গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?

Spread the love

প্রতিটি নারীর জীবনে এক অনন্য সময় গর্ভাবস্থা। এই সময়ে শারীরিক এবং মানসিক বিরাট পরিবর্তন আসে। এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অপেক্ষা করতে হয় সন্তানের আগমনের। তবে গর্ভাবস্থা কিন্তু একা নারীরই সামলানোর বিষয় নয়। গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা  এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এসময়  স্বামী এবং পরিবারের লোকদের সহযোগিতা দরকার।

আমাদের দেশে সাধারণত একজন বাবা নিজেকে শুধু অর্থ উপার্জনের ভূমিকাতেই সীমিত রাখেন। ফলে নতুন মায়েরা আনন্দ ও উৎসাহের বদলে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এবং নার্ভাস হয়ে পড়েন। সেইজন্যই তার পাশে তার জীবনসঙ্গীর থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু তা থেকে তারা বিরত হন কারণ, হয় তারা এই বিষয়ে কিছু জানেন না, বা তাদের মনে হয় যে এই সম্পূর্ণ দায়িত্বটাই মহিলা মহলের অন্তর্গত।

বিজ্ঞাপণ

সন্তান লালন-পালন শুধু কি মায়েরই দায়িত্ব? যদিও সবাই এর উত্তর না দেবেন। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বাস্তবতায় এই গুরুদায়িত্বটা ইচ্ছা করেই হোক আর অনিচ্ছা সত্ত্বেই হোক মায়ের কাছেই চলে আসে।

প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটা শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় স্বামীর প্রয়োজন স্ত্রীর পাশে থাকা, তাকে গুরুত্ব দেওয়া, উৎসাহ যোগানো।

বাবা হতে চাইলেই সন্তানের দায়িত্ব যেমন এসে পড়ে, তেমনি দায়িত্ব রয়েছে গর্ভবতী স্ত্রীর প্রতিও। আর এসব দায়িত্ব পালনই আপনাকে নিয়ে আসবে স্ত্রী ও অনাগত সন্তানের আরো কাছাকাছি।

গর্ভাবস্থায় বাবাদের ভূমিকা

গর্ভাবস্থার পুরোটা সময় জুড়েই যখন গর্ভবতী মায়ের সাথে বাবাও পাশাপাশি থাকেন সেটা বেশ চমৎকার ব্যাপার বলেই মনে হয়। ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে শুরু করে মাঝ-রাতে স্ত্রীর আচমকা ক্ষুধা মেটানো – সবকিছুতেই যদি তারা পাশে থাকেন!

এটা ঠিক যে একজন বাবা কখনোই নিজের শরীরে অনুভব করতে পারবেন না গর্ভাবস্থায় সকালের অসুস্থতা (morning sickness) কেমন হয় কিংবা পা ফুলে গেলে কেমন লাগে, গর্ভের শিশুর কারণে যখন হৃৎপিন্ডে চাপ পড়ে বা শিশু যখন পেটের ভেতর লাথি মারে তখন গর্ভবতী মায়ের কেমন অনুভব হয়।

কিন্তু, একজন বাবা বিভিন্নভাবে গর্ভাবস্থার পুরো প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে। গর্ভাবস্থায় একজন বাবার কি কি ভূমিকা থাকতে পারে সেরকম কিছু উপায় নিয়েই আজকের আলোচনা।

ভয়কে জয় করুন

আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন, সেটা নিয়ে ভয় কাজ করাটাই স্বাভাবিক। আপনার যদি এ নিয়ে কোনো চিন্তা না থাকতো সেটাই বরং অস্বাভাবিক হতো। হঠাৎই আপনার মনে এমন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ‘আমি কি ভাল বাবা হতে পারবো’? অথবা ‘আগামী ২০ বছর কি করে আমি এই দায়িত্ব নেবো’? এ ধরনের আতংক আপনাকে কিছুটা বিচলিত করে তুলবে সন্দেহ নেই, কাজেই কথা বলুন বন্ধু অথবা আত্মীয়ের সাথে।

এমন কাউকে বেছে নিন যিনি এরই মধ্যে বাবা হয়েছেন, এবং যিনি জানেন এই সময়ের উদ্বেগগুলো। এমনকি আপনি আপনার ভাবনা-চিন্তা-আতংক সবই ভাগ করে নিতে পারেন আপনার স্ত্রীর সাথে। তিনি আপনাকে সমাধান দিতেও পারেন, না পারলেও সান্ত্বনাটুকু তো দিতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি আপনাকে প্রশংসা করবেন।

