গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?

গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা

প্রতিটি নারীর জীবনে এক অনন্য সময় গর্ভাবস্থা। এই সময়ে শারীরিক এবং মানসিক বিরাট পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অপেক্ষা করতে হয় সন্তানের আগমনের। তবে গর্ভাবস্থা কিন্তু একা নারীরই সামলানোর বিষয় নয়। গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা  এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এসময়  স্বামী এবং পরিবারের লোকদের সহযোগিতা দরকার। আমাদের দেশে সাধারণত একজন বাবা নিজেকে শুধু অর্থ উপার্জনের ভূমিকাতেই সীমিত রাখেন। ফলে নতুন মায়েরা আনন্দ ও উৎসাহের বদলে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এবং নার্ভাস হয়ে পড়েন। সেইজন্যই তার পাশে তার জীবনসঙ্গীর থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা থেকে তারা বিরত হন কারণ, হয় তারা এই বিষয়ে কিছু…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ানো কি নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ানো

অনেক মায়েদের মনেই, যারা এক শিশুর জন্মের অল্প সময়ের মদ্ধেই আবার গর্ভধারণ করেন, বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসে, যেমন- গর্ভাবস্থায় ব্রেস্টফীডিং কি নিরাপদ? ব্রেস্টফীডিং এর কারণে গর্ভস্থ ভ্রুনের উপর কি প্রভাব পড়বে? এর ফলে বুকের দুধ খাওয়ানো বাচ্চার উপর কি প্রভাব পড়তে পারে? দুটো বাচ্চাকে একসাথে বুকের দুধ কিভাবে খাওয়াবেন? ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ানোর বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা। গর্ভাবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ানো কি নিরাপদ?  অবশ্যয়! গর্ভাবস্থায় বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখার কোন কারন নেয়। অনেক মাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান। শুধু তাই নয়, তারা সন্তান জন্মের পর…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ফ্লু । সাধারন সর্দি কাশি ভেবে ভুল করছেন না তো?

শিশুর ফ্লু

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কি? ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা এক ধরনের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এই ইনফেকশন এর মাধ্যমে আমাদের শ্বাসযন্ত্র (নাক, গলা ও ফুসফুস) সংক্রমিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাইরাল ফিবার বা ভাইরাসজনিত জ্বর হচ্ছে। অনেকে আবার আক্রান্ত হচ্ছে ফ্লুতে। ফ্লু সাধারণত: বেশি হয় শিশুদের। আর শিশুদের ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া বা শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেক ধরন আছে। এক এক বছর এক এক ধরনের ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের বিশেষ করে যাদের বয়স ২ বছরের কম তারা ফ্লুতে আক্রান্ত হলে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ । কারণ ও প্রতিকার

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

ডায়াপার র‍্যাশ কি? শিশুদের প্রায়ই ডায়াপার-জনিত র‌্যাশ বা অ্যালার্জি, এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র‌্যাশ হয়েছে। আমরা জানি বেশিরভাগ পিতামাতাই সন্তানের প্রতি যত্নশীল। ডায়াপার সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করেন। কিন্ত এতকিছুর পরও শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে কখনো কখনো ডায়াপার র‍্যাশের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ডায়াপার র‍্যাশ হতে পারে। ডায়পার র‌্যাশ দেখতে কেমন হয়? ডায়াপার র‍্যাশের ফলে শিশুর কোমল…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর বমি : কখন স্বাভাবিক কখন নয়

শিশুর বমি

শিশুর বমি নিয়ে মা-বাবারা প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এটা তেমন গুরুতর নয়। বাচ্চারা যেহেতু মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না, তাই কিছু হলেই কান্না করে। গরম বা শীত লাগুক, মশা কামড়াক, যাই হোক না কেন তার বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হলো কান্না। কিন্তু মায়েরা সব কান্নাকেই মনে করেন বাচ্চার খিদে লেগেছে, এতে জোর করে দুধ খাওয়াতে থাকেন, যার ফল হলো বমি। যারা বলেন তাদের শিশু খাওয়ার পরপর বমি করে। তাদের জানতে হবে যে, তারা যেটাকে বমি বলছেন তা হয়তো সবসময় বমি নয়।মায়ের দুধ পর্যাপ্ত না থাকলে দুধ…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর পেটে গ্যাস : কারণ, লক্ষন ও করণীয়

