শিশুর ওজন না বাড়া (০-১২ মাস)

Spread the love

শিশুর ওজন ও স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ‘কেন আমার বাচ্চার ওজন বাড়ছে না’, প্রশ্নটি আপনাকে তাড়া করে। যদিও আপনি তার খাবার, শারীরিক কার্যকলাপ এবং ঘুমের যথেষ্ট যত্ন নিচ্ছেন, তবুও আপনার সন্তানের ওজন না বাড়া একটি প্রধান উদ্বেগ হতেই পারে।

আমার বাচ্চার ওজন দ্রুত যেভাবে বাড়ছিল, সেভাবে আর বাড়ছে না। আমার কি চিন্তিত হওয়া উচিত?

খুব সম্ভবত, না! কিন্তু তবুও বাচ্চার গ্রোথ চার্ট (Growth Chart) এর উপর আপনার খেয়াল রাখা উচিত। মনে রাখবেন, প্রথম কয়েকদিন ব্যতীত বাচ্চার ওজন ধীরে ধীরেই বাড়ে। প্রথম কয়েকদিনের পর বাচ্চার ওজন হঠাৎ করে কমে যেতে পারে কিন্তু এর পর আবার তা দ্রুতই বৃদ্ধি পাবে। ওজন বৃদ্ধির গ্রাফটা তাই সবসময় ঠিক সুমসৃণ হবে না৷

বিজ্ঞাপণ

আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির হারটা দ্রত হতে পারে, আবার ধীর গতিরও হতে পারে । মাঝে মাঝে একদম বন্ধও হয়ে যেতে পারে, যেমন হুট করে অসুখ হলে। তবে যাই হোক, ওজন বৃদ্ধির গ্রাফটা সর্বোপরি উপরের দিকেই উঠছে কিনা, তা কিন্তু নিশ্চিত হতে হবে।

আর আপনি যদি খুবই চিন্তিত হয়ে থাকেন যে আপনার বাচ্চার যথেষ্ট ওজন বাড়ছে না, আপনি বাচ্চার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

 ডাক্তার কি করতে পারে?

কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং আপনাকে কিছু প্রশ্ন করার মাধ্যমে ডাক্তার বোঝার চেষ্টা করবেন যে আসলেই কোন সমস্যা আছে কিনা। যদি সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে এর কারণ কি হতে পারে। গ্রোথ রেট (Growth Rate) ছাড়াও আরো অনেক বিষয় পর্যালোচনা করে তিনি বাচ্চার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন।

যদি আপনার শিশু বেড়ে উঠার মাইলস্টোনগুলো ঠিক সময়েই ছুঁয়ে ফেলে, বাচ্চা দেখতেও হাসিখুশি এবং স্বাস্থ্যবানই মনে হয়, সেক্ষেত্রে খুব সম্ভবত সে ঠিকই আছে। প্রথম বছরে বাচ্চার বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ুন

কিন্তু যদি আপনার ডাক্তার মনে করেন যে আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির হার ঠিক মতো হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন বাচ্চার কি আসলেই বেড়ে উঠতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। এটা নির্ণয়ের জন্য কিছু বিষয় তিনি চেক করবেন, যেমন-

  • গ্রোথ চার্ট অনুযায়ী তার ওজন শতকরা ৩ ভাগের নিচে কিনা।
  • উচ্চতা অনুজায়ী তার ওজন যতটুকু হওয়া উচিত তার শতকরা ২০ ভাগের নিচে কিনা।
  • তার সর্বশেষ চেকআপের পর থেকে তার গ্রোথ চার্টের লাইনগুলো নিম্নমুখী কিনা।

 যাই হোক, যেকোন বাচ্চারই ওজন বৃদ্ধি না পাওয়ার সমস্যা দেখা যেতে পারে। পরিণত বাচ্চা অপেক্ষা ‘প্রিম্যাচিউর বেবি’র ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেশীই থাকে।

