গর্ভাবস্থায় লুপাস (Lupus) : লক্ষণ, প্রভাব ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় লুপাস

লুপাস (Lupus) ঠিক কী ধরনের রোগ? লুপাস হল এমন এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর রোগ যেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে সংক্রমণ এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। কিন্তু আপনার যদি লুপাস নামক এই রোগটা হয়ে থাকে তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জীবাণুকে আক্রমণ না করে শরীরের সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করা শুরু করে, এইজন্য লুপাসকে এক ধরনের অটো ইমিউন ডিজিজও (autoimmune disease) বলা হয়ে থাকে। লুপাস রোগটি বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, তবে সবচেয়ে বেশি যে ধরনটা…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ক্লাবফুট বা বাঁকা পায়ের পাতা

শিশুর ক্লাবফুট বা বাঁকা পায়ের পাতা

ক্লাবফুট বা মুগুর পা কিংবা বাঁকা পায়ের পাতা (talipes equinovarus নামেও ডাকা হয়) শিশুর এক ধরণের জন্মগত ত্রুটি। জন্মগত ত্রুটি শিশুর শরীরের এক ধরণের সমস্যা যা শিশুর জন্মের সময় থেকেই দেখা যায়। এই ত্রুটি শিশুর এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন ও কার্যকলাপে সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে প্রভাব ফেলে। শিশুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি শিশুর পুরো শরীরের গঠন ও বিকাশেও প্রত্যক্ষ ও বড় ধরণের প্রভাব ফেলে। আপনার শিশু ক্লাবফুট নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তার একটি পা কিংবা উভয় পা-ই ভিতরের দিকে বা নীচের দিকে বাঁকানো থাকবে। হাড়ের সাথে মাংসের সংযোগ ঠিকঠাক রাখতে টেন্ডন…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুদের জ্বরের পর র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠার কারণ কি?

শিশুদের জ্বরের পর র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠার কারণ কি?

শিশুরা অসুস্থ থাকলে তাদের জ্বর হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাদের ঠান্ডা লাগলে কিংবা ছোটখাট অসুখের কারণে তাদের প্রায়ই জ্বর উঠতে পারে। এর মধ্যে কিছু অসুখ যেমন রোজিওলা ( roseola)  কিংবা স্কারলেট ফিভারের (scarlet fever)  কারণে জ্বর উঠলে জ্বর চলে যাওয়ার পর শিশুর শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। জ্বর মূলত কোন রোগ নয়, এটা একটা সিগন্যাল। শরীরের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম যে ইনফেকশনের সাথে যুদ্ধ করছে, সেটার সিগনালই হলো জ্বর। শরীর নিজের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১ থেকে ৩ বছরের শিশুরা…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর হাম উঠলে করণীয়

শিশুর হাম উঠলে করণীয়

এখনো কি শিশুদের হাম হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু আছে? ১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ১ বছরের নিচে সকল শিশুদের হামের (measles or rubeola) টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। হামের টিকা দেওয়া থাকলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যায় তবুও উন্নত দেশগুলোতে যে হারে হামের সংক্রমণ কমে গিয়েছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কিন্তু হাম এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি বরং সারা বিশ্বজুড়ে এখনও হাম বেশ বড় একটি হুমকি বলা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, সারা বিশ্বজুড়ে ৩০ মিলিয়নের বেশী মানুষ প্রতি বছর হামে আক্রান্ত হয়। ২০০৬ সালে, দুই লাখ ৪২ হাজার…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করছেন তো?

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল পানির উৎস নিরাপদ কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। কেননা পানির মধ্যে শুধু H20 থাকে ব্যাপারটা এমন না, আপনার পান করা পানির মধ্যে আরো অনেক কিছুই থাকতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে আপনার কি অনেক পানি পান করতে ইচ্ছে করে? হ্যাঁ! এমনটাই হওয়া উচিৎ। অচিরেই আপনি মা হতে যাচ্ছেন, আর এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পানি পান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি গর্ভকালীন সময়ে পানি পান করার গুরুত্ব, উপকারিতা (অর্শরোগ সহ আরো অন্যান্য গর্ভকালীন জটিলতা থেকে কীভাবে নিরাপদ…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কিভাবে পরিমাপ করবেন ?

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কিভাবে পরিমাপ করবেন ?

শিশু যখন ছোট থাকে, তার শরীর এতটাই সংবেদনশীল থাকে যে, শরীরের তাপমাত্রা কখন যে কেমন আচরণ করে তা বলা মুশকিল। শিশুর মধ্যে যদি জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গগুলো লক্ষ্য করে থাকেন, তবে দ্রুত সঠিক উপায়ে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা জরুরী। থার্মোমিটারের শিশুর জ্বর কত দেখাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন কি না। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কত হলে সেটাকে ‘বেশী‘ বলা যায়? স্বাভাবিকভাবে, শিশুর মুখের তাপমাত্রা ৩৬.৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অথবা ৯৭.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট থাকলে, সেটাকে শিশুর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে বিবেচনা করা হয়।…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুদের জন্য বেবি পাউডার কি নিরাপদ ?

