শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য । কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

প্রতিটি বাচ্চারই নতুন জিনিসের সাথে অভ্যস্থ হতে একটু সময় লাগে। সময়ের সাথে সাথে সে সব কিছুর সাথেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। তাই বাচ্চার মা বাবাদের ব্যাপার গুলো নিয়েও খুব দুশ্চিন্তার মাঝে পড়তে হয়। বেশির ভাগ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। বেশি সমস্যায় পরতে হয় যখন শিশু নতুন বা শক্ত খাবার শুরু করে। এসময় বেশিরভাগ বাবা মায়ের একটাই অভিযোগ থাকে যে শিশুর পায়খানা হচ্ছেনা। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কান্নাকাটি করে, পেট মোচড়ায় এবং খাওয়াদাওয়াও কমিয়ে দেয়। অস্বস্তি হয় বলেই এমনটা করে তারা। শিশুর এই অস্বস্তি মায়েদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। স্বাভাবিক পায়খানা…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ডায়রিয়া । কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার

নবজাতকের ডায়রিয়া

শিশুদের মলত্যাগ নিয়ে প্রায়ই অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়। কখনো শিশু দিনে বেশ কয়েকবার মলত্যাগ করছে, কখনো কয়েক দিন দিন ধরে করছেই না। আবার কখনো মলের ধরন ও রং পরিবর্তন হচ্ছে ঘন ঘন। কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা অস্বাভাবিক—বুঝতে গিয়ে মা-বাবা গলদঘর্ম হন। নবজাতক, বয়স ১০ দিন। বারবার পাতলা পায়খানা করছে। সে শুধু মায়ের দুধ খাচ্ছে। মা-বাবা উদ্বিগ্ন, মায়ের দুধ খাওয়া সত্ত্বেও শিশুর কেন ডায়রিয়া? যে শিশু শুধু মায়ের দুধ খায় তাদের অনেকেরই এ রকম সমস্যা দেখা দেয়। মায়ের দুধই শিশুর সেরা খাবার, এটা আমরা সবাই জানি। মায়ের দুধ শিশুকে অনেকভাবে ভালো রাখে।…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর নাক ও গলার কফ কিভাবে পরিষ্কার করবেন ?

শিশুর নাক ও গলার কফ

কফ কি এবং কেন হয়? কফ হলো গলার অস্বস্তিকর পিচ্ছিল পদার্থ। এটা শ্বাস নালীতে তৈরি এবং সেখান থেকে নিঃসৃত রস যা কাশির মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে আসে তাকেই কফ বলা হয়। বাইরের জিনিস শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে শরীরের Protective mechanism এর ফলে শ্বাসনালী তা কফের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়- এই প্রক্রিয়াকে কাশি বলা হয়। গলার গ্ল্যান্ডগুলো দিনে প্রায় এক থেকে দুই লিটার কফ তৈরি করে। কফ হলো আমাদের শ্বাসনালীর রস। শ্বাসনালীকে ভিজিয়ে রাখা কফের কাজ। শ্বাসনালী কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফ তৈরী করলে আমরা গলায় অস্বস্তিকর কফের অনুভুতি…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর নিউমোনিয়া এবং তার চিকিৎসা

শিশুর নিউমোনিয়া

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শিশুরা ভোগে নানান সমস্যায়। সামান্য শীতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে। মনে রাখা দরকার, প্রতিবছর একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে মারা যায়। বাংলাদেশে তো বটেই, বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া চাই। যদি সন্দেহ হয় যে বাচ্চা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। কিছু কিছু নিউমোনিয়া মৃদু হতে পারে তবে তা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। নিউমনিয়া কি? ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের  প্রদাহজনিত রোগ নিউমোনিয়া। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়।সব সর্দি-কাশিই…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ফ্লু । সাধারন সর্দি কাশি ভেবে ভুল করছেন না তো?

