শিশুকে কীভাবে প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে রক্ষা করবেন

শিশুকে কীভাবে প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে রক্ষা করবেন

আজকালকার শিশুরা একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির যুগে বেড়ে উঠছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, টেলিভিশন – সবই তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা শিশুদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হলেও কিছু কিছু মা-বাবার ক্ষেত্রে তা রীতিমতো অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ শিশুই সবসময় প্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকতে চায়, যা তাদের মা-বাবাদের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। যেহেতু মা-বাবারা সবসময়ই সন্তানের সফলতা এবং মঙ্গল কামনা করেন, তাই তাঁরা যখন দেখেন যে তাদের সন্তান প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে, তখন তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই আর্টিকেলে আমরা তাদের এই দুঃশ্চিন্তাগুলো কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা…

আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত

আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত

আজকে আলোচনা করবো গর্ভকালীন সময়ে করা একটি কমন জিজ্ঞাসা নিয়ে, আর সেটি হলো আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট (Pregnancy Ultrasound Report) কিভাবে বুঝবো? কারণ আমরা আকুল হয়ে প্রতীক্ষা করি গর্ভে বেড়ে ওঠা ছোট্ট প্রাণটি কেমন আছে তা জানার জন্য।  আর প্রযুক্তির এই যুগে মা বাবার এই দুশ্চিন্তা আর কৌতুহলের উত্তর দিতে রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি – শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে একটি যন্ত্রের সাহায্যে জানিয়ে দেয়া হয় গর্ভের ভ্রূণের অবস্থান ও বিকাশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য। কোন রেডিয়েশান ব্যবহৃত হয় না বলে, আলট্রাসাউন্ড -টেকনোলজি সম্পুর্ন নিরাপদ। ডাক্তারের পাশাপাশি মায়েরাও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টটা দেখে বোঝার চেষ্টা করেন তার…

শিশুর সবুজ মল | কখন স্বাভাবিক, কখন নয়

শিশুর সবুজ মল

নবজাতক শিশুদের মলত্যাগ মায়েদের জন্য বেশ উদ্বেগের, বিশেষ করে যদি নতুন মা হয়ে থাকেন তাহলে সেই উদ্বেগ অনেকটাই মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। শিশু কতটুকু মলত্যাগ করছে, ঠিকমত করছে কি না, কোন রঙের মলত্যাগ করছে, বা বাচ্চার সলিড খাবারের কারণে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি হাজারো রকম চিন্তা মায়েদের সবসময় ঘিরে থাকে। স্বাভাবিকভাবে শিশু দৈনিক কতবার মলত্যাগ করে এবং তার রঙ কি ধরণের হতে পারে? শিশুর জন্মের পর তার প্রথম মল হয় কালচে বর্ণের এবং সেটা বেশ আঠালো ধরণের হয়। এটিকে মিকোনিয়াম বলে। মায়েরা যখন বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করেন তখন…

মোটা বাচ্চা, সুখী মা!!

লিখেছেন- Sharmin Shamon আমাদের অনেকের মা-বাবারই ডায়াবেটিস আছে। তারা কি যে কষ্ট করেন, ডায়েট করেন, রোজ হাঁটেন। কত কি পছন্দের খাবার যে বিসর্জন দিয়ে দুটো শুকনো রুটি খেয়ে থাকেন। আর শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে আর কি বলবো সে তো সবাই জানেন। আমার বাবা স্ট্রোক করেছিলেন শুধুমাত্র ব্লাড সুগার টানা কিছুদিন বেড়ে থাকার কারনে। আমার সুস্থ্য স্বাভাবিক, কর্ম চঞ্চল বাবাকে কখনো এমন দেখবো ভাবিনি! কিন্তু দেখতে হয়েছে!! ডায়াবেটিসের অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটা অন্যতম কারন হলো অতিরিক্ত ওজন বা ওভারওয়েট। কম বেশি সবাই আমরা ডায়াবেটিসকে ভয় করে চলি কিন্তু বাচ্চার বেলায় তার উল্টোটা…

একজন মায়ের ব্রেস্টফিডিং বন্ধ করার গল্প

আমি কি একজন ভালো মা

লিখেছেন – Sharmin Shamon সন্তানের সাথে কাটানো প্রতিটি মূহুর্তই মায়ের কাছে ভালো লাগার, আনন্দের। আর একটি সদ্যোজাত বাচ্চার সাথে মায়ের সম্পর্কটা শুরুই হয় সাধারনত ব্রেস্টফিডিং দিয়ে। অন্যতম একটি সুন্দর এবং পবিত্র দৃশ্য এটি। সন্তান এবং মা এই একটি সময়ে শারীরিক, মানসিক ভাবে এক হয়ে যায়। কিন্তু কোন কিছুই চিরদিনের জন্য নয়, এই ছোট্ট বাচ্চাটি যখন বড় হয়ে যায়, প্রাকৃতিকভাবেই তাকে মায়ের দুধ ছেড়ে অন্য খাবার খেতে শিখতে হয়। প্রায় প্রতিটি মাকেই এই সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আজ লিখবো একজন মা হিসেবে আমার এই সময়টি কেমন ছিলো বা আমার কি…

