গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন বা স্ফীত শিরা

গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন

ভেরিকোস ভেইন কি? ভেরিকোস ভেইন হোল অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যাওয়া শিরা যা চামড়ার উপর দিয়ে দেখা যায়। নীল বা বেগুনি রঙের আঁকাবাঁকা শিরাগুল সাধারণত পায়ে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায়  ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা ভ্যাজিনাল এরিয়াতেও দেখা যেতে পারে। অর্শরোগ বা Hemorrhoids একধরনের ভেরিকোস ভেইন যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হয়ে থাকে। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত ভেরিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের ফলে কোন ব্যাথা অনুভূত নাও হতে পারে আবার হাল্কা বা বেশী ব্যথাও হতে পারে আবার পা ভারী লাগতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের আশেপাশে চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে বা স্পন্দিত…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন : কারণ ও করনীয়

গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইন বা পিঠ ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইনের সমস্যায় কম বেশী সব মহিলায় ভোগেন। গর্ভাবস্থার যে কোন সময় এ উপসর্গ দেখা দিতে পারে তবে শেষের দিকে যখন গর্ভের শিশু বড় হতে থাকে তখন এ ব্যাথা বেশী দেখা যায়। গবেষনার তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৫০-৭০ ভাগ মহিলাই গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইনে ভোগেন। গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন কেন হয়? গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। কিছু কিছু মায়েরা গর্ভধারণের শুরু থেকেই এতে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যেসব মায়েদের ওজন বেশী থাকে বা গর্ভধারণের আগে থেকেই যাদের ব্যাক পেইনের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় রক্তের গ্রুপ বা রেসাস (Rh) ফ্যাক্টর কি প্রভাব ফেলতে পারে?

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর

গর্ভাবস্থায় রেসাস বা Rh ফ্যাক্টর এর প্রভাব জানার আগে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক। মানুষের রক্তের ধরন সাধারনত দুটো পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়। এর একটি হোল ABO পদ্ধতি যাতে রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এগুলো হোল- A, B, AB এবং O। লোহিত রক্তকণিকায় দু ধরনের স্বতন্ত্র অ্যান্টিজেন থাকে (এক ধরনের প্রোটিন)। একটি অ্যান্টিজেনকে “A” এবং আরেকটি অ্যান্টিজেনকে “B” নামকরন করা হয়েছে। যদি রক্তের লোহিত কণিকায় A অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি থাকে তবে তাক Type-A রক্ত বলা হয়। যদি B অ্যান্টিজেন থাকে তবে Type- B, যদি দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে তবে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ- কখন স্বাভাবিক, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ বা যোনীপথে স্পটিং হওয়া স্বাভাবিক বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে। প্রতি ৪ জন মায়ের ১ জনের প্রথম ট্রাইমেস্টারের শুরুর দিকে হালকা রক্তপাত হয়। এটি কোন সমস্যার কারণ নাও হতে পারেই। কিন্তু যেহেতু রক্তপাত হওয়া অন্য আরও জটিলতার লক্ষন হতে পারে তাই এটি দেখা গেলেই দেরী না করে ডাক্তারকে জানানো উচিত যাতে তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ কোন গুরুতর সমস্যার কারণ নাও হতে পারে আবার তা কোন মারাত্মক জটিলতারও লক্ষন হতে পারে, যেমন- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, গর্ভপাত বা প্লাসেন্টা জনিত কোন সমস্যা ইত্যাদি।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব | লিউকোরিয়া

গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব

প্রত্যেকটি নারীরই বয়ঃশন্ধির এক বা দু বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা স্রাব নির্গত হতে পারে যা মেনোপজ এর পর বন্ধ হয়ে যায়। সাদা স্রাব নির্গত হওয়ার পরিমান বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হতে পারে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সাধারনত পিরিয়ডের আগে এর পরিমান বেড়ে যায়। এ স্রাব সাধারণত গন্ধবিহীন বা হাল্কা গন্ধযুক্ত, দুধের মত সাদা বা পরিষ্কার হয়ে থাকে যা লিউকোরিয়া নামেও পরিচিত। গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব নির্গত হওয়া কি স্বাভাবিক? গর্ভবতী হলে সাদা স্রাব নির্গত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অন্য সময়ের তুলনায় গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণও বেশী থাকে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় এডিমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া

ইডেমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া

শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত তরল জমা  হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়াকে এডিমা বা শরীরে পানি আসা বলে। এডিমার কারণে শরীরের যেকোনো অংশ ফুলে যেতে পারে তবে হাত ও পায়ে এর প্রভাব বেশী দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ফোলা খুবই স্বাভাবিক বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতায়,  কারণ এ সময় শরীরের টিস্যুগুলো অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে। শরীরে পানি কেন আসে বা শরীর ফুলে যায় কেন? গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির কারনে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে গর্ভবতি অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে প্রায় ৫০ ভাগ বেশী রক্ত ও তরল উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত রক্ত…

বিস্তারিত পড়ুন

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Posterior placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

পোস্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূণের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমে হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা গর্ভের সন্তানকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পাশে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই স্থানে হয়না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। আল্ট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান সাধারণত…

বিস্তারিত পড়ুন

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা (Anterior Placenta) কি ? এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূনের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমেই হয়। প্লাসেন্টা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা ভ্রুনকে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং শিশুর রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর দেয়ালের যে অংশে গেঁথে যায় ঠিক সে জায়গাতেই প্লাসেন্টার গঠন শুরু হয়। বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা জরায়ুর শীর্ষভাগে অথবা পেছনে অবস্থান করে । তবে প্লাসেন্টার গঠন সব মায়েদের একই   স্থানে হয় না। গর্ভাবস্থার ১৮-২০ সপ্তাহের আলট্রাসাউন্ডে প্লাসেন্টার অবস্থান জানা যায়। প্লাসেন্টার গঠন…

বিস্তারিত পড়ুন

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশনের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন ?

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন

ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন কি? ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটন সে সময়টাকে বলে যখন ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ফেলপিয়ান টিউবে অবস্থান করে এবং নিষিক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।পরবতীতে তা ক্রমশঃ গর্ভাশয়ের এর দিকে অগ্রসর হয়। তার এই যাত্রাপথে যদি কোন শুক্রানু দ্বারা ডিম্বানুটি নিষিক্ত হয় তবে তা গর্ভাশয়ে গিয়ে বসে যাবে। যাকে আমরা নারীর গর্ভধারন বলি। আর যদি ডিম্বানুটি কোন পুরুষের শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হয়, তবে তা বিচূর্ন হয়ে কিছু রক্তকনিকা সহ মাসিক ঋতুচক্রের সময় নির্গত হয়ে যাবে। এসময় জরায়ুর দেয়ালও নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হওয়ার সুবিধার জন্য পুরু হয়ে ওঠে।…

বিস্তারিত পড়ুন

৩৯ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

সপ্তাহ ৩৯ । গর্ভধারনের প্রত্যেকটি সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৩৯ তম সপ্তাহে ভ্রূণটিকে “ফুল টার্ম” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৩৯ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ৪০ সপ্তাহ ৬ দিন পর্যন্ত ভ্রূণকে ফুল টার্ম ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে জন্ম নেয়া নবজাতকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচাইতে কম থাকে। ৩৯ তম সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের বারো তম সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয় এবং এর অবস্থান গর্ভাবস্থার নবম মাসে। গর্ভধারণের ৩৯ তম সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ভ্রূণের ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ৩৯ সপ্তাহেও চলমান যা তার জন্মের পরও বেশ কিছুদিন ধরে চলবে। তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এসব…

বিস্তারিত পড়ুন