মোলার প্রেগন্যান্সি কি? মোলার প্রেগন্যান্সি এক ধরনের অস্বাভাবিক গর্ভধারণ যেখানে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুলের টিস্যুগুলোর অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটে। মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে ভ্রুন গঠিত হওয়ার পরিবর্তে অস্বাভাবিক সিস্ট বা টিউমারে পরিণত হয় যা দেখতে আঙ্গুরের থোকার মত হয়। স্বাভাবিক এবং সুস্থ গর্ভাবস্থায় মায়ের জরায়ুতে প্লাসেন্টার সৃষ্টি হয় এবং তা গর্ভের শিশুর পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে কিন্তু মোলার প্রেগন্যান্সি ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে প্রথম দিকে স্বাভাবিক গর্ভধারণের লক্ষনগুলো দেখা যায় কিন্তু কিছুদিন পরেই রক্তক্ষরণ সহ আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। প্রতি ১০০০ গর্ভবতী মহিলার মধ্যে…
বিস্তারিত পড়ুনYear: 2017
গর্ভাবস্থায় ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা যৌনাঙ্গে ইনফেকশন
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস কি? ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা BV হোল ১৫-৪৪ বছরের মহিলাদের সবচাইতে কমন যোনীসংক্রান্ত সংক্রমণ। এটি যোনীতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার কারণে দেখা দেয়। শতকরা ১০-৩০ ভাগ মহিলায় গর্ভাবস্থায় এ সংক্রমণের শিকার হন। যোনীতে সাধারণত বেশীরভাগ ভালো ব্যাকটেরিয়া বা lactobacilli এবং কিছু খারাপ ব্যাকটেরিয়া বা anaerobes থাকে। lactobacilli ব্যাকটেরিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে এবং অন্য ব্যাকটেরিয়াদের নিয়ন্ত্রনে রাখে। কোন কারণে lactobacilli ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে অন্য খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। সে সময় ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা BV দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস কেন হয়? যোনীতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারন জানা যায়নি কিন্তু কিছু…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়া | সতর্কতা জরুরী
চিকুনগুনিয়া কি? চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এটি সাধারণত স্বল্পস্থায়ী কিন্তু এর উপসর্গগুলো মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। চিকুগুনিয়া অন্যান্য মশা বাহিত রোগ যেমন জিকা এবং ডেঙ্গুর মত গর্ভবতী মা এবং শিশুদের জন্য বিপদের কারন হতে পারে। চিকুনগুনিয়া মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়ায়। বাংলাদেশে ২০০৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম চিকুনগুনিয়ার রোগী শনাক্ত হয়। ২০১১ সালেও দোহারে কিছু লোক আক্রান্ত হয়। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০১৭ সালে রোগটি রাজধানীতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মূলত আফ্রিকা, এশিয়া…
বিস্তারিত পড়ুনপ্লাসেন্টা অ্যাকরিটা | গর্ভকালীন জটিলতা
প্লাসেন্টা অ্যাকরিটা কি? প্লাসেন্টা জরায়ুর ভেতরে গঠিত হয় এবং আম্বলিকাল কর্ডের মাধ্যমে গর্ভের শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর উপরের দিকে অবস্থান করে এবং প্রসব পর্যন্ত সেখানেই থাকে। প্রসবের শেষ পর্যায়ে এটি জরায়ুর দেয়াল থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং বাচ্চার পর পরই বেরিয়ে আসে যা আফটার বার্থ (after birth) নামেও পরিচিত। প্লাসেন্টা অ্যাকরিটা এমন একটি কন্ডিশন যাতে প্লাসেন্টা জরায়ুর দেয়ালের অনেক গভীরে সংযুক্ত থাকে। প্লাসেন্টা অ্যাকরিটা থাকলে তা প্রসবের সময় সহজে জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়না এবং এতে অনেক রক্তক্ষরণ হতে পারে। জরায়ুর দেয়ালের কতটা গভীরে…
বিস্তারিত পড়ুনপ্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন | প্লাসেন্টা ছিঁড়ে যাওয়া
প্লাসেন্টা (গর্ভফুল) হলো মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা বা সাপোর্ট সিস্টেম। প্লাসেন্টা কোনো কারনে ঠিকভাবে কাজ না করলে শিশুর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্লাসেন্টা গর্ভের সন্তানকে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি জরায়ুর দেয়াল সংলগ্ন একটি চ্যাপ্টা ও কিছুটা গোলাকৃতির অঙ্গ যা শিশুর নাড়ী (আম্বিলিক্যাল কর্ড) এর মাধ্যমে ভ্রুনের সাথে সংযুক্ত থাকে। প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন বলতে কি বোঝায় ? প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা যেটি সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের জেনে রাখা ভালো। গর্ভকালীন বা সন্তান প্রসবের পূর্বে অনেক…
