১৩ মাস বয়সের শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি
১৩ মাস বয়সের একটি ছোট্ট শিশুর মধ্যে যে শারীরিক পরিবর্তনগুলো আসে সেগুলো খুব সহজেই দেখা যায় এবং এই সময়টাতে শারীরিক বৃদ্ধির কারণে পরিবর্তনগুলো একটু বেশিই হয়। যেমন, আপনি হুট করে দেখতে পারেন যে তার হাত এবং পায়ের ভাঁজগুলো শরীর থেকে মুছে যাচ্ছে। এ সময় শিশুর ওজন বাড়ার গতিটা একটু স্থবির হয়ে যায় অর্থাৎ আগের মত দ্রুত হারে ওজন বাড়ে না।
১৩ মাস বয়সের শিশুর ওজন এবং উচ্চতা
‘World Health Organization’ এর মতে এই বয়সের মেয়ে শিশু ও ছেলে শিশুর স্বাভাবিক ওজন যথাক্রমে ২০.২ পাউন্ড এবং ২১.৮ পাউন্ড। একই ভাবে মেয়ে ও ছেলে শিশুর স্বাভাবিক উচ্চতা যথাক্রমে ২৯.৬ ইঞ্চি এবং ৩০.২ ইঞ্চি। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে ঠিক বাল্যকালের মতই প্রত্যেকটি শিশু একে অপরের থেকে একদমই আলাদা তাই এখানে উচ্চতা ও ওজনের সংখ্যাগুলো অতটা জরুরী না। শিশুর ওজন এবং উচ্চতা তার সুস্বাস্থ্যের উপর স্বাভাবিক প্রভাব ফেলছে কিনা অর্থাৎ শিশু সুস্থ আছে কি না সেটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে।
এই ১৩ তম মাসে, আপনার শিশুর হাফ পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আধা ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার শিশু স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হচ্ছেনা তাহলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করুন। অথবা আর দুই মাস পর, ১৫ মাসের সময় যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়, সে সময় তো এই উচ্চতা এবং ওজন পরীক্ষা করা হবেই।
[ আরও পড়ুনঃ বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির চার্ট । ১৩-২৪ মাস ]
১৩ মাস বয়সের মাইলস্টোন
১৩ মাসের সময় আপনার শিশু যে সব মাইলস্টোন অতিক্রম করেছে অথবা অচিরেই অতিক্রম করবে, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলঃ
১৩ মাস বয়সের শিশুর কথা বলা
আপনার মনে হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে, “আমার শিশু কি এই ১৩ মাসের সময় কথা বলা শুরু করবে?” এর উত্তর হল, হ্যাঁ, আপনার শিশুর এই সময়ে কথা বলা শুরু করবে। তবে এটা মনে রাখবেন, এই সময়ের বলা কথাগুলো একদম আসল শব্দের মত হবে না। আপনার শিশু হয়ত, জড়ানো গলায় কিছু শব্দ বলবে, যেমন: বোতলের জন্য সে বলতে পারে ‘বা’, দাদাকে ডাকতে সে হয়ত বলবে, ‘দা’।
আবার হয়ত এমন দেখা যেতে পারে যে আপনার শিশু স্বাভাবিক কথা বলার মত করে অনেক আবোল তাবোল শব্দ বলছে, যেগুলোর আসলে কোন মানেই নেই, এগুলো কিন্তু খুবই স্বাভাবিক ব্যাপারে। তাছাড়া আপনি তো বুঝতেই পারছেন ১৩ মাস বয়সের একটি শিশু তো এমন করেই কথা বলে, তাই না?