গর্ভাবস্থা সম্পর্কে জানুন 

প্রেগনেন্সি মানে শুধু বাচ্চা গর্ভে ধারণ আর প্রসব করা নয়, বরং এর বাইরে আরও অনেক অনেক অভিজ্ঞতা যা একটা মা পুরো সময়টা জুড়ে তার শরীরে অথবা মনে ধারণ করেন, সেটা তার সঙ্গী কে বুঝতে হবে।

একেক মায়ের শরীর একেক রকম। গর্ভবতী হলে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনে শরীর ভিন্ন ভাবে সায় দেয়, তাই এটা আগে থেকে বলা মুশকিল যে ঠিক কি কি পরিবর্তন আসবে। কিন্তু জেনে রাখা ভালো যে এই পরিবর্তনগুলো অবশ্যম্ভাবী।

তাই স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথে, অথবা আগে থেকেই এই বিষয়ে পড়াশুনা করে জেনে নেয়া ভালো। তাহলে একজন যত্নবান সঙ্গী হিসাবে আপনি একদম প্রস্তুত থাকবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন, অথবা ইন্টারনেটেই পাবেন অনেক অনেক তথ্য।

সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভাবস্থা জানতে আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ুন। 

প্রথম তিন মাস বেশ কঠিন

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস খুব কঠিন। এই সময় অনেক বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন। বমিবমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, খাওয়ায় অরুচি— এসব বিষয়গুলো এই সময়টায় বেশি হয়। তাই এই বিষয়গুলো আগে থেকেই পরিবারের লোকদের বিশেষ করে স্বামীর জেনে রাখা জরুরি।

গর্ভকালে নারীদের ঘন ঘন মুড সুইং হয়। অনেকেই বেশ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে ওঠেন ও বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। এমন অনেক বিষয়ে স্ত্রী মেজাজ দেখাতে পারেন যা আপনার কাছে তুচ্ছ মনে হবে।

এই অবস্থা থেকে নারীকে বের করতে পারেন কেবল ভালোবাসা। স্বামীকে অবশ্যই এই সময়ে ধৈর্য ধরতে হবে। স্ত্রীকে বুঝুন, এই মেয়েটি আপনার সন্তানের মা হতে চলেছেন- এটা ভেবে হলেও কিছু ছাড় দিন। ১৪ সপ্তাহের দিকে অনেক হবু মা ই এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠেন।

মনোযোগ দিন

এই সময় স্ত্রী আপনার পূর্ণ মনোযোগ আশা করবে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের কি অনুভূতি হচ্ছে বা কি জটিলতা হচ্ছে সেটা হয়তো আপনি বুঝবেন না, কিন্তু তিনি যখন তার শারীরিক অবস্থাগুলো নিয়ে নালিশের আকারে কথা বলবেন, সেটা অন্তত মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারেন।

যত কাজই থাকুক না কেন, একটু সময় বের করে দুজনে মিলে শপিংয়ে যান। অনাগত সন্তানের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দুজনে মিলে পছন্দ করুন।

এতে করে সন্তান সম্পর্কে আপনার ভিতরে একটা সুখকর অনুভূতি তৈরি হবে, স্ত্রীও খুশি হবে আপনাকে পেয়ে। জীবনের এই ছোটখাটো বিষয়গুলো আমরা অনেকসময়ই গুরুত্ব দেই না। কিন্তু এই তুচ্ছ বিষয়গুলোই একসময় অনেক বড় হয়ে উঠে। সম্পর্কের টানাপড়েনও অনেক সময় তৈরি হয় এই তুচ্ছ বিষয় থেকেই। কাজেই এটা হতে দেবেন কেন, বলুন?

পাশে থাকুন

গর্ভবস্থায় স্ত্রীকে খুশি রাখতে কিছু স্ট্র্যাটেজি মেনে চলুন। আপনি তার প্রতি কী কী দায়িত্ব পালন করছেন না, তা কিন্তু সহজেই অভিমানের উদ্রেক করতে পারে।

বিজ্ঞাপণ

নিয়মিত চেকআপের জন্য গাইনকোলজিস্টের কাছে যাওয়ার সময় সঙ্গে থাকা, খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নেওয়া, একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, একসঙ্গে বেবি শপিং, বাচ্চার নাম ঠিক করা- এগুলো করুন। এতে স্ত্রী মনে করবে আপনি তার প্রতি যথেষ্ট দায়িত্ববান।

