শিশুর একজিমা। কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

শিশুর একজিমা

একজিমা হলো র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির মত এক ধরণের চর্মরোগ। একে এটোপিক ডার্মাটাইটিস (atopic dermatitis) ও বলা হয় যা সচরাচর ৫ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একজিমা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রধানত গাল ও মাথার খুলীতে হয়, অনেক সময় হাত, পা, বুক সহ শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। বাচ্চার বয়স ১ বছর হওয়ার পরে তার কুনুই এর ভাঁজে, হাঁটুর পেছনের অংশে,  কব্জি, পায়ের গোড়ালি এমনকি শরীরের যেকোনো অংশেই একজিমা হতে পারে। বাচ্চার একজিমা  হওয়ার লক্ষন সমূহ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ২০% শিশু ও তার চাইতে বেশী বয়সের বাচ্চাদের এই চর্মরোগটি…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতক শিশুর চোখ থেকে পানি পড়া বা পিচুটি জমে থাকা কেন হয় | স্টিকি আই

নবজাতক শিশুর চোখ থেকে পানি পড়া বা পিচুটি জমে থাকা কেন হয় ? (স্টিকি আই)

স্টিকি আই কি? আপনার বাচ্চার চোখে যদি খুব বেশি পানি ছল ছল করে এমন কি চোখ গড়িয়ে পানি বের হওয়ার মত উপক্রম দেখা যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার বাচ্চার চোখের নালি বন্ধ হওয়ার কারনে এটা হচ্ছে। এইসমস্যা “স্টিকি আই” নামে পরিচিত। এতে অনেক সময় বাচ্চার চোখের কোনে পিচুটি জমে থাকে।যদিও এই সমস্যাটা এমনিতেই সেরে যায়, তারপরেও যথা সময়ে ডাক্তারকে দেখানোটা বুদ্ধিমানের কাজ। “স্টিকি আই” কেন হয় বা চোখ থেকে পানি ও পিচুটি কেন বের হয়? আমাদের চোখের ঠিক কোণায় একটি গ্রন্থি আছে। একে ল্যাকরিমাল গ্রন্থি বলে।  এই ল্যাকরিমাল গ্রন্থি…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতকের মাথায় খুশকি সদৃশ স্তর বা ক্র্যাডল ক্যাপ

নবজাতকের মাথায় খুশকি সদৃশ স্তর বা ক্র্যাডল ক্যাপ

নবজাতকের মাথার তালুতে খুশকির মত যে স্তর পরে সেটা কি খুশকি নাকি অন্য কিছু?  যদি আপনার বাচ্চার মাথার তালুতে শুষ্ক স্তরপূর্ণ আবরণ থাকে যেটি দেখতে খুশকির মত  বা স্তরটি যদি ঘন, তৈলাক্ত, হলুদ অথবা বাদামী বর্ণের হয়, তবে এটি সম্ভবত ক্র্যাডল ক্যাপ।ডাক্তাররা একে ইনফ্যান্টাইল সেবোরিয়িক ডারমাটাইটিস (InfantileSeborrheic Dermatitis) বলে থাকে যা নবজাতকের জন্য খুবই স্বাভাবিক। ক্র্যাডল ক্যাপ শিশুদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা। এটি শিশুদের মাথাতেই বেশী হয়ে থাকে। ক্র্যাডল ক্যাপ দেখতে অনেকটা খুশকির মতো হয়।ক্র্যাডেল ক্যাপের ক্ষেত্রে মাথার ত্বক প্রথমে লালচে হয়ে যায়। তারপর হলদে বর্ণ ধারণ করে। এরপর সেটি…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স

শিশুর ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স

ল্যাকটোজ হল দুধে থাকা চিনি বা শর্করা। আমরা যখন দুধ বা দুগ্ধজাত কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর এক ধরনের এনজাইমের (Lactase) সাহায্যে ল্যাকটোজকে ভেঙ্গে ফেলে যেন আমাদের শরীর তা শোষণ করে নিতে পারে। অনেকেই আছেন যাদের শরীরে Lactase এর পরিমান কম থাকে, যে কারনে তারা দুধ বা দুগ্ধজাত কিছু খেলে সমস্যা দেখা দেয়। ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স (Lactose Intolarence) কি? ধরুন আপনি ল্যাকটোজ অসহনশীল, তার মানে আপনি যখন দুধ বা দুগ্ধজাত কোন কিছু খান তখন আপনার শরীর দুধে থাকা শর্করা পরিপাক করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে Lactase উৎপাদন করতে পারেনা। ফলে উক্ত শর্করা আপনার…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর রিফ্লাক্স (Reflux) ও গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ GERD

শিশুর রিফ্লাক্স (Reflux) ও গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ GERD