যদি আপনার বাচ্চা সঠিক ওজন অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে এটা কেন হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করা বেশিই জরুরী। কারণ বাচ্চার মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্যে প্রথম তিন বছরে সঠিক মাত্রার পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার শিশুর রক্ত, প্রস্রাব অথবা অন্যান্য পরীক্ষা করে ডাক্তার শিশুর ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ নির্ণয় করবেন। দুধ খাওয়ার সময় বাচ্চার চোয়াল ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা কিংবা চুষে খেতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা বুঝতে ডাক্তার হয়তো দেখতে চাইতে পারেন আপনি কিভাবে বাচ্চাকে বুকের দুধ কিংবা ফীডার খাওয়ান কারণ কখনো কখনো কাজটা খুবই সাধারণ, কখনো বা খুবই জটিল। এর পর ডাক্তার হয়তোবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য আপনাকে কোন পুষ্টিবিদ কিংবা ‘ফিডিং এক্সপার্ট’এর শরণাপন্ন হতে বলতে পারেন।

এটা নিঃসন্দেহে চিন্তার এবং হতাশার একটা সময়। এটা শোনা খুবই কঠিন যে আপনার বাচ্চা ঠিকঠাক বেড়ে উঠছে না কিন্তু অবশ্যই এর জন্যে আপনি আপনাকে দোষারোপ করবেন না কিংবা ভাববেন না যে আপনি একজন ভালো মা নন।

 আমার বাচ্চা সঠিক ওজন অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণ কি হতে পারে?

সম্ভাব্য অনেক ধরণের কারণই থাকতে পারে যেটা ডাক্তার মাসের পর মাস বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে, বাচ্চার খাবারের তালিকা এবং আচার আচরণ দেখে নির্ণয় করে থাকেন। তবে আপনার বাচ্চা ঠিকঠাক বাড়ছে না, এর মানে হচ্ছে হয়তো সে ঠিকমতো খাচ্ছে না অথবা পুষ্টি গ্রহণ কিংবা এর কাজ করায় সমস্যা হচ্ছে। এখানে এই সমস্যাগুলোর কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:

খাওয়াতে সমস্যাঃ

বিজ্ঞাপণ
  • আপনার বাচ্চা ঘনঘন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে কিংবা সঠিক পরিমাপে দুধ খাওয়ার আগেই সে ঘুমিয়ে যাচ্ছে।
  • আপনার শিশুর হয়তো চুষে খাওয়ার ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল যে কারণে যথেষ্ট পরিমাণ দুধ সে চুষে খেতে পারছে না। এটা ফীডারের ক্ষেত্রেও হয়, তবে বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা বেশী দেখা যায়।
  • আপনার বাচ্চার জন্মগত ঠোঁটকাটা জনিত কোন সমস্যা থাকলে সেটাও তার খাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিশেষ বোতল ও নিপল ব্যাবহার করে কিংবা বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • অনেক শিশুই আছে, যারা শুয়ে থাকলে জিহবা কিছুটা একপাশে হেলে পড়ে, এসব বাচ্চাদের বুকের দুধ গ্রহণে সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা ফীডারে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম।
  • আপনি যদি আপনার শিশুকে ‘ফর্মুলা’ খাইয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ফর্মুলা ঠিকঠাক ভাবে বানানো না হলে সেক্ষেত্রেও শিশুর ওজন বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে।
  • বুকের দুধ খাওয়ানোর যে রুটিন বা প্রক্রিয়া, তা অনুসরণে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে আপনার শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পায় না৷ এটা অসম্ভব নয় যে, আপনার স্তন আপনার শিশুর জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ দুধ উৎপাদন করতে পারছে না। আপনি যখন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করেন, আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবেই হরমোন অক্সিটকিন নিঃসরণ করতে থাকে যা দুধের চলন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। উল্লেখ্য, দুধ পান করানোর শুরুর দুধ( fore milk )  অপেক্ষা কিছুক্ষণ পর যে দুধ নিঃসরণ হয়(hind milk) , তাতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশী থাকে। কিন্তু আপনি যদি কোন শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যায় থাকেন, সেক্ষেত্রে হরমোন অক্সিটকিন নিঃসরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয় এবং অপেক্ষাকৃত বেশী ক্যালোরির যে দুধ ভেতরে রয়ে যায়, তা থেকে আপনার শিশু বঞ্চিত হয়। আর এই সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয়, সেক্ষেত্রে শিশু সঠিক ওজন অর্জনে ব্যর্থ হয়। আর তাই দুধ পান করানোর সময় আরামদায়ক এবং অনুকূল পরিবেশ বেছে নেওয়া উচিত।
  • অনেকেই আছেন যারা তাদের শিশু ক্ষুধার্ত কিনা সেদিকে না তাকিয়ে একটা সময়সূচি অনুযায়ীই খাইয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রেও শিশুর ওজনে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শিশুকে তখনই খেতে দেওয়া উচিত যখন সে খেতে চায়, যতক্ষণ সে খেতে চায়