এই সময়ে বাবা মায়ের একটা প্রশ্ন আসতে পারে, আর সেটা হল, ‘১৩ মাস বয়সের একটা শিশু কতগুলো শব্দ বলতে পারে?’ বেশিরভাগ ১৩ মাস বয়সী শিশু একটা শব্দ অথবা খুব বড়জোর দুইটা শব্দ উচ্চারণ করতে পারে।
দেখা যাবে ১৩ মাস বয়সের সময় আপনার শিশু কান্না না করে আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে এর সাথে সে কি চাচ্ছে এটাও আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। এমনটা হয়ত সবসময় সে করবেনা, তবে মাঝে মধ্যে দেখা যাবে সে কোন খেলনাটি চাচ্ছে এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে আপনাকে।
[ আরও পড়ুনঃ বাচ্চার প্রথম কথা বলা কখন থেকে শুরু হয় ? ]
১৩ মাস বয়সের শিশুর হাঁটাচলা
এই সময়ের বাচ্চারা কোন কিছু ধরে উঠে দাঁড়াতে পারে এবং আসবাবপত্র ধরে ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে পারে। কোন কোন শিশু হয়ত এলোমেলো ভাবে কয়েক পা দিয়ে হাঁটার চেষ্টাও করবে। আপনার শিশুর প্রথমবারের মত হাঁটার চমৎকার দৃশ্যটি আপনি এই সময়েই দেখতে পাবেন।
তবে আপনার শিশু যদি এই সময়েই হাঁটা শুরু না করে, তবে এতে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই কেননা শুরুতেই আমরা বলেছিলাম প্রত্যেকটা শিশুই আলাদা আর তাই তাদের হাঁটা শুরু করাটাও একটু আগে অথবা পরে শুরু হতে পারে। আপনার শিশু যদি কোন কিছু ধরে দাঁড়াতে পারে তাহলে বুঝতে হবে সে কিছুদিনের মধ্যেই হাঁটা শুরু করবে, শুধু একটু দেরি হচ্ছে এই যা।
আপনার হাত ধরে কয়েক পা হেঁটে আপনার শিশু খুব খুশি এবং তার সাথে আপনিও… তবে এই বয়সে এমনটা যদি না হয় সেটাও খুব স্বাভাবিক। কেননা কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা ১৭/১৮ মাসের আগে হাঁটা শুরু করে না এবং কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে হাঁটা শুরু করতে আরো দেরী হচ্ছে। এই বয়সের শিশু হামাগুড়ি দিচ্ছে, আসবাবপত্র ধরে হাঁটছে অর্থাৎ সে চলাচল করছে এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনার শিশুকে আর আপনার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না, যে কোন কিছু ধরে ধরে সে নিজ থেকেই ঘরের যে কোন জায়গায় যেতে পারছে। এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো তার জন্য খুবই আনন্দের একই সাথে এগুলো আপনার জন্য একটু ভয়ের হতে পারে। তাই এই সময়ে কেউ না কেউ বাচ্চার সাথে থাকার চেষ্টা করুন, কেননা এইভাবে চলাচলের সময় সে কোন কিছুর সাথে ধাক্কা খেতে পারে অথবা বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেতে পারে।
যে সব শিশুরা হামাগুড়ি না দিয়ে বসে থেকেই মেঝেতে ঘষটে ঘষটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করে তারা একটু দেরিতেই হাঁটা শুরু করে। আর তাই আপনার শিশু যদি বসে থেকেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে চায় তাহলে একটু ধৈর্যশীল হন, হাঁটা শুরু করতে তার হয়ত একটু বেশি সময় লাগবে।
[ আরও পড়ুনঃ শিশুর হাঁটতে শেখা ]
১৩ মাস বয়সের শিশুর স্বাস্থ্য
আপনার শিশুর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে, তাই আপনি হয়ত শিশুর পরিচর্যার ক্ষেত্রে গত এক বছর আগের থেকে এখন নিজেকে অনেক দক্ষ মনে করছেন। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে, সবসময়েই কোন না কোন নতুন সমস্যা দেখা যেতে পারে। এই ১৩ মাস বয়সের শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাবা মা’রা দের মনে যে প্রশ্নগুলো প্রায়ই আসে, সেগুলো নিম্নরূপঃ
- আমার শিশুর ডায়রিয়া হয়েছে, এখন আমার করনীয় কি?
- আমার শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে, এখন আমার করনীয় কি?
- আমার শিশুর প্রায়শই বমি হচ্ছে, আমার কি করা উচিৎ?
- আমার শিশুর প্রচণ্ড জ্বর, আমার করনীয় কি?