শিশুর ফ্লু

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কি? ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা এক ধরনের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এই ইনফেকশন এর মাধ্যমে আমাদের শ্বাসযন্ত্র (নাক, গলা ও ফুসফুস) সংক্রমিত হয়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাইরাল ফিবার বা ভাইরাসজনিত জ্বর হচ্ছে। অনেকে আবার আক্রান্ত হচ্ছে ফ্লুতে। ফ্লু সাধারণত: বেশি হয় শিশুদের। আর শিশুদের ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া বা শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেক ধরন আছে। এক এক বছর এক এক ধরনের ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের বিশেষ করে যাদের বয়স ২ বছরের কম তারা ফ্লুতে আক্রান্ত হলে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ । কারণ ও প্রতিকার

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

ডায়াপার র‍্যাশ কি? শিশুদের প্রায়ই ডায়াপার-জনিত র‌্যাশ বা অ্যালার্জি, এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র‌্যাশ হয়েছে। আমরা জানি বেশিরভাগ পিতামাতাই সন্তানের প্রতি যত্নশীল। ডায়াপার সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করেন। কিন্ত এতকিছুর পরও শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে কখনো কখনো ডায়াপার র‍্যাশের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ডায়াপার র‍্যাশ হতে পারে। ডায়পার র‌্যাশ দেখতে কেমন হয়? ডায়াপার র‍্যাশের ফলে শিশুর কোমল…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর বমি : কখন স্বাভাবিক কখন নয়

শিশুর বমি

শিশুর বমি নিয়ে মা-বাবারা প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এটা তেমন গুরুতর নয়। বাচ্চারা যেহেতু মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না, তাই কিছু হলেই কান্না করে। গরম বা শীত লাগুক, মশা কামড়াক, যাই হোক না কেন তার বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হলো কান্না। কিন্তু মায়েরা সব কান্নাকেই মনে করেন বাচ্চার খিদে লেগেছে, এতে জোর করে দুধ খাওয়াতে থাকেন, যার ফল হলো বমি। যারা বলেন তাদের শিশু খাওয়ার পরপর বমি করে। তাদের জানতে হবে যে, তারা যেটাকে বমি বলছেন তা হয়তো সবসময় বমি নয়।মায়ের দুধ পর্যাপ্ত না থাকলে দুধ…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর পেটে গ্যাস : কারণ, লক্ষন ও করণীয়

শিশুর পেটে গ্যাস

শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না। শিশুর পেটে গ্যাস কেন হয়? বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগলে করনীয়

শিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা

বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে তারা সহজেই অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বাচ্চাদের বেশী সর্দি হয় বা ঠাণ্ডা লাগে । প্রায় ২০০ ধরনের ভাইরাস শিশুর কমন কোল্ড বা বাংলায় আমরা যাকে বলি ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দির কারণ। বাচ্চাদের শরীর আস্তে আস্তে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। আমদের সারাজীবনে কতবার ঠাণ্ডা লেগেছে বা সর্দি হয়েছে তা একবার ভাবুন। আপনার বাচ্চারও এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর ফলে তার শরীরে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠবে। বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে বাড়তে…

বিস্তারিত পড়ুন

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা শিশুর আকস্মিক মৃত্যু

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম

সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা সিডস  ১২ মাস এবং তার থেকে কম বয়েসি শিশুদের জন্য  ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। কোন পূর্ব রোগ লক্ষণ বা অসুস্থতা ছাড়া ঘুমানোর সময় এই বয়েসি শিশুর মৃত্যু সিডস নামে পরিচিত। ২০১৪ সালের এক পরিসংখ্যান অনুসারে আমেরিকায় সিডস এর হার ৩৪%। অর্থাৎ এই এক বছরে যত শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে শতকরা ৩৪ জন শিশুর, যাদের বয়স ০-১২ মাস তারা কোন অসুস্থতা ছাড়াই ঘুমানোর সময় মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (সিডস) এবং হঠাৎ দমবন্ধ বা কোনো কারণে গলায় চাপ লাগার মতো কারণসহ প্রতিবছর ঘুমসংক্রান্ত…

বিস্তারিত পড়ুন