নিয়েই আজকের আলোচনা। অ্যানোমালি স্ক্যান কি? অ্যানোমালি স্ক্যান এক ধরণের আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান যার মাধ্যমে গর্ভস্থ ভ্রূণ, প্লাসেন্টা এবং মায়ের পেলভিক অঙ্গগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই স্ক্যান রুটিন প্রিন্যাটাল কেয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অ্যানোমালি স্ক্যানকে Level 2 Ultrasound, Anatomy scan, Mid-Pregnancy scan এবং Morphology scan নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। অ্যানোমালি স্ক্যান এবং সাধারণ আলট্রাসাউন্ড একই পদ্ধতিতে এবং একই মেশিনের সাহায্যে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টাজনিত কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?

প্লাসেন্টাজনিত জটিলতা

প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল কি? প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল জরায়ুর দেয়াল সংলগ্ন একটি চ্যাপ্টা ও কিছুটা গোলাকৃতির অঙ্গ যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জরায়ূর ভেতরে লেগে থাকে এবং সন্তানের সাথে মায়ের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। গর্ভের শিশুর শরীর শরীরবৃত্তীয় যে সমস্ত কাজের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে না, প্লাসেন্টা সে কাজগুলি তার হয়ে করে থাকে। এটি  শিশুর নাড়ীর (আম্বিলিক্যাল কর্ড) মাধ্যমে ভ্রুনের সাথে সংযুক্ত থাকে। অন্য কথায় বলা যায় প্লাসেন্টা (গর্ভফুল) হলো মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা বা সাপোর্ট সিস্টেম। প্লাসেন্টা কোনো কারনে ঠিকভাবে কাজ না করলে শিশুর  স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের…

বিস্তারিত পড়ুন