১৩ মাস বয়সের শিশুর ঘুম
আপনার ১৩ মাস বয়সের শিশুর ঘুমের একটা রুটিন হয়তো এসময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। তবে কিছু ছোটখাটো অসুস্থতা, দাঁত ওঠা, অথবা তার নতুন স্বাধীনতার উত্তেজনা তার ঘুমের রুটিনের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
১৩ মাস বয়সের শিশুর ঠিক কতটা ঘুম প্রয়োজন?
এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত একটি শিশুর সাধারণত প্রতিদিন ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কখনো দেখা যায় যে কোন শিশু দিনের বেলা দুইবার ঘুমায় আবার কোন শিশু একবারই ঘুমায়। তাই এই ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম কি একবারেই ঘুমাবে নাকি কয়েকবারে ঘুমাবে এটা আসলে নির্ভর করে আপনার শিশুর নিয়মিত অভ্যাসের উপর।
শিশু ঘুমাচ্ছেনা
আপনার ১৩ মাসের শিশু নিয়মিত ঘুমাচ্ছে না? এতে আমরা মোটেও অবাক হচ্ছি না। কেননা এই বয়সের শিশুরা না ঘুমানোর জন্য অথবা দেরীতে বিছানায় যাওয়ার জন্য সব ধরনের বাহানা দেখায়। আরেকটু পানি খেতে চাওয়া, কোন খেলনা তার এখনই লাগবে অথবা তাকে এখনই অনেক গল্প শুনাতে হবে এমন অনেক কিছুই করে শিশুরা এই বয়সে।
আপনাকে ধৈর্যের সাথে চেষ্টা করতে হবে যাতে শিশুর ঘুমের নিয়মিত অভ্যাসটি বজায় থাকে আর প্রতিদিন যাতে সে একই সময়ে ঘুমাতে যায়। শিশুর রুম যতটা সম্ভব আরামদায়ক রাখুন এবং মাঝরাতে হুট করে তাকে তার বিছানা থেকে উঠে আপনার বিছানায় চলে আসতে দিবেন না। যদি সে এমনটা করে তাহলে সাথে সাথেই তাকে নিজের বিছানায় নিয়ে যান। এই অভ্যাসগুলো আপনার এবং আপনার শিশুর রাতের বেলায় নিয়মিত ঘুম নিশ্চিত করবে।
১৩ মাস বয়সের শিশুর ঘুমের অনিয়ম
যদি এমনটা দেখা যায় যে আপনার শিশু আগে নিয়মিত ঘুমাতো কিন্তু হুট করে রাতের বেলায় তার ঘুম হচ্ছে না তবে এমনটা বেশ কিছু কারণেই হতে পারে। সাধারণত ১২ থেকে ১৪ মাস বয়স থেকে শিশুরা রাতে স্বপ্ন দেখা শুরু করে আর এর কারণে সে মাঝরাতে হুট করে জেগে যেতে পারে। এছাড়া নতুন দাঁত উঠার ব্যথার জন্যও সে জেগে উঠতে পারে। এই সময়ে আপনাকে ধৈর্যের সাথে চেষ্টা করে যেতে হবে যাতে করে শিশু নিয়মিত অভ্যাসেই ঘুমায় এবং জাগে। আপনার এই ধৈর্য এবং চেষ্টাই শিশুকে তার পুরানো ঘুমের অভ্যাসে নিয়ে যেতে পারবে।
১৩ মাস বয়সের শিশু খাবার
১৩ মাস বয়সের সময় থেকে আপনার বাচ্চা, শিশু খাবার, ফিডার এবং ফরমুলা দুধ ছেড়ে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার খেতে শুরু করে। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, এই সময়ের শিশুদের জন্য অনেক কিছুই একদম নতুন তাই এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন একটু ধীরে করাই ভালো।
১৩ মাস বয়সের শিশু কি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করবে?