শিশুদের জন্য বেবি পাউডার কি নিরাপদ ?

সাধারণত বেবি পাউডার তৈরি হয় মিনারেল ট্যাল্ক থেকে অথবা কর্ণ স্টার্চ থেকে। যদিও বেবি পাউডার ব্যাবহার করার জন্য আদতে কোন স্বাস্থ্যগত কারণ নেই, তবে অনেক বাবা মা এটা ব্যাবহার করেন তাদের ডায়পার পরা শিশুর ত্বককে শুষ্ক এবং র‍্যাশমুক্ত রাখার জন্য। বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে এই ধরনের পাউডার শিশুর নিশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে এবং শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য কিছু গবেষণায় ট্যাল্ক ব্যাবহারের সাথে ক্যানসারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে।  বেবি পাউডার সাধারণত কি দিয়ে তৈরি করা হয়? বেশীরভাগ ট্যালকম পাউডার তৈরি হয় ট্যালকম থেকে আর…

বিস্তারিত পড়ুন

মৃত সন্তান প্রসব বা Stillbirth সম্পর্কে যেসব জানা জরুরী

মৃত সন্তান প্রসব বা Stillbirth

মৃত সন্তান প্রসব বা Stillbirth কি? হতে পারে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই শুনেছেন যে আপনার গর্ভের শিশুটি মারা গিয়েছে এবং এটা যে কতটা কষ্টের একটি সংবাদ সেটা আর বলাই বাহুল্য।গর্ভধারণ করার ২০ সপ্তাহে বা এর পর যদি গর্ভের শিশুটি মারা যায় তাহলে তাকে মৃত সন্তান প্রসব বা stillbirth বলা হয়। উল্লেখ্য যে ২০ সপ্তাহের আগে যদি গর্ভের শিশু মারা যায় তাহলে তাকে মিসকারেজ বা গর্ভপাত বলা হয়ে থাকে। আমেরিকার প্রায় ১৬০টি গর্ভধারণের মধ্যে গড়ে ১টির ক্ষেত্রে মৃত সন্তান প্রসব হতে দেখা যায়। বেশীরভাগ সময়েই প্রসব বেদনা (Labor) শুরু হওয়ার আগে গর্ভে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর বেড়ে ওঠা । ১৭ মাস

শিশুর বেড়ে ওঠা । ১৭ মাস

আপনার ১৭ মাস বয়সের শিশুটি এখন বেশ বাড়ন্ত আর খুব চঞ্চল, নিত্য নতুন দুষ্টুমি দিয়ে আপনার চারপাশ মাতিয়ে রাখে। সে এখন ক্যাবিনেটের দরজা খুলে ফেলা, ঘরের মধ্যে খেলনাগুলো এলোমেলো করে রাখা, ডায়পার ছিঁড়ে ফেলার মত নতুন অনেক দুষ্টুমি করা শিখে গেছে। এমনকি ইদানীং মাঝেমধ্যে তীক্ষ্ণ শব্দে চিৎকার করে আপনার কান ঝালাপালা করে দিতে সে মোটেও পিছপা হচ্ছেনা। এই সময়ে আপনি দেখবেন যে আপনার শিশুটি হয়ত কুকুর এবং অপরিচিত মানুষ দেখলে খুব ভয় পাচ্ছে, আবার কখনো দেখবেন যে সে কোন কিছুতেই ভয় পাচ্ছে না। আপনার শিশুর যখন আপনাকে প্রয়োজন হবে তখন…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা (জন্ম থেকে ১২ মাস) : লক্ষণ, করণীয় ও প্রতিকার

শিশুর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা

শিশুর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা কি? ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা মানে শরীর ঠিকঠাক কাজ করতে যতটুকু পানির প্রয়োজন, তার থেকে কমে যাওয়া। বয়ষ্ক মানুষের তুলনায় শিশুদের পানিশূন্যতার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। বমি, ডায়রিয়া, জ্বর, অতিরিক্ত ঘাম প্রভৃতির কারণে যখন দ্রুত শরীরের পানি কমে যায়, বেশি বেশি পানি খেয়ে সেটা পূরণ করে দিতে হয়। কিন্তু যদি তা না করা যায়, তখনই ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা কখনো কখনো খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ হয়, যা সহজে পানি খেয়েই ঠিক করে ফেলা যায়। তবে এটা আবার নীরবে এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে যে কখনো কখনো…

বিস্তারিত পড়ুন