এসিড Riflux বা গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুক জালা পোড়া করাটা শুধু বড়দের ক্ষেত্রেই হয়না, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। অনেকেই জীবনধারায় পরিবর্তন করে অথবা ওষুধের সাহায্যে এই সমস্যাটা কে নিয়ন্ত্রনে রাখে। এই আর্টিকেলে আজকে আমরা বাচ্চার রিফ্লাক্স (Riflux) এবং গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ নিয়ে আলচনা করবো।  বাচ্চা ঘন ঘন দুধ উগলে দেয়া কি স্বাভাবিক? এটা আসলে নির্ভর করে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর উগলে দেয়া (তুলে দেয়া) অথবা কোন কারণ বা অসুস্থতা ছাড়া মাঝে মাঝে বমি করাটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আসলে কোন কোন বাচ্চা কোন রকম অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন উগলে দেয় । একে বলা…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি

শিশুর ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি

শিশুর ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি কেন হয়? কোন কিছু খাওয়ানোর পরে খাবারের কোন উপাদানের প্রতি বাচ্চার শরীরের প্রতিরক্ষা সিস্টেম (Immune System) যখন কোন ধরনের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে যখন তা প্রতিরোধের চেষ্টা করে তখন সেটাকে ফুড অ্যালার্জি বলা হয়। খাবারের এসব উপাদান বাচ্চার শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হওয়া সত্ত্বেও তার ইমিউন সিস্টেম এসব উপাদানের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। আরেকটু সহজ করে বলতে, যখন বাচ্চাকে এমন কিছু খাওয়ানো হয় যেগুলোর প্রতি সে অ্যালার্জিক, তৎক্ষনাৎ বা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শরীর ইম্যুন সিস্টেমে সঙ্কেত পাঠায় তাকে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর অ্যালার্জি

শিশুর অ্যালার্জি

বড়দের চেয়ে শিশুদের অ্যালার্জিজনিত অসুখ-বিসুখ বেশি হয়ে থাকে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। অ্যালার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অ্যালার্জি সামান্য অসুবিধা করে আবার কারও জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এ্যালার্জী কি? আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করার কাজে নিয়োজিত। তবে মাঝে মাঝে এই ইমিউন সিস্টেম এমন কিছু উপাদানের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় বা তা প্রতিরোধের চেষ্টা করে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকারক নয়। এই উপাদানগুলোকে বলা হয় অ্যালার্জেন। যখন আমাদের শরীর এসব অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করে তখন অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন দেখা…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতকের হেঁচকি ওঠা নিয়ে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী

নবজতকের হেঁচকি

নবজাতকের হেঁচকি কেন হয়? আমাদের বুক আর পেটের মাঝখানে মাংসপেশি দিয়ে তৈরি একটি দেয়াল বা পার্টিশন রয়েছে। এই মাংসপেশিকে ডায়াফ্রাম বলে। এই ডায়াফ্রাম অবিরত এক নির্দিষ্ট ছন্দে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। কোন কারনে স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়ে ডায়াফ্রাম যদি হঠাত বেশি করে সংকুচিত ও প্রসারিত হতে থাকে তবেই হেঁচকি উঠে। ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারনের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে সাহায্য করে “ফ্রেনিক নার্ভ” নামক এক বিশেষ ধরনের স্নায়ু। গলা বেশি শুকিয়ে গেলে বা ঝাল খেলে অনেকের ফ্রেনিক নার্ভ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তার ফলে ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণ এর মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াফ্রামের এই সংকোচনের…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর কানের ইনফেকশন বা সংক্রমণ

শিশুর কানের ইনফেকশন বা সংক্রমণ

কিভাবে বুঝবেন আপনার শিশুর কানে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হয়েছে? আপনার শিশুর কানে সংক্রমণ (বা অন্যকোন অসুস্থতা) হয়েছে কিনা তা বোঝার সহজতম উপায় হচ্ছে তার আচরণের পরিবর্তনের প্রতি লক্ষ্য রাখা। যদি আপনার শিশু অস্বস্তি বোধ করে বা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে থাকে, তবে সমস্যা সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে। যদি সে জ্বর আক্রান্ত হয়(সেটা হালকা বা বেশী মাত্রার), তবে সেটি আরেকটি বড় লক্ষণ। মনে রাখা প্রয়োজন, কানের সংক্রমণের আগে সাধারণত ঠান্ডা অথবা সাইনাস সংক্রমণ দেখা দেয়। আপনাকে নিন্মলিখিত লক্ষণ গুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবেঃ আপনার শিশু কি কান টানে, আঁকড়ে ধরে বা…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

শিশুর জ্বর

মায়ের কাছে তার সন্তান অনেক মূল্যবান, অনেক বেশি আদরে। এই আদরের শিশুর জ্বর হলে তখন সবচেয়ে বেশি অস্থির হয়ে পড়েন মা। আর তা যদি হয় সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু তবে চিন্তা বেড়ে যায় আরোও বহুগুণ। সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। শিশুর জ্বর বলতে কি বোঝায়?  বাচ্চার কপালে হাত দিয়ে বা চুমু খেয়ে যদি মনে হয় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তবে হয়ত বাচ্চার জ্বর এসেছে। স্বাভাবিকের চাইতে বেশী তাপমাত্রাকেই আমরা জ্বর বলে থাকি। সাধারণভাবে জ্বরকে বলা যেতে পারে, ‘শরীরের…

বিস্তারিত পড়ুন