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বয়সের শিশুদের প্রতিদিন প্রায় ১০০০ ক্যালোরি খাবার প্রয়োজন। অথবা এটা অন্যভাবেও পরিমাপ করতে পারবেন, যেমন শিশুর প্রতি ইঞ্চি উচ্চতার জন্য চল্লিশ ক্যালোরি করে প্রয়োজন হয়। তবে এই পরিমাপ সব সময়ের জন্যই সঠিক হবে তা কিন্তু নয়, কেননা ১৩ মাসের একটা বাচ্চা প্রতি বেলা এবং প্রতিদিন ঠিক মেপে মেপে খাবার খাবে এমন আশা কিন্তু আপনি করতে পারেন না। এমনকি গতকাল সে যে খাবার খেয়েছে, আজকেও সে একই খাবার খাবে এমনটা নাও হতে পারে।
সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্করা যতটুকু খাবার খায়, আপনার শিশুকে তার চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এরপর তাকেই তার খাদ্যাভ্যাস নির্ধারণ করতে দিন। ১৩ মাসের শিশুরা খাবারের ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে হয়ে থাকে আবার কখনো কখনো তার খাদ্য গ্রহণ দেখে মনে হতে পারে সে অনেক ক্ষুধার্ত—আবার কখনো দেখা যেতে পারে সে একটি ছোট খরগোশের মতই একদম অল্প পরিমাণে খাচ্ছে।
১৩ মাস বয়সের শিশুকে কি খাবার খাওয়াবেন?
১৩ মাস বয়সের শিশুকে তিন-বেলা খাবার এবং দুই বেলা নাস্তার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন সবজী, ফল, শস্য, প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং দুধ এই খাবারগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে পারেন।
১৩ মাস বয়সের শিশুর জন্য যে খাবারগুলো প্রয়োজন
বাচ্চারা সাধারণত ক্যালসিয়াম, আইরন এবং আঁশজাতীয় খাবার খুবই কম খায়। তাই প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম আছে এমন খাবার দিতে পারেন, যেমনঃ সবজী, ফুলকপি এবং টফু। টফু শিশুর আয়রনের চাহিদাও পূরণ করতে পারে, এছাড়াও সিরিয়াল, শুকনো পীচ ও চর্বিহীন গরুর মাংসও এই চাহিদা পূরণ করে থাকে। আঁশ জাতীয় খাবারের অভাব পূরণের জন্য পরিশুদ্ধ মটরশুঁটি, আলুবোখারা, কলা, গম দিয়ে তৈরি পাস্তা খাওয়াতে পারেন।
১৩ মাসের শিশু কতটুকু দুধ পান করবে?
ঠিক কতটুকু দুধ পান করা উচিৎ এটা আসলে নির্ভর করে সে অন্য খাবার থেকে কতটুকু ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকে। এই বয়সের বেশীরভাগ শিশুদের পূর্ণ ননী যুক্ত দুধ খাওয়ানো উচিৎ কেননা এর মাধ্যমে তার মস্তিষ্ক পরিপক্ব হয়। দুই বছর বয়স থেকে তার খাদ্যাভ্যাস 1 percent অথবা ননী বিহীন দুধের দিকে পরিবর্তন করতে পারেন।
ডাক্তাররা বলে থাকেন, এই বয়সের একটি শিশুর দৈনিক ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। আর তাই যদি অন্য কোন খাবার থেকে আপনার শিশুর এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ না হলে, প্রতিদিন ৮ আউন্স পরিমাণের কাপে তিন কাপ দুধ প্রয়োজন হবে। এছাড়া অন্য কোন খাবার থেকে যদি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয় তাহলে দুধের পরিমাণের সাথে ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ সামঞ্জস্য করে নিতে হবে।
আপনি যদি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে আপনার শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই, তবে আপনি চাইলে খাওয়াতে পারেন এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। শুধুমাত্র শিশুর প্রতিনিয়ত বেড়ে ওঠার দিকে এবং তার ওজন নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না একটু খেয়াল রাখবেন। সাধারণত শিশুর বয়স এক বছর হয়ে গেলে মায়েরা বুকের দুধ ছাড়িয়ে দিতে চান, তবে এমন করাটা জরুরী কোন বিষয় না।