সুযোগ থাকলে সন্তান জন্মের মূহূর্তে আপনি হাসপাতালে আপনার স্ত্রীর পাশে থাকুন। জানবেন, এ সময়টাতে আপনিই একমাত্র সহায়, আশ্রয় আপনার স্ত্রীর কাছে। আপনার ওপরই তিনি বেশি নির্ভর করছেন। তাছাড়া সন্তান জন্মদান একটা বিশাল ঘটনা একজন নারীর জীবনে। পুরো প্রক্রিয়াটার সাথে আপনি যাতে একাত্ম থাকতে পারেন, সেজন্যই আপনার থাকা উচিত প্রসবের মূহূর্তে।

দুজনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারেই সচেতন হোন 

এই সময় খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। তাই দৈনন্দিন খাবারে আপনার স্ত্রী ঠিক পুষ্টি পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব আপনার। স্ত্রীর খাবারদাবার, ফিটনেসের ভার নিন। ঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য খাওয়া, বিশ্রামের খোঁজখবর রাখুন। দুজনে একসঙ্গে হাঁটতে যান।

ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিন। কারণ, মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ধূমপান ক্ষতিকর। এ সময় অনেক ‘নিষিদ্ধ খাবারের’ প্রতিই আপনার স্ত্রীর তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে। সেই তীব্রতা কমানোর জন্যও আপনাকেই সাহায্য করতে হবে। যেসব খাবার গর্ভবতী মা খুব খেতে চাইছেন, অথচ শিশুর জন্য সেটা ক্ষতিকর, সেসব খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে।

তাকে আশ্বস্ত করুন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন

এই সময় নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসবে। চেহারার এই পরিবর্তনে অনেকেই নিজেকে অসুন্দর ভাবেন। হয়তো কিছুটা অসুন্দর আপনারও মনে হবে তাকে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকেন। স্ত্রীর পাশে থাকুন। ওকে অনুভব করান সব সময়ই উনি আপনার জন্য সুন্দর, স্পেশাল।

তাকে আশ্বস্ত করুন যে আপনার কাছে তিনি আগের মতোই আছেন এবং আপনি তাকে আগের মতোই ভালোবাসেন। একজন সাপোর্টিভ সঙ্গী হিসাবে আপনার উচিত আপনার স্ত্রী কে আশ্বস্ত করা যে এটাই স্বাভাবিক। এবং কোনভাবেই তার ওজন, বা বদলে যাওয়া শারীরিক অবয়ব নিয়ে ব্যাঙ্গ করা ঠিক হবেনা।

হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আপনাদের সম্পর্কের কিছু বিষয় পালটে যেতে পারে। যেমন, পিঠের ব্যথা আর সকালের অসুস্থতার কারণে আপনার সঙ্গীনীর কাছে হয়তো এখন যৌন মিলন উপভোগ্য হবে না। গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন কতটুকু নিরাপদ সে ব্যাপারেও আপনাকে জানতে হবে।

তবে সত্য কথাটি হচ্ছে এই সময়ে আপনাদের কাজে আসবে কেবলই পরস্পরের জন্য ভালোবাসা ও সম্মান। বলতে পারেন দাম্পত্যের একটি কঠোর পরীক্ষা এটি। যৌন মিলনে মানা থাকলেও ছোট ছোট আদর ও ভালোবাসা কখনো বন্ধ করবেন না। এটি সম্পর্ক রক্ষায় সহায়ক হবে।

বাড়ির কাজে সহায়তা করুন

অবশ্যই বাড়ির কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করুন। দরকার হলে বাড়ির কাজের জন্য একজন সার্বক্ষণিক লোক নিযুক্ত করতে পারেন। যে কোন ধরনের ভারী জিনিস বহন করা এ সময় গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ কাজে স্ত্রী কে সাহায্য করুন।

আর্থিক পরিকল্পনা সেরে নিন

সন্তান আগমন আজকাল অনেক খরচের একটি বিষয়। সন্তান ডেলিভারি থেকে শুরু করে লালন-পালন, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন অনেকটা টাকার। সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই প্রয়োজনীয় সকল আর্থিক পরিকল্পনা সেরে ফেলুন ও আর্থিক প্রস্তুতি নিয়ে নিন।

যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকুন

আজকাল অনেক উন্নত প্রযুক্তি বেরিয়েছে। গর্ভাবস্থাতেই জানা যায় যে সন্তানের বেশ কিছু অগ্রিম অসুস্থতার খবর। দুর্ভাগ্যবশত যদি এমন কিছু আপনাদের সাথেও ঘটে, ভেঙে পড়বেন না মোটেও। দুজনে মিলে সমস্যার মোকাবেলা করেই এগিয়ে যান। সন্তান আপনাদের। লড়াইটা আপনাদেরকেই করতে হবে।

হাসপাতালের পথ চিনে রাখুন 

যে কোনো মুহুর্তেই হয়তো আপনার স্ত্রী বলে বসবেন, ‘ আমার পানি ভেঙ্গে গেছে’, আর তখনই তাকে নিয়ে আপনার দৌড়াতে হবে হাসপাতালের পথে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন এরকম অবস্থায় কোথায় যাবেন আর কোন পথে গেলে তাড়াতাড়ি হবে। গাড়িতে পেট্রল/ গ্যাস মজুদ রাখুন আগে থেকেই, যাতে করে সেই অন্তিম মুহুর্তটি যখনই আসুক না কেন, দেরি না করেই বেরিয়ে পড়তে পারেন।

স্ত্রীর প্রসবসঙ্গী হিসেবে সাথে থাকুন

হাসপাতালের ব্যাগে কি কি নিতে হবে সেটা আগে থেকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জেনে নিন। ইন্টারনেটে অনেক ভালো ভালো ব্লগ আছে এই ব্যাপারে। আপনার স্ত্রী ডেলিভারির পর যথেষ্ট ক্লান্ত আর অসুস্থ থাকতে পারেন, তাই ব্যাগে কোথায় কি রাখা আছে ভালমত জেনে নিন যাতে ঠিক সময়ে দ্রুত আপনি প্রয়োজনীয় জিনিসটা বের করতে পারেন। সম্ভব হলে আপনি নিজের হাতেই গুছান।

সন্তান প্রসবের সময় স্ত্রীর সাথে থাকুন। তার ঘাড়ে আলতো করে মালিশ করে দিলে হয়তো তার ভালো লাগবে, তার বরফ লাগতে পারে, কিংবা ব্যথানাশক দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ও তার আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। তিনি যখন প্রসববেদনায় কাতর, তার হাত ধরে রাখুন।

অনেক হাসপাতাল ডেলিভারি রুমে বা অপারেশন থিয়েটারে বাবাদের থাকার অনুমতি দেয়। এমনটা সম্ভব হলে আপনার শিশুর পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে উপস্থিত থাকার সুযোগ হেলায় হারাবেন না মোটেও। এ সময় আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে আর অনেক শক্ত থাকতে হবে!

সন্তান জন্মের পর যতটুকু সম্ভব বেশি সময় কাটান হাসপাতালে। যদি হাসপাতালে থাকার অনুমতি পান, তাহলে স্ত্রী-সন্তানের সাথেই থাকুন না কেন। যতদিন তারা বাসায় না ফিরছে, আপনিও থেকে যান তাদের সাথে। এতে করে সন্তান এবং স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্ক একটা নতুন মোড় নেবে। যেখানে ভালবাসা ছাড়িয়ে গিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ জায়গা করে নেবে।

তাছাড়া সন্তানের কিভাবে যত্ন নিতে হয়, সেই বিষয়টাও অনেকটাই শিখে যাবেন এ্রই সময়টাতে। আপনার স্ত্রীর চোখে আপনি নতুন রূপে তখন আবির্ভুত হবেন। ভেবে দেখুন।

যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, গর্ভাবস্থার জটিলতা যতই আপনাকে নার্ভাস করুক না কেন, পুরো ১০টা মাস আপনাকে একজন সত্যিকার পুরুষের দায়িত্ব পালন করাটা খুব প্রয়োজন। সময়টাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন, কিছুটা বড় হয়ে উঠুন মনে-প্রাণে, পৃথিবীতে যে নতুন সত্বার জন্ম আপনি দিতে চলেছেন তাকে অভিনন্দন জানান।

দিনের শেষে কিন্তু একটি সন্তানই বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় উপহার হয়ে উঠে। আর বাবা-মাও সন্তানের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার একটা জায়গা। তাই আজ থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন না কেন!

তথ্যসূত্রঃ 

https://www.maya.com.bd/content/web/wp/1917/
https://www.pregnancybirthbaby.org.au/becoming-a-dad
https://www.nhs.uk/conditions/pregnancy-and-baby/pages/dad-to-be-pregnant-partner.aspx


Spread the love

Related posts

Leave a Comment