বিস্তারিত পড়ুন৩৮ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস
গর্ভাবস্থার ৩৮ তম সপ্তাহে ভ্রূণের বিকাশের বিষয়গুলো খুব সূক্ষ হয়ে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য কোন বৃদ্ধি বোঝা না গেলেও প্রসবের আগের দুই তিন সপ্তাহে ভ্রূণের বিকাশ একটি মানবশিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই সময় তার শরীরে আরো ফ্যাট জমা হতে থাকে এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র পরিপূর্ণতা পেতে থাকে। যাতে করে, জন্মের পর তার চারপাশের পরিবেশের সবকিছু সে অনুভব করতে পারে এবং তার শেখার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ৩৮ তম সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের এগারো তম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয় এবং এর অবস্থান গর্ভাবস্থার নবম মাসে। গর্ভধারণের ৩৮ তম…
বিস্তারিত পড়ুনব্রীচ পজিশন | গর্ভের বাচ্চা উল্টো থাকা
ব্রীচ পজিশন কি? গর্ভধারণের প্রথম দিকে মায়ের জারয়ুর ভেতর বাচ্চার নড়াচড়ার যথেষ্ট জায়গা থাকে। সে সময় বাচ্চা নিয়মিত পজিশন পরিবর্তন করে। কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষ দিকে শিশুর আকার বাড়ার সাথে সাথে জরায়ু তে তার নড়াচড়ার করার জায়গা কমতে থাকে। তাই এ সময় বাচ্চা তেমন অবস্থান পরিবর্তন করেনা। গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহ নাগাদ বেশীর ভাগ শিশুই মায়ের উদরে এমন ভাবে অবস্থান করে যাতে তার মাথা নীচের দিকে জন্মনালীর দিকে থাকে। এটাই প্রসবের জন্য স্বাভাবিক এবং নিরাপদ পজিশন। এটাকে সেফালিক প্রেজেন্টেশান বলে। ব্রীচ পজিশন এর ক্ষেত্রে শিশুর মাথা উপরের দিকে এবং তার নিম্নভাগ বা…
বিস্তারিত পড়ুনআয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা বা এনেমিয়া
আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা বা এনেমিয়া কি? রক্তের একটি বিশেষ উপাদান হলো লোহিত রক্তকণিকা বা রেড ব্লাড সেল। লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি বিশেষ ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের সব কোষকে উজ্জীবিত রাখে এবং প্রতিটি কোষের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ কার্বন ডাই-অক্সাইড ফুসফুসের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। আমাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমান লোহিতকণিকা উৎপাদনের জন্য আয়রনের প্রয়োজন যাতে এই হিমোগ্লোবিনের পরিমান সঠিক পর্যায়ে থাকে। শরীরে যদি কোন কারণে আয়রনের ঘাটতি হয় তাহলে হিমোগ্লোবিন এর অভাবে এনেমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এনেমিয়া বা রক্তস্বল্পতা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যার কারণ ও সমাধানের কিছু টিপস
গর্ভাবস্থায় হবু মায়েদের অন্যতম একটি সমস্যা হলো ঘুমের সমস্যা। গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন ও শারীরিক নানা সমস্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর এসবের সাথে রয়েছে হবু মায়ের মানসিক দুশ্চিন্তা, অনাগত শিশুর আগমন নিয়ে উত্তেজিত থাকা, ক্রমাগত বাথরুমে যাওয়া আসা এবং আরও আনুসাংগিক সব সমস্যা। আর এতো সব কিছু মিলিয়ে প্রতি ১০ জনের প্রায় ৮জন মহিলায় গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা ঘুম ভালো না হলে শরীর এবং মন কোনটাই ভালো থাকে না। ঘুমের যেসব ওষুধ প্রচলিত আছে গর্ভাবস্থায় সেসবের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ নয়।আপনার গর্ভাবস্থার সময়ের উপর নির্ভর…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভকালীন ডায়াবেটিস : অবহেলা করা উচিত নয়
ডায়াবেটিস এমন একটি জটিলতা যা সবসময় দেখা যায়, ফলে অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেছে। ভাবখানা এ রকম যে, কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই হলো। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক জটিলতা, এর উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে একজন প্রসূতির জন্য তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে অন্তত দশ শতাংশ নারীর গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে। মহিলারা সাধারনতঃ দুই ভাবে ডায়াবেটিসে ভোগেন। ১। গর্ভ সঞ্চারের আগে থেকেই ডায়াবেটিস ২। শুধুমাত্র গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর সেরে যায়। কিন্তু পরবর্তিতে মায়ের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে…
বিস্তারিত পড়ুন