মাঝেমধ্যে জুস খাওয়াতে পারেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে যে জুসের মধ্যে যাতে চিনি না মিশানো হয়। শুধুমাত্র ফলের রস খাওয়ানো যাবে। তবে সেটাও প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ আউন্স পরিমাণের বেশি নয়।
আপনি যদি ইতোমধ্যেই শিশুকে ফিডারের অভ্যাস না ছাড়িয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ফিডার ছাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে। এইসময়ে আপনার শিশুকে কাপ অথবা কাপের মধ্যে স্ট্র দিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে যতটা সম্ভব। কোন কোন ডাক্তার শিশুদের Sippy Cup দিয়ে দুধ অথবা জুস খাওয়ানো পছন্দ করেন না, কেননা এতে করে শিশুর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এর ফলে কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে কথা বলার অভ্যাসে জড়তা চলে আসতে পারে।
১৩ মাস বয়সী শিশু যখন খেতে চায় না
এই সময়ে শিশুর বেড়ে ওঠাটা সাময়িক স্থবির হয়ে যায় এবং সে ধীরে ধীরে আত্মনির্ভর হতে থাকে তাই আগের অভ্যাস অনুসারে সে খাওয়া দাওয়া করতে নাও চাইতে পারে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আপনার কখনই শিশুকে খুব জোর করে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই এবং এমনটা করা উচিৎও না।
আপনি যেটা করতে পারেন, সেটা হল বিভিন্ন ধরনের খাবার তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া আপনার শিশু যদি একদমই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় তাহলে সেটা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে, তাই শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে প্রয়োজনে আলাপ করে নিতে পারেন।
[ আরও পড়ুনঃ শিশুর সঠিক খাদ্যাভ্যাস তৈরির ৭ টি টিপস (ছয় মাস থেকে ১৮ মাস বয়সী বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ]
১৩ মাস বয়সী শিশুর সামাজিক এবং মানসিক বৃদ্ধি
আত্মকেন্দ্রিকতার প্রথম মাস!
আপনি হয়ত ইতোমধ্যেই খেয়াল করেছেন যে আপনার পুরো পৃথিবী জুড়েই আপনার ছোট্ট শিশুটি রয়েছে। একই ব্যাপার কিন্তু আপনার শিশুর ক্ষেত্রেও, তার পুরো পৃথিবী জুড়েও কিন্তু শুধু আপনিই আছেন।
প্রথম বছর পার করে দ্বিতীয় বছরে পা ফেলতে না ফেলতেই আপনার শিশু কিন্তু ভীষণ রকম আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠে অর্থাৎ নিজেকে নিয়েই সে মগ্ন থাকে। কারো সাথে খেলনা ভাগ করে খেলা, নাস্তা ভাগ করে খাওয়া এমনকি আপনার মনোযোগও যদি অন্য কারো প্রতি চলে যায় তাহলে এটা তার জন্য খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। অন্য কোন শিশুর সাথে যদি তাকে খেলতে দেন তাহলে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, ওই শিশুটির সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক গড়ে তুলতে আপনার শিশু একদমই আগ্রহী না।