শিশুর পেটে গ্যাস

শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না। শিশুর পেটে গ্যাস কেন হয়? বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগলে করনীয়

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা

বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে তারা সহজেই অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বাচ্চাদের বেশী সর্দি হয় বা ঠাণ্ডা লাগে । প্রায় ২০০ ধরনের ভাইরাস শিশুর কমন কোল্ড বা বাংলায় আমরা যাকে বলি ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দির কারণ। বাচ্চাদের শরীর আস্তে আস্তে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। আমদের সারাজীবনে কতবার ঠাণ্ডা লেগেছে বা সর্দি হয়েছে তা একবার ভাবুন। আপনার বাচ্চারও এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর ফলে তার শরীরে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠবে। বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে বাড়তে…

বিস্তারিত পড়ুন

বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির চার্ট । ০-১২ মাস

শিশুর বৃদ্ধির চার্ট প্রথম বছর

শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি  শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে আমরা কয়েকভাগে ভাগ করতে পারি, যেমন- শারিরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ। শারিরিক বিকাশ দৃশ্যমান এবং সহজেই বোধগম্য, শিশুর ওজন ও উচ্চতা দিয়ে আমরা শারিরিক বিকাশ বুঝতে পারি, জন্মের পর শিশুর বয়সের সাথে সাথে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাড়তে থাকে এবং উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়। জন্মের পর পর প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা ওজন হারায় এবং ২-৩ সপ্তাহে ওজন স্থির থাকে তার পর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। তারপর পরবর্তী মাসগুলোতে আর একটু কম হারে ওজন…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর বেড়ে ওঠা । এগারো মাস

শিশুর বেড়ে ওঠা । এগারো মাস

১১ মাসের বাবুটি এখন অনেক কিছুই বুঝতে শিখবে- যেমন ‘না’ বলা। আমরা শিশুদের একটি ক্যাম্পাইনের কথা জানি শিশুদের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলুন। কিন্তু আপনাকে দিনে অসংখ্যবার এই ক্ষুদে হামাগুড়ি-মাস্টারকে ‘না’ বলতে হবে। কোন কোন বাবু অবশ্য এর মধ্যেই হাটি-হাটি পা পা শুরু করে দিতে পারে। কোন কিছু ধরে বা সাপোর্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে, গড়িয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে অনেক দ্রুতই পোঁছে যাবে ঘরের আনাচে কানাচে। তাই বিপদজনক কিছুর প্রতি আগ্রহী হলে , দ্রুত তাকে না বলুন। তবে অনেক সময় এই না বলার পরিমান এত বেড়ে যায় যে, শিশু আপনার ‘না’ কে উপেক্ষা…

বিস্তারিত পড়ুন

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা শিশুর আকস্মিক মৃত্যু

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা সিডস  ১২ মাস এবং তার থেকে কম বয়েসি শিশুদের জন্য  ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। কোন পূর্ব রোগ লক্ষণ বা অসুস্থতা ছাড়া ঘুমানোর সময় এই বয়েসি শিশুর মৃত্যু সিডস নামে পরিচিত। ২০১৪ সালের এক পরিসংখ্যান অনুসারে আমেরিকায় সিডস এর হার ৩৪%। অর্থাৎ এই এক বছরে যত শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে শতকরা ৩৪ জন শিশুর, যাদের বয়স ০-১২ মাস তারা কোন অসুস্থতা ছাড়াই ঘুমানোর সময় মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (সিডস) এবং হঠাৎ দমবন্ধ বা কোনো কারণে গলায় চাপ লাগার মতো কারণসহ প্রতিবছর ঘুমসংক্রান্ত…

বিস্তারিত পড়ুন