অন্যান্য সাধারণ কারণ:

  • আপনার শিশু যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকে, সেক্ষেত্রে তার শরীরে বেশী ক্যালোরি ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এছাড়া অসুস্থতা শিশুর খাওয়ার রুচিও নষ্ট করে দিতে পারে।
  • শিশুর দীর্ঘমেয়াদী পাকস্থলির সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা কিংবা দুধ হজমের সমস্যা থাকতে পারে
  • আপনি যদি গর্ভপরবর্তী হতাশায় (Postpartrum Depression) ভুগেন কিংবা আপনার অন্যান্য বাচ্চাদের নিয়েও চিন্তিত থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো আপনি আপনার শিশুর প্রতি যথেষ্ট নজর দিচ্ছেন না, যার ফলাফল সে যথেষ্ট পুষ্টি পাচ্ছে না।

এর বাইরে কিছু বিরল কারণেও শিশুর ওজন কম হতে পারে যেমন কিস্টিক ফিব্রোসিসের মতো ফুসফুসের সমস্যা; ডাউন সিনড্রোমের মতো ক্রমোজমের সমস্যা, রক্তস্বল্পতা অথবা হৃদরোগ জনিত সমস্যা, গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সির মত বিপাকীয় সমস্যা, ইত্যাদি।  তবে এসব ক্ষেত্রে দ্রুত অসুখ নির্ণয় করা খুবই জরুরী।

ডাক্তার কিভাবে শিশুর ওজন অর্জনে ব্যর্থ হওয়াটা নিরাময় করবেন?

আপনি এবং আপনার ডাক্তার যখন একবার মূল সমস্যাটা বের করতে পারবেন তখন আপনারা দুজনে মিলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন যে কিভাবে এর চিকিৎসা করানো যায় এবং শিশুর শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়।

আপনার শিশুকে সুস্বাস্থ্যে ফিরিয়ে নিতে বুকের দুধের পাশাপাশি ফর্মুলা খাওয়ানো যেতে পারে। আর যেসব শিশু বুকের দুধের পাশাপাশি ইতোমধ্যেই অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করেছে তাদের উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার খাওয়ানো হয় যেমন দই, পনির, পুডিং, ডিম, আলু, আটার রুটি প্রভৃতি। তবে শিশুর ১ বছর পর্যন্ত গরুর দুধ খাওয়ানো উচিত হবে না

তবে কিছু ক্ষেত্রে শিশুর নিবিড় পরিচর্যা এবং পুষ্টির সঠিক মাত্রা নিশ্চিতকরণের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনও পড়তে পারে।

আমি নতুন মা হয়েছি। কিভাবে বুঝবো আমার শিশু সঠিক পরিমাণে দুধ পান করতে পারছে কিনা?