আপনার ১৩ মাস বয়সের শিশুটির জীবনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মানুষ এখনো আপনিই এবং ঠিক এজন্যই আপনার সবটুকু মনোযোগ তার চাই ই চাই। কিন্তু এর সাথেই ধীরে ধীরে স্বাধীনচেতা ও নিজের উপর আস্থা বৃদ্ধির আভাস দেখতে পাবেন আপনার এই ছোট্ট শিশুটির মধ্যে। হয়ত আপনি যখন রান্না করবেন তখন দেখবেন যে, সে আপনাকে তার দৃষ্টি সীমার মধ্যে রেখেই নিজে নিজে খেলাধুলা করছে আবার কিছুক্ষণ পর আপনার থেকে একটু আদর নিয়ে আবার নিজের খেলাতে মগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
এই ১৩ মাস বয়সের সময়েই শিশু নিজের বেশ কিছু ক্ষমতা এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে। দেখা যাবে আপনার শিশুটি চাচ্ছে যেন আপনি তাকে গল্প পড়ে শোনান, দোলনাতে দোল দিন অথবা তাকে নিয়ে বাইরে একটু হাঁটতে বের হন। এই মুহূর্তে সে আসলে কি চাচ্ছে সেটা সে মুখে বলতে না পারলেও আপনাকে ধরে তার হাতের ইশারাতেই ঠিকই বুঝিয়ে দেবে।
এই বয়সের একটি হাসিখুশি শিশুরও অনেক আচরণ থাকে যেগুলো আপনার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। যেমনঃ
- বদমেজাজ (Tantrum)
- কামড়ে দেয়ার প্রবণতা
- গায়ে হাত তোলা বা মারার প্রবণতা
অপরিচিত কাউকে দেখলে ভয় পাওয়া এবং অন্যান্য ভয়
এই ১৩ মাস বয়সের সময়ে অনেক বাচ্চাই সাধারণত অপরিচিত মানুষ দেখলে ভয় পেতে শুরু করে। এমনকি ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে তাকে রেখেও আপনি যখন চলে যান তখন সে খুবই আপসেট হয়ে পড়ে। কোন অপরিচিত মানুষ দেখলে ভয় পাওয়া, কেঁদে দেয়া অথবা লুকিয়ে যাওয়াটা কিন্তু এটাই নির্দেশ করে যে আপনার শিশু পরিচিত ও অপরিচিত মানুষদের এবং কাকে সে পছন্দ করে আর কাকে অপছন্দ করে এগুলো আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারছে।
অনেক শিশু যে কিনা আগে অপরিচিতদের মধ্যে খুব সহজেই থাকতে পারত, সেও হুট করে এই বয়সে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। কেননা এই ১৩ মাসের সময়টাতে তার চিন্তা চেতনার পরিপক্বতা আসতে থাকে আর তাই আগে যে জিনিসগুলোতে সে ভয় পেত না যেমন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, প্রতিবেশীর কোন পোষা প্রাণী অথবা গোসল করার সময়, এগুলোতে সে হুট করেই ভয় পাওয়া শুরু করতে পারে।
[ আরও পড়ুনঃ শিশুর সেপারেশান অ্যাংযাইটি । নিরাপত্তাহীনতা । প্রিয়জনকে হারাবার ভয় ]
এ সময় আপনার করনীয় কি?
মনে রাখবেন আপনার শিশুকে জোর করে অন্য কারো সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারবেন না। বিশেষ করে অপরিচিত মানুষ দেখলে যে শিশুরা বেশি ভয় পেতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে তো এটা কখনই সম্ভব না। এ সমস্ত সময়ে আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং তাকে অন্য বিশেষ মানুষটার সাথে দূরত্ব রাখতে দিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজে থেকে সেই মানুষটার সাথে সহজ হতে পারে।
শিশু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই সে যখন দেখবে আপনি কারো সাথে সহজভাবেই মিশছেন তখন সে তা খেয়াল করবে। এছাড়াও যখন আপনি তাকে নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন আপনার শিশু কিন্তু আপনাকে দেখে বোঝার চেষ্টা করছে যে অপরিচিত মানুষদের সাথে কী ধরনের আচরণ করতে হয়। এভাবে সেও ধীরে ধীরে অপরিচিত মানুষদের মধ্যে সহজ হয়ে যাবে।
আপনার শিশু যদি অন্য কোন কিছুকেও ভয় পায় তাহলে নিম্ন বর্ণীত কাজগুলো তাকে একটু সহজ হতে সাহায্য করবেঃ