নবজাতক শিশুর ৬টি রিফ্লেক্স বা সহজাত প্রতিক্রিয়া এবং এগুলোর প্রয়োজনীয়তা

নবজাতক শিশুর ৫টি রিফ্লেক্স

সময়ের সাথে মানবজাতির যে বিবর্তন হয়ে আসছে, পুরো বিষয়টি নবজাতক শিশুর রিফ্লেক্স বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াগুলোর দিকে এক নজর তাকালেই বোঝা যায়। বিভিন্ন নড়াচড়ার দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে নবজাতক শিশুরা আশেপাশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই বেশ কিছু সহজাত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকে। এই প্রতিক্রিয়াগুলো কিন্তু শিশু তার বুদ্ধি খাটিয়ে করেনা বরং বলা যেতে পারে এগুলো সম্পূর্ণ সহজাত অভ্যাস যা কি না শিশু জন্ম থেকেই নিজের মধ্যে ধারণ করে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি নবজাতক শিশুর ঠোঁটের নিচে আঙুল বুলান তাহলে আপনি দেখতে পাবেন শিশু নিজে থেকেই মুখ খুলে…

শিশুর ইন্দ্রিয়ের বিকাশ | শ্রবণ শক্তি

শিশুর শ্রবণ শক্তির বিকাশ

একটি নবজাতক শিশু কিন্তু বেশ শুনতে পায়, তবে তার মানে এই নয় যে সে আমাদের মতই শুনতে পায়। তাদের মধ্যকর্ন তরলে পূর্ণ থাকে, যেটা তাকে পুরোপুরি শুনতে বাধা দেয়। এছাড়াও নবজাতক হিসেবে তার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ও পরিপক্ব থাকে না। একারণে বাচ্চারা সাধারণত উচ্চস্বরে কথা বললে বা শব্দ হলে তাতে সাড়া দেয়। নবজাতক শিশু তার শ্রবণ শক্তির মাধ্যমেই চারপাশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়াও শ্রবণ শক্তি দিয়েই শিশুর ভাষা শিক্ষার হাতেখড়ি হয় এবং মানসিক পরিপক্বতার ক্ষেত্রেও এটা বেশ প্রভাব রাখে। তাই নবজাতক শিশুর শ্রবণ শক্তিতে কোন ধরনের সমস্যা আছে কি না…

শিশু কখন থেকে ভালোভাবে দেখতে পায়

শিশুর দৃষ্টিশক্তির বিকাশ

শিশুর জন্মের পর থেকেই তার শারীরিক, মানসিক এবং আবেগ জনিত সব ধরনের বিকাশ হয়ে থাকে তার দৃষ্টি শক্তির সাহায্যে। কারণ একটি শিশু তার দৃষ্টি শক্তি দিয়েই চারপাশের পরিবেশ থেকে সব ধরনের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে থাকে। জন্মের ঠিক পর পর দৃষ্টি শক্তি দিয়ে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের পরিমাণ কম থাকলেও শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই তথ্য সংগ্রহের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি কখন পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়? শিশুর দেখতে পাওয়া এবং শুনতে পাওয়ার অনুভূতির বিকাশ একইভাবে হয়না।শিশুর জন্মের প্রথম মাসের শেষের দিকেই তার শ্রবণ শক্তি পুরপুরি বিকশিত হয়ে যায়। তবে…

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গরম ও ঘামের কারণ ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গরম ও ঘামের কারণ ও করণীয়

গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে একটি মন্তব্য হয়ত আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন, আর সেটা হল তাদের চেহারা যেন চকচক করছে! তবে চেহারার এই চকচকে ভাবের একটা মূল কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ঘাম। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ঘামানো খুবই স্বাভাবিক। ঠিক তাই, গর্ভকালীন সময়ে ঘরের অন্য সবাই যখন একদম স্বাভাবিক অবস্থায় আছে তখন আপনি যদি একটু বেশি গরম অনুভব করেন এবং একটু বেশিই ঘামানো শুরু করেন তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই, কেননা মাতৃত্ব কালীন অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কেন এই ঘাম আর কতদিন পর্যন্ত এমন হয়ে থাকে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ছাড়াও…

শিশুর বেড়ে ওঠা । ১৯ মাস

শিশুর বেড়ে ওঠা । ১৯ মাস

আপনার শিশুর বয়স এখন ১৯ মাস। এসময় শিশুকে টিভি অথবা মোবাইলে কোন কিছু দেখিয়ে ব্যস্ত রাখার ইচ্ছা হতে পারে। ছোটদের অনুষ্ঠান অথবা ইউটিউবে ছোটদের অনেক চ্যানেল আছে, তবে তার মানে এই না যে আপনি সবসময় শিশুদেরকে মোবাইল অথবা টিভির সাথে অভ্যস্ত করে তুলবেন। এ ব্যাপারে একটু বিশেষ ভাবে মনযোগী হতে হবে আপনাকে—কারণ শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়সী একটি শিশু প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি টিভি অথবা মোবাইলের সাথে সময় পার না করাই উচিৎ। তবে যেটুকু সময়েই টিভি অথবা মোবাইল স্ক্রিনে শিশু চোখ রাখুক না কেন, সে সময়টা পুরোপুরি…