  • আপনার শিশু যদি ৩ মাসের কম হয় এবং আপনি শুধু তাকে বুকের দুধই পান করিয়ে থাকেন, তাহলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আপনার শিশুর সাথে ঘটে থাকলে আপনি বুঝবেন যে আপনার শিশু ঠিক পরিমানেই খাচ্ছে।
  • প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ টি কাপড়ের ডায়াপার কিংবা ৫ থেকে ৬ টি ওয়ান টাইম ডায়াপার ভিজিয়ে ফেলছে।
  • প্রথম ১ মাস সে প্রতিদিন কয়েকবার পায়খানা করবে যার রঙ হবে সরিষার মতো। প্রথম মাস শেষে পায়খানা কিছুটা কমে যেতে পারে এমনকি দু’একদিন পর পরও হতে পারে।
  • যখন দুধ পান করাবেন, আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তার চোয়াল নড়ছে এবং চুষে খাবার শব্দও হচ্ছে। এমনকি আপনার রুম যদি নীরব থাকে, তার ঢোক গেলার শব্দও আপনি শুনতে পাবেন।
  • দুধ পান করানোর পূর্বাপেক্ষা পান করানোর পরে আপনার স্তন অনেক হালকা অনুভব হবে।
  • প্রথম তিন মাসে আপনার শিশুর ওজন প্রতিদিন প্রায় ১ আউন্স করে বাড়বে। এর পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ০.৫ থেকে ০.৬ আউন্স, ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ০.৪ আউন্স এবং ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ০.৩ থেকে ০.৪ আউন্স পর্যন্ত বাড়বে।

যদি আপনার শিশু দুধ পান করানো অবস্থাতেই বারবার ঘুমিয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে তাকে জাগিয়ে রাখার জন্যে নিম্নোক্ত পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।

  • পায়ের পাতায় আলতো করে সুড়সুড়ি দিয়ে।
  • জামাকাপড় খুলে দিয়ে
  • দুধ পান করানোর পূর্বে কিংবা মাঝে ডায়াপারটা পালটে দিয়ে।
  • হাতে ছোট কোন খেলনা দিয়ে
  • স্তন পরিবর্তনের সময় আপনার শিশুকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখতে পারেন যাতে সে ঢেকুর তুলতে পারে।

যদি আপনার শিশু বুকের দুধ পান করে শেষ করতে না পারে সেক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক রাখার জন্যে বাকি দুধটুকু পাম্প করে বের করে ফেলাই উত্তম।

নিয়মিত চেক-আপের মাঝেও যদি আপনি আপনার শিশুর ওজন কিংবা খাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তবে আপনি সপ্তাহে একবার আপনার শিশুর ওজন পরিমাপ করতে পারেন। সঠিক পরিমাপটা পাওয়ার জন্যে সবসময় একই যন্ত্র ব্যাবহার করা উচিত। আপনি বাসায়ও একটা ওজন মাপার যন্ত্র রেখে দিতে পারেন।

বুকের দুধ পান করানোটা সবার ক্ষেত্রেই যে নির্ঝঞ্জাট হবে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তার মানে এই না যে আপনার বুকের দুধের বাইরে ফর্মুলা বা অন্যান্য দুধ খাওয়ানো উচিত। আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, তার উপদেশগুলো শুনুন অন্ততপক্ষে বিশেষজ্ঞ কারো সাথে যোগাযোগ করুন।

আমার শিশুর জন্যে বুকের দুধ যথেষ্ট হচ্ছে না, এটা ভেবে বিকল্প কিছু চিন্তা করার আগে ভেবে নিন সমাধান আছে আপনার কাছেই। অনেক ধরণের উপায় আছে যার মাধ্যমে বুকের দুধের সরবরাহ বৃদ্ধি করা যায়, আবার শিশুকে ভালোভাবে খাওয়ানোরও অনেক টিপস আছে, সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ুন।

আমার শিশু যদি সঠিক ওজন অর্জনে অক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে কি সবসময়ই তাকে অন্য শিশুদের তুলনায় ছোট দেখাবে?

এটা মূলত নির্ভর করে আপনার শিশুর ওজন কম হওয়ার কারণের উপর। যদি তার দীর্ঘমেয়াদী কোন অসুখ থাকে, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে যে আপনার শিশুকে অন্য শিশুদের তুলনায় কিছুটা ছোট দেখাবে। কিন্তু বাড়তি যত্নের মাধ্যমে যদি এই সমস্যাটার দ্রুত নিরাময় করে ফেলা যায়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার শিশু দ্রুত বেড়ে উঠতে সক্ষম হয়ে উঠবে।

সবার জন্য শুভকামনা। 


Spread the love

Related posts

Leave a Comment