জোরে আওয়াজের ক্ষেত্রেঃ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার অথবা এই জাতীয় যন্ত্রের আওয়াজ যদি আপনার শিশুকে ভিত করে তুলে তাহলে সেই যন্ত্রটি যখন বন্ধ থাকবে তখন তাকে সেটা স্পর্শ করতে দিন। যদি বাইরের সাইরেনের শব্দতে আপনার শিশু খুব ভয় পায় তাহলে নিকটস্থ ফায়ার ষ্টেশনে তাকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন যেখানে সে দেখতে পারবে সেই ট্রাক এবং এ্যাম্বুলেন্সগুলো চুপচাপ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
আপনার শিশু যদি কোন কিছু সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে উঠে তবে সেটা যদি নিরাপদ হয় তবে তাকে ধরতে দিন এবং জিনিসটা সম্পর্কে বুঝতে দিন। এই ধরনের কাজগুলো করলে তার ভয় অনেকটাই কমে যাবে। তবে কোন কিছুতেই তাকে জোর করা যাবে না, এতে করে তাই ভয় তো কমবেই না বরং আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
বাথটাবঃ পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের মধ্যে ঢুকে যাওয়া, চোখে সাবান ঢুকে যাওয়া অথবা স্লিপ খেয়ে পড়ে যাওয়া, গোসলের সময় এই ধরনের অনেক ভয়ই শিশুর মধ্যে দেখা যেতে পারে। যদি এমনটা দেখা যায় যে আগে সে টাবের মধ্যে যেতে খুবই পছন্দ করত কিন্তু এখন বেশ ভয় পাচ্ছে তাহলে কিছুদিন তাকে টাবের মধ্যে না নিয়ে বরং স্পঞ্জ দিয়ে গোসল করাতে পারেন। পানি ছাড়া শূন্য টাবের মধ্যে তাকে বসিয়ে রেখে কাপড় দিয়ে তার চুল মুছে দিন। দুই একদিন পানি থেকে একটু দূরে রাখুন।
এমনকি আপনি চাইলে শিশু একটু সহজ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুদিন শ্যাম্পু ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে পারেন। এরপর কিছুদিন আপনি শিশুকে টাবের মধ্যে বসিয়ে পানির কল ছেড়ে দিন এবং ড্রেনের লাইন খুলে রাখুন যাতে করে পানি টাবের মধ্যে জমে না যায়। এভাবেই ধীরে ধীরে তাকে আবার আগের মত পানি ভর্তি টাবের মধ্যে গোসল করানো শুরু করতে পারেন । সে যদি পানি সরে যাওয়ার ড্রেনের জন্যও ভয় পায়, তাহলে তাকে দেখিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন যে তার খেলনাও এই ড্রেনের মধ্যে দিয়ে ঢুকছে না এবং তারও এই ড্রেনের মধ্য দিয়ে ঢুকে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
প্রাণীঃ ঘরে কোন পোষা প্রাণী থাকা সত্যেও মাঝে মধ্যে দেখা যায় শিশুরা অন্যান্য প্রাণী দেখে ভয় পাচ্ছে। আপনি নিজের কথাই চিন্তা করুন ৭ ফুট লম্বা একটা ভালুকের সামনে পড়লে আপনি কতটা ভয় পাবেন? পাশের বাসার কুকুরটিও কিন্তু তার কাছে সেই সাত ফুট লম্বা ভালুকের মত মতে হচ্ছে।
পোষা প্রাণীর কাছে যাওয়ার জন্য কখনই আপনার শিশুকে জোর করবেন না। বরং আপনি সেই প্রাণীর মত খেলনা কিনে এনে তাকে খেলতে দিন অথবা সেই প্রাণীর উপর লেখা ছবি সহ বই নিয়ে পড়ে শোনান। এছাড়া সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনার শিশুকে এটা বুঝানোর চেষ্টা করবেন যে পোষা প্রাণীর মালিকের অনুমতি ছাড়া তাকে ধরা যাবে না। কেননা সবচাইতে ভালো স্বভাবের কুকুর অথবা বিড়ালটিও কিন্তু জ্বালাতন করলে যে কোন সময় কামড়ে অথবা আঁচড়ে দিতে পারে।
১৩ মাস বয়সের শিশুর উপযোগী অ্যাকটিভিটি
এই সময়ের শিশুরা বিভিন্ন ধরনের খেলার প্রতি আকৃষ্ট থাকে এবং আপনার ঘরের প্রতিনিয়ত কাজগুলো সে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন যে, এই সময়ে আপনার শিশু বিভিন্ন ধরনের প্রতিভার প্রকাশও করছে।
ইতোমধ্যেই আপনার শিশু হয়ত সবার সাথে মিশছে অথবা বেশ কিছুটা লাজুক, নিম্ন বর্ণীত মজার এই কাজগুলো আপনার শিশুর সামাজিক দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করবেঃ
লুকোচুরি খেলাঃ এই ১৩ মাস বয়সের বেশীরভাগ শিশুরই প্রিয় একটি খেলা হল এই লুকোচুরি খেলা। দেখবেন যে আপনার শিশুটি খুব খুশি মনেই চেয়ারের পিছনে, বইয়ের পিছনে এমনকি তোয়ালের পিছনেও লুকচ্ছে এবং আপনি যখন তাকে খুঁজে না পাওয়ার ভান করবেন তখন সে হেসে একদম কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।
কোন কিছু ছুঁড়ে দিয়ে সেটা নিয়ে আসার খেলাঃ ১৩ মাস বয়সী শিশুরা বেশ মজা পায় এই ধরনের খেলা খেলতে, যদিও আপনার কাছে এটা বেশ বোরিং একটা খেলা মনে হতে পারে। এ খেলায় দেখা যাবে সে তার বিছানা/বেবি-চেয়ার থেকে বসে বিভিন্ন খেলনা ছুঁড়ে দিচ্ছে আর আপনাকে সেই খেলনা কুড়িয়ে আবার তার হাতে দিয়ে আসতে হবে।
এই ধরনের দেয়া নেয়ার খেলাটা আদতে খেলা হলেও এর মধ্যে সামাজিক বুদ্ধি এবং চেতনা বিকাশ ঘটার বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। তবে শিশু এই খেলা খুব বেশি পছন্দ করে, কারণ এই খেলায় আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগটাই সে পাচ্ছে।যে কোন খেলার সময় শিশু আরো বেশি মজা পায় যখন এই খেলার মধ্যে কোন দর্শক থাকে এবং দর্শক হাততালি দিয়ে তাকে উৎসাহ দেয় তাহলে দ্বিগুণ উৎসাহে সে খেলতে থাকে।
চেহারার অংশগুলোর নাম বলার খেলাঃ আপনার নাক, চোখ এগুলো দেখিয়ে যখন আপনি তাকে এটার নাম বলেন, সে কিন্তু খুব দ্রুতই সেগুলো চিনে যাবে। এরপর যখন আপনিই তাকে আবার জিজ্ঞেস করবেন, বাবু তোমার নাক কোথায়? দেখবেন সে ঠিকই আঙ্গুল দিয়ে তার নাক দেখিয়ে দিবে। সব কিছু আলাদা করার ক্ষেত্রে এই খেলাকে মনোবিজ্ঞানীরা প্রাথমিক ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করেন। দ্বিতীয় বছরের শুরুতেই এই খেলার মধ্যে সে বুঝে নেয় যে আপনি এবং সে নিজে দুইজনই একদম আলাদা মানুষ।
রং করাঃ আপনার শিশুকে এই সময় রং পেন্সিল দিয়ে খাতার মধ্যে দাগ দেয়ার খেলা খেলতে পারেন।
বল খেলাঃ বল গড়িয়ে আপনার শিশুকে দিয়ে দেখতে পারেন যে সেও আপনাকে বল গড়িয়ে দেয় কি না।
একসাথে কাজ করাঃ আপনি যখন ঘর ঝাড়ু দিবেন অথবা আসবাবপত্র মুছতে যাবেন তখন আপনার শিশুও এই কাজে আগ্রহ দেখাতে পারে, তখন আপনি তাকে আপনার সাথে এগুলো করতে দিতে পারেন। এগুলো শিশুর জন্য বেশ আকর্ষণীয়।
১৩ মাস বয়সী শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
- সুন্দর সুন্দর জুতো জুতো কিনে দিতে পারেন। শিশুর পা নিরাপদ রাখার জন্য এগুলো বেশ উপযোগী।
- বিশেষ করে আপনার শিশু যদি নতুন করে হাঁটা শিখে।
- এই বয়সের শিশুর সাথে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিটের মত বই পড়ার অভ্যাস করুন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এই অভ্যাস আপনার শিশুর সাথে আপনার সম্পর্ক আরো অনেক সুন্দর করে তুলবে।
- আসবাবপত্রের দিকে খেয়াল রাখবেন। ঘরের মধ্যে এমন কিছু রাখবেন না, যাতে করে হাঁটতে শেখা শিশু ব্যথা পেতে পারে।
- ইতোমধ্যে যদি না করানো হয় তাহলে ১৫ মাসের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।
সবার জন্য